homeopathic (আরোগ্য হোমিও হল): বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

স্তন টিউমার ড্রপ NL - 17

স্তন টিউমার ড্রপ NL - 17



স্তন টিউমার ড্রপ NL - 17
Scrophularia Nodosa


রোগ লক্ষণ : রোগীর সব ধরনের অস্বভাবিক টিস্যু বৃদ্ধি পেতে থাকে। বিশেষ করে স্তন টিউমার, ক্যান্সার বা নন-ক্যান্সার টিসু, এপিথেলিয়াল টিস্যু হতে উদ্ভুত ভাবে ছড়িয়ে পড়ে ক্যান্সার। ব্যাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গ প্রভাবিত করা টিস্যু বৃদ্ধি । অসাধরণ অস্বাভাবিক এপিথিলিয়াল টিস্যু বৃদ্ধি পেতে থাকে।

বিশেষ রোগ লক্ষণ :  স্তন টিউমার। স্তনে ধীরে ধীরে টিউমারে পরিণত হওয়া নন-ক্যান্সার প্রকৃতির টিস্যু বৃদ্ধি পেতে থাকে। ক্যান্সার প্রবণতা সহ পাকস্থলির আলসার থাকে। এপিথেলিয়াল এবং শক্ত ফাইব্রাস ক্যান্সার প্রকৃতির ধীরগতির টিউমার (Scirrhous tumour)  গ্রস্থি বৃদ্ধিতে শক্তিশালী ঔষধ।

উপাদান :  স্ক্রুফুলায়িা নোডোসা ( Scrophularia Nodosa), Naja Tripudians, Acidum Lacticum  এবং অন্যার‌্য সহায়ক উপদান  হোমিওপ্যাথিক ঔষধ।




সেবন বিধি : সাধারণত ১০ থেকে ১৫ ফোঁটা ঔষধ একঢোক পরিমান পানিতে মিশিয়ে কয়েকবার ঝাঁকি দিয়ে ২০ ফোঁটা ঔষধ খাবারের আগে প্রতিদিন ৩ বার সেবন করতে হবে। উন্নতি হলে দিনে এক থেকে দুই বার খেতে হবে। আর যদি ক্যান্সার সন্দেহ হয় তবে  প্রতিদিন একঢোক  পরিমান পানিতে মিশিয়ে দিনে ৩ বার ঔষধ সেন করতে হবে।  উন্নতি পরিলক্ষিত হলে ধীরে ধীরে ডোজ কমিয়ে এবং বেশ কয়েক মাস ধরে সেবন চালিয়ে যেতে হবে।

ঈার্শ্ব প্রতিক্রিয়া : এই ঔষধে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাই। তার পরেও যদি ঔষধ সেবন করার পর যেকোন বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সাবধানতা : শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। অতিরিক্ত ডোজ পরিহার করুন। শুধুমাত্র হোমিওপ্যাথিক রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুন।  গর্ভবস্থায় শুধুমাত্র রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরমর্শে সেবন করতে হবে। প্রতিবার ঔষধ পানিতে মিশিয়ে ঝাঁকি দিয়ে সেবন করতে হবে।


চিকিৎসা সার্থে যোগাযোগ করুন-


আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত -১৯৬২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

অনিয়মিত ঋতু স্রাবের ড্রপ NL -10

অনিয়মিত ঋতু স্রাবের ড্রপ NL -10



অনিয়মিত ঋতু স্রাবের ড্রপ


NL -10
সেপিয়া 

রোগ লক্ষণ : মহিলাদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব, মাকিকের সমস্যা। ঋতু ও রজোবন্ধজনিত সমস্যা (Climacteic Complaints/ Postmenopausalsyndrome).

শারীরিক দুর্বলতা, মানসিক অবসাদ। যোনিতে চুলকানি (Pruitus vulvae)  হরমোন এর প্রভাব ইত্যাদি লক্ষনে ব্যাবহার করা যাবে। 


ঔষধ তৈরি : সেপিয়া,  (Sepia), Acidum Solphuricm, Cimiclfuga, Sanguinaria,  এবং অন্যান্য সহায়ক উপদান দিয়ে হোমিওপ্যথিক ঔষধ।

সেবনবিধি : ১০ থেকে ১৫ ফোটা দিনে ৩ থেকে ৪ বার সমান্য পানি সহ অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যথিক চিকিৎসকের নির্দেশ অনুযায়ী সেবন করিতে হবে। 


পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : এই ঔষধে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় নাই। ঔষধ সেবন করার পর যে কোন বিরুপ প্রতিক্রিয়া হলে চিকিৎকের পরামর্শ নিন। 

সাবধানতা : শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

অতিরিক্ত ডোজ পরিহার করুণ। শুধু মাত্র রেজিষ্টার্ড চিকিৎকের পরামর্শে ঔষধ বেন করুণ। গর্ভবস্থায় ঔষধটি সেবন পরিহার করুণ। 

পরিবেশনা : ৩০ মিলি বোতল।



                                                     অনিয়মিত ঋতু স্রাব ড্রপ

চিকিৎসার্থে যোগাযোগ করুন-

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত -১৯৬২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২২

চর্মরোগে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

চর্মরোগে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা


চর্মরোগে  হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

  

আমাদের ত্বক বা চামড়া হল আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় ইন্দ্রিয়। ত্বক আমাদের বিভিন্ন রকম কেমিক্যাল, ক্ষতিকারক তরঙ্গ, রোগ জীবাণু থেকে আমাদের রক্ষা করে। আমাদের শরীরের আভ্যন্তরীণ তাপের সমতা বজায় রাখে। আবার ত্বক আমাদের শরীরের সবথেকে সংবেদনশীল অংশ।তাই আমাদের শরীরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারনে বিভিন্ন চর্মরোগ- চুলকানি,একজিমা,দাদ দেখা দেয়। সমীক্ষায় জানা গেছে যে , জনসংখ্যার প্রায় ২০% থেকে ৩০% লোক কোন না কোন চর্মরোগে আক্রান্ত। একমাত্র হোমিওপ্যাথি ওষুধই এই চর্মরোগের স্থায়ী প্রতিকার করতে পারে। এখানে বিভিন্ন প্রকার উপসর্গ অনুযায়ী চুলকানি,একজিমা,দাদের হোমিও চিকিৎসা-এর (Homeopathic medicine for skin disease বিবরণ দেওয়া হল।

চর্মরোগ – চুলকানি,একজিমা,দাদের হোমিও চিকিৎসা

চর্ম রোগের হোমিও ঔষধ (চুলকানি,একজিমা)

খোস, প্যাঁচড়ায় অত্যন্ত চুলকানি, ঠোঁট ও অন্য স্থানে ফাটা ক্ষত, পুরাতন দাদ – Anthrakokali 200 |

চামড়ায় টোপতলা ফোস্কার মতো উদ্ভেদ। পায়ে কড়া, ক্ষত, পায়ের তলা ফাটা   Antim Crud 30 |

চামড়ায় আঁচিলের মতো বা ফোস্কার মতো উদ্ভেদ। ঘারে,মুখে,পিঠে, হাতে, বুকে উদ্ভেদ বেরোয় ও চুলকায়  Antim Crud 30 |

খোস, প্যাঁচড়া প্রতি বছর শীতকালে দেখা যায়  – Aloe Soc 30 |

  

হাতের চেটোয়, হাতে ও আঙ্গুলে চুলকানি – Anagallis 30 |

কপালে ও মাথায় বেশি উদ্ভেদ, খোস প্যাঁচড়ায় অত্যন্ত দুর্গন্ধ –  Arsenic Alb 6 |

গরমকালে শরীরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্ভেদ, রোগী বেশ দুর্বল ও শীর্ণকায়, হাত পা ফাটা, গায়ের চামড়া কোঁচকান, নখ কুঁচকে ছোটো হয়ে যায়,নখে ক্ষত ও জ্বালা, অণ্ডকোষ ও লিঙ্গে চুলকানি – Sarsaparilla 30 |

হাতের চেটোর উল্টো পৃষ্টে একজিমা, চামড়া মোটা হয়,ফাটে, আঙ্গুলের চামড়া মোটা হয়, মুখে, কানের পেছনে, চোখের পাতায়, জননেন্দ্রিয়ে ফুস্কুড়ি কিংবা ঘায়ের মতো উদ্ভেদ,তা থেকে মধুর মতো চটচটে রস নিঃসরণ। উদ্ভেদ্গুলি মাছের আঁশের পদার্থ দিয়ে ঢাকা  – Graphites 200 । ওপরের এৎধঢ়যরঃবং এর মতো লক্ষণ তবে উদ্ভেদ গুলি শীতকালে বৃদ্ধি পায় ও গরমকালে আপনাতেই কমে যায়  – Petroleum 30|

  

চর্মরোগে অত্যন্ত চুলকানি,রক্ত পড়ে, জ্বালা করে ও তার জন্যে অনিদ্রা  – Coffea Crud 200 |

উদ্ভেদ প্রথমে ফোস্কার মতো,পরে পাকে, চুলকানি জলে ও ঠাণ্ডায় বাড়ে  – Croton Tig 200 |

আরও পড়ুনঃ শারীরিক দুর্বলতা ও যৌন সমস্যার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

চামড়ায় কোন প্রকার উদ্ভেদ নেই অথচ ভয়ানক চুলকানি  – Dolichos 30 |

চামড়া লালবর্ণ বা চামড়ায় লাল ডোরাডোরা দাগ । ঘামাচির মতো লালবর্ণের ফুস্কুড়ি ও তাতে অধিক চুলকানি  – Comocladia 30 |

সন্ধিস্থলে ও চামড়ার ভাঁজে রসপূর্ণ উদ্ভেদ ও তাতে অত্যন্ত দুর্গন্ধ ও চুলকানি। গায়ে সামান্য আঁচড় লাগলেই পাকে ও পুঁজ হয়  – Hepar Sulph 200 |

একজিমায় সর্বদা রস ও পুঁজ ঝরে,মামড়ি পড়ে,তাতে চুল জড়ে যায়। দাঁড়িতে একজিমা, কনুইয়ের নীচে, হাঁটুর নীচে ও অণ্ডকোষের একজিমায় এটা খুব উপকারী, জল লাগলে চুলকানি বাড়ে – Nat Mur 200 |মাথায় একজিমা,মামড়ি পড়ে,দুর্গন্ধ, উদ্ভেদ ক্রমশ মাথা হতে নিচের দিকে নামে  – Calcarea Carb 30 |

ঘাড়ে ও মাথার পেছনের অংশে ইরাপ্সান,খুব চুলকায়, রস পড়ে,ক্ষত হয়। হাতে একজিমা, শুক্লপক্ষে বাড়ে ও কৃষ্ণপক্ষে কমে  – Clematis Erecta 30 |

আরও পড়ুনঃ চুল সম্বন্ধীয় রোগের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

  

মাথায় ও কানের পেছনে উদ্ভেদ তাতে রস ঝরে ও খুব চুলকায়,রক্ত পড়ে, পোকা জন্মায়  – Oleander 30 |

গায়ের চামড়া দেখতে খুব কদাকার , গায়ে এতো দুর্গন্ধ যে স্নান করলেও গন্ধ যায় না। শরীর একটু গরম হলেই চুলকায়, রক্ত বেরোয় ও নানা রকমের উদ্ভেদ – Psorinum 200 |

চর্মরোগে অত্যন্ত চুলকানি, চুলকানোর সময় মহাসুখ, পরে ভীষণ জ্বালা। গায়ের চামড়া দেখতে খুব কদাকার,অপরিস্কার। চুলকানি রাতে, গরমে ও স্নানে বাড়ে  Sulpher 6|

আরও পড়ুনঃ অর্শের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

কাপড় খুললেই চুলকানি,আঁশের মতো শল্ক ওঠে, পুরাতন একজিমা – গরমে,চললে, কাপড় খুললে বাড়ে, সোরাসিস  – Kali Ars 30 |

স্ত্রী জননেন্দ্রিয়ে ছোটো ছোটো ফুস্কুড়ি ও তাতে অসহনীয় চুলকানি  – Sepia 200 |

যোনিতে ভীষণ চুলকানি, স্ত্রীলোকের প্রুরাইটিস, নাকের মধ্যে দানাদানা উদ্ভেদ নির্গমন ও চুলকানি – Fagopyrum 200 |

পুরুষ জননেন্দ্রিয়ে প্রুরাইটিস , অত্যন্ত চুলকানি, লিঙ্গমনি লালবর্ণ হয়ে ওঠে,অণ্ডকোষের চামড়া শক্ত, পুরু ও মোটা হয় – Caladium Segu 30 |

খোস , প্যাঁচড়া, চুলকানি এবং পারদ ও উপদংশজনিত চর্মরোগের উৎকৃষ্ট ওষুধ  – Echinacea Q |

আমবাতে ভয়ানক চুলকানি, জ্বালা ও কাঁটাবেঁধার মতো বেদনা থাকে,রোগি ক্রমাগত হাত বোলায়। হাতের, মুখের, বুকের চামড়া ফোলে, গরম হয়, ফুস্কুড়ি বেরোয়। ঘুমালে ফুস্কুড়ি মিলিয়ে যায় কিন্তু বিছানা থেকে উঠলে আবার বেরোয় – Urtica Urens 200|

হাতে ও পায়ের তালুতে ফোস্ক্,া সামান্য আঘাতে ক্ষত হয়,পাকে,মুখে ও গলায় ক্ষত হয়ে ছিদ্র হয়ে যায়, স্তনে কান্সারের মতো ক্ষত – Bufo Rana 200 |

খোস,প্যাঁচড়া,দাদ, সোরাসিস ও নিম্নাঙ্গের একজিমা   Acid Chryso 30 |

দাদের হোমিও চিকিৎসা

দাদ, তাতে খুব চুলকানি ও জ্বালা,একজিমায় পুরু হলদে-সাদা মামড়ি, তার ভেতরে ঘন হলদে পুঁজ। কোনও চর্মরোগে খুব চুলকানি, রাতে ও বিছানায় শুলে চুলকানি বাড়ে , চুলকানির পর খুব জ্বালা  – – Mezereum 30।

দাদ, মুখে দাদ, শরীরের নিম্নাঙ্গে দাদ, এছাড়াও শরীরের সমস্ত স্থানে দাদ হলে  – Tellurium 30  ।

শীতকালে গায়ে দাদের মতো উদ্ভেদ, চর্মরোগ সহ কোষ্টকাঠিন্য, চামড়া শুকনো,খসখসে,অত্যন্ত চুলকানি,রক্ত না বেরানো পর্যন্ত চুলকায়  –– Alumina 200 |

ছত্রাক ঘটিত রোগ যেমন দাদ , খেলোয়াড়দের পায়ের আঙুলের মধ্যে সংক্রমণ , গলার রোগ , কানে ব্যাথা, কানে চুলকানি , মহিলাদের যোনিতে ছত্রাক ঘটিত সংক্রমণ ইত্যাদিতে জার্মানির উৎ.জবপশববিম কোম্পানির জ৮২ খুব ভালো ফল দেয়।



চিকিৎসার্থে যোগাযোগ করুন-

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

সোমবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২২

 মেয়েদের মুখে  গোঁফ-দাড়ি গজানোর কারণ

মেয়েদের মুখে গোঁফ-দাড়ি গজানোর কারণ

 

 মেয়েদের মুখে  গোঁফ-দাড়ি গজানোর কারণ কি?

হরমোন মানব শরীরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  হরমোনের নানাবিধ সমস্যার কারণে শরীরে সৃষ্টি হতে পারে অনেক রোগ।  পুরুষ ও নারী হওয়া হরমোনের মাধ্যমেই সণাক্ত হয়। সঠিক সময়ে হরমোনের চিকিৎসা করানো গেলে সুস্থ হওয়া সম্ভব।  


পুরুষের মতো অনেক মেয়ের মুখেও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি লোম দেখা যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ অবস্থাকে হিরসুটিজম বলা হয়। যেকোনো বয়সের মহিলাদের বেলায়ই ব্যাপারটি অত্যন্ত বিরক্তিকর। বিশেষ করে তরুণী বা কম বয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে তা হয় মহা বিরক্তিকর।


সাধারণভাবে নারীদের মুখে অতিরিক্ত গোঁফ-দাড়ি হওয়াকে কোনো-না-কোনো রোগের লক্ষণ বলে ধরে নেয়া হয়। তবে অনেক সময় কোনো রোগ ছাড়াও মহিলাদের মুখে সামান্য লোম থাকতে পারে। বংশগত কারণেই এমনটি বেশি হয়ে থাকে। লোমের পরিমাণ অথবা প্রকৃতি বিভিন্নজনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের হতে পারে। 


ধরে নেয়া হয়, মহিলাদের শরীরে অ্যান্ড্রোজেন নামক হরমোনের আধিক্যই এ রোগের কারণ। এই এন্ড্রোজেন মূলত পুরুষ দেহে বিদ্যমান একটি হরমোন। তবে মহিলাদের শরীরেও এ হরমোন অল্পমাত্রায় বিদ্যমান থাকে।

কোনো কারণে যদি এ হরমোনের মাত্রা মহিলাদের শরীরে বেড়ে যায় তাহলে মহিলাদের শরীরে এ রকম অতিরিক্ত মাত্রায় গোঁফ-দাড়ি গজাতে থাকে। তা ছাড়া শরীরে এন্ড্রোজেন জাতীয় হরমোনের কার্যক্ষমতাকে কমিয়ে দিতে পারে বা বিরত রাখতে পারে এমন প্রোটিনজাতীয় একটি পদার্থের স্বল্পতার কারণেও এ রকম অবস্থায় সৃষ্টি হতে পারে।

এ ব্যাপারে হরমোন, ডায়াবেটিস ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. সুলতানা মারুফা শেফিন বলেন, মেয়েদের মুখে দাড়ি হওয়া হরমোনজনিত সমস্যা। ছেলেদের মুখে সময়মতো দাড়ি না ওঠাও আরেকটি হরমোনগত সমস্যা।


এই প্রোটিনের সঠিক মাত্রা আমাদের দেশে খুব সহজেই এখন ল্যাবরেটরিতে নির্ণয় করা যায়। মানুষের শরীরে অনেক গ্রন্থি থাকলেও এর জন্য মূলত দু’টি গ্রন্থিকেই দায়ী করা হয়। তার একটি হলো এডরিনাল নামক গ্রন্থি, যা কিনা কিডনির উপরিভাগে অবস্থিত থাকে।

আরেকটি হলো নারীর দেহের ডিম্বাশয় বা ওভারি। এই দু’টি গ্রন্থির কোনো রোগের কারণেই সাধারণত এ রকম অতিরিক্ত লোম গজিয়ে থাকে।

টঝএ করালে সাধারণত মেয়েদের অনেকের ক্ষেত্রে ওভারিয়ান সিস্ট থাকতে দেখা যায়। এটি তেমন জটিল কিছু নয় এবং সঠিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সহজেই এটি আরোগ্য হয়।

তবে সমস্যা হয় যখন এটি পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ এ রুপান্তরিত হয়ে যায়। তখন গর্ভধারণ এ সমস্যা হয়।



পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রমে যে সিম্পটমস গুলো দেখা যায়ঃ

১) সাধারণত অনিয়মিত মাসিক দেখা যায়।

২) মাসিকের সময় প্রচন্ড পেটে ব্যথা হয়। 

৩) মুখে অবাঞ্ছিত দাড়ি গোঁফ গজাতে দেখা যায়।

এর ভেতরে অন্তত দুটি সিমটম্স ও যদি কারো ক্ষেত্রে পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে চঈঙউ এর সম্ভাবনা অধিক। আল্ট্রাসনোগ্রাম করে অবশ্যই এটি নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।

হোমিওপ্যাথিক  চিকিৎসা আছে। তবে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ক্লাসিক্যাল হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা করালে ভালো হয়।


যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত - ১৯৬২ ইং

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com




সোমবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২২

নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়

নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়

 নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায়  যা করণীয় 

নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায়  যা করণীয় 

নারী মানেই স্নেহ, ভালবাসা। কাছের মানুষ-গুলোর প্রতি যতœ, আদর আর মায়া। সাংসারিক হাজারটা দায়িত্বের মাধ্যমে সবাইকে আগলে রাখা। তবে আজকালকার দিনে এই ধারণা কিন্তু অনেকটাই বদলে গিয়েছে। এখন বাঙালী নারী আর চার-দেয়ালে সীমাবদ্ধ নেই। ঘরের সীমানা পেড়িয়ে তাঁরা আজ সাফল্যের সিঁড়ি-গুলো বেয়ে উঠে যাচ্ছে সাবলীল-ভাবে, শত বাধা-বিপত্তি ভেঙে দিয়ে। 

তবুও এখনো অনেক নারী-ই নিজেদের ব্যাপারে কিছুটা উদাসীন। প্রতিদিনের অফিস-বাসার কতশত কাজের মাঝে হয়তো সময়ই করে উঠতে পারেন না। দিনে দিনে পুরো ব্যাপারটা মন থেকে বলতে গেলে হারিয়েই যায়।


যে বিষয় গুলো আলোচনা করা হয়েছে

নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কি করণীয়

সঠিক ও পরিমিত খাদ্যাভ্যাস

নিয়মিত শরীরচর্চা

পরিমিত বিশ্রাম

ভিন্ন কিছু করা

দৈনন্দিন ব্যস্ততা থাকবেই। নারী হিসেবে তাঁদের দায়িত্বগুলো পালন করে যেতে হবে। এই ব্যাপারে হয়তো কোন বিতর্কের সুযোগ নেই। কিন্তু পাশাপাশি তাঁদের নিজেদের যতেœর দিকেও খেয়াল রাখাটা সমান, কখনোবা হয়তো একটু বেশিই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সবার যতেœর পাশাপাশি নিজের ও যতœ নেয়া চাই । শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য প্রতিদিন একজন নারী নিজের যতেœ কি কি করতে পারেন, চলুন জেনে নিই ।



১. সঠিক ও পরিমিত খাদ্যাভ্যাসঃ

রুটিন-মাফিক, পরিমিত খাদ্যাভ্যাস ই মূলত শারীরিক, তথা মানসিক সুস্থতার সবচেয়ে বড় নিয়ামক। বয়সের সাথে সাথে বিভিন্ন হরমোন-জনিত কারণে মেয়েদের একটু মোটা হয়ে যাবার ধাঁচ থাকে। পরবর্তীতে শরীর ভারী হয়ে যাবার জন্য নানাবিধ শারীরিক জটিলতা দেখা যায়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস থাকলে সহজেই এড়িয়ে যাওয়া যায় এই ভারী হয়ে যাবার প্রবণতা ।

খাবার নির্বাচন করার সময় হাই-প্রোটিন ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে খাদ্য-তালিকায় ভেজিটেবল, ফল-সহ পুষ্টিকর খাবার বেছে নিন। যেমন, গরু বা খাসির মাংসের বদলে বেছে নিতে পারেন সয়াবিন বড়ি, পালং শাক , পটল বা উচ্ছে । প্রথম প্রথম একটু কঠিন মনে হলেও পুরো ব্যাপারটিই আসলে অভ্যাসের উপর নির্ভরশীল। একবার অভ্যাস হয়ে গেলে পুরো ব্যপারটিই হয়ে ওঠে আসলেই সহজ। 

সঠিক খাদ্যতালিকা নির্বাচন এর পাশাপাশি সঠিক সময়ে খাচ্ছেন কি না সেটি ও সমান গুরুত্বপূর্ণ । অনেক সময়ই দেখা যায়, সকালের ব্যস্ততায় অনেক নারীই ঠিক মতো ব্রেকফাস্ট না করেই কাজে চলে যাচ্ছেন। আবার হয়তো সময় মতো লাঞ্চ করছেন না। এটা একেবারেই ঠিক নয়। তাই একটু সচেষ্ট হয়ে রুটিন-মাফিক খাওয়ায়া-দাওয়া করলে নিজের যতœ অনেকাংশেই নিশ্চিত করা যায়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, যেটা অনেক সময়ই নারীরা খেয়াল করেন না, তা হলো পর্যাপ্ত পানি পান করা। এ ব্যাপারেও একটু খেয়াল করলেই সুস্থতা অনেকটাই নিশ্চিত করা যায়।


২. নিয়মিত শরীরচর্চাঃ

প্রতিদিন কমপক্ষে এক ঘন্টা হালকা এক্সারসাইজ অথবা মেডিটেশন সত্যিই শরীর ও মন, দুটোই নিমিষেই করে ফেলতে পারে চাঙা। এক্সারসাইজ বলতে একেবারেই জিম-এ গিয়ে হেভি ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করে শরীরচর্চা করতে হবে এমনটি কিন্তু নয়।

প্রতিদিন ভোরবেলা কানে হেডফোন লাগিয়ে নিয়ে নিজের পছন্দের গান শুনতে শুনতে একটানা কোন পার্ক অথবা নিদেনপক্ষে ঘরের ভেতরেই হেঁটে বেড়ালেই শরীর অনেকটাই ফিট রাখা সম্ভব। প্রতিদিন এক্সারসাইজ-এর জন্য হার্ট-রেট বজায় থাকবে, শরীরের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়াও স্বাভাবিক থাকবে। যার এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী। পরবর্তীতে এজিং-এর মতো ভাবনাদায়ক বিষয়গুলো খুব সহজেই শুধুমাত্র একটিভ লাইফস্টাইল এবং এক্সারসাইজ-এর মাধ্যমেই এড়িয়ে যাওয়া যায়।

বর্তমানে অনেক নারীকেই মেডিটেশন করার ব্যাপারে উৎসাহী হতে দেখা যাচ্ছে। ভাবনায় আটকে না থেকে শুরু করে দেয়াই ভালো। আর মেডিটেশন যদি নাও শুরু করা হয়, তবে দেহ-মনের আড়ষ্টতা দূর করতে বডি ম্যাসাজ-ও বেশ কার্যকরী । 


৩. পরিমিত বিশ্রামঃ

পর্যাপ্ত ও শান্তির ঘুম না হলে মানসিক প্রশান্তি আসবে না। স্বাভাবিকভাবেই দায়িত্বের চাপে চলে আসে অতিরিক্ত টেনশন। পরিমাণমতো ঘুমালে অনেকখানিই কমে যায় টেনশন । কিন্তু শুধু পর্যাপ্ত ঘুম নয়, প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিশ্রামেরও। এক্ষেত্রে রুটিন-মাফিক বেশি রাত না জেগে তাড়াতাড়ি বিছানায় চলে যাওয়া এবং খুব ভোরে দিন শুরু করলে শরীর ও মন দুটোই চাঙা রাখা সম্ভব। সকাল সকাল দিন শুরু করলে সারাদিনে কাজ শেষ করার সময়ও বেশি পাওয়া যায়। 


৪. ভিন্ন কিছু করাঃ

নৈমিত্তিক ব্যস্ততা থাকবেই সকল নারীর । কিন্তু এরপরও নিজেদের মনে আনন্দের খোরাকের জন্যই যদি মাঝে মাঝে কিছুটা সময় তাঁরা নিজেদের পছন্দ মতো কিছু একটা করা সত্যিই উচিত। সেটা হতে পারে বই পড়া, গান শোনা , গান করা বা মুভি দেখা বা যেটাই মন চায়, সেটাই করতে হবে । 

আমাদের অনেকেরই মা-খালারা কাঁথা সেলাই, রান্না ইত্যাদি কাজে বেশ পারদর্শী। তাঁদের এই শখটি ধরে রাখতে একটু উৎসাহ আমরা সবাই চাইলেই দিতে পারি। মনে রাখা জরুরি, জীবনটা শুধু দায়িত্ব পালনের জন্যই নয়- পাশাপাশি এনজয় করাটাও সবারই প্রাপ্য। বাড়ির ছাদে অথবা বারান্দায় একটি ছোট বাগানের পরিচর্যা করলেও মন অনেক ভালো থাকে।

 

শেষকথা, স্বাস্থ্যের প্রতি সবারই খেয়াল রাখা দরকার কিন্তু একজন নারীকে যেহেতু পরিবারের সবারই খেয়াল রাখতে হয়, সেহেতু তার স্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ রাখা সবচেয়ে জরুরী ।

ভালো লাগলে লাইক দিন, কমান্ড করুণ :

যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

রবিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২২

 ঋতুশূল বেদনা বা বাধক বেদনায় হোমিওপ্যাথিক চিকৎসা

ঋতুশূল বেদনা বা বাধক বেদনায় হোমিওপ্যাথিক চিকৎসা

 ঋতুশূল বা বাধক বেদনায় হোমিওপ্যাথিক চিকৎসা : 


 ঋতুশূল বা বাধক বেদনায় হোমিওপ্যাথিক চিকৎসা : 

কারণ – হিম ঠাণ্ডা লাগা, জরায়ুর প্রদাহ, ডিম্বকোষের পীড়া, কোষ্ঠবদ্ধতা, জরায়ুর গ্রীবার পথের সঙ্কোচন ও জরায়ুর নিঃসারক ধমনীতে রক্তাধিক্যতা প্রভৃতি কারণে কতুশূল বা বাধক বেদনা হইয়া থাকে ।

লক্ষণ—ইহাতে পৃষ্ঠদেশে, কোমরে, উরুদেশে, ডিম্বকোষে ও জরায়ুতে অত্যন্ত বেদনা থাকে এবং তলপেটে প্রসব বেদনার ন্যায় বেদনা অনুভব হয়। এই বেদনা ঋতুস্রাবের পূর্ব্বে বা ঋতুস্রাবের সময় আরম্ভ হয় ।

এবং দুই এক দিন কিম্বা ঋতুস্রাব যতদিন থাকে ততদিন থাকিয়া শেষে কমিয়া যায়। এতৎসহ মাথাধরা, বুক ধড়ফড়  করা, অল্প রক্তস্রাব প্রভৃতি লক্ষণ বিদ্যমান থাকে। বাধক রোগ বর্ত্তমান থাকিলে স্ত্রীলোকের সন্তান প্রায়ই হয় না।



চিকিৎসা

অ্যাকোনাইট (Aconit) : ৩০,২০০:— মানসিক উত্তেজনা হইতে অথবা হঠাৎ ভয় পাইয়া ঋতু বন্ধ হইয়া কিংবা অল্প পরিমাণ ঋতুর সঙ্গে যদি তলপেটে ও কোমরে তীব্র বেদনা এবং আনুসঙ্গিক উপসর্গ উপস্থিত হয়, তবেই অ্যাকোনাইট বিশেষ উপযোগিতার সহিত ব্যবহৃত হইয়া থাকে।

এপিস মেলিফিকা (Apis Mel)  : ৩০, ২০০:– ডানদিকের ডিম্বাশয়ে হুলবিদ্ধবৎ বেদনা, রোগিণীর ক্রন্দনপ্রবণতা, না কাঁদিয়া থাকিতে পারে না। প্রস্রাবের স্বল্পতাসহ হস্তপদে এবং মুখমন্ডলে শোথ। রক্তহীনতা। খুব অল্প পরিমাণ লালবর্ণের গাঢ় প্রস্রাব এবং উহা ত্যাগকালে জ্বালা।

অ্যামোন-কার্ব ( Ammonium Car)  : ৩০, ২০০:– বাধকে তীব্র বেদনা এবং ক্ষুধামান্দ্য। ঋতুশোণিত কালো চাপচাপ, তীব্র বেদনার সঙ্গে নির্গত হয়। রজঃস্রাবের পূর্বেই পেটে বেদনা, যথাসময়ের অনেক পূর্বে ঋতু হয়। ঋতুসময়ে কলেরার ন্যায় লক্ষণ প্রকাশ পায় দাঁত ককনানি, শীতশীতভাব, সর্বদা আড়ামোড়া খাওয়া, বিষণ্ণতা।

বেলাডোনা (Belladonna) : ৩০, ২০০:—পেটে ভয়ানক টাটানি ব্যথা, প্রসববেদনার ন্যায় বেদনা। মনে হয় যেন যোনিপথ দিয়া সমস্ত বাহির হইয়া যাইবে৷ ঋতুশোণিত কতকটা তরল, কতকটা চাপচাপ । অত্যন্ত যন্ত্রণা এবং উত্তেজনাসহ বাধক বেদনায় বেলাডোনা বিশেষ উপযোগী।

কোমরে এবং সমস্ত পেটে বেদনা, যেন টাটিয়ে থাকে, উহাতে হাত দেওয়া যায় না। মাথাধরা, মুখমন্ডল আরক্তিম। রক্তাধিক্য লক্ষণযুক্ত বাধকবেদনায় বিশেষ উপযোগী। রক্তপ্রধান ধাতুবিশিষ্ট যুবতীদের ব্যাধি।

বোরাক্স (Borax) : ৩০,২০০:– ঝিল্লীযুক্ত বাধকে ইহা বিশেষ উপযোগিতার সর্হিত ব্যবহৃত হয়। তীব্র বেদনাসহ শীঘ্র শীঘ্র প্রচুর পরিমাণ ঋতুস্রাব হয় । অন্ডলালের ন্যায় শ্বেতপ্রদর, উহাঁ নির্গত হইবার সময়ে মনে হয় যেন যোনিদ্বার দিয়া গরম জল বাহির হইতেছে। বমন বা বমনেচ্ছাসহ পাকাশয়ে বেদনা।

ব্রায়োনিয়া (Bryonia) ৩০,২০০:– ঋতুকালে স্তনে বেদনা; নাসিকা হইতে রক্তস্রাব, ঋতুস্রাব শীঘ্র শীঘ্র এবং প্রচুর পরিমাণে হয়। ডিম্বাশয়ে বিশেষত ডানদিকের ডিম্বাশয়ে সূচিবিদ্ধবৎ বেদনা, জোরে নিঃশ্বাসের সঙ্গে বেশি করিয়া অনুভূত হয়। ডিম্বাশয় ছিঁড়িয়া যাওয়ার ন্যায় বেদনা, উরুদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।

ক্যাল্কেরিয়া কার্ব (Calcarea carb) : ৩০, ২০০:— গণ্ডমালা ধাতুবিশিষ্টা এবং মোটা থলথলে চেহারার  স্ত্রীলোকগণ যাহারা সামান্য কারণেই সর্দিকাশিতে ভুগিয়া থাকে, তাহাদের বাধকবেদনায় বিশেষ উপযোগী।

পদদ্বয়ের অত্যন্ত শীতলতা, মনে হয় ভিজা মোজা পায়ে দিয়া আছে। পুনঃপুনঃ ঋতুর প্রকাশ, পরিমাণে প্রচুর এবং বহুদিন স্থায়ী। শৈত্যভোগ অথবা অর্দ্রতাজনিত ঠাণ্ডাজলে স্নান করিয়া হঠাৎ ঋতু বন্ধ হইয়া প্রবল বেদনা উপস্থিত হয়।

ক্যামোমিলা (Chamomilla) ৩০,২০০:— অত্যন্ত খিট্খিটে মেজাজ, উগ্র স্নায়বিক প্রকৃতির যুবতীদের বাধকবেদনায় উপযোগিতার সহিত ব্যবহৃত হয়। অত্যন্ত বেদনা, রোগিণী সহ্য করিতে পারে না, আক্ষেপিক এবং প্রসববেদনার ন্যায় বেদনা;

বেদনা সামান্য হইলেও রোগিণীর কাছে অসহ্য বোধ হয়। বেদনার সঙ্গে অল্প পরিমাণ চাপচাপ ঋতুশোণিত নির্গত হয়, বেদনা অসহ্য হওয়ায় রোগিণী ক্রন্দন করে, কিছু জিজ্ঞাসা করিলে অভদ্রভাবে উত্তর দেয়।

সিমিসিফিউগা (Cimicifuga) : ৩০,২০০:– বাতরোগগ্রস্তা, স্নায়বিক প্রকৃতির স্ত্রীলোকগণের বাধকে বিশেষ হিতকর। কোমরে এবং পৃষ্ঠে বেদনা; ঋতু সময়ে কোরিয়া, মূর্ছা এবং মানসিক বিকৃতি। মানসিক অবসাদ, মন দুঃখপূর্ণ, মনে হয় বুঝি পাগল হইয়া যাইবে।

জরায়ুপ্রদেশে বেদনা, পেটের একদিক হইতে অন্যদিকে বিস্তৃত হয়। প্রসববেদনার ন্যায় বেদনা, মনে হয় যেন সমস্ত নাড়িভুঁড়ি যোনিপথ দিয়া বাহির হইয়া যাইতেছে। অনিয়মিত ঋতু কখনও অল্প, কখনও বেশি, কখনও সময়ে হয়, কখনও অসময়ে, সেই সঙ্গে পূর্বোক্তরূপ বেদনা।

কলোফাইলাম (Caulophyllum) : ৩০,২০০:– আক্ষেপিক বাধকে বিশেষ হিতকর কলোফাইলাম জ্ঞাপক প্রসববেদনার ন্যায় সেই প্রকৃতির বাধকেও ইহা উপযোগী। আক্ষেপিক বেদনা দেহের অন্যান্য অংশে যেমন ঊরুতে, বুকে, হাতে, পায়ে বিস্তৃত হয়।

কোমর হইতে পিউবিস পর্যন্ত, সবিরাম বেদনা  ইহার বিশেষত্ব। হাঁতে পায়ের আঙুলে বাতের বেদনা, বিশেষত সঞ্চরণশীল বেদনা  থাকিলে ইহা অধিকতর উপযোগিতার সহিত ব্যবহৃত হয়।

কলোসিন্থ (Colocynth) : ৩০,২০০:– কলোসিন্থ সকল প্রকার বেদনারই একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ এবং সকল প্রকার ।বাধকবেদনাতেই ইহা উপযোগিতার সহিত ব্যবহৃত হইয়া থাকে অত্যন্ত অসহ্য বেদনা, সেই বেদনার জন্য রোগিণী উপুড় হইয়া থাকে। পেটে বালিশ প্রভৃতি চাপ দিয়া শয়ন করে, ইহাতে সে আরাম পায় । 

উত্তাপ প্রয়োগেও বেদনার উপশম হয়, ক্রোধ অথবা বিরক্তির পরেই বেদনা ধরিলে ইহা আরও উপযোগিতার ‘সহিত ব্যবহৃত হইয়া থাকে। অত্যন্ত অধৈর্য ও উত্তেজিত স্বভাবের রোগিণী, কিছু জিজ্ঞাসা করিলে অসন্তুষ্ট হয়, রাগিয়া উঠে।

ককিউলাস (Cocculus) : ৩০,২০০: — তীব্র বেদনাসহ অতি শীঘ্র ঋতু দেখা দেয়; এত বেদনা, মনে হয় পেটের ভিতর দুইখানি ধারাল পাথর ঠোকাঠুকি করিতেছে । অত্যন্ত বমনেচ্ছা এবং বমন ও মানসিক অবসাদ। ঋতুরক্ত কালো কালো চাপ চাপ, ঋতুকালে অত্যন্ত দুর্বলতা, রোগিণী চলাফেরা করিতে পারে না। মাথাধরা এবং বমনেচ্ছা।

কফিয়া ক্রুডা ((Coffea)  : ৩০,২০০:– ঋতুশোণিত নিঃসরণ সময়ে তীব্র বেদনা, রোগিণী সহ্য করিতে পারে না এরূপ বেদনা। বেদনার জন্য রোগিণী ছটফট করে এবং ক্রন্দন করে।

ক্রোকাস (Crocus) ৩০,২০০:– ঋতুস্রাব কালো বর্ণের, আঠার মতো পুরু এবং সূতার মতো হইয়া নির্গত হয়। রক্ত নির্গত হইয়াই জমিয়া যায়। কালোবর্ণের চট্ট্চটে জমাট বা চাপচাপ রক্তস্রাব, টানিলে যেন কালো সূতার ন্যায় হইয়া নির্গত হয়। সেইসঙ্গে বেদনা এবং মনে হয় যেন পেটে কোন গোলাকার বস্তু নড়াচড়া করিয়া বেড়াইতেছে।

সিক্লামেন (Cyclamen)৩০,২০০:— রক্তহীনা এবং হরিৎপাণ্ডু বা ক্লোরোসিসগ্রস্তা স্ত্রীলোকদের বাধকবেদনায় উপযোগী। অজীর্ণরোগ বিশেষত যে সকল স্ত্রীলোকের ঘৃতপক্ক জিনিস খাইলে মোটেই সহ্য হয় না।

তাহাদের বাধকবেদনায় ইহা অধিকতর উপযোগিতার সহিত ব্যবহৃত হইয়া থাকে। ঋতুকালে পেটে ভয়ানক বেদনা। মানসিক নিস্তেজতা । সিক্লামেন রোগিণীর প্রায়ই পিপাসা দেখা যায় এবং সে মুক্ত বায়ু পছন্দ করে না, তাহাতে উপসর্গ বেশি হয়।

জেলসিমিয়াম (Gelsemium ৩০,২০০:– আচ্ছন্নভাব এবং সকল বিষয়ে বৈরাগ্য এই লক্ষণসহ বাধক। আক্ষেপিক ও স্নায়বিক বাধকে বিশেষ উপযোগী। ঋতুস্রাবের পূর্বেই মাথাধরা ও বমন প্রকাশ পায়।

ঋতুকালে আরক্তিম মুখমন্ডল, মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চয়। প্রচুর পরিমাণে মূত্রনিঃসরণে মাথাধরার নিবৃত্তি। জরায়ুর মধ্যে তীব্র বেদনা, প্রসববেদনার ন্যায় বেদনা কোমরে, পৃষ্ঠে এবং ঊরুতে বিস্তৃত হয়।

হ্যামামেলিস (Hamamelis) : ৩০,২০০:– ঋতুর সময় ঋতু না হইয়া পৃষ্ঠে, কুঁচকিতে এবং ঊরুতে বেদনা। মস্তিষ্কে এবং অন্ত্রে পূর্ণতাবোধ। মস্তকে তীব্র বেদনা, তন্দ্রা এবং গাঢ় নিদ্রা, ডিম্বকোষেও তীব্র বেদনা। অর্শ এবং পদদ্বয়ের স্ফীতি ও বেদনাযুক্ত শিরা লক্ষণে ইহা অধিকতর উপযোগিতার সহিত ব্যবহৃত হয়।

ইগনেসিয়া (Ignatia) :  ৩০, ২০০:– হিস্টিরিয়ারোগগ্রস্তা স্ত্রীলোকগণের বাধকে বিশেষ উপযোগী। জরায়ুর মধ্যে আক্ষেপের ন্যায় ছুরিকাবিদ্ধবৎ তীব্র বেদনা, স্পর্শে বেদনার বৃদ্ধি ।

জীবনে নৈরাশ্য এবং অত্যন্ত বিষণ্ণভাব,রোগিণী অত্যন্ত শোকপূর্ণা, ঘনঘন দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে। কোন বিষয়ে মনঃসংযোগ করিতে পারে না। মাথার মধ্যে যেন সমস্ত গোলমাল হইয়া গিয়াছে এইরূপ মনে হয়। প্রসববেদনার ন্যায় বেদনা।

লিলিয়াম টিগ্রাইনাম (Lilium Tigrinum) : ৩০,২০০:— শীঘ্র শীঘ্র ঋতু হয়, কিন্তু স্রাব পরিমাণে অত্যন্ত অল্প। দুর্গন্ধ গাঢ় রংয়ের স্রাব। রোগিণী যখন চলাফেরা করে কেবলমাত্র তখনই নির্গত হয়। প্রসববেদনার ন্যায় বেগ, পেটের নাড়িভুঁড়ি সমস্ত যোনিপথ দিয়া বাহির হইয়া যাইতেছে এইরূপ মনে হয়।

তলপেটে তীব্র বেদনা এবং এক কুঁচকি হইতে অন্য কুঁচকি পর্যন্ত বিস্তৃত হয়, বেদনা নিচের দিকে এমন কি পায়ে নামিয়া আসে। রোগিণীর বিষন্নভাব, না কাঁদিয়া থাকিতে পারে না। হৃৎস্পন্দন, অত্যন্ত রতীচ্ছা এবং সেইজন্য অস্থিরতা। জরায়ুর স্থানবিচ্যুতি ঘটিলে ইহা অধিকতর উপযোগিতার সহিত ব্যবহৃতহয়।

ম্যাগনেসিয়া ফস (Magnesia Phos) : ৩০,২০০:- স্নায়বিক এবং আক্ষেপিক বাধকবেদনায় ইহা বিশেষ উপযোগিতার সহিত ব্যবহৃত হয়। ফলত, প্রকৃতির বাধকের ইহা একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। ঋতুর পূর্বে বেদনার বৃদ্ধি, ঋতু  আরম্ভ হইলে ইহার উপশম। বেদনা এত তীব্র হয় যে, রোগিণী সম্মুখের দিকে উপুড় হইয়া থাকিতে বাধ্য হয়।

উত্তাপে এবং কঠিন চাপে বেদনার উপশম এবং সঞ্চালনে বৃদ্ধি। ডানদিকে বেদনার আধিক্য, তীবরেঁধার ন্যায় বা বিদ্যুত্ব বেদনা। গাঢ় রংয়ের আঠার ন্যায় স্রাব,ঠাণ্ডা হাওয়ায় রোগের বৃদ্ধি। ঝিল্পীযুক্ত বাধকেও ইহা বিশেষ উপযোগী।

নেট্রাম মিউর(Natrum Mur) : ৩০২০০:– যে সকল স্ত্রীলোক ক্রন্দনশীলা, দুঃখকষ্টে বা সামান্য কারণে অশ্রুপাত করে অথচ সহানুভূতি দেখাইলে বা সান্ত্বনা দিলে রাগ করে খিট খিটে স্বভাব। এবং যে সকল স্ত্রীলোক প্রায়ই দুর্বলা এবং রক্তহীনা, যাহাদের মুখমন্ডল শীর্ণ ও শুষ্ক, যাহারা সর্বদা বিষন্ন এবং সামান্য কারণে কুপিত, সামান্য কারণে যাহাদের হৃৎস্পন্দন, কম্প ও মানসিক উত্তেজনা হয় ।

এবং যাহারা অত্যধিক লবণ খায়, তাহাদের বাধকবেদনায় নেট্রাম মিউর বিশেষ উপযোগিতার সহিত ব্যবহৃত হইয়া থাকে। জরায়ুদ্রংশ এবং জরায়ুতে আক্ষেপিক বেদনা থাকিলে ইহা অধিকতর উপযোগিতার সহিত ব্যবহৃত হইয়া থাকে।

ঋতু অনেক বিলম্বে অল্প পরিমাণে হয়, সেই সময়ে বা তাহার পূর্বে মানসিক বিষণ্ণতা, শিরঃপীড়া, হৃৎস্পন্দন, কোমরে বেদনা ইত্যাদি লক্ষণ প্রকাশ পায়। ঋতুসময়ে দিনের বেলায় পদতলে বরফের ন্যায় ঠান্ডা এবং রাত্রিকালে উহা জ্বালাযুক্ত হয়।

প্লাটিনা (Platinum) : ৩০,২০০:- অত্যন্ত গর্বিত এবং উদ্ধত স্বভাবের স্ত্রীলোক যাহারা নিজেকে মহৎ মনে করে এবং অপর সকলকে ঘৃণা করে, নিকৃষ্ট মনে করে, চারিপার্শ্বের দ্রব্যাদি যাহার চক্ষে অত্যন্ত ছোট বলিয়া মনে হয়, তাহাদের বাধকবেদনায় ইহা বিশেষ উপযোগী।

ইহা প্রধানত স্ত্রীব্যাধিতেই ব্যবহৃত হইয়া থাকে এবং স্ত্রীরোগে ইহা একটি উৎকৃষ্ট ঔষধরূপে গণ্য হয়। অত্যন্ত দুর্গন্ধযুক্ত কালোবর্ণের চাপচাপ খণ্ডযুক্ত স্রাব। অতি শীঘ্র শীঘ্র বেশি পরিমাণে ঋতুস্রাব হয়। জরায়ুর মধ্যে বেদনার সঙ্গে আক্ষেপ।

স্রাব আরম্ভের পূর্বে পৃষ্ঠদেশেও বেদনা, রোগিণী চীৎকার করিতে থাকে। স্বামিসহবাস অত্যন্ত কষ্টদায়ক, অথচ প্ল্যাটিনাজ্ঞাপক রোগিণী অত্যন্ত কামাতুরা, কামোন্মত্ততায় যাহাকে সম্মুখে দেখে তাহাকেই সজোরে আলিঙ্গন করে।

পালসেটিলা (Pulsatilla) :  ৩০, ২০০:— ইহা বাধকবেদনার একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। নম্র প্রকৃতির, অশ্রুপ্রবণা যুবতীদের বাধকে ইহা বিশেষ উপযোগিতার সহিত ব্যবহৃত হয়। ঋতুবন্ধ অথবা উহা বিলম্বে নিয়মিতভাবে প্রকাশ পায়।

স্রাব অত্যন্ত অল্প হয়। ঋতুর পূর্ব হইতেই তলপেটে জরায়ুর মধ্যে টানিয়া ধরার ন্যায় অথবা কাটিয়া ফেলার ন্যায় বেদনা হয়। অত্যন্ত স্পর্শদ্বেষ, হাত দিতে পারা যায় না। বেদনা সঞ্চরণশীল  অর্থাৎ এক স্থান হইতে অন্য স্থানে চলিয়া বেড়ায়। জরায়ুর স্থানচ্যুতি। ঋতুস্রাব সবিরাম , কখনও বন্ধ হয় আবার পরক্ষণে স্রাব চলিতে থাকে।

ঋতুস্রাবের সঙ্গে শীতবোধ, বেদনা যত বেশি হয় শীতভাবও তত বেশি প্রকাশ পায়। ঋতুপ্রকাশের পূর্বে তলপেটে তীব্র বেদনা। কখনও খামচানোর ন্যায়, আবার কখনও বা খিলধরার ন্যায় বেদনা। রুদ্ধ গৃহে রোগিণী অত্যন্ত কষ্ট অনুভব করে, যেন দম বন্ধ হইয়া আসে। রোগিণী মুক্ত বায়ুতে থাকিতে আরাম বোধ করে। ঋতুস্রাব কখনও কালো চাপচাপ, কখনও জলবৎ বর্ণহীন তরল রক্ত।

সিপিয়া (Sepia) : ৩০,২০০:— কোমলস্বভাব, উদাসীনভাব, নিজের ছেলে মেয়েদের উপরেও টান নাই। সংসারের কাজকর্ম করিতে অনিচ্ছা। ঋতুর পূর্বে পেটে অত্যন্ত বেদনা, সমস্ত শরীরে কম্পন। ঋতুকালে পায়ের হাড়ে বেদনা, দন্তবেদনা, দৃষ্টিশক্তির ক্ষীণতা, শ্বেতপ্রদর স্রাব। যোনিতে সঙ্কোচক বেদনা, সহবাসকালে যোনিতে ভয়ানক বেদনা অনুভব করে। শ্রোণীপ্রদেশে প্রসববেদনার ন্যায় বেদনা।

সেই সঙ্গে ত্রিকাস্থিপ্রদেশে ঠেলিয়া ধরারন্যায় বেদনা মনে হয় যেন শ্রোণীপ্রদেশের যন্ত্রসমূহ প্রসববেদনার সঙ্গে নামিয়াবহির্গত হয়তেছে যোনিপথ দিয়৷ সমস্ত বাহির হইয়া যাইতেছে এই অনুভূতি হইতে নিস্তার পাইবার জন্য রোগিণী পায়ের উপর পা দিয়া জড়সড় হইয়া বসে।জরায়ুদ্রংশসহ বাধকবেদনায় অধিকতর উপযোগিতার সহিত ব্যবহৃত হয়।

সিকেলি কর (Secale Cor) : ৩০,২০০ :– শীর্ণকায়া স্ত্রীলোকদের বাধকবেদনায় বিশেষ উপযোগী। জরায়ুতে অত্যন্ত সঙ্কোচক বেদনা। জরায়ু বহির্গত হইয়া পড়িবার মতো বেদনা। জরায়ু এবং ডানদিকের ডিম্বাশয়ে রক্তাধিক্য এবং টাটানি বেদনা।

অনিয়মিত ঋতু অল্প অথবা অধিক পরিমাণে হয়। গাঢ় বর্গের তরল রক্তস্রাব। অধিকদিন স্থায়ী অথবা এক ঋতু হইতে পরবর্তী ঋতু পর্যন্ত পাতলা জলবৎ রক্ত ধীরে ধীরে নির্গত  হইতে থাকে। হাতপা ঠাণ্ডা ঝিন ,ঝিন করে। অত্যন্ত দুর্বলতা। পায়ের ডিমেতে খাল ধরে।

সেনিসিও (Senecio) : ৩০,২০০:– সেনিসিও স্ত্রী রোগের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। জরায়ুতে এবং বিশেষত ব্লাডারের গলদেশে তীব্র বেদনাসহ অনিয়মিত ঋতু বা ঋতুবন্ধ।

সালফার (Sulphur) : ৩০,২০০:– সোরা এবং স্কোফুলাধাতুর রোগিণীদের পক্ষে উপযোগী। বিশেষত অন্য সুনির্বাচিত ঔষধ প্রয়োগে উপকার না হইলে ইহা ব্যবহৃত হইয়া থাকে। হাতেপায়ে জ্বালা, সমস্ত শরীরে উত্তাপবোধ।

জরায়ুপ্রদেশে ভারবোধ এবং প্রসবের বেশের ন্যায় বেগ, রোগিণী সোজা হইয়া দাঁড়াইতে পারে না, তাহাতে কষ্টবোধ হয়। শরীরে অসংখ্য চর্মরোগ থাকিলে অপরিষ্কার বা নোংরা স্বভাবের হইলে বিশেষ ফলপ্রদ।

ভাইবারনাম ওপুলাস (Viburnum Opulus) : ৩০,২০০ :– আক্ষেপিক এবং স্নায়বিক বাধকে ইহা বিশেষ উপযোগী। বিশেষত এরূপক্ষেত্রে  ঝিল্পীযুক্ত বাধকেও ইহা উপযোগী। বেদনা এত তীব্র যে, রোগিণী বসিতে চেষ্টা করিলে তাহার মূর্ছা হয়।

তলপেটে শূলবৎ বেদনা ইহার বেদনার আর একটি বিশেষত্ব যে, উহা কোমরের পৃষ্ঠদেশ হইতে আরম্ভ করিয়া কোমর জুড়িয়া যৌনাস্থি  এবং উরুর সম্মুখের পেশিতে বিস্তৃত হয়। জরায়ুর মধ্যে খাল ধরে। ঋতুস্রাব অতি বিলম্বে অল্প পরিমাণে হয়। কয়েক ঘন্টা অবস্থিতির পরে আবার বন্ধ হইয়া যায় । ইহা বাধকবেদনার একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ।

জিঙ্কাম মেট্যালিকাম (Zincum Metallicum) : ৩০,২০০:–অত্যন্ত স্নায়ধিক অবসাদ। রোগিণীর পদদ্বয় অবিরত কম্পিত হয় , ইহা জিঙ্কামের বিশিষ্ট লক্ষণ। ঋতুস্রাব আরম্ভ হইলে রোগিণীর আর কোন উপসর্গ থাকে না, কিন্তু স্রাব বন্ধ হইলেই পেটে বেদনা, মাথার যন্ত্রণা, অজীর্ণতা ইত্যাদি নানা উপসর্গ আসিয়া উপস্থিত হয়।


যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com