হৃদরোগে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :
চিকিৎসা বিজ্ঞানকে যিনি রোগের নামের গোলামী থেকে মুক্তি দিয়েছেন তার নাম হ্যানিম্যান। এই কৃতিত্বের দাবীদার একমাত্র তিনি। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা রোগের যত কঠিন কঠিন নামই দেন না কেন, তাতে একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের ভয় পাওয়ার বা দুঃশ্চিন্তা করার কিছু নাই। রোগের লক্ষণ এবং রোগীর শারীরিক-মানসিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ঔষধ দিতে থাকুন। রোগের নাম যাই হোক না কেন, তা সারতে বাধ্য। হ্যানিম্যান তাই শত-সহস্রবার প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। রোগীর মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পযর্ন্ত সমস্ত লক্ষণ সংগ্রহ করুন এবং তার মনের গহীনে অন্তরের অলিতে-গলিতে যত ঘটনা-দুর্ঘটনা জমা আছে, তার সংবাদ জেনে নিন। তারপর সেই অনুযায়ী ঔষধ নির্বাচন করে খাওয়াতে থাকুন। হৃদরোগ বাপ বাপ ডাক ছেড়ে পালাবে। রোগের নাম নিয়ে অযথা সময় নষ্ট করার কোন দরকার নাই। হোমিও চিকিৎসায় যদি আপনার হৃদরোগ নির্মূল না হয় (অথবা কোন উন্নতি না হয়), তবে হোমিওপ্যাথির ওপর বিশ্বাস হারাবেন না। কেননা এটি সেই হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের ব্যর্থতা।
যদিও সমগ্র লক্ষণ অনুসারে নির্বাচিত যে-কোন হোমিওপ্যাথিক ঔষধেই যে-কোন হৃদরোগ নিরাময় হয়ে যায়, তথাপিও এমন কিছু হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আছে যারা হোমিওপ্যাথিতে হৃদরোগের চিকিৎসায় বেশী বেশী ব্যবহৃত হয়। তাদের মধ্যে আছে Adonis vernalis, Amylenum nitrosum, Arnica montana, Cactus grandiflorus, Convallaria majalis, Crataegus oxyacantha, Digitalis purpurea, Iberis amara, Kalmia Latifolia, Lachesis mutus, Latrodectus mactans, Laurocerasus, Lilium tig, Lycopus virginicus, Naja tripudians, Natrum muriaticum, Aurum metallicum, vanadium, Spigelia anthelmintica ইত্যাদি।
কাজেই হৃদরোগ চিকিৎসায়ও আমাদের সকলেরই উচিত প্রথমে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা অবলম্বন করা। কেননা অন্যান্য চিকিৎসা বিজ্ঞানের তুলনায় কমপক্ষে একশ ভাগ কম খরচে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় হৃদরোগ থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব। অপরদিকে অন্যান্য জাতীয় ঔষধ এবং অপারেশন বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই হৃদরোগীর মৃত্যুকে দ্রুত ডেকে আনে। সে যাক, হৃদরোগ চিকিৎসায় ভালো নামডাকওয়ালা বিশেষজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হওয়া উচিত। কেননা সাধারণ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের দ্বারা হৃদরোগের চিকিৎসা সফল হওয়ার সম্ভাবনা নাই ; বরং হোমিওপ্যাথিতে প্রচণ্ড দক্ষতা আছে এমন চিকিৎসক প্রয়োজন।
Crataegus oxyacantha : হোমিওপ্যাথিতে প্রচলিত হৃদরোগের ঔষধগুলোর মধ্যে ক্রেটিগাস ঔষধটি হলো হার্টের জন্য ভিটামিন / টনিকের মতো যার তেমন কোন সাইড-ইফেক্ট নাই। এটি একাই শতকরা ৯৫% ভাগ হৃদরোগ নিরাময়ের ক্ষমতা রাখে। আজ থেকে একশ বছর পূরবে আয়ারল্যান্ডের ডাঃ গ্রীন নামক একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানী এটি আবিষ্কার করেন। তিনি শুধু এই একটি ঔষধ দিয়ে এত এত হৃদরোগী আরোগ্য করেছিলেন যে, সারা পৃথিবীতে হৃদরোগের শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক হিসেবে তার নাম ছড়িয়ে পড়েছিল এবং দুনিয়ার সকল প্রান্ত থেকে হৃদরোগীরা পঙপালের ন্যায় আয়ারল্যান্ডে ছুটে যেতো।তিনি নিম্নশক্তিতে পাঁচ ফোটা করে রোজ ৪ বার করে খাইয়ে অধিকাংশ হৃদরোগীকে রোগমুক্ত করতে সক্ষম হতেন।
Aurum metallicum : ব্রিটিশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাবিজ্ঞানী ডাঃ বানের্ট অগণিত জটিল হৃদরোগীকে আরোগ্য করে প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে, স্বর্ণ থেকে প্রস্তুত এই হোমিওপ্যাথিক ঔষধটি হৃদরোগের একটি অতি প্রয়োজনীয় এবং সেরা ঔষধ। অরাম মেটের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো দুই-তিন সেকেন্ডের জন্য মনে হয় হৃৎপিন্ড বন্ধ হয়ে গেছে, তারপর আবার খুব জোরে চলতে শুরু করেছে, বুক ধড়ফড়ানি, নাড়ির গতি দ্রুত-ক্ষীন এবং অনিয়মিত, হৃৎপিন্ডের আকৃতি বৃদ্ধি পাওয়া (Hypertrophy), হার্টের ভালবের বা পেশীর বিকৃতি (Valvular lesions of arterio-sclerotic nature), রক্তনালীর প্রাচীর মোটা হওয়া (Arterio-sclerosis), উচচ রক্ত চাপ (increased blood pressure), হৃদরোগের কারণে শরীরে পানি নামা (Ascites), হৃৎপিন্ডের বৈদ্যুতিক ভল্টেজ কমে যাওয়া (pacemaker), বিষন্নতা বা দুঃখবোধ (depression), হতাশা, আত্মহত্যার ইচ্ছা ইত্যাদি ইত্যাদি। সাধারণত রোগীর বা তাহার পিতা-মাতা-স্বামীর অতীতে সিফিলিস রোগ হয়ে থাকলে অরাম মেট দারুন ফল দেবে। মোটামুটি বলা যায়, অরাম মেট একাই এ যুগের বহুল প্রচলিত হৃদরোগসমূহের শতকরা ৯৫% ভাগ হৃদরোগ নিরাময়ের ক্ষমতা রাখে।
Digitalis purpurea : জর্জ ভিথুলকাসের মতে, কোন হৃদরোগীর নাড়ির গতি যদি মিনিটে ৫০ বার অথবা তারও কম হয়, তবে তাকে নিশ্চিতভাবেই ডিজিটালিস খাওয়াতে হবে। কেননা ইহা ডিজিটালিসের একেবারে স্প্যাসিফিক লক্ষণ । তার হৃদরোগের নাম যা-ই হোক না কেন, সেটি অবশ্যই সেরে যাবে। অবশ্য হৃদরোগ না হয়ে যদি লিভার, কিডনী, মস্তিষ্ক, পাকস্থলী বা চর্মরোগ যাই হোক না কেন, নিরাময় হতে বাধ্য । ডিজিটালিসের অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে আছে নাড়িরগতি দুর্বল, অনিয়মিত, বিরতিযুক্ত, খুবই ধীরগতি সম্পন্ন, শরীরের বাইরের এবং ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পানি নামা / শোথ (dropsy), মায়োকার্ডিয়ামের বৃদ্ধি (dilatation of the myocardium), অরিকুলার ফ্লুটার এন্ড ফিব্রিলেশান (auricular flutter and fibrillation), হার্ট ব্লক (Heart block),মাইট্রাল ডিজিজ (mitral disease), অত্যন্ত দুর্বলতা, অল্পতে বেহুঁশ হওয়া, চামড়া ঠান্ডা, শ্বাস-প্রশ্বাস অনিয়মিত, জন্ডিস, মুখমন্ডল নীলচে, সামান্য নড়াচড়াতেই ভীষণ বুক ধড়ফড়ানি, নড়লেই মনে হয় হৃৎপিন্ড বন্ধ হয়ে যাবে, পেরিকার্ডাইটিস (Pericarditis), ইত্যাদি ইত্যাদি।
Lachesis mutus : কারো হৃদরোগের কষ্টগুলো যদি ঘুমালে বেড়ে যায়, অর্থাৎ নিদ্রা গেলে বৃদ্ধি পায়, তবে তাকে ল্যাকেসিস খাওয়াতে হবে। তার হৃদরোগের নাম যা-ই হোক না কেন, তার নিশ্চিত রোগমুক্তি আশা করতে পারেন।
Adonis vernalis : সাধারণত বাতের আক্রমণ, ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ব্রাইটস ডিজিজের পরে হৃদরোগ দেখা দিলে তাতে এডোনিজ প্রযোজ্য। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো হৃদপেশীর ফ্যাটি ডিজেনারেশান (fatty degeneration), হৃদরোগের কারণে শরীরে পানি নামা (fatty degeneration), দুর্বল হার্ট এবং দুর্বল নাড়ি, মাইট্রাল এবং এওরটিক রিগারজিটেশান (Mitral and aortic regurgitation), এওরটার পুরাতন প্রদাহ (Chronic aortitis),ফ্যাটিহার্ট পেরিকার্ডাইটিস(Fatty heart pericarditis), বাতজনিত এন্ডোকার্ডাইটিস (Rheumatic Endocarditis), হৃৎপিন্ডে ব্যথা (Preæcordial pain),বুক ধড়ফড়ানি (palpitation), শ্বাসকষ্ট (dyspnœa), হৃদরোগজনিত হাঁপানি (Cardiac asthma), মায়োকার্ডাইটিস (Myocarditis) ইত্যাদি।হার্টের ভাল্বের সমস্যায় ইহা ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।
হৃদরোগ নিরাময়ে যাদুকরী কয়েকটি হোমিওপ্যাথিক ঔষধঃ
চিকিৎসা বিজ্ঞানকে যিনি রোগের নামের গোলামী থেকে মুক্তি দিয়েছেন তার নাম হ্যানিম্যান। এই কৃতিত্বের দাবীদার একমাত্র তিনি। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা রোগের যত কঠিন কঠিন নামই দেন না কেন, তাতে একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের ভয় পাওয়ার বা দুঃশ্চিন্তা করার কিছু নাই। রোগের লক্ষণ এবং রোগীর শারীরিক-মানসিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ঔষধ দিতে থাকুন। রোগের নাম যাই হোক না কেন, তা সারতে বাধ্য। হ্যানিম্যান তাই শত-সহস্রবার প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। রোগীর মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পযর্ন্ত সমস্ত লক্ষণ সংগ্রহ করুন এবং তার মনের গহীনে অন্তরের অলিতে-গলিতে যত ঘটনা-দুর্ঘটনা জমা আছে, তার সংবাদ জেনে নিন। তারপর সেই অনুযায়ী ঔষধ নির্বাচন করে খাওয়াতে থাকুন। হৃদরোগ বাপ বাপ ডাক ছেড়ে পালাবে। রোগের নাম নিয়ে অযথা সময় নষ্ট করার কোন দরকার নাই। হোমিও চিকিৎসায় যদি আপনার হৃদরোগ নির্মূল না হয় (অথবা কোন উন্নতি না হয়), তবে হোমিওপ্যাথির ওপর বিশ্বাস হারাবেন না। কেননা এটি সেই হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের ব্যর্থতা।
যদিও সমগ্র লক্ষণ অনুসারে নির্বাচিত যে-কোন হোমিওপ্যাথিক ঔষধেই যে-কোন হৃদরোগ নিরাময় হয়ে যায়, তথাপিও এমন কিছু হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আছে যারা হোমিওপ্যাথিতে হৃদরোগের চিকিৎসায় বেশী বেশী ব্যবহৃত হয়। তাদের মধ্যে আছে Adonis vernalis, Amylenum nitrosum, Arnica montana, Cactus grandiflorus, Convallaria majalis, Crataegus oxyacantha, Digitalis purpurea, Iberis amara, Kalmia Latifolia, Lachesis mutus, Latrodectus mactans, Laurocerasus, Lilium tig, Lycopus virginicus, Naja tripudians, Natrum muriaticum, Aurum metallicum, vanadium, Spigelia anthelmintica ইত্যাদি।
কাজেই হৃদরোগ চিকিৎসায়ও আমাদের সকলেরই উচিত প্রথমে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা অবলম্বন করা। কেননা অন্যান্য চিকিৎসা বিজ্ঞানের তুলনায় কমপক্ষে একশ ভাগ কম খরচে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় হৃদরোগ থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব। অপরদিকে অন্যান্য জাতীয় ঔষধ এবং অপারেশন বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই হৃদরোগীর মৃত্যুকে দ্রুত ডেকে আনে। সে যাক, হৃদরোগ চিকিৎসায় ভালো নামডাকওয়ালা বিশেষজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হওয়া উচিত। কেননা সাধারণ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের দ্বারা হৃদরোগের চিকিৎসা সফল হওয়ার সম্ভাবনা নাই ; বরং হোমিওপ্যাথিতে প্রচণ্ড দক্ষতা আছে এমন চিকিৎসক প্রয়োজন।
Crataegus oxyacantha : হোমিওপ্যাথিতে প্রচলিত হৃদরোগের ঔষধগুলোর মধ্যে ক্রেটিগাস ঔষধটি হলো হার্টের জন্য ভিটামিন / টনিকের মতো যার তেমন কোন সাইড-ইফেক্ট নাই। এটি একাই শতকরা ৯৫% ভাগ হৃদরোগ নিরাময়ের ক্ষমতা রাখে। আজ থেকে একশ বছর পূরবে আয়ারল্যান্ডের ডাঃ গ্রীন নামক একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানী এটি আবিষ্কার করেন। তিনি শুধু এই একটি ঔষধ দিয়ে এত এত হৃদরোগী আরোগয করেছিলেন যে, সারা পৃথিবীতে হৃদরোগের শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক হিসেবে তার নাম ছড়িয়ে পড়েছিল এবং দুনিয়ার সকল প্রান্ত থেকে হৃদরোগীরা পঙপালের ন্যায় আয়ারল্যান্ডে ছুটে যেতো।তিনি নিম্নশক্তিতে পাঁচ ফোটা করে রোজ ৪ বার করে খাইয়ে অধিকাংশ হৃদরোগীকে রোগমুক্ত করতে সক্ষম হতেন।
Aurum metallicum : ব্রিটিশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাবিজ্ঞানী ডাঃ বানের্ট অগণিত জটিল হৃদরোগীকে আরোগ্য করে প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে, স্বর্ণ থেকে প্রস্তুত এই হোমিওপ্যাথিক ঔষধটি হৃদরোগের একটি অতি প্রয়োজনীয় এবং সেরা ঔষধ। অরাম মেটের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো দুই-তিন সেকেন্ডের জন্য মনে হয় হৃৎপিন্ড বন্ধ হয়ে গেছে, তারপর আবার খুব জোরে চলতে শুরু করেছে, বুক ধড়ফড়ানি, নাড়ির গতি দ্রুত-ক্ষীন এবং অনিয়মিত, হৃৎপিন্ডের আকৃতি বৃদ্ধি পাওয়া (Hypertrophy), হার্টের ভালবের বা পেশীর বিকৃতি (Valvular lesions of arterio-sclerotic nature), রক্তনালীর প্রাচীর মোটা হওয়া (Arterio-sclerosis), উচচ রক্ত চাপ (increased blood pressure), হৃদরোগের কারণে শরীরে পানি নামা (Ascites), হৃৎপিন্ডের বৈদ্যুতিক ভল্টেজ কমে যাওয়া (pacemaker), বিষন্নতা বা দুঃখবোধ (depression), হতাশা, আত্মহত্যার ইচ্ছা ইত্যাদি ইত্যাদি। সাধারণত রোগীর বা তাহার পিতা-মাতা-স্বামীর অতীতে সিফিলিস রোগ হয়ে থাকলে অরাম মেট দারুন ফল দেবে। মোটামুটি বলা যায়, অরাম মেট একাই এ যুগের বহুল প্রচলিত হৃদরোগসমূহের শতকরা ৯৫% ভাগ হৃদরোগ নিরাময়ের ক্ষমতা রাখে।
Digitalis purpurea : জর্জ ভিথুলকাসের মতে, কোন হৃদরোগীর নাড়ির গতি যদি মিনিটে ৫০ বার অথবা তারও কম হয়, তবে তাকে নিশ্চিতভাবেই ডিজিটালিস খাওয়াতে হবে। কেননা ইহা ডিজিটালিসের একেবারে স্প্যাসিফিক লক্ষণ । তার হৃদরোগের নাম যা-ই হোক না কেন, সেটি অবশ্যই সেরে যাবে। অবশ্য হৃদরোগ না হয়ে যদি লিভার, কিডনী, মস্তিষ্ক, পাকস্থলী বা চর্মরোগ যাই হোক না কেন, নিরাময় হতে বাধ্য । ডিজিটালিসের অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে আছে নাড়িরগতি দুর্বল, অনিয়মিত, বিরতিযুক্ত, খুবই ধীরগতি সম্পন্ন, শরীরের বাইরের এবং ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পানি নামা / শোথ (dropsy), মায়োকার্ডিয়ামের বৃদ্ধি (dilatation of the myocardium), অরিকুলার ফ্লুটার এন্ড ফিব্রিলেশান (auricular flutter and fibrillation), , হার্ট ব্লক (Heart block), মাইট্রাল ডিজিজ (mitral disease), অত্যন্ত দুর্বলতা, অল্পতে বেহুঁশ হওয়া, চামড়া ঠান্ডা, শ্বাস-প্রশ্বাস অনিয়মিত, জন্ডিস, মুখমন্ডল নীলচে, সামান্য নড়াচড়াতেই ভীষণ বুক ধড়ফড়ানি, নড়লেই মনে হয় হৃৎপিন্ড বন্ধ হয়ে যাবে, পেরিকার্ডাইটিস (Pericarditis), ইত্যাদি ইত্যাদি।
Lachesis mutus : কারো হৃদরোগের কষ্টগুলো যদি ঘুমালে বেড়ে যায়, অর্থাৎ নিদ্রা গেলে বৃদ্ধি পায়, তবে তাকে ল্যাকেসিস খাওয়াতে হবে। তার হৃদরোগের নাম যা-ই হোক না কেন, তার নিশ্চিত রোগমুক্তি আশা করতে পারেন।
Adonis vernalis : সাধারণত বাতের আক্রমণ, ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ব্রাইটস ডিজিজের পরে হৃদরোগ দেখা দিলে তাতে এডোনিজ প্রযোজ্য। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো হৃদপেশীর ফ্যাটি ডিজেনারেশান (fatty degeneration), হৃদরোগের কারণে শরীরে পানি নামা (cardiac dropsy), , দুর্বল হার্ট এবং দুর্বল নাড়ি, মাইট্রাল এবং এওরটিক রিগারজিটেশান (Mitral and aortic regurgitation), এওরটার পুরাতন প্রদাহ (Chronic aortitis), ফ্যাটিহার্ট পেরিকার্ডাইটিস (Fatty heart pericarditis), বাতজনিত এন্ডোকার্ডাইটিস (Rheumatic Endocarditis), হৃৎপিন্ডে ব্যথা (Preæcordial pain), বুক ধড়ফড়ানি (palpitation), শ্বাসকষ্ট (dyspnœa), হৃদরোগজনিত হাঁপানি (Cardiac asthma), মায়োকার্ডাইটিস (Myocarditis) ইত্যাদি।হার্টের ভাল্বের সমস্যায় ইহা ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।
Arnica montana : আর্নিকা হৃৎপিন্ডের ব্যথার সবচেয়ে ভালো ঔষধ। যাদের ঘনঘন বুকে ব্যথা উঠে অথবা যাদের একবার হার্ট এটাক (স্ট্রোক) হয়েছে, তাদের সব সময় আর্নিকা ঔষধটি পকেটে নিয়ে চলাফেরা করা উচিত। এটি আপনাকে হার্ট এটাকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যাওয়া বা অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করবে।
Latrodectus mactans : হৃৎপিন্ডের ব্যথার সবচেয়ে ভালো ঔষধ হলো লেট্রোডেক্টাস ম্যাকটেনস (Latrodectus mactans) বিশেষত ব্যথা যখন বাম হাতের দিকে ছড়াতে থাকে। মনে হয় কেউ যেন শক্ত হাতে গলা চেপে ধরেছে ; দম বন্ধ হয়ে এখনই মারা যাবে।
Amylenum nitrosum : এটি হৃৎপিন্ডের ব্যথার সবচেয়ে কমন ঔষধ। এটি হৃৎপিন্ড এবং শরীরের ওপরের অংশের রক্তনালীকে প্রসারিত করার মাধ্যমে বুকের ব্যথা নিরাময় করে।
Glonoine : গ্লোনইন হলো হৃৎপিন্ডের ব্যথার এক নাম্বার ঔষধ যা সুনির্দিষ্ট কোন লক্ষণ ছাড়াই দেওয়া যায়। পাশাপাশি এটি হাই ব্লাড প্রেসারেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ।
Cactus grandiflorus : ইহাও হৃৎপিন্ডের রোগের একটি উল্লেখযোগ্য ঔষধ। ইহার প্রধান লক্ষণ হলো মনে হবে হৃৎপিন্ডকে কেউ তার লোহার হাত দিয়ে এমনভাবে চেপে ধরেছে যে, সেটি নড়াচড়া করতে পারছে না।
Convallaria majalis : কনভেলেরিয়া রেগুলার অথবা ইরেগুলার হার্ট বিট বিশিষ্ট দুর্বল হৃদপিন্ডের জন্য একটি মূল্যবান ঔষধ, সাথে ভাল্বের সমস্যা থাকুক অথবা নাই থাকুক। ইহার প্রধান লক্ষণ হলো রোগী শুইতে পারে না (অর্থাৎ শুইলে রোগ মাত্রা বেড়ে যায়)।
Vanadium : সাধারণত বয়স চল্লিশের দিকে আসলে মানুষ নানা রকমের রক্তনালী সংক্রান্ত রোগে বা হৃদরোগে আক্রান্ত হতে শুরু করে। এজন্য এই বয়স থেকে প্রত্যকেরই (নিম্নশক্তিতে বছরে অন্তত একমাস) ভ্যানাডিয়াম খাওয়া উচিত। তাহলে হৃদরোগ ধারেকাছে আসতে পারবে না।
Arnica montana : আর্নিকা হৃৎপিন্ডের ব্যথার সবচেয়ে ভালো ঔষধ। যাদের ঘনঘন বুকে ব্যথা উঠে অথবা যাদের একবার হার্ট এটাক (স্ট্রোক) হয়েছে, তাদের সব সময় আর্নিকা ঔষধটি পকেটে নিয়ে চলাফেরা করা উচিত। এটি আপনাকে হার্ট এটাকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যাওয়া বা অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করবে।
Latrodectus mactans : হৃৎপিন্ডের ব্যথার সবচেয়ে ভালো ঔষধ হলো লেট্রোডেক্টাস ম্যাকটেনস (Latrodectus mactans) বিশেষত ব্যথা যখন বাম হাতের দিকে ছড়াতে থাকে। মনে হয় কেউ যেন শক্ত হাতে গলা চেপে ধরেছে ; দম বন্ধ হয়ে এখনই মারা যাবে।
Amylenum nitrosum : এটি হৃৎপিন্ডের ব্যথার সবচেয়ে কমন ঔষধ। এটি হৃৎপিন্ড এবং শরীরের ওপরের অংশের রক্তনালীকে প্রসারিত করার মাধ্যমে বুকের ব্যথা নিরাময় করে।
Glonoine : গ্লোনইন হলো হৃৎপিন্ডের ব্যথার এক নাম্বার ঔষধ যা সুনির্দিষ্ট কোন লক্ষণ ছাড়াই দেওয়া যায়। পাশাপাশি এটি হাই ব্লাড প্রেসারেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ।
Cactus grandiflorus : ইহাও হৃৎপিন্ডের রোগের একটি উল্লেখযোগ্য ঔষধ। ইহার প্রধান লক্ষণ হলো মনে হবে হৃৎপিন্ডকে কেউ তার লোহার হাত দিয়ে এমনভাবে চেপে ধরেছে যে, সেটি নড়াচড়া করতে পারছে না।
Convallaria majalis : কনভেলেরিয়া রেগুলার অথবা ইরেগুলার হার্ট বিট বিশিষ্ট দুর্বল হৃদপিন্ডের জন্য একটি মূল্যবান ঔষধ, সাথে ভাল্বের সমস্যা থাকুক অথবা নাই থাকুক। ইহার প্রধান লক্ষণ হলো রোগী শুইতে পারে না (অর্থাৎ শুইলে রোগ মাত্রা বেড়ে যায়)।
Vanadium : সাধারণত বয়স চল্লিশের দিকে আসলে মানুষ নানা রকমের রক্তনালী সংক্রান্ত রোগে বা হৃদরোগে আক্রান্ত হতে শুরু করে। এজন্য এই বয়স থেকে প্রত্যকেরই (নিম্নশক্তিতে বছরে অন্তত একমাস) ভ্যানাডিয়াম খাওয়া উচিত। তাহলে হৃদরোগ ধারেকাছে আসতে পারবে না।
চিকিৎসার্থে যোগাযোগ করুন-
আরোগ্য হোমিও হল
প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান
ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)
বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)
ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)
ডিএইচ এমএস (ঢাকা)
রেজি নং- ১৬৯৪২
স্থাপিত -১৯৬২
মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।
মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪
arh091083@gmail.com
hafizurrahman2061980@gmail.com