সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

সোমবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২২

হার্ট রোগে হোমিপ্যাথিক ঔষধ



হার্টের চিকিৎসায় হোমিপ্যাথিক ঔষধ :
রোগের না রোগীর চিকিৎসা করা হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানকে যিনি রোগের নামের গোলামী থেকে মুক্তি দিয়েছেন তিনি হচ্ছেন স্যামুয়েল হ্যানিম্যান। এই কৃতিত্বের দাবীদার এক মাত্র তিনি। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা রোগের যত কঠিন কঠিন নামই দেন না কেন, তাতে একজন হোমিও ডাক্তারের ভয় পাওয়ার বা দুঃশ্চিন্ত কোনো করণ নেই। যত চিন্তা তাদের কারণ (এ্যালোপ্যাথ হার্টের ঔষধগুলো ইতর প্রাণীর উপর পরিক্ষীত)। রোগের লক্ষণ এবং রোগীর শারীরিক-মানসিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ঔষধ দিতে থাকুন। রোগের নাম যাই হোক না কেন, তা আরোগ্য হবেই। হ্যানিম্যান এটাই শত-সহস্রবার প্রমাণ করে দিয়েছেন। রোগীর মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পযন্ত সমস্ত লক্ষণ সংগ্রহ করুণ। তারপর সেই অনুযায়ী ঔষধ নির্বাচন করে খাওয়াতে থাকুন হৃদরোগ বাপ বাপ ডাকে ছেড়ে পালাবে। রোগের নাম নিয়ে অযথা সময় নষ্ট করার কোন দরকার নাই। হোমিও চিকিৎসায় যদি আপনার হৃদরোগ নির্মূল না হয় (অথবা কোন উন্নতি না হয়), তবে হোমিওপ্যাথির উপর বিশ্বাস হারাবেন না। কোননা এটি সেই হোমিও চিকিৎসকের ব্যর্থতা।



যদিও সমগ্র লক্ষণ অনুসারে নির্বাচিত যে-কোন হোমিও ঔষধেই যে কোন হৃদরোগ নিরাময় হয়ে যায় এমন কিছু হোমিও ঔষধ আছে যারা হোমিওপ্যাথিতে হৃদরোগের চিকিৎসায় বেশী বেশী ব্যবহৃত হয়। তাদের মধ্যে আছে যেমন : Adonis vernalis, Amylenum nitrosum, Arnica Montana, Cactus grandiforus, Convallaria majalis, Crataegus oxyacantha, Digitalis purpurea, Iberis amara, Kalimia Latifollia, Lachesis mutus, Latrodectus mactans, Laurocerasus, Lilium tig, Lycopus virginicus, Naja tripudians, Natrum muriaricum, Aurum metallicum, vanadium, Spigelia anthelimintica ইত্যাদি। কাজেই হৃদরোগ চিকিৎসায়ও আমাদেও সকলেই উচিৎ প্রথমে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা অবলম্বন করা। কেননা অন্যান্য চিকিৎসা বিজ্ঞানের তলনায় কমপক্ষে একশ ভাগ কম খরচে হেমিও চিকিৎসায় হৃদরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। অপরদিকে এ্যালোপ্যাথিক জাতীয় ঔষধ এবং অপারেশন বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই হৃদরোগীর মৃত্যুকে দ্রুত ডেকে আনে। যে যাক, হৃদরোগ চিকিৎসায় ভাল নাম ডাকওয়ালা বিশেষজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হওয়া উচিৎ। কেননা সাধারণ হোমিও ডাক্তাদের দ্বারা হৃদরোগের চিকিৎসা সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম, বরং হোমিওপ্যাথিতে প্রচন্ড দক্ষতা আছে এমন চিকিৎসক প্রয়োজন।


হোমিওপ্যাথিক ঔষধ :
Crataegus oxyacantha  (ক্রেটিগাস) : হোমিওপ্যাথিতে প্রচালিত হৃদরোগের ঔষধ গুলোর মধ্যে ক্রেটিগাস ঔষধটি হলো হার্টের জন্য ভিটামিন-টনিকের মতো যার তেমন কোন সাইড-ইফেক্ট নেই। এটি একাই শতকরা ৯৫% ভাল হৃদরোগ নিরাময়ের ক্ষমতা রাখে। ধরা যাক আজ থেকে একশ বছর পূর্বে আয়ারল্যান্ডের ডা: গ্রীন নাম একজন হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানী এটি আবিস্কার করেন। তিনি শুধু এই একটি হোমিওপ্যথিক ঔষধ দিয়ে হৃদরোগী আরেগ্য করেছিলেন যে, সারা পৃথিবীতে হৃদরোগের শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক হিসেবে তার নাম ছিড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বজুড়ে। বিশ্বে সকল প্রান্ত থেকে হৃদরোগীরা পঙ্গপালের ন্যায় আয়ারল্যান্ডে ছুঁটে যেতো। তিনি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ নিন্মশক্তি পাঁচ ফোটা করে রোগ ৪ বার করে ঔষধ খাইয়ে অধিকাংশ হৃদরোগীকে রোগ মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

Aurum metallicum  (অরাম মেট) : ব্রিটিশ হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা: বানের্ট অগণিত জটিল হৃদরোগীকে আরোগ্য করে প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে স্বর্ণ থেকে প্রস্তুত এই হোমিওপ্যাথিক ঔষধটি হৃদরোগের একটি অতি প্রয়োজনীয় এবং সেরা ঔষধ। অরাম মেটের প্রধান লক্ষণ হলো দুই-তিন সেকেন্ডের জন্য মনে হয় হৃদপিন্ড বন্ধ হয়ে গেছে, তারপর আবার খুব জোরে চলতে শুরু করেছে, বুক ধড়ফড়ানি, নাড়ির গতি দ্রুত ক্ষীন এবং অনিয়মিত, হৃদপিন্ডের আকৃতি বৃদ্ধি পাওয়া(Hypertrophy) হার্টের ভালবের বা পেশীর বিকৃতি (Valvular lesions of arterio-sclerotic nature) রক্তনালীর প্রাচীর মোটা হওয়া (Arterio-sclerosis) চাপ (increased blood pressure)  হৃদরোগের কারণে শরীরে পানি নামা (Ascites) হৃদপিন্ডের বৈদ্যুতিক ভেল্টেজ কমে যাওয়া  (Pacemaker) বিষন্নতা বা দু:খবোধ (depression) হতাশা, আত্নহত্যার ইচ্ছা ইত্যাদি।
সাধারণত রোগীর বা তাহার পিতা-মাতা-স্বামীর অতীতে সিফিলিস রোগ হয়ে থাকলে আনাম মেট দারুণ ফল দেবে। মোটামুটি বলা যায়, আরাম মেটি একাই এ যুগের বহুল প্রচালিত হৃদরোগসমুহের শত করা ৯৫% ভাগ হৃদরোগ নিরাময় করতে সঙ্খম।

Digitalis purpurea (ডিজিটালিস) : জর্জ ভিথলকাসের মতে কোন হৃদরোগীর নাড়ির গতি যদি মিটিটে ৫০ বার অথবা তার চেয়ে কম হয়, তাবে তাকে চিশ্চিত ভাবেই ডিজিটালিস খাওয়াতে হবে। কেননা ইহা ডিজিটালিসের একেবাওে স্প্যাসিফিক লক্ষণ। তার হৃদরোগের নাম যাই কোন না কেন সেটি অবশ্যই সেরে যাবে। অবশ্য হৃদরোগ না হয়ে যদি লিভার, কিডনী, মস্তিস্ক, পাকস্থলী বা চর্মরোগ যাই হোক না কেন, নিরাময় হতে বাধ্য। ডিজিটালিসের অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে আছে নাড়িরগতি দুর্বল অনিয়মিত, বিরতিযুক্ত, খবই ধীরগতি সম্পন্ন, শরীরের বাইরের এবং ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যাঙ্গে পানি নামে/শোথ (dropsy) মায়োকার্ডয়ামের বৃদ্ধি (dilatation of the myocardium),  তরিকুলার ফ্লটার এন্ড ফিব্রিলেশান (auricular flutter and fibrillation), হার্ট ব্লক (heart block), মাইট্রাল ডিজিজ (mitral disease),  অত্যান্ত দুর্বলাত, অল্পতে বেহুঁশ হওয়া, চামড়া ঠান্ডা, শ্বাস-প্রশ্বাস অনিয়মিত, জন্ডিস, মুখমন্ডল নীলচে, সামান্য নড়াচাড়াতেই ভীষণ বুক ধড়ফড়ানি, নড়লেই মনে হয় হৃদপিন্ড বন্ধ হয়ে যাবে। পেরিকার্ডইডিস (pericarditis),  ইত্যাদি।


Lachesis mutus (ল্যাকেসিস) : কোন রোগীর ঘামলে হৃদরোগের বেড়ে যায়, নিদ্রা গেলে হৃদরোগ বৃদ্ধি পায়, তবে তাকে ল্যাকেসিস দেওয়া যেতে পারে। মনে রাখবেন হৃদরোগের নাম যাই কোন না কেন, তার নিশ্চিত রোগ মুক্ত আশা করতে পারেন।


Adonis vernalis ( এডোনিজ): সাধারণত বাতে আক্রমণ, ইনফ্লুয়েঞ্জা, বা ব্রাইটস ডিজিজের পরে হৃদরোগ দেখা দিলে তাতে এডোনিজ প্রয়োজ্য। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো হৃদপেশীর ফ্যাটি ডিজেনারেশন (fatty degeneration), হৃদরোগের কারণে শরীর পানি নামা (Cardiac dropsy), দুর্বল হার্ট এবং দুর্বল নাড়ি, মাইট্রাল এবং এওটিক রিগারজিটেশান (Mitral and aortic regurgitation),  এওরটার পুরাতন প্রদাহ ( Fatty heart pericarditis) ফ্যাটিহার্ট পেরিকার্ডাইটিস  (Rheunatic Emdocarditis), বাত জনিত এন্ডোকার্ডাইটিস (prececordial pan), হৃদপিন্ডে ব্যাথা (palpitation) বুক ধড়ফড়ানি (Palapitation),  শ্বাসকষ্ট (dyspnoea), হৃদরোগজনিত হাঁপানি (Cardiac asthma), মায়োকার্ডাইটিস (Myocarditis)  ইত্যাদি হার্টেও ভাল্বের সমস্যায় ইহা ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

Arnica Montana ( আর্নিকা) : আর্নিকা হৃদপিন্ডের ব্যথার সবচেয়ে ভালো ঔষধ। যাদের ঘন ঘন বুকে ব্যথা উঠে অথবা যাদের একবার হার্ট এটাকের  (স্টাক) হয়েছে, তাদের সব সময় আর্নিকা ঔষধটি পকেটে নিয়ে চলাফেরা করা উচিত। এটি আপনাকে হার্ট এটাকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতলের যাওয়া বা অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।

Latrodectus mactans  (লেট্রোডেক্টাস ম্যাকটেনস) : হৃদপিন্ডের ব্যথার সব চেয়ে ভালো ঔষধ হলো লেট্রোডেক্টাস ম্যাকটেনস (Latrodectus mactans)  বিশেষত ব্যথা যখন বাম হাতের দিকে ছড়াতে থাকে। মনে হয় কেউ যেন শক্ত হাতে গলা চেপে ধরেছে, দম বন্ধ হয়ে এখনই মারা যাবে এ লক্ষণে ব্যবহার করা যায়। 

Amylenum nitrosum (অ্যামিলেনাম নাইট্রোসাম):  এটি হৃদপিন্ডের ব্যথার সবচেয়ে কমন ঔষধ। এটি হৃদপিন্ডের এবং শরীরের ওপরের অংশের রক্তনালীকে প্রসারিত কারার মাধ্যমে বুকে ব্যথা নিরাময় করে।

Glonoine (গ্লোনাইন) : গ্লোনাইন হলো হৃদপিন্ডের ব্যথার এক নাম্বার ঔষধ যা সুনির্দিষ্ট কোন লক্ষণ ছাড়াই রোগীকে দেওয়া য়ায়। পাশাপাশি এটি হাই-ব্লাড প্রেসারের ও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ।

Cactus grandiflorun  : (ক্যাকটাস গ্র্যান্ডিফ্লোরাস) ইহা হৃদপিন্ড রোগের একিট উল্লেখযোগ্য ঔষধ। প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো মনে হবে হৃদপিন্ডকে কেউ তার লোহার হাত দিয়ে এমন ভাবে চেপে ধরছে যে সেটি নড়াচড়া করতে পারছে না।

Convallaria majalis (কনভাল্লারিয়া মাজালিস) : কনভেলেরিয়া রেগুলার অথবা ইরেগুলার হার্ট বিট বিশিষ্ট দুর্বল হৃদপিন্ডের জন্য একটি মুল্যবান ঔষধ, সাথে ভাল্বের সমস্যা থাকুক অথবা নাই থাকুক। ইহার প্রধান লক্ষণ হলো রোগী শুইতে পারে না (অর্থাৎ শুইলে রোগ মাত্রা বেড়ে যায়। ইহাতে ব্যাবহার করা যেতে পারে।

Vanadium (ভ্যানডিয়াম) : সাধারণত বয়স চল্লিশের দিকে আসলে মানুষ নানা রকমের রক্তনালী সংক্রান্ত রোগের বা হৃদরোগে আক্রান্ত হতে শুরু করে।
এ জন্য এই বয়স থেকে প্রত্যেকের (নিন্ম শক্তিতে বছর অন্তর একমাস) ড্যানাডিয়াম খাওয়া উচিত। তাহলে হৃদরোগ ধরেকাছে আসতে পারবে না। লক্ষণ অনুযায়ী হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবন করলে হার্টেও জটিল রোগ নিরাময় হবে ইনসাআল্লাহ


চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ :
আরোগ্য হোমিও হল
প্রতিষ্ঠাতা: মৃত: ডা: আজিজুর রহমান
প্রা: ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)
বি.এস. এস/ ডি.এইচ.এম.এস (ঢাকা)
ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)
ডি.এইচ.এম.এস (ঢাকা)
রেজিষ্টার্ড নং- ১৬৯৪২
স্থাপিত – ১৯৬২ ইং
মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী
মোবাইল ০১৭১৮-১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com









শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: