homeopathic (আরোগ্য হোমিও হল): রাজধানী

সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu
রাজধানী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রাজধানী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৩

পুরুষের দ্রুত বীর্যপাতের কারণ, সমাধান ও চিকিৎসা

পুরুষের দ্রুত বীর্যপাতের কারণ, সমাধান ও চিকিৎসা

পুরুষের দ্রুত বীর্যপাত কারণ ও চিকিৎসা :
দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা : -

আরোগ্য হোমিও হলে আপনাকে স্বাগতম। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে একটি গোপন বিষয় নিয় আলোচনা করবো আর সেটা হলো একটি গোপন বিষয়ে আলেচনা করবো সেটা হলো কি ভাবে বীর্যপাতে সমস্যা সমাধান করা যায়। যৌন সমস্যা গুলো মূলত অত্যান্ত গোপন কেউ কারও কাছে প্রকাশ করতে চায় না। এমনকি চিকিৎসকের কাছে ও সহজে বলতে চায়না। মনে রাখতে হবে দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা একটি কমন সমস্যা হলেও জীবনে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।  সে জন্য আপনাকে বলতে চাই চিকিকিৎসকের কাছে লজ্জা করবেনা। আপনি লজ্জা না করে চিকিৎসকে অবশ্যই বলতে হবে। মনে রাখতে হবে চিকিৎসক আপনার শত্রু না রোগ আপনার শত্রু তাই চিকিৎসকের কাছে গোপন না করে সব খুলে বলবেন। আপনি যদি আপনার রোগ নিয়ে বসে থাকেন তা হলে নানা জটিল থেকে আরও জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। সংসার জীবনে নেমে আসতে পারে অশান্তি।

আজ অমি এখানে পুরুষের দ্রুত বীর্যপাত সমস্য নিয়ে আলোচনা করবো। এটি মুলত এককথায় বলা যায় একটি রোগ। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাহলে কথা আর না বাড়িয়ে চলুন মুল আলোচনায়  ফিরে যায়।

পুরুষের দ্রুত বীর্য়পতকে ইংরেজী ভাষায় বলা হয় প্রি- ম্যাচিউর ইনজাকুলেশেন। স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস বা যৌন মিলনের সময় কোনো পুরুষের যদি খুব তাড়াতিড়ি (অথাৎ স্ত্রীর আগে) বীপাত হয়ে যায় তাহলে তাকে বলা হয় দ্রুত বীর্যপাত বা প্রি-ম্যাচিউর ইজানুলেশন বলা হয়। হতে পারে সেটা সহবাস বা মিলন শুরুর আগেই হয়ে গেল অথবা সহবাব শুরুর ১/২ মিনিটেন মধ্যে বীর্যপাত হয়ে গেল। একটু কঠিন ভাবে যদি বলা যায় তাহা হলে এ ভাবে বলা হবে যে স্ত্রী কিংবা সঙ্গিনীর ইচ্ছার আগেই যদি বীর্যপাত ঘটে সেটাই দ্রুত বীর্যপাত বলা যেতে পারে। অর্থাৎ আপনার মন চাচ্ছে আরও ১০ মিনিট আপনি আরও আলিঙ্গন করবেন কিন্ত ১০ মিটিটে তো দুরের কথা ১/২ মিনিটেই বীর্যপাত হয়ে গেল । অথবা আপনার স্ত্রী চাচ্ছে আপনি আরও কিছুক্ষণ অলিঙ্গন করতে থাকুন কিন্ত তা পরছেনা সেটাও দ্রুত বীর্যপাতে মধ্যে পরে।
সহবাসের শুরু একটু পরেই যদি বীর্যপাত ঘটে যায় তবেই সেটা প্রি ম্যাচিউর ইজাকুলেশান বা দ্রুত বীর্যপত বলা হয়। আপনি যদি আপনার স্ত্রীকে তৃপ্তি দিতে না পারেন তবেই সেটা আপনার সমস্যা হিসাবে বিবেচিত হবে।

আপনার বিভিন্ন পরিসংখ্যনে উঠে এসেছে যে, প্রতি তিনজন পুরুষের মধ্যে একজন এই দ্রুত বীর্যপাত সমস্যায় ভোগেন। পূর্বে ধারণা করা হতো যে এটা মানসিক সমস্যার কারণে এই দ্রুত বীর্যপাত হয়ে থাকে। কিন্ত যত দিন যাচ্ছে চিকিৎসা বিজ্ঞান উন্নত থেকে আরও উন্নত হচ্ছে। চিকিৎসা বিজ্ঞান বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। পুরুষের দ্রুত বীর্যপাত সমস্যাটি নিয়েও গবেষণার অন্ত নেই।

চিকিৎসকদের মতে দ্রুত বীর্যপাত সমস্যাটি জন্য শুধু মানসিক কারণই মূখ্য বিষয় নয়, এক্ষেত্রে শারীরিক বিভিন্ন বিষয় গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। আপনি জনলে অবাক হতে পারেন যে দ্রুত বীর্যপাতের সাথে পুরুষত্বহীতার সম্পর্ক গভীর  ভাবে জরিয়ে আছে।

বর্তমানে অনেক চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। বিভিন্ন প্রকারের ঔষধ, মনস্তত্বিবক, কাউন্সেলিং, যৌন পদ্ধিতি, যৌন শিক্ষা ইত্যাদি। ঠিক মতো এগুলো গ্রহণ করলে এবং নিয়ম মেনে চললে যৌন সংক্রান্ত এই সমস্যা আপনার সমাধান হয়ে যাবে। যৌন জীবন ধীরে ধীরে হয়ে মধুর ও আরও  আনান্দময়।

পুরুষের দ্রুত বীর্যপাতের লক্ষণ :
স্ত্রী সহবাস করার সময় একজন পুরুষ তার স্ত্রীকে আলিঙ্গন করতে থাকবে সে বিষয়ে নিদিষ্ট কোনো মাপকাঠি নেই। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট করে তেমন কিছু বলা হয়নি। তার পরেও এই ভাবে বলা যায় যে সহবাস কার্য শুরু আগে বা শুরু করার সাথে সাথেই যদি পুরুষটির বীর্যপাত হয়ে যায় কিংবা ১/২ মিনিটের মধ্যে যদি বীর্যপাত হয়ে যায় তাহা হলে সেটা অবশ্য দ্রুত বীর্যপাত হিসাবে গণ্য হবে। আর এ সমস্যাটা সব ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে। কেউ যদি সেক্স ডল ব্যবহার করে অথবা হস্তুমৈথুন করে তখনও দেখা যবে যে খুব বা ১/২ মিনিটে মধ্যেই দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যাচ্ছে।

দ্রুত বীর্যপাতকে মুলত দুই ভাগে ভাগ করা যায় যাথা :-
(ক) দ্রুত বীর্যপাত অথবা প্রাইমারী প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশান।
(খ) দ্রুত বীর্যপাত অথবা সেকেন্ডারী প্র-ম্যাচিউর ইজাকুলেশান।

(১) প্রাইমারী প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশান : প্রাইমারী প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশান হলে আপনি সহবাস অথবা আলিঙ্গন শুরু করা মাত্রই বীর্যপাত হয়ে যায়।

(২) সেকেন্ডারী প্র-ম্যাচিউর ইজাকুলেশান : সেকেন্ডারী ইজাকুলেশান হলো বর্তমানে অপনার দ্রুত বীর্যপাত হচ্ছে কিন্ত এর আগে হয়তো বা হয়নি। অর্থাৎ যৌন জীবনে প্রথমদিকে সুখে ছিল এবং তৃপ্তিদায়ক ছিল কিন্ত বর্তমানে আপনার আর সেটা নেই। সেই তৃপ্তি নেই করণ সহবাস করতে গেলেই দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যাচ্ছে।

দ্রুত বীর্যপাতের কারণ :-
এটা আসলে কমপি-টলি হঠাৎ করে কারও পক্ষেই বলা সম্ভব নায়। করণ দ্রুত বীর্যপাতের অনেক গুলো কারণ থাকতে পারে। যেমন - মানসিক কারণ এবং জৈবিক কারণ ও অন্যান্য কারণগুলো সাথে জড়িত আছে।

মানসিক কারণ :-
জীবনের শুরুর দিকে আপনি যদি যৌন অভিজ্ঞতার সাথে জড়িত থাকেন যা পরবর্তী জীবনে অথবা বিবাহিত জীবনে সেটা পরিবর্তন করা দুরুহ ব্যাপার হতে পারে সেটা হস্তমৈথুন কিংবা চুরি করে গোপনে কোন নারী সঙ্গে আলিঙ্গন করেছেন। কারণ তখন তো আপনি খুব ভয় করে যৌন মিলন করেছেন। আর যতো তাড়াতাড়ি আপনার বীর্য বের হয়ে যাবে সেটাই আপনার জন্য মঙ্গল মনে করেছেন যেনো কেউ না দেখে অথবা না জানে। এই ব্যাপারটি আপনার পরবর্তী জীবনে অর্থাৎ বিবাহিত জীবনে বড় ধরণে প্রভাব পড়তে পারে। বিবাহিত জীবনে আপানার মাঝে আর কোনো ভয় কাজ করে না। আপনি যদি সারা রাত ধরে আপনার স্ত্রীর সাথে আলিঙ্গন করেন কথান কারও কিছু বলার নাই বা দেখার কেউ নাই।

এখানে আরও একটি বিষয়ে বলে রাখা ভালো যে, অপরাধ রোধ বিষয়টির আপনার যৌন জীবনে প্রভাব পড়তে পারে। যেমন - আপনি প্রাপ্ত বয়সে অথবা যৌন জীবনের শুরুতে এমন কারও সাথে যৌন মিলন করেছেন যেটা আপনার  মোটেই ঠিক হয়নি। আপনি নিজেকে ভুল বুঝতে পেরে অপরাধী মনে করছেন। হতে পারে সেই নারী অসহায় কিংবা তার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে যৌন মিলন করছেন। এই ব্যাপারটি পরবর্তী জীবনে দ্রুত বীর্যপাতের ক্ষেত্রে বড় ধরণের প্রভাব পড়তে পারে। যদিও বিবাহ বহিভুত কোন যৌন মিলন সর্ম্পকে ইসলাম সর্মথন করে না।

দ্রুত বীর্যপাতের অন্যান্য কিছু কারণ : -
পেনিসের শিথিলতা :- পুরুষাঙ্গকে ইংরেজীতে পেনিস বলা হয়। যৌন মিলনের সময় আপনার পেনিস যদি ঠিক মতো শক্ত না হয় কিংবা কতক্ষণ আপনি সহবাস করবেন সে বিষয়ে খুব চিন্তিত থাকেন তবে সে ক্ষেত্রে আপনার দ্রুত বীর্যপাত হতে পারে।

দুঃশ্চিন্তায় হলে :- সহবাসের সময় অনেকেই বেশ চিন্তত হয়ে পড়েন। স্ত্রীকে তৃপ্তি দিতে পরবেন কিনা না, স্ত্রীকে তৃপ্তি দিতে না পারলে স্ত্রী কি মনে করবে, সেদিন তো পারিনী আজও যদি না পারি ইত্যাদি বিষয় চিন্তিত হয়ে পড়েন। এ ক্ষেত্রেও  দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যায়। তবে দুঃশ্চিনতার অন্য কোন কারণও থাকতে পারে। হতে পারে সেটা পারিবারিক পারিপাশ্বিক অথবা অন্য কিছু বিষয়।

অতিরিক্ত উত্তেজনা : - হয়তো বেশ কয়েদিন পরে অথবা বেশ কয়েক মাস পরে যখন কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে কাছে পেয়ে বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে। রাতে সহাবাস কার্যেও সময় খুব বেশি তাড়াহুড়া শুরু করেছেন।  এই কারণেই দ্রুত বীর্যপাত হতে পারে। তবে এ পরিস্থিতে এটা রোগ মধ্যে পড়ে না। যারা একদম সুস্থ্য ব্যাক্তি যাদের সহবাসে কোন সমস্যা নাই তাদেরও এমনও পরিস্থিতিতে দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে পারে। সমস্যা হিসাবে বিবেনা করতে হবে এমন ব্যক্তির যাদের সাধারণ অবস্থায় দ্রুত বীর্য়পাত হয় আবার স্ত্রীকে আনেক দিন পরে কাছে পেলে দ্রুত বীর্যপাত হতে পারে।

জৈবিক কারণ :- চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিভিন্ন গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে বিভিন্ন গবেষক এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে শুধু মানসিক কারণই যে দ্রুত বীর্যপাত হচ্ছে তা মেটেই ঠিক নয় এর জন্য জৈবিক বা শারীরিক কারণও অনেকটা দায়ী।

এই কারণগুলোর মধ্যে উল্লেযোগ্য কিছু করণ গুলো তুলে ধরা হলো যেমান : -
ক/ শরীরে যদি  অপনার শরীরে হরমোনের অস্বাভাবিক মাত্রায় থাকে।
খ/ মস্তিস্কের রাসায়নিক উপদান অথবা নিউরেট্রোন্সমিটার যদি অস্বাভাবি মাত্রায় থাকে।
গ/ আপনার বীর্যপাতের সময় অস্বাভাকি ক্রিয়া থাকে।
ঘ/ যদি আপনার থাইরয়েড গ্রন্থির কোন যদি সমস্যা থাকে।
ঙ/ প্রোস্টেট (prostate) বা মুত্রনালীর প্রদাহ বা সংক্রমণ (inflammation) থাকে।
চ/ বংশগত চরিত্রিক বৈশিষ্ট যদি তার মধ্যে পিত্তমান থাকে।
ছ/ নানা রকম অসৎ উপায়ে যৌন কার্য করে যদি শরীরকে ড্যামেজ হলে।

আরও কিছু কারণে দ্রুত বীর্যপাত হয়ে থাকে :-
(১) কোন আঘাতের কারণে অথবা সার্জারীর করণে যদি স্নায়ুতন্ত্রের (nervous system) ক্ষতি হয় থাকলে।
(২) মাদক অথবা নারকোটিক্স বা দুঃশ্চিন্তার চিকিৎসার ক্ষেত্রে যে ঔষধ ব্যবহার করা হয় যেমন - ট্রাইফ্লুপেরাজিন প্রত্যাহার করা অথবা যদি অন্য মানসিক সমস্যা থাকে।
(৩) যদি স্বামীর সহবাসের ইচ্ছা নেই কিন্ত স্ত্রী আপনাকে ছাড়ছে না। সে ক্ষেত্রে আরপনা দ্রুত বীর্যপাত হতে পারে।
(৪) দিনের বেলায় সহবাস করতে গিয়ে মনের ভিতর কাজ করে যে কেউ ডাকতে পারে, কেউ দরজায় কড়া নাড়তে পারে সে ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করতে গিয়েও দ্রুত বীর্যপাত হতে পারে।
(৫) যৌবনে শুরুতে যদি হস্তমৈথুনে অভ্যাসের কারণে আপনার বীর্য পাতলা হয়ে গেছে সে ক্ষেত্রে বিবাহিত জীবনে দ্রুত বীর্যপাত হতে পারে।
এখন কথা হলো - দ্রুত বীর্যপাতের জন্য দুটো করণই দায়ী অর্থাৎ শারীরিক অথবা মানসিক। তবে বিশেষজ্ঞরা শারীরিক কারণটিকে প্রধান্য বেশি দিয়েছেন। কারণ শারীরিক কারণ গুলো জীবন ভর থেকে যায়।

কিছু ঝুকিপূর্ণ বিষয় : -
আপনার দ্রুত বীর্যপাতের ঝুকি বেড়তে পারে। তাই নিজেকে সবসময় সাবধান হওয়া উচিত। নিচে বিষয় গুলো আলোচনা করা হলো : -
ক/ পুরুষাঙ্গের (লিঙ্গ) শিথলাতা :- আপনার পুরুষাঙ্গ যদি ঠিক মতো শক্ত না হয় কিংবা মাঝে মাঝে হয় শক্ত হয়, আবার হয় না, আবার হলেও বেশিক্ষণ শক্ত থাকে না, তবে এমন অবস্থায় আপনার দ্রুত বীর্যপাত হয়। তবে এমন অবস্থায় দ্রুত বীর্যপাত ঘটার ঝুঁকি বেগকে পারে। সহবাসের সময় আপনার পুরুষাঙ্গ শক্ত থাকবে। গরম থাকবে, মাঝ পথে তা শক্ত হারিয়ে ফেলবে এমন ভয়ও কিন্ত আপার দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে পারে।
(খ) স্বাস্থ্য সমস্যা :- যদি আপনার হৃদরোগ থাকে তা হলে সহবাসের সময় তা আপনার উপর প্রভাব পড়তে পারে। যদি হৃদরোগ নিয়ে আপনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিশেষ করে আলিঙ্গনের সময় তবে আপনার দ্রুত বীর্যপাত হতে পারে।

(গ) মানসিক চাপ : - যদি আপনার আবেগজনিত কারণ কিংবা মানসিক চাপ থাকে তবে আপনার দ্রুত বীর্যপাত হতে পারে। আপনি স্ত্রীর সাথে যখন আলিঙ্গন করবেন তখন পৃথিবীর সব কিছু ভুলে যান। তবেই আপনি সফল হতে পারবেন। আর যদি সহবাসের সময় মনের মধ্যে মানসিক চাপগুলো ও কষ্টগুলো মনে করতে থাকে তবে আপনার দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।

(ঘ) ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া :- এমন কিছু ঔষধ  সেবন করেছেন যার ফলে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে আপনার এমন অবস্তা হতে পারে। তাই আপনার যৌন ক্রিয়াকে বাধাগ্রাস্ত করেছে সে সব ঔষধ গুলিকে পরিহার করুণ।

(ঙ) অতিরিক্ত নেশা (মাদক) সেবন : অতিরিক্ত নেশা সেবনের কোন ভালো দিক নেই। আপনার যদি অতিরিক্ত নেশা সেবনের অভ্যাস থাকে তবে মনে রাখবেন জীবনে কোনো না কোন এক সময়ে সেটা আপনার যৌন শক্তির উপর প্রভাব ফেলবেই।

রোগ  নির্ণয় : -আপনি যখন কোন চিকিৎসকের কাছে যাবেন তখন চিকিৎসক আপনার পুরো যৌন ইতিহাসে শুনবেন। যেমন- আপার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ইতিহাস, পারিবারিক ইতিহাস, সামাজিক অবস্তান, বংশগত ইতিহাস, আপনার মানসিক অবস্থা, আপনার স্ত্রীর সাথে আপনার সম্পর্কেও গভীরতা ইত্যাদি বিষয় গুলো চিকিৎসক জেনে নিবেন প্রয়োজনে, আপনার স্ত্রীর কাছেও জনতে পারেন। চিকিৎসক মনে করলে প্রয়োজনে আপার কিছু শারীরিক পরীক্ষা করতে পারেন। একজন পুরুষের যে হরমোন অর্থাৎ টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা ঠিক আছে কি না তা দেখার জন্য রক্ত অথবা ব্লাড পরীক্ষাসহ আরো কিছু পরীক্ষা দিতে পারেন। এই সব কিছু করার পরেই চিকিৎসক আপনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবনে যে, আপনার দ্রুত বীর্যপাতের ক্ষেত্রে কোন কারণ রয়েছে।

দ্রুত বীর্যপতাতের কারণ পারিবারিক জীবনে এর প্রভাব :
ক/ দ্রুত বীর্যপাতের কারণে আপনার স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি হবে না তবে  পারিবারিক জীবনে ধস নেমে আসতে পারে। সামাজিক জীবনে চলাফেরায় আপনার বিব্রতবোধ লাগতেও পারে।
খ/ দ্রুত বীর্যপাত সমস্যার করণে আপনার সঙ্গিনীর সাথে আপনার সম্পর্কেও অবণতি ঘটতে পারে। কোন কোন সময় সম্পর্ক বিচ্ছেদও হতে পারে।
গ/ দ্রুত বীর্যপাত সমস্যার কারণে আপনার বীর্যপতালা থাকলে, সে বীর্যতে শুক্রানু পরিমান কম অথবা দুর্বল থাকতে পারে সে ক্ষেত্রে সন্তান নিতে সমস্যা হতে পারে। এত করে বন্ধ্যাত্ব সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে বন্ধ্যাত্ব সসস্যা দেখা দিলে স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে।

পুরুষদের দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা : -

দ্রুত বীর্যপাতের জন্য দেশে বেশ কিছু চিকিৎসা ব্যবস্তা রয়েছে যেমন :-
সেক্সুয়াল থেরাপি : - সেক্সুয়াল থেরাপি চিকিৎসা এমন একটি থেরাপি যেখানে চিকিৎসক আপনাকে রুটিন করে দিবেন আপনি কোন সময় আপনার স্ত্রীর সাথে সহবাস করবেন আর কখন করেবেন না। হয়তো আরও কিছু ব্যাপার চিকিৎসক সংযুক্ত করতে পারনে। যদিও আপনার সঙ্গিনীর সাথে যৌন মিলন কখন করবেন কখন করেবেন না এটা একান্ত আপনার ব্যাক্তিগত বিষয় কিন্ত রোগের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। সেটা আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ মানতে হবে। সুতারাং সেক্সুয়াল থেরাপিকে আপনার পজিটিভ হিসাবে মেনে নিতে হবে শুধু আপনার একমাত্র সুস্থ্যতার জন্য।

সাইকো থেরাপি : - সাইকো থেরা হচ্ছে এক প্রকার কাউন্সেলিং। আপনার যৌন সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের সাথে খেলামেলা কথা বলেন ও পরামর্শ গ্রহণ করবেন। আপনি যদি আপনার সমস্যা বিস্তারিত ভাবে চিকিৎসকের কাছে বলতে পারেন তবে চিকিৎসক আপানাকে সুপরামর্শ দিতে পারবে।
আর এতে করে আপনার আরও বাড়বে এবং মোনবল দৃঢ় হবে। আপনার দুঃশ্চিন্তা কমে আসবে। মনে রাখতে হবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সাইকোথেরাপির মাধ্যমেই এসব সমস্যাসমাধান করা সম্ভব।

দ্রুত বীর্যপাত প্রতিরোধের জন্য করণীয় কী : -
আপনার যদি দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা থেকে থাকে তবে সেটা নিয়ে বসে থাকা উচিত হবে না । এই রোগের সমস্যাটি শুধুমাত্র আপনার স্ত্রী-ই জানে আর তো অন্য কেউ জনার কথা নয়। সুতারাং আপনার স্ত্রীর সাথে বিষয়টি খেলামেলা কথা বলুন। সমস্যাটা আসলে আপনার কোথায় তা খুঁজে বের করা চেষ্ট করুণ। কোন খরাপ জায়গা গমন, পর নারীর সাথে যৌন ক্রিয়ায় লিপ্ত হওয়া, হস্তমৈথুনের বদ অভ্যাস থাকলে সেই অভ্যাসগুলো ছেড়ে দিন। পর্ণগ্রাফি ছবি দেখার অভ্যাস থাকলে তা পরিহার করুণ। ধুমপান অভ্যাস থাকলে তা ছেড়ে দেওয়ার চেষ্ট করুণ। কোন দরণের নেশা যেমন – মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল, খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ছেড়ে দিন। চিন্তমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। অপানার স্ত্রী সঙ্গে সহবাসের সময় স্ত্রীকে প্রথমে উত্তেজিত করতে হবে। এটা বিভিন্ন ভাবে করা যেতে পারে। আপনার স্ত্রী সাথে অপনার ভাল সম্পর্কে আপনিই সবচেয়ে ভালো জানেন সুতরাং আপনার স্ত্রীর শরীরের কাথায় স্পর্শ করলে সে সবচেয়ে বেশী উত্তেজিত হয় তা খুঁজে বের করুণ। আপনি সহবাসের অথবা যৌন মিলনের সময় অন্তত ১০ মিনিট আগে থেকে তাকে বিভিন্ন ভাবে উত্তেজিত করুন। এতে করে খুব সহজেই আপনার স্ত্রী বা সঙ্গনীকে আপনি পরিতৃপ্তি দিতে পারবেন। মনে রাখবেন যৌন মিলন প্রতিদিন যখন তখন করবেন না। একটা রুটিং মাফিক নিয়মে সহবাস করতে হবে। হতে পারে সপ্তাহে ২ অথবা ৩ দিন কিংবা প্রতি রাতে ১ বার কিংবা ২ বার। এত করে আপনার স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে এবং দ্রুত বীর্যপাত সমস্যার সমাধানও হতে পারে। তারপরেও যদি কোনো ভাবেই দ্রুত বীর্যপত সমস্যার সমাধান না হলে আপানার স্ত্রী সহ দুইজনেই চিকিৎসকের কাছে যান এবং চিকিৎসা গ্রহণ করুণ।

দ্রুত বীর্যপাতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :
আপনার হয়তো আনেকই জানেন যে, হোমিওপ্যাতিক চিকিৎসা ব্যবস্থা হলো মূলত লক্ষণে উপর নির্ভর করে। তবে এ কথা গ্যারেন্টি দিয়েই বলা যেতে পারে যে সেক্সুায়ল সমস্যা গুলো সমাধান হোমিওপ্যাথিতে সম্ভব। যদি লক্ষণ মিলিয়ে সঠিক ঔষধটি নির্বাচন করা হয় তবে রোগী  নিয়ম মাফিক নির্দিষ্ট সময় ধরে ঔষধ সেবন করলেই তবেই সম্ভব আরোগ্য করা।

নিন্মে কিছু হোমিওপ্যাথিক ঔষধ লক্ষণ ভিত্তিক আলোচনা করা হলো :
১/ ক্যালেডিয়াম (Caladium) :- স্বপ্নদোষ হয়ে লিঙ্গ (পুরুষাঙ্গ) একেবার শিথিল হয়ে পড়েছে। মন বার বার স্ত্রীর সাথে সহবাস করতে চায় কিন্ত আপনার পুরুষাঙ্গে শক্তি আসে না। অর্থাৎ পুরুষাঙ্গ দুর্বল হয়ে গেছে কিন্ত মন দুর্বল হয়নি। যদিও কখনো কখনো যদিও স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করা যায় কিন্ত খুব অল্প সময়েই মধ্যে বীর্যপাত হয়ে যায়। আপনার এ রকম লক্ষণ থাকলে ক্যালেডিয়াম এ ঔষধটি সেবন করতে পারেন।

২/ কোনিয়াম (Conium) : - স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছ খুব প্রবর কিন্ত পুরুষাঙ্গ উথ্যান হয় না। শক্ত হয়না, চুমু দেওয়ার সময়ই হয়তো বীর্য বের হয় যায়, অথবা পুরুষাঙ্গ যোনিতে প্রবেশ করোনো মাত্রই বীর্য বের হয়ে যায় যদি আপনার এরকম লক্ষণ থাকে তবে সেই ক্ষেত্রে কোনিয়াম ঔষধটি সেবন করতে পারেন।

৩/ লাইকোপোডিয়াম (Lycopodium) :- হস্তমৈথুন করে লিঙ্গের অবস্থা একিবারে শেষ করে ফেলেছে, আপনার অত্যাধিক স্বপ্নদোষ হতো কিংবা অত্যাধিক স্ত্রী সঙ্গে সহবাস করার করণে ধ্বজভঙ্গ রোগ হয়েছে। এখন আর কোন ভাবেই স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা জাগে না। সহবাসের ইচ্ছা জাগলেও পুরুষাঙ্গ বা লিঙ্গ শক্ত হয় না। এ ধরণের লক্ষণ থাকলে নিশ্চিন্তে লাইকোপোডিয়াম ব্যাবহার করা যায়।

৪/ এগনাস কাস্ট (Agnus Castus) : - অবৈধ ভাবে অথবা হস্তমৈথুন কিংবা সেক্স ডল ইত্যাদি অপব্যবহার করে বীর্য অতিরিক্ত ক্ষয় করে যারা ধ্বজভঙ্গ রোগ লক্ষণ রয়েছে তাদের জন্য এগনাস কাস্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।

৫/ এনাকার্ডিয়াম (Anacardium) :- যে সব রোগী স্বরণশক্তি একেবারেই কম এবং প্র¯্রাবের সময় বা পায়না বেগ দেওয়ার সময় বীর্যপাত হয়ে যায় এ লক্ষণে এনাকার্ডিয়াম ঔষধটি ব্যাবহার যোগ্য।

৬/ এসিড ফস (Acid Phos) : - স্ত্রী সহবাস করলে মাথা ঘুরে, রাত্রে দুইবার অথবা তার অধিক বার সহবাস করলে মাথা প্রচন্ড ব্যথা শুরু হয়, স্মৃতি শক্তি কম এবং পুরুষাঙ্গ শিথিল ইত্যাদি লক্ষণে এসিড ফস ব্যাহার করা যেতে পারে।

৭/ স্যালিক্স নায়াগ্রা (Salix Nig) :- মন থেকে খুব স্ত্রীর সাথে সহবাস করতে চায় কিন্ত কোন মতেই লিঙ্গ শক্ত হয় না রোগীর মধ্যে এ লক্ষণ থাকলে স্যালিক্স নায়াগ্রা ঔষধটি ব্যবহার করতে পারেন।

৮/ টিটেনিয়াম (Titenium) :- যাদের বীর্যপাতলা, সহবাস করতে গেলে অতি দ্রæত বীর্যপাত হয়ে যায় এলক্ষণ থাকলে টিটেনিয়াম ব্যাবহার করা যেতে পারে।

৯/ নুপার লুটিয়া ((Nuphar Lut) :-  কাম উত্তেজনার কথা-বার্তায় কিংবা সেক্সুায়াল কথা বার্তা শুনলে, পর্ণ গ্রাফী ছবি দেখলে, উত্তেজনায় যদি অসাড়ে বীর্যপাত হয়ে যায় কোন রোগীর এ লক্ষণ থাকলে নুপার লুটিয়া ব্যাবহার করা যেতে পারে।

১০/ টানেরা (Turnera) :-  হস্তমৈথুনে ফলে কিংবা জীবনে শুরুতে অতিরিক্ত মিলালা মেশার কারণে যাদের শুক্র কমে গেছে তাদের জন্য হলো টানেরা । মুলত টানেরা শুক্র বর্ধক ঔষধ যারা শুক্র বাড়াতে চান তাদের জন্য এই ঔষধ প্রয়োজন।

১১/ অ্যাভেনা স্যাট (Avana Sat) :- জীবনে শুরুতে অতিরিক্ত বীর্যক্ষয়, অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস করা, স্বপ্ন দোষ কিংবা হস্তমৈথুনের কারণে যে সব রোগী শারীরিক ভাবে খুবই দুর্বল তাদের জন্য এই ঔষধ প্রয়োজন।

১২/ মেডোরিনাম (Medorrhinum) : - যে সব রোগী গণোরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ধ্বজভঙ্গ হয়ছে তারা প্রথমে মেডোরিনাম ঔষধ এবং পরে লক্ষণ অনুযায়ী অন্য ঔষধ সেবন করতে পারে।

১৩/ ফসফরাস (Phosphorus) :- যে সব যুবক অতিরিক্ত হস্তমৈথুন, অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস, স্বপ্নদোষ কিংবা অন্য কোন কারণে ধ্বজভঙ্গ রোগে আক্রান্ত হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ফসফরাস ঔষধ প্রয়োজ্য। তবে ফসফরাস ঔষধের রোগীরা সাধারণত চলার সময় বা হাঁটার সময় সামান্য নুয়ে চলে। ফসফরাস রোগী দেখেতে সুন্দর, লম্বা, এবং ছিপছিপে গড়নের হয়।

এডমিন : আজ এখানে শেষ করলাম। আশা করছি দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা নিয়ে পুরো পোষ্ট পড়ার ফলে অপনার অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর জানতে পেরেছেন। ফিরে আসবো আবার যৌন সংক্রান্ত আরও বিভিন্ন চিকিৎসা বিষয়ক কোন কিছু নিয়ে। শেষ পর্যন্ত অপানারা সবাই সুস্থ, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের যত্ন নিন, এবং সাবধানে থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, চিকিৎসকের সহযোগিতা নিন। এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলে শেয়ার, লাইক কমান্ড করবেন। প্রয়োজনে বন্ধদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।



শনিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২২

  পুরুষদের বন্ধ্যাত্বে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিন

পুরুষদের বন্ধ্যাত্বে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিন




 
পুরুষদের বন্ধ্যাত্বে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :

পুরুষের শুক্রাণুর গুনগত মান বাড়াতে কিছু পরামর্শ..
শুক্রাণুর গুণগত মানের হ্রস ও শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়া সারা বিশ্বজুড়েই এখন বিজ্ঞানীদের মহা চিন্তার বিষয় হয়ে দঁড়িয়েছে। শুক্রাণু নিয়ে সমস্যা সমাধানে বিজ্ঞানীরা কিছু উপায় খুজে পেয়েছে। তা নিয়ে নিয়ে আলোচনা করা হলো :

পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা উন্নতি ঘটাতে পারে কোন কোন পুষ্টিকর পদার্থ এবং খাদ্য, যে গুলো খাবারের পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে সে খাদ্য গুলো খাদ্য গুলো খান।
পুরুষত্বহীনতা বা পুরুষদের বন্ধ্যাত্বে চিকিৎসায় আয়ুর্বেদ মতে মধুর ব্যবহার নতুন নয়। মধু মিশিয়ে নিয়মিত এক গøাস করে দুধ খেলে স্পার্ম কাউন্ট শূন্য থেকে বেড়ে ৬ কোটি পর্যন্ত হতে পারে। মানবদেহে শুক্রাণুর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আপনি যদি অপনার জীবনে নতুন অতিথি চান ত হলে এখন থেকেই প্রস্তিুতি নিন। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, দুধের মধ্যে থাকা ভিটামিন এ পুরুষ সেক্স হরমোনের পরিমাণ বাড়ায়। অন্যদিকে মধুতে থাকা ভিটামিন ই ও জিঙ্ক সেক্স স্টিমুল্যান্ট হিসেবে কাজ করে পুরুষদের যৌনশক্তি বাড়ায়। সমীক্ষায় জনা গেলে ১৮ থেকে ৫০ এর মধ্যে বয়স এমন ১০ শতাংশ পুরুষই লো স্পার্ম কউন্টের শিকার। তাই নিয়মিত মধু মিশিয়ে দুধ খেলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে। 

বিশেষজ্ঞরা জানিয়ছেন, ঘরোয়া বেশ কিছু উপায়ে শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ানে যায়। এক গøাস দুধ ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে তাতে মধু মিশিয়ে পান করতে হবে। নিয়মিত কিছুদিন খেলে বীর্যে স্বাস্থ্যকর শুক্রাণু সংখ্যা বাড়বে।


১/ ডার্ক চকোলেট
শক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য প্রথম এবং সম্ভবত সবচেয়ে সেরা খাধ্যটি হল ডার্ক চকোলেট। চকোলেট প্রস্তুতকারী ক্যাকাও বিনগুলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। আবার ডার্ক চকোলেটের মধ্যে থাকে এলু আরজিনিন নামক একটি উৎসেচক যা শুক্রাণুর পরিমাণ বাড়িতে সাহায্য করে। ডিনারের শেষে স্বাদের পরিতৃপ্তির জন্য একটা সুস্বাদু ডেজার্টেও পরিবর্তে আপনি এবং আপনার সঙ্গী এক টুকরো ডার্ক চকোলেট নিয়ে ভাগ করে খেতে পারে।

২/ ডিম
এ ব্যাপারে কোনও গোপনীয়তা নেই যে শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য
ডিম হর একটা মৌলিক সুপার ফুড। ডিম ভিটামিন ই এবং প্রোটিনে সমৃদ্ধ যা শুক্রাণু সক্রিয়তায় সাহায্য করে। ডিম খেলে তা আবার ফ্রী র‌্যাডিক্যাল বা মুক্ত মূলকগুলির থেকেও শুক্রাণুকে রক্ষা করে, এর ফলে নিষেকের সম্ভবনা দ্বিগুণ হয়ে যায়। তাছাড়াও ডিম হল জিঙ্কের একটি সমৃদ্ধ উৎস যা
শুক্রাণূও সক্রিয়তার বিকাশের জন্য পরিচিত । অপনার শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য অসংখ্যভাবে ডিম খান।

৩/ গোজি বেরি
শুক্রাণুর সংখ্যা  বৃদ্ধিকারী একটি ভারতীয় সুপার ফুড, গোজি বেরি হল প্রকৃতির দান। গোজি বেরি মেজাজ এবং স্ক্রোটাম স্যাকের চারপাশে তাপমাত্রার উন্নতি ঘটাতে সহায়তা করে যা শুক্রাণু উৎপাদনকে অনুকুল করে তোলে। যদি এর কোনও চিকিৎসা ভিত্তিক প্রমাণ নেই তবে এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শুক্রাণুর সক্রিয়তা এবং প্রজনন ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়।

৪/ কলা  
শুক্রানুর উৎপাদন বৃদ্ধিও জন্য করা হলে নি:সন্দেহে একটি সেরা পছন্দের  খাবার। ফ্যালিক আকৃতির এই ফলটি ভিটামিন বি ১, সি এবং ম্যাগনেসিয়ামে বমৃদ্ধ যা শুক্রাণুর গতিশীলতা বৃদ্ধি করে এবং শুক্রাণু উৎপাদনে সাহায্য করে। কলার মধ্যে আবার ব্রোমেলাইন নামক একটা বিরল উৎসেচকও থাকে যা শুক্রাণুর সংখ্যা এবং গতি শীলতা বাড়াতে সহায়তা করে। এ গুলি আবার সেক্স হরমোন গুলিকে নিয়ন্ত্রণ এবং আপনার মেজাজকে প্রফুল্ল করে তুলতে পারে। সুতারাং আপনি যদি কলা খেতে ভালোবাসেন তবে তা অব্যাহত রাখান জন্য আপনার যথেষ্ট এবং আরও বিশেষ কিছু কারণ ও আছে।

৫/ রসুন
রসুন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করার পাশাপাশি স্কোটামের মধ্যে শুক্রাণু উৎপাদন বৃদ্ধি করতে ও সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকে অ্যালিসিন যা সঠিক অংশ গুলিতে রক্ত সঞ্চালনকে উদ্দীপিত করার জন্য প্রয়োজনীয় যৌন অঙ্গাণুগুলিতে রক্ত অবাধে প্রবাহিত হয় এবং কোনও রকম ড্যামাজ হাওয়া থেকে সে গুলিকে রক্ষা করে। সিলেনিয়াম, যা অপর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসেচক, রসুনের মধ্যে পাওয়া যায় যা শুক্রাণু গতি শীলতা উন্নত করতে সহায়তা করে থাকে।

৬/ পালংশাক
সজু শাকসবজি খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো কারণ এগুলি আমাদের দেহের মধ্যে অসংখ্য ক্রিয়াকলাপগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। সবুজ শাক-পাতাগুলো বিশেষ করে শুক্রাণু উৎপাদনে সাহায্য করতে পারে। পালংশাক ফোলিক অ্যাডিডে সমৃদ্ধ যা শুক্রাণুর বিকাশের জন্য অপরিহার্য।

৭/ শতমূলী 
শতমূলী বা অ্যাসপারাগাস হল ভিটামিনের একটা ভাল উৎস, যা ফ্রী র‌্যাডিক্যালগুলি থেকে শুক্রাণুকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটা আবার এমনকি শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে এবং ডিম্বাণুর দিকে সাঁতরে যেতে সাহায্য কারার মধ্যে প্রজননের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।

৮/ আখরোট
আখরোটগুলি ব্রেন ফুড হিসেবে সুপরিচিত, তাবে এগুলি শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।  ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাডিডে সমৃদ্ধ হওয়ায়, আখরোট শুক্রাণুর জীবনী শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।

৯/ ঝিনুক বা অয়েস্টার
ঝিনুক হল জিঙ্কের একটা দুর্দান্ত উৎস যা শুক্রাণুর সক্রিয়তার উন্নতি করতে সাহায্য করে। অতএব, ঝিনুক খান এগুলে গøাইকোজেন এবং টরিন সরবরাহ কারার মাধ্যমে আপনার প্রজনন প্রক্রিয়াটিকে উদ্দীপ্ত করতে সাহায্য করে।

১০/ অশ্বগন্ধা (জিন্সং)
প্রাচীন এই মূলটি একটি চমৎসার আমোত্তেজক বস্তু হিসেবে কাজ করে এবং বহুকাল ধরে বিভিন্ন ধরনের রান্নার কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে। বলা হয় যে এটা কেবল টেস্টোস্টেরন বাড়ায় না তার সাথে সাথে আবার ইরেকটাইল ডিসফাংশনের চিকিৎসাতেও সাহায্য করে। এটি তাজা বা শুকনো আকারে পাওয়া যায় এবং চা হিসেবে খাওয়া হয়।


১১/ ডালিম
যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ডালিম পরিচিত। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলির একটি সমৃদ্ধ উৎস হওয়ার কারণে এগুলি শুক্রাণুর মাত্রা এবং শুক্রাণু উৎপাদনের গুণগত মান বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। প্রতিটি অন্য দিনে আপনি ডালিমকে কাঁচা অথবা রস আকারে খেতে পারেন।

১২/ কুমড়ো দানা
এই বীজগুলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোস্টেরল এবং অ্যামাইনো অ্যাসিডে পুর্ণ যা পুরুষেদের মধ্যে প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কুমড়োর দানা আবার শুক্রাণুর সংখ্যা, গতিশীলতা এবং সার্বিক ভাবে পুরুষত্ব বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আপনি এই বীজগুলিকে স্যালাডের উপর টপিং হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কিম্বা ¯œ্যাক্সেও মত সে গুলিকে কঁাঁচাই খেতে পারেন।

১৩/ গাজর
গাজর খাওয়া যেতে পারে একটি ¯œ্যাক্স বা সবজি হিসেবে। গাজর বিটা ক্যারোটিনের একটা সমৃদ্ধ উৎস, যেটি হল এক প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রী র‌্যাডিক্যালগুলির থেকে শুক্রাণুকে রক্ষা করার মাধ্যমে তার স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করে। আর এর ফল রুপে এটি শুক্রাণুর গতিশীলতা বৃদ্ধি করে, আর এ ভাবে সেটিকে ডিম্বাণুতে পোঁছাতে সাহায্য করে।

১৪/ মুসুর
রান্না করা মুসুরগুলি হল ফোলিক অ্যাডিডের এক চমৎকার উৎস, এটি শুক্রাণূ উৎপাদনের একটি গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। ফোলিক অ্যাডিডের অভাব পুরুষদের মধ্যে ক্রোমোজোমীয় অস্বাভাবিকতাগুলি সৃষ্টি করতে পারে, সুতরাং প্রত্যহ মুসুর খাওয়ার দরকার।

১৫/ জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাদ্য
জিঙ্ক সমৃদ্ধ যে কোনও খাদ্য ফ্রী র‌্যাডিক্যাল ড্যামেজ হওয়া থেকে শুক্রানূকে রক্ষা করে। এটি আবার কাম শক্তিকেও দউদ্দীপ্ত করে তোলে। সব ধরনের মাছ জিঙ্কেও একটা দুর্দান্ত উৎস। আপনি আপনার জিঙ্ক গ্রহণের পরিমাণ বড়িয়ে তুলতে পারেন। বাদাম, মটরশুটি, সম্পূর্ণ গমের দানা, ফর্টিফায়েড বা বলবৃদ্ধিকারী সিরিয়াল বা দানাশস্য এবং দুগ্ধজাতীয় খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে।

১৬/ গোমাংস
রেড মিট যেমন গোমাংস হল জিঙ্কের একটি অসাধারণ উৎস। গোমাংস আবার ফোলিক অ্যাসিড এবং সিলেনিয়ামেরও একটা সমৃদ্ধ উৎস, যা শুক্রাণুর স্বাস্থ্যেও উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। আপনি যদি মাংস খেতে পছন্দ করেন, গোমাংস বা বীফ খান এটা শুক্রাণুর উৎপাদন এবং গতিশীলতায় সাহায্য করবে।

১৭/ মেথি
ভারতীয় প্রতিটি পরিবারে ব্যবহার হওয়া ঐতিহ্যবাহী উপকরণ, মেথি বা ফেনুগ্রীক, শুক্রাণূর সংখ্যা এবং কামশক্তি, বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। ডাল অথবা যে কোনও সবজিতেই এটি ফোরণ হিসেবে বা অন্য যে কোন ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

১৯/ অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল
নিয়মিত অলিভ অয়েল গ্রহণ করলে তা শুক্রাণুর সংখ্যা এবং তার গুণমানের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। এটা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কম রাখে, টেস্টিক্যালে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করে। এবং সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর শুক্রাণু গঠনে সাহায্য করে।

২০/ টমেটো
টমেটো হল প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী দুর্দান্ত একটি খাদ্য। এর মধ্যে রয়েছে লাইকোপিন, যেটি হল এক প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা বীর্যের গঠন এবং ক্রিয়াকলাপ উন্নত করার জন্য পরিচিত। টমেটো নিয়মিত সেবন করলে তা পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে।

কয়েকটি টিপস আপনার প্রজনন মাত্রা উন্নত করার জন্য 
এই খাবার গুলি খাওয়ার পাশাপাশি আপনার শুক্রাণুর স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে আপনার জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসা উটিত। সুতরাং আপনি যদি আপনার প্রজনন ক্ষমতার মাত্রাটি উন্নত করতে চান তবে আপনার মেচে চলা উচিত এমন কিছু টিপস এখানে দেওয়া হল।

ক/ আপনার প্রজনন ক্ষমতা উন্নতি করতে আপনাকে অবশ্যই ধুমপান ত্যাগ করতে হবে। ধুমপান পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। সুতরাং আপনার ধুমপান ত্যাগ করাটা গুরুত্বপূর্ণ।

খ/ দীর্ঘ সময় ধরে একটানা বসে থাকা এড়িয়ে চলুন কারণ এটা আপনার স্ক্রটালের তাপমাত্রাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে যা আবার আপনান প্রজনন ক্ষমতাতে ও প্রভাব ফেলতে পারে। 

গ/ আপনি যদি সন্তান চান, বারেবারে সঙ্গম করুন । আপনার স্ত্রীর ওভ্যুলেটিং পর্বে তার সাথে সঙ্গম করলে, তার গর্ভবতী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা অবশ্যই বাড়বে, তবে বারবার সঙ্গম করলে আপনার প্রজননের মাত্রা উন্নত হবে।

ঘ/ আপনি যদি অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী বা স্থলতার শিকার হন, তবে আপনার ওজনকে একটা স্বাস্থ্যকর মাত্রায় নিয়ে আসতে কঠোর পরিশ্রম করুন। অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী বা স্থলতা হরমোন ভারসাম্যকে বিঘি্নত করে, পরিমানে যা আবার শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস করে।

ঙ/ স্বাস্থ্যকর ফ্যাট গ্রহণের পরিমাণটিকে আপনি বাড়ান ওমেগা -৩ এবং ওমেগা-৬ এর মতো পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটগুলি শুক্রাণু ঝিল্লির স্বাস্থ্যকর বিকাশে সহায়তা করে। 

আপনার যায়েটের সাথে পুষ্টিকর খাদ্যগুলি অন্তর্ভুক্ত করুণ। অপনার প্রজনন ক্ষমতার মাত্রায় উন্নতি ঘটতে উল্লেখ্য খাদ্যগুলি গ্রহণ করুণ এবং ধুমপান ত্যাগ করুণ।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে শুক্রাণু এর পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব বলে করছেন বিজ্ঞানীরা। নিন্মে কয়েকটি ঔষধের লক্ষণ অনুযায়ী ঔষধ দেওয়া যেতে পারে।

হোমিওপ্যাথিক ঔষধ :
লাইকোপোডিয়াম, ক্যালেডিয়ম, এগনাস, বিউফো, অনোসেমোডিয়াম, এসিড ফস, ডামিয়ানা, নাক্স ভোম, ক্যানথারিস, ট্রিবিউলাস, কষ্টিকাম, ষ্টেফেসিগ্রিয়া ইত্যাদি।






চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ :-

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বি.এস.এস/ ডি.এইচ. এম.এস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডি.এইচ. এম.এস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত -১৯৬২ ইং

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

রবিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২২

হস্তমৈথুনের কুফলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিন

হস্তমৈথুনের কুফলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিন


হস্তমৈথুনের কুফল থেকে বাঁচার উপায়, হোমিওপ্যাথিক ঔষধ :


 হস্তমৈথুন কী এ বিষয়ে প্রাপ্ত বয়স্করা সবাই কমবেশি জানে এ অংশে আমি হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায় এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করব।

হস্থমৈথুন বা হাত দিয়ে বির্যপাত করা যে কতটা ক্ষতি তা আমাদের অজানা নয়।তারপরও আমরা এই ভুলটি করে থাকি।ফলে ভবিষ্যতে পরতে হয় নানাবিধ সমস্যায়।


 হস্তমৈথুন এর প্রধান সমস্যা হলোঃ-

* দ্রুত বীর্যপাত খুব অল্প সময়ে বীর্যপাত ঘটে। ফলে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে অক্ষম হয়।

* অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষের যৌনাঙ্গকে দুর্বল করে দেয়।

*চোখের ক্ষতি হয় স্মরণ শক্তি কমে যায়।

* আরেকটি সমস্যা হল খবধশধমব ড়ভ ংবসবহ।অর্থাৎ সামান্য উত্তেজনায় যৌনাঙ্গ থেকে তরল পদার্থ বের হওয়া।

* শারীরিক ব্যথা কোমর এবং মাথা ঘোরা।

* যৌন ক্রিয়ার সাথে জড়িত স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল হওয়া অথবা ঠিক মত কাজ না করার পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া।

* শরীরের অন্যান্য অঙ্গ যেমন: হজম প্রক্রিয়া এবং প্রসাব প্রক্রিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি করে। দ্রুত বীর্যস্থলনের প্রধান কারণ অতিরিক্ত হস্তমৈথুন

*হস্তমৈথুনের ফলে অনেকেই কানে কম শুনতে পারেন এবং চোখে ঘোলা দেখতে পারেন।


হস্তমৈথুন অভ্যাস দূর করতে এবং হস্তমৈথুন সংক্রান্ত কুফল সমূহ দূর করতে একমাত্র হোমিওপ্যাথি ছাড়া আর কোনো চিকিৎসা বিজ্ঞান আজও ততটা সাফল্য দেখাতে পারে নি। তাই ভালো কোনো হোমিওপ্যাথের কাছ থেকে প্রপার ট্রিটমেন্ট নিন। আশা করি আবার আপনার জীবন স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।


Staphisagria: স্টেফিসেগ্রিয়া পুরুষদের যৌন দুর্বলতা দূর করার ক্ষেত্রে একটি শ্রেষ্ট ও অব্যর্থ ঔষধ। বিশেষভাবে অতিরিক্ত যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়ার কারণে বা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকার কারণে যাদের ধ্বজভঙ্গ হয়ে গিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই ঔষধটি বেশী প্রযোজ্য। এটি ছ, ৩, ৬, ৩০, ২০০ ইত্যাদি যে-কোন শক্তিতে খাওয়া যেতে পারে; কিন্তু যত নিম্নশক্তি থেকে খাওয়া শুরু করা যায় ততই উত্তম। প্রতিদিন পাঁচ ফোটা করে সকালে এবং সন্ধ্যাবেলা দু’বার। বিয়ের প্রথম দিকে কিছুদিন মেয়েদের প্রস্রাব বা যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত কোন সমস্যা হলে নিশ্চিন্তে স্টেফিসেগ্রিয়া নামক ঔষধটি সেবন করা যেতে পারে। কারণ স্টেফিসেগ্রিয়া একই সাথে যৌনাঙ্গ এবং আঘাতজনিত রোগে সমান কাযর্করী ভূমিকা পালন করে।


Moschus Moschiferus : যে সকল ধ্বজভঙ্গ রোগীর ডায়াবেটিস আছে এটি তাদের জন্য ভালো কাজ করে। ক্ষুদ্রাকৃতি পুরুষাঙ্গকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এই ঔষধটি সহায়তা করে।


Salix nigra: স্যালিক্স নাইগ্রা হোমিওপ্যাথিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধের কাতারে আসে। যাদের মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন করার অভ্যাস ছাড়াও স্বপ্নদোষ নিয়মিত ভাবে হয় তারা এই ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন। উক্ত কারণসমূহে সৃষ্ট পুরুষদের যৌনকর্মে দুর্বলতা বা অক্ষমতা তৈরি হয়েছে এবং এসব কারণে যাদের ওজন কমে গিয়েছে, এই ঔষধ যৌনদূর্বলতা সারানোর পাশাপাশি তদের ওজনও বাড়াতেও সহায়তা করবে। আবার অবিবাহিত যুবক-যুবতী বা যাদের স্বামী-স্ত্রী দেশের বাইরে থাকেন অথবা ইহকাল ত্যাগ করেছেন, এই ঔষধ তাদের মাত্রাতিরিক্ত যৌন উত্তেজনা কমিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় জীবনযাপনে সাহায্য করবে।


Lycopodium clavatum : লাইকোপোডিয়াম পুরুষাঙ্গ ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। যাদের মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের অভ্যাসের কারণে ধ্বজভঙ্গ হয়েছে তারা এটি খেতে পারেন। লাইকোপোডিয়ামের প্রধান লক্ষণ হলো এদের পেটে প্রচুর গ্যাস তৈরি হয়, এদের মাথার ব্রেন খুব ভালো কিন্তু স্বাস্থ্য খুব জীর্ণ শীর্ণ, এদের প্রস্রাব অথবা পাকস্থলী সংক্রান্ত কিছু না কিছু সমস্যা থাকবেই, অকালে বার্ধক্য, সকাল বেলা বেশি দুর্বলতা ইত্যাদি।


Natrum carbonicum: পুরুষরা যে-সব নারীদেরকে আলিঙ্গন করলেই বীযর্পাত হয়ে যায় (সহবাস ছাড়াই) অর্থাৎ অল্পতেই তাদের আত্মতৃপ্তি হয়ে যায় এবং পরে আর কোন সঙ্গমে আগ্রহ থাকে না, তাদের জন্য নেট্রাম কার্ব একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। এবং এই কারণে যদি তাদের কোন সন্তানাদি না হয় (অর্থাৎ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়), তবে নেট্রাম কার্বে সেই বন্ধ্যাত্বও সেরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


Caladium seguinum : যে সকল ব্যক্তিগণ যৌনমিলনে কোন ধরণের আনন্দ পান না বা যৌনমিলনের পরও বীরয নির্গত হয় না এবং যাদের বীরয অতি দ্রুত নির্গত হয়ে যায় বা যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করার কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য এই ঔষধটি অনেক কার্যকরী।


Agnus Castus: কিছু কিছু মানুষের গনোরিয়া রোগের পরে এই ধরনের যৌন দুর্বলতা দেখা দিলে এই ঔষধটি ভালো কাজ করে। পুরুষাঙ্গ আকারে ছোট এবং খুবই নরম হয়ে যায়, পায়খানা এবং প্রস্রাবের আগে-পরে নিয়মিতভাবে আঠালো পদার্থ নির্গত হয়, এবং ঘনঘন স্বপ্নদোষ হওয়ার অভ্যাস আছে তাদের জন্য এই ঐষধটি কার্যকর।


Nux Vomica: যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে নাক্স ভমিকা ঔষধটি একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ বিশেষত যারা শীতকালে কাতর, যাদের পেটের যে কোন সমস্যা বেশী হয়, সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকতে ইচ্ছা করে, কায়িক পরিশ্রম কম করে এবং মানসিক পরিশ্রম বেশী করার অভ্যাস আছে ইত্যাদি। নিম্নশক্তিতে এই ঔষধটি ঘনঘন খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।


Phosphoricum Acidum: সাধারণত টাইফয়েড জাতীয় মারাত্মক কোন রোগে ভোগার কারণে, স্বপ্নদোষ, মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম ও হস্তমৈথুন ইত্যাদি কারণে যৌন ক্ষমতা কমে গিয়েছে অথবা যৌনক্ষমতা একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে (এবং সাথে অন্য যে-কোন ধরণের সমস্যা হউক না কেন) এসিড ফস উত্তম।


একজন রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের পরার্মশ নিয়ে মেডিসিন খাবেন, নিজে নিজের ডাক্তারি করবেন না,কারন রোগীর রোগের লক্ষন মিলতে হবে। রোগীর লক্ষন,রোগের লক্ষন ব্যাতীত ঔষুধ প্রয়োগ করা অনুচিত।


চিকিৎসার্থে যোগাযোগ করুন-

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত - ১৯৬২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com





শনিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২২

 ধাতুক্ষয় রোগে হোমিওপ্যথিক ঔষধ

ধাতুক্ষয় রোগে হোমিওপ্যথিক ঔষধ

 

 ধাতুক্ষয় রোগে হোমিওপ্যথিক চিকিৎসা :

শুক্রমেহ, ধাতুমেহ বা ধাতুক্ষয় রোগের সেরা হোমিও ওষুধ - সেলেনিয়াম (Selenium)

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে সাফল্যজনকভাবে শুক্রমেহ বা ধাতুমেহ বা ধাতুক্ষয় রোগের চিকিৎসা করা যায়। অবাঞ্ছিত শুক্রক্ষরণ বা শুক্রমেহ চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি ঔষধের ব্যবহার নিরাপদ ও পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াহীন।

সঠিক নিয়মে ধাতুমেহ বা শুক্রমেহ চিকিৎসা হলে এই জটিল ও কঠিন রোগটি যেমন স্থায়ীভাবে নিরাময় হয়, একই সাথে রোগীর অসুস্থতার কারণে হারানো স্বাস্থ্য পুনঃগঠনেও সহায়তা করে।

হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেলেনিয়াম প্রয়োগে শুক্রমেহ বা ধাতুক্ষয় রোগের চিকিৎসা

রোগী বিবরণীঃ

সাম্প্রতিক সময়ে আমার নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে একটি রোগীর অবাঞ্ছিত শুক্রক্ষরণ বা শুক্রমেহ রোগের চিকিৎসা বিবরণী আজ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। চিকিৎসার রোগীলিপি বিবরণীটি নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ।

প্রথমত উক্ত রোগীর চিকিৎসাতে হোমিওপ্যাথিক ঔষধের মাধ্যমে কিভাবে শুক্রমেহ বা ধাতুমেহ রোগ চিকিৎসা করা যায় তা যেমন জানা যাবে।

পাশাপাশি জটিল ও পুরাতন রোগ চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কিভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং চিকিৎসা পদ্ধতিই বা কেমন হলে একজন রোগী প্রকৃত অর্থে সুস্থতা লাভ করতে পারবেন সে সম্পর্কেও কিছু প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেবে।

বলা বাহুল্য, উক্ত রোগীর চিকিৎসাকালে আমি নিজেও আমাদের হোমিওপ্যাথিক ঔষধের বৈচিত্রময় প্রয়োগ কৌশল সম্বন্ধে কিছুটা জানতে পেরেছি।



প্রাসঙ্গিক লেখাটি পড়ে দেখতে পারেন-

যৌন দূর্বলতা চিকিৎসায় ব্যবহৃত প্রধান ৫টি হোমিওপ্যাথি ওষুধ

ধাতু দুর্বলতার সেরা হোমিওপ্যাথিক ওষুধ এগনাস কাস্ট

যাই হোক আসুন চিকিৎসা বিবরণী শুরু করা যাক। এখানে উল্লেখ্য যে, এখানে উল্লেখিত লক্ষণগুলো উক্ত রোগীর নিজের মুখে বলা কথাগুলোকে একটু মার্জিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

কেস স্টাডি -১।

তারিখঃ ০৬-০৫-২০১৭ইং।

নামঃ ক—।

বয়সঃ আনুমানিক ৪০ হবে।

পেশা ও অবস্থানঃ

একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরিরত মাঠকর্মী।

প্রধাণত তাকে বিভিন্ন জায়গায় চাকুরীর কাজে ঘুরে বেড়াতে হয়। প্রতিদিনের খাবার হোটেল বা রেস্তোরাতে খেয়ে থাকেন। ধার্মিক মুসলমান। কোন প্রকার মাদক, পান বা সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস নেই। তবে প্রচুর চা খান।

অসুস্থতার বিবরণঃ

আনুমানিক ১০ বৎসর যাবৎ অবাঞ্ছিত শুক্রক্ষরণ সমস্যায় ভুগছেন। অনেক চিকিৎসা করিয়েছেন। কোন কাজ হয়নি। সমস্যা অতটাই গুরুতর যে, এর কারণে সময়মত নামাজটাও পড়তে পারেন না। ঘুমের মধ্যে, চলাফেরার সময়, কোন মহিলার সঙ্গে কথা বলার সময়, স্বাভাবিক কারণে বা মানসিক দুঃশ্চিন্তায় একটু উত্তেজিত হলে, প্রস্রাব বা পায়খানার সময় প্রস্ট্রেটিক রস বিন্দু বিন্দু করে বের হয়।

রোগীর ভাষায়-

আমার অনবরত ধাতু বের হয়। একটু পরিশ্রমের কাজ করলে, রোদ্রে যাতায়াত করলে, যানবাহনে নারীদের শরীরের ঘর্ষণে এমনিতেই ধাতু বের হতে থাকে। আমি প্রায়ই অনুভব করি শুক্রস্রাব বা ধাতু বের হয়ে আমার পায়জামা ভিজে আছে।

শরীরটা দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে। অর্শ আছে। পায়খানা কষাভাব হলেই পায়খানার সাথে প্রচুর রক্ত বের হয়। প্রস্রাব বা পায়খানার পর অনেকক্ষণ যাবত ফোঁটায় ফোঁটায় অসাড়ে প্রস্রাব নির্গমন হতে থাকে। এতে কাপড় নষ্ট হয়।

আমি এ নিয়ে খুব দুঃচিন্তায় আছি। বউয়ের সাথে স্বাভাবিকভাবে যৌন মিলনে কোন আনন্দ পাইনা। ইচ্ছা আছে কিন্তু শক্তি পাইনা। লিঙ্গ দাঁড়ায় না বা দাঁড়ালেও বেশিক্ষণ সবল থাকেনা। অনেক তাড়াতাড়ি ধাতু বের হয়ে যায়। শেষে বউয়ের সাথে এনিয়ে খালি ঝগড়া হয়।


রোগী পর্যবেক্ষণঃ

আমি লক্ষ্য করলাম রোগী তোঁতলিয়ে কথা বলে। জিজ্ঞাসায় জানতে পারলাম ২০ বৎসর যাবৎ সে তোঁতলামি সমস্যায় আক্রান্ত। পাশাপাশি কোষ্ঠবদ্ধতায় ভুগছেন অনেকদিন যাবৎ। যদিও তাতে তার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। কেননা বাইরের খাবার খান বলে কোষ্ঠবদ্ধতা হতেই পারে -এই হলো তার পর্যবেক্ষণ।

সামান্য শারিরীক বা মানসিক পরিশ্রম তাকে অসুস্থ করে তোলে। রোর্দ্র সহ্য হয় না। অত্যাধিক চা পান করেন। এতে যে তার সমস্যা হতে পারে বা চা তার রোগলক্ষণ বৃদ্ধি করতে পারে, তা নিয়ে কখনও ভাবেননি। জীবনিশক্তি খুব দুর্বল।

১ম ঔষধ-

Agnus Cast Q – ১০ ফোঁটা করে সকালে ও রাতে, সামান্য পানিসহ খালিপেটে।

পর্যবেক্ষণঃ ৩০-০৫-২০১৭ইং

কোন পরিবর্তন নেই। বরং আরো বেশী সমস্যা হচ্ছে।

২য় ঔষধ-

Nat. Mur 12x – ৪টি করে বড়ি দিনে ২ বার।

২২-০৬-২০১৭ইং

কোন পরিবর্তন নেই। কোষ্ঠবদ্ধতায় খুব কষ্ট পাচ্ছেন।

৩য় ঔষধ-

Ginseng Q –– ১০ ফোঁটা করে সকালে ও রাতে, সামান্য পানিসহ খালিপেটে।

২৬-০৮-২০১৭ইং

কোন পরিবর্তন নেই। উল্টো প্রথম ৩ দিন প্রচুর মাথাব্যথা করেছে। শেষে প্যারাসিটামল যাতীয় ঔষধ খেতে হয়েছে।

৪র্থ ঔষধ -

Bio-Combination – BC ২৭

জার্মানির ১ আউন্স দিলাম। ৪টি করে দিনে ২ বার, চুষে খাবেন।

০৫-০১-২০১৮ইং

রোগীকে কিছুটা বিরক্ত ও হতাশ মনে হলো। তার কোন রোগলক্ষণেরই কোন প্রকার উন্নতি হচ্ছেনা বলে ঝাঁঝালো জবাব দিচ্ছিল। বলা বাহুল্য, চিকিৎসা কাজে আসছেনা বলে আমিও কিছুটা লজ্জ্বিত ও চিন্তিত ছিলাম। পরিশেষে তাকে কিছুটা অভয় দিয়ে বললাম, আপনাকে আমি এই মূহুর্তে আর কোন ঔষধ দিবনা। ১ মাস পরে দেখা করুন।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সফল হতে হলে দ্বিতীয়বার রোগীলিপি পড়ে দেখার গুরুত্ব

আমি তার কাছ থেকে ১ মাস সময় নিলাম। সময়টা নেয়া জরুরী ছিল। কারণ ইতিমধ্যে সে অনেক ঔষধ খেয়েছে। ফলশ্রুতিতে তার শরীরে রোগসৃষ্ট সমস্যার চাইতেও ঔষধসৃষ্ট লক্ষণ বেশী প্রকাশ পেয়েছিল।

তাছাড়া আমাকে তার রোগীলিপি আরও একবার ভালো করে পড়ে সামগ্রীক লক্ষণসমূহের পূণরায় পর্যালোচনা করে সঠিক ঔষধটি বাছাই করার জন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন ছিল।

০৮-০৩-২০১৮ইং

রোগী আসতেই আমি তাকে বললাম- আমি আজও আপনাকে কোন ঔষধ দিচ্ছিনা তবে ১ ফোঁটা ঔষধ মুখে খাওয়াবো। ব্যস এইটুকুই। আমি আপনাকে ঠিক ১৫ দিন পর পর একই নিয়মে এই ঔষধটি খাওয়াব। আপনি শুধু খালিপেটে আমার চেম্বারে ঔষধ খেতে আসবেন।


শুক্রমেহ, ধাতুমেহ বা ধাতুক্ষয় রোগে সেলেনিয়াম এর ব্যবহার

ঔষধটি ছিল সেলেনিয়াম ৩০ শক্তির ঔষধ। ১ ফোঁটা মাত্র মুখের মধ্যে দিয়ে বিদায় করে দিলাম। সেদিন থেকে রোগীটি ঠিক ১৫ দিন পর পর আমার চেম্বারে এসে সেলেনিয়াম ৩০ শক্তির ১ ফোঁটা ঔষধ খেয়েছেন। সর্বমােট ৩ বার খাওয়ানোর পর বুঝতে পারি ঔষধটি তার আরোগ্যকারী ফলাফল প্রকাশ করা শুরু করেছে।

রোগীর রোগলক্ষণ ধীরে ধীরে কমে আসছে। আমি ঔষধ খাওয়ানো বন্ধ করে অপেক্ষা করার নীতি গ্রহণ করি। পরবর্তীতে ৩ মাস অপেক্ষা করেছিলাম। ৩ মাস পর আরও ২ বার ৩০ শক্তির সেলেনিয়াম শক্তি পরিবর্তন রীতি অনুসারে প্রয়োগ করেছি। রোগী প্রায় সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছে। বর্তমানে আমি তার অর্শের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি মতে কিভাবে রোগী আরোগ্য করা যায়

রোগীটি যে শিক্ষা আমাকে দিয়েছে তা ভুলবার নয়। তা হচ্ছে- হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় তখনই সফলতা পাওয়া যায় যখন ঔষধটি নির্বাচন করা হয় সামগ্রীক লক্ষণসমষ্টির ওপর ভিত্তি করে।

শুধু তাই নয়। চিকিৎসার নিয়ম রক্ষা করাটা তার চাইতেও বেশী জরুরী। কেননা, একটি নির্দিষ্ট ঔষধ প্রয়োগ করে তার কার্যকারিতা কতটুকু তা যাচাই করার জন্য ঔষধকে যথেষ্ট সময় নিয়ে শরীরে কাজ করার স্বাধীনতা দিতে হবে। তা না দিয়ে যদি বার বার ঔষধ প্রয়োগ করে শরীরকে আরও বেশী অসুস্থ করার দিকে মনোযোগী হই তবে ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই পাওয়া সম্ভব নয়।

চিকিৎসার্থে যোগাযোগ করুন-

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত - ১৯৬২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com




শনিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২২

 যে খাবার গুলো খেলে পুরষদের সেক্স বাড়বে

যে খাবার গুলো খেলে পুরষদের সেক্স বাড়বে

 যে খাবার গুলো খেলে পুরষদের সেক্স বাড়ে :


 যে খাবার গুলো খেলে পুরষদের সেক্স বাড়ে :

সেক্সুয়াল চাহিদা বৃদ্ধি করার জন্য কোন খাবার নেই। বা ঔষধ নেই। তবে যৌন উত্তেজনা ও যৌন শক্তি বৃদ্ধি করার কিছু উপায় রয়েছে।


যৌন উত্তেজনা ও যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য আপনি নানান রকম ঔষধ সেবন করতে পারেন। ভ্যায়াগ্রার নাম তো নিশ্চয়ই শুনেছেন? এমন আরও অনেক ঔষধ রয়েছে যা পুরুষের যৌন উত্তেজনা ও যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। তবে সেগুলো অবশ্যই সেবন করতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। অশাধু ক্যানভাসারদের খপ্পরে পড়ে কিংবা হারবাল মেডিকেল সেন্টারের খপ্পরে পড়ে আজেবাজে হারবাল ঔষধ সেবন করতে যাবেন না কখনোই। এতে লাভ তো হবেই না, উল্টো মারাত্মক ক্ষতি হবে স্বাস্থ্যের!


যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি, যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখা, বীর্যের মান উন্নয়ন, যৌন শক্তি বৃদ্ধি করা ইত্যাদির জন্য কিছু প্রাকৃতিক খাবার অবশ্যই আছে। (নিচের জবাবটি দেখুন) ৃ স্বাস্থ্যকর খাওয়া, ভালো জীবন যাপন আপনার যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখবে। লাল মাংস, ডিম, সবুজ শাকসবজি, ডার্ক চকলেট ইত্যাদি খাবারের সুনাম তো আছেই। সাথে যৌন শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য আদর্শ মনে করা হয় ঝিনুককেও। ফলের মাঝে স্ট্রবেরী, কলা, তরমুজ উপকারী। এছাড়াও নানান রকমের বাদাম (কুমড়োর বীজ, সূর্যমূখীর বীজ, চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম) , দুধ ও চিনি ছাড়া চা এবং রসুন প্রতিদিন সেব করলে যৌন শক্তি বাড়ে ও যৌন ক্ষমতা ভালো থাকে।


শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি পূরণে আমরা প্রতিদিনই অনেক ধরনের খাবার খেয়ে থাকি কিন্তু সবাই জানি কি কোন ধরনের খাবার আমাদের সেক্স বাড়াতে সক্ষম? সাধারণত খাবারে ভিটামিন এবং মিনারেলের ভারসাম্য ঠিক থাকলে শরীরে এন্ড্রোক্রাইন সিস্টেম সক্রিয় থাকে। আর তা আপনার শরীরে এস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরনের তৈরি হওয়া নিয়ন্ত্রণ করে। এস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরন সেক্সের ইচ্ছা এবং পারফরমেন্সের জন্য জরুরি। আপনি যৌন মিলনের মুডে আছেন কিনা তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে আপনার খাদ্য। আসুন জেনে নিই এমন কয়েকটি দৈনন্দিন খাদ্য সম্পর্কে যা আপনার শরীরে সেক্স পাওয়ার বাড়ায় বহুগুণ।


দুধ :

বেশি পরিমাণ প্রাণিজ-ফ্যাট আছে এ ধরনের প্রাকৃতিক খাদ্য আপনার যৌনজীবনের উন্নতি ঘটায়। যেমন, খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি। বেশিরভাগ মানুষই ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে চায়। কিন্তু আপনি যদি শরীরে সেক্স হরমোন তৈরি হওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবারের দরকার। তবে সগুলিকে হতে হবে প্রাকৃতিক এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট।


ঝিনুক :

আপনার যৌনজীবন আনন্দময় করে তুলতে ঝিনুক খাদ্য হিসেবে খুবই কার্যকরী। ঝিনুকে খুব বেশি পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। জিঙ্ক শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং লিবিডো বা যৌন-ইচ্ছা বাড়ায়। ঝিনুক কাঁচা বা রান্না করে যে অবস্থাতেই খাওয়া হোক, ঝিনুক যৌনজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।


অ্যাসপারাগাস :

আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়াতে চাইলে যেসব প্রাকৃতিক খাবার শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে সেগুলি খাওয়া উচিত। যৌনতার ক্ষেত্রে সবসময় ফিট থাকতে চাইলে অ্যাসপারাগাস খেতে শুরু করুন।


কলিজা :

অনেকেই কলিজা খেতে একদম পছন্দ করে না। কিন্তু আপনার যৌন জীবনে খাদ্য হিসেবে কলিজার প্রভাব ইতিবাচক। কারণ, কলিজায় প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। আর এই জিঙ্ক শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বেশি পরিমাণে রাখে। যথেষ্ট পরিমাণ জিঙ্ক শরীরে না থাকলে পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসৃত হয় না। পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে যে হরমোন নিঃসৃত হয় তা টেস্টোস্টেরন তৈরি হওয়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া জিঙ্ক এর কারণে আরোমেটেস এনজাইম নিঃসৃত হয়। এই এনজাইমটি অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরোনকে এস্ট্রোজেনে পরিণত হতে সাহায্য করে। এস্ট্রোজেনও আপনার যৌনতার জন্য প্রয়োজনীয় একটি হরমোন।


ডিম :

ডিম সেদ্ধ হোক কিংবা ভাজি, সব ভাবেই ডিম যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৫ ও বি-৬ আছে যা শরীরের হরমোনের কার্যক্রম ঠিক রাখে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের সকালের নাস্তায় একটি করে ডিম রাখুন। এতে আপনার শরীর শক্তি পাবে এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।


রঙিন ফল

যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙিন ফলমূল রাখুন। আঙ্গুর, কমলা লেবু, তরমুজ, পিচ ইত্যাদি ফল যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী। ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের মেডিকেল টিমের গবেষণা অনুযায়ী একজন পুরুষের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অন্তত ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকলে তার স্পার্মের কোয়ালিটি উন্নত হয়। আবার টেক্সাসের অ্গ ইউনিভার্সিটির মতে তরমুজ শরীরে যৌন উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে। তারা যৌন উদ্দীপক ওষুধ ভায়াগ্রার সাথে তরমুজের তুলনা করেছেন।


মিষ্টি আলু :

মিষ্টি আলু শুধু শর্করার ভালো বিকল্পই না, মিষ্টি আলু খুব ভালো ধরনের একটি ‘সেক্স’ ফুড। আপনার শরীর কোনো সবজিতে বিটা-ক্যারোটিন পতা ভিটামিন-এ তে রূপান্তরিত করে। এই ভিটামিন-এ নারীদের যোনি এবং ইউটেরাসের আকার ভালো রাখে। তাছাড়া এটা সেক্স হরমোন তৈরিতেও সহায়তা করে।


কফি :

কফি আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়ানোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা আপনার যৌনতার মুড ঠিক রাখে।

ডার্ক চকোলেট


ডার্ক চকোলেটে আছে ফেনিলেথ্যালামাইন নামক একটি উপাদান যা শরীরে বাড়তি যৌন উদ্দীপনা তৈরী করে। গবেষণায় জানা গেছে যে ডার্ক চকোলেট খেলে সঙ্গীর প্রতি আকর্ষণবোধও বেড়ে যায়। এছাড়াও ডার্ক চকোলেটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। তাই প্রতিদিন শতকরা ৭০ ভাগ কোকোযুক্ত ডার্ক চকোলেটের ২ ইঞ্চির একটি টুকরো খেয়ে নিন। মাত্র ১০০ ক্যালরী আছে এই আকৃতির একটি টুকরোতে যা আপনার যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।


ট্রাফল (এক ধরনের ছত্রাক) :

ট্রাফলে পুরুষের যৌন হরমোনের মত একধরনের উপাদান থাকে। কিছু কিছু খাবারে ট্রাফলের এই বিশেষ কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। যার ফলে, নারীদের পুরুষের প্রতি লিবিডো বা যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়। যেমন ম্যাশড পটেটোতে ট্রাফলের ব্যবহার করা হয়।


জয়ফল :

ভারতীয় গবেষকদের মতে, জয়ফল থেকে এক ধরনের কামোদ্দীপক যৌগ নিঃসৃত হয়। সাধারণভাবে এই যৌগটি স্নায়ুর কোষ উদ্দীপিত করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে আপনার যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি পায়। আপনি কফির সাথে মিশিয়ে জয়ফল খেতে পারেন, তাহলে দুইটির কাজ একত্রে পাওয়া সম্ভব।


তৈলাক্ত মাছ

তৈলাক্ত মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সামুদ্রিক মাছেও প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড উঐঅ ঙ ঊচঅ শরীরে ডোপামিন বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কে উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলে। তৈলাক্ত ও সামুদ্রিক মাছ খেলে শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং গ্রোথ হরমোনের নিঃসরন হয়। ফলে যৌন স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।


গরুর মাংস :

কলিজার মত গরুর মাংসেও প্রচুর জিঙ্ক থাকে। তাই আপনি যৌন জীবনকে আরো আনন্দময় করতে কম ফ্যাটযুক্ত গরুর মাংস খান। যেমন গরুর কাঁধের মাংসে, রানের মাংসে কম ফ্যাট থাকে এবং জিঙ্ক বেশি থাকে। এইসব জায়গার মাংসে প্রতি ১০০ গ্রামে ১০ মিলিগ্রাম জিঙ্ক থাকে।


অ্যাভোকাডো :

অ্যাভোকাডোকে এর আকৃতির কারণে একে নারী ফল হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। তবে শুধু এর আকৃতিই আকর্ষণীয় না, এতে প্রচুর ভিটামিন বি-সিক্স এবং পটাসিয়াম থাকে। এর ফলে এটা খেলে আপনার যৌন ইচ্ছা এবংযৌন সামর্থ্য বৃদ্ধি পায়। এই ফলের এই নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যটির কারণে একে স্প্যানিশ প্রিস্টরা নিষিদ্ধ করেছিল।


ওটমীল :

ওটমিলে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোস্ট্রোজেন থাকে। যেসব দানাজাতীয় শশ্যে আবরণ থাকে তাদের মধ্যে এই গুণটি রয়েছে। যেমন গম, চাল, রাই ইত্যাদি। ফাইটোস্ট্রজেন আপনার যৌন জীবনের জন্য খুবই কার্যকরী।


পালং শাক ও অন্যান্য সবজি

পালং শাকে আছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম। ম্যাগনেসিয়াম শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। জাপানের গবেষকদের মতে শরীরে রক্ত চলাচল বাড়লে যৌন উদ্দীপনাও বাড়ে। পালং শাক ও অন্যান্য বিভিন্ন রকম শাক,ব্রকলি, লেটুস, ফুলকপি, বাঁধাকপি এগুলোতে রয়েছে ফলেট, ভিটামিন বি সহ অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিছু উপাদান।


বাদাম ও বিভিন্ন বীজ

কুমড়োর বীজ, সূর্যমূখীর বীজ, চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদিতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এবং এগুলো শরীরে উপকারী কোলেস্টেরল তৈরী করে। সেক্স হরমোন গুলো ঠিক মতো কাজ করার জন্য এই কোলেস্টেরল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই প্রতিদিন অল্প করে হলেও বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনার যৌন স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। শিমের বীচিতে প্রচুর ফাইটোস্ট্রোজেন থাকে। এটা আপনার যৌন ইচ্ছা এবং যৌন সামর্থ্য বাড়ায়। জাপানিরা যৌন ইচ্ছা বাড়ানোর জন্য খাবারে প্রচুর শিমের বীচি ব্যবহার করে থাকে। চীনা বাদামে প্রচুর জিঙ্ক থাকে। এই জিঙ্ক শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ায় এবং শক্তিশালী শুক্রাণু তৈরি করে। জিঙ্ক কম থাকলে শরীরে শতকরা ৩০ ভাগ কম বীর্য তৈরি হয়। যারা খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে কম জিঙ্ক গ্রহণ করে তাদের বীর্য এবং টেস্টোস্টেরনের ঘনত্ব দুটিই কমে যায়। ওটমিল এবং কুমড়ার বীচির মত সূর্যমুখীর বীজ হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে আপনার যৌন আকাঙ্ক্ষাও বাড়ে। সূর্যমূখীর বীজে যে তেল থাকে তা এই কাজটি করে। কুমড়ার বীচি জিঙ্ক-এর অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক উৎস। এই জিঙ্ক টেস্টোস্টেরোনের মাত্রা বাড়ায়। আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়ানোতে কুমড়ার বীচির কার্যকারিতা অনেক।


যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

শুক্রবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২২

  পুরুষদের ধাতু দুর্বল ও ধ্বজভঙ্গের হোমিওপ্যাথিক ঔষধ

পুরুষদের ধাতু দুর্বল ও ধ্বজভঙ্গের হোমিওপ্যাথিক ঔষধ


 পুরুষদের ধাতু দুর্বল ও ধ্বজভঙ্গের হোমিওপ্যাথিক ঔষধ

রোগ বিবরন : যৌবন কালে অস্বাভাবিক উপায়ে অত্যাধিক শুক্রক্ষয়, হস্তমৈথুন, ঘন ঘন স্বপ্ন দোষ, অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস, কোষ্টবদ্ধ, অর্শ, কৃমি প্রভূতি রোগে এই উৎপত্তি। তবে অতিরিক্ত শুক্র ক্ষয়ই ইহার মূল কারন। জননেন্দ্রিয় এতই দুর্বল হইয়া পড়ে যে, শুক্র ধারন ক্ষমতা কমিয়া যায়। বাহ্যে, প্রস্রাবে বসিয়া কোঁথ দিলে শুক্র বাহির হইয়া পড়ে। স্ত্রী লোকের সঙ্গে আলিঙ্গন, স্পর্শ, দর্শন কিংবা মনে মনে ভাবিলেও বীর্যপাত বেড় হয়। ইহাতে জননেন্দ্রিয় ছোট, ও বক্র হইয়া পড়ে। হ্রৎস্পন্দন মাথা ধরা, অকাল বার্ধক্য। ধ্বজভঙ্গ প্রভূতি রোগের আবির্ভাব হয়। তবে স্বরন রাখা উচিত অমিতাচার, হস্তমৈথুন, স্বপ্ন দোষ ইত্যাদি কারনে ধাতু দুর্বল্য রোগ অল্প সময়ে আরোগ্য হয় না। তাই কিছু অধিক দিন ঔষধ ব্যবহার করিতে হয়।



চিকিৎসা----

ক্যালিডিয়াম (Caladium) : বহু দিন পর্যন্ত স্বপ্ন দোষ হইতে হইতে পরিশেষে ধ্বজভঙ্গ, ঘুমের মধ্যে বার বার প্রবল লিঙ্গ উত্থান। ঘুম থেকে জাগিলে লিঙ্গ শিথিল হইয়া পড়ে। স্ত্রী সহবাসে ইচ্ছা অত্যন্ত প্রবল কিন্তু ক্ষমতাহীন। সহবাস কালে লিঙ্গ শক্ত হয় না। যদি ও সামান্য হয় অল্পতেই বীর্যপাত হইয়া যায়। এই সব ক্ষেত্রে ইহা অব্যর্থ।

লাইকোপিাডিয়াম (Lycopodium) : হস্তমৈথুন স্বপ্ন দোষ কিংবা অত্যাধিক স্ত্রী সহবাস জনিত ধ্বজভঙ্গ, স্ত্রী সহবারে ইচ্ছা প্রবল কিন্তু ক্ষমতাহীন, লিঙ্গ শিথিল, ছোট, স্ত্রী লইয়া সোহাগ আলিঙ্গন করিলেও লিঙ্গ উত্থান হয় না। যদিও কিছু হয় পরক্ষনেই শিথিল হইয়া পড়ে। ক্ষনস্থায়ী সহবাস, বৃদ্ধ বয়সে ধ্বজভঙ্গ পীড়ায় ইহা ব্যবহারে যথেষ্ট উপকার হইয়াছে।

সেলিনিয়ম (Selenium) : এই ঔষধটি শুক্র তারল্য বা ধ্বজভঙ্গ পীড়ায় সুনামের সহিত ব্যবহার হইতেছে। চলিতে ফিরিতে পায়খানায় বসিয়া কোঁথ দিলে বীর্যপাত হইয়া যায়। অসাড়ে রেতপাত হইয়া রোগী জীর্ণ শীর্ণ দুর্বল হইয়া পড়ে। চোখ, মুখ বসিয়া যায়।

কোনিয়াম  (Conium) : স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অত্যন্ত অধিক কিন্ত সহবাসে অক্ষম। স্ত্রী লোক দেখিলে, কাছে বসিলে, এমনকি মনে মনে ভাবিলেও বীর্যপাত হইয়া যায়। সহবাস কালে যদিও লিঙ্গ উত্থান হয়। সোহাগ আলিঙ্গনের সময় শিথিল হইয়া পড়ে। ইচ্ছা ও হয়, শক্তিও আছে, তবুও যাহারা অধিক দিন কাম রিপু দমন করিয়া রাখে তাহাদের ধ্বজভঙ্গ পীড়ায় কোনিয়াম অব্যর্থ মহোঔষধ।

এগনাস কাষ্ট (Agnus Castus): অবৈধভাবে বীর্যক্ষয় করিয়া কিংবা যাহারা বারংবার প্রমেহ রোগে আক্রান্ত হইয়া ধ্বজভঙ্গ পীড়ায় আক্রান্ত হইয়া পড়িয়াছে। স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অত্যন্ত প্রবল থাকা ও সত্বে ও ক্ষমতাহীন। আবার কাহারো সঙ্গম ইচ্ছা থাকেনা। লিঙ্গ শিথিল, ঠান্ডা, আকারে একবারে ছোট, বাঁকা এই ঔষধ তাহাদের জন্য অতি মূল্যবান।

এনাকার্ডিয়াম (Anacardium) : স্মরনশক্তিহীন রোগীদের বাহ্যি প্রস্রাব কালীন অথবা অন্য কোন প্রকারে বীর্যপাত হইয়া ধ্বজভঙ্গ পীড়া হইলে এনাকার্ডিয়াম অব্যর্থ।

এসিড ফস (Acid Phos) : যে সকল যুবক বয়স অপেক্ষা শীঘ্র শীঘ্র বাড়িয়া উঠে। অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস জনিত মাথা ঘুরে, স্মৃতি শক্তি-হ্রাস, লিঙ্গ শিথিল, স্ত্রী সহবাসের সময় অতি শীঘ্র বীর্যপাত হইয়া যায়। এসিড ফস তাদের পরম বন্ধু।

কার্বোনিয়ম সালফ (Corbonium Sulph) : জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে বীর্যস্খলন হইয়া ধ্বজভঙ্গ। লিঙ্গ আকারে ছোট স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা হয় না। যদিও সামান্য ইচ্ছা হয়, অল্প স্থায়ী মনে কষ্ট।

স্যালিক্স নায়গ্রা (Salix Nig):হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ বাহ্যে প্রস্রাবের সময় শুক্রস্খলন জনিত ধাতুর্বল্য স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা প্রবল, কিন্ত ক্ষমতাহীন রোগীদের উৎকৃষ্ট ঔষধ। সময় সময় কোমরে বেদনার জন্য চলিতে ফিরিতে কষ্ট হয়। অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা দমন করিতে ও ধাতুদুর্বল্যে এই ঔষধ উত্তম কার্যকারী।

ইয়োহিম্বিনাম (Yohimbinum) : ধাতু দুর্বল্য বা ধ্বজভঙ্গ রোগে এই ঔষধ সেবন করিলে অল্প দিনের মধ্যেই রতি শক্তি বৃদ্ধি পায়। অনিচ্ছা সত্ত্বে লিঙ্গ অত্থান ও ঘন ঘন প্রস্রাবের ব্যাধি দূর হয়।

টিটেনিয়ম Titanium): সঙ্গম শক্তির দুর্বলতা বশত স্ত্রী সহবাস কালীন অতি শীঘ্র বীর্যপাত হইয়া গেলে টিটানিয়াম একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ।

ইন্ডিয়াম (Indium): স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা কম, ক্ষমতাও কম, জননেন্দ্রিয় দুর্বলতা বশত সহবাসকালের সময় অতি শীঘ্র বীর্যপাত হইয়া যায়। মনে কোন সুখ পায় না।

নুপার লুটিয়া (Nuphar Lut) : কাম উত্তেজক কথায় কিংবা অল্প উত্তেজনায় অসাড়ে বীর্যপাত হইয়া যাহাদের ধ্বজভঙ্গ পীড়া হইয়াছে ও মল ত্যাগ কালীন অসাড়ে শুক্র স্খলন হইয়া, রমন ইচ্ছা কমিয়া গিয়াছে ইহা তাহাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

টার্নেরা (Turnera): ইহা শুক্র বর্ধক ঔষধ। যাহাদের পুরুষত্ব কমিয়া গিয়াছে। লিঙ্গ ভাল ভাবে উত্তেজিত হয় না। অথাৎ ধাতু দুর্বল্য পীড়ায় উক্ত ঔষধ নিয়মিত রূপে কিছু দিন পর সেবন করিলে উৎকৃষ্ট ফল পাওয়া যায়।

এভেনা স্যাট (Avena Sat) : হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ বা অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস জনিত শারীরিক দুর্বলতা ও ধ্বজভঙ্গ পীড়ায় ইহা ব্যবহার করিয়া যথেষ্ট উপকার পাইয়াছি।

উইদানিয়া (Withania) : ধাতু দুর্বল্য বা ধ্বজভঙ্গ পীড়ার উৎকৃষ্ট ঔষধ।

ফসফরাস (Phosphorus) : সুন্দর, লম্বা ছিপছিপে গড়ন, চালাক, তীক্ষ বৃদ্ধি, কোমল মন, সামান্য কারনে মনে ব্যথা। কোল কুঁজো, হাঁটিতে সামান্য নুয়ে চলে এই ধাতু রোগী হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ বা অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাসে বা অসাড়ে শক্রক্ষরন ইত্যাদি কারনে ধ্বজভঙ্গ। সঙ্গম ইচ্ছা খুব প্রবল কিন্তু ভালভাবে লিঙ্গ উত্থান হয় না। যদিও হয় সহবাস কালীন লিঙ্গ শিথিল হইয়া পরে। ইত্যাদি লক্ষনে ইহা অমোঘ।

ট্রিবিউলাস (Tribulus) : শরীরে যখন যৌবন আসিতে আরম্ভ করে কামকাতুরা হইয়া নিজ দেহের উপর অত্যচার শুরু স্বপ্ন দোষ বা অন্য কোন অবৈধ ভাবে শুক্রক্ষয় করিয়া জননেন্দ্রিয়ের দুর্বলতা আংশিক ধ্বজভঙ্গ পীড়ায় আক্রান্ত হয়। 

মসকাস (Moschus) : বহুমূত্র রোগী অত্যন্ত জীর্ণ হইয়া অকালে বৃদ্ধের মত হইয়া পড়ে, রমন ইচ্ছা প্রবল, কিন্ত ক্ষমতাহীন, লিঙ্গ উত্থান কিছু বীর্যপাত হইয়া যায়। বহুমূত্র রোগী ধ্বজভঙ্গ পীড়ায় মসকাম একটি উত্তম কার্যকারী ঔষধ।

মেডোরিনাম (Medorihium) : গনরিয়া রোগে আক্রান্ত হইয়া ইনেজেকশন দ্বারা চিকিৎসা করাইয়া গনরিয়া রোগ চাপা দেওয়ার ফলে ধ্বজভঙ্গ পীড়া হইলে প্রথমেই মেডোরিনাম দ্বারা চিকিৎসা আরম্ভ করিয়া পরে লক্ষনে অনুযায়ী অন্য ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা করিলে রোগী আরোগ্য হয়।

আপনি যদি এই রোগে আক্রান্ত হন তাহলে আপনার বিস্তারিত রোগ লক্ষন ম্যাসেজ দিয়ে জানান।


যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com