homeopathic (আরোগ্য হোমিও হল): জীবনযাপন

সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu
জীবনযাপন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
জীবনযাপন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

গলায় খাবার আটকালে কি করবেন

গলায় খাবার আটকালে কি করবেন

গলায় খাবার আটকালে কি করবেন

ডিসফেজিয়া (Dysphagia) বা গলায় খাবার আটকালে কি করার দরকার এবং এর সমধান জেনে রাখা দরকার। ডিসফেজিয়া এর মুল এবং মুখ্য লক্ষণ হল খেতে কিংবা পান করতে গিয়ে সমস্যায় পড়া, গলায় খাবার কিংবা পানি আটকে যাওয়া । তবে এছাড়াও আরও বেশ কিছু লক্ষণ আছে যে গুলো দেখে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার ফিসফ্যাগিয়া আছে কিনা। মুখ গহŸর, গলবিল, খাদ্যনালীও গ্যাস্টোসোফেজিয়া বলে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় কোন ব্যাক্তি খাদ্য বা পানীয় গ্রাস করতে অর্থাৎ খাবার গিলতে যদি সমস্যা হয় তাবে তাকে ডিসফেজিয়া বলে। বিভিন্ন রোগ বা অসুস্থার পরিমাণে ডিসফেজিয়া তৈরি হতে পারে।

ডিসফেজিয়ার লক্ষণ নিন্মে দেওয়া হলো :
১/ খাবার গিলতে না পারা 
২/ কম্পন অনুভব করা
৩/ গলা কর্কশ হয়ে যাওয়া
৪/ অস্বাভাবিক ওজন কমে যাওয়া
৫/ খাবার খুব ছোট টুকরো না হলে না খেতে পারা
৭/ হৃদপিন্ডের জ¦ালাপোরা করা
৮/ খাবার গেলার সময় কফ কিংবা অন্যকিছুতে কন্ঠবোধ হয়ে আসা ইত্যাদি।

ডিসফেজিয়ার কারণ :
যে কোন সমস্যার পেছনেই কোন না কোন কারণ থাকে। ডিসফেজিয়া হবার কিছু কারণ আছে। তবে সে গুলোকে একদম নির্দিষ্ট করে নির্ধারণ করা যায় না। ডিসফেজিয়া নানা রকম হতে পারে। আর এই রহমভেদের উপর নির্ভও করে সেগুলোর বিভিন্ন কারণও থাকতে পারে।
অনেকেই ডিসফেজিয়া এবং অডিনোফাগিয়াকে এক করে ফেলেন। তাদের জন্য দুটোকেই এক মনে হয়। কিন্ত বাস্তবে ইহা দুটো একেবারেই ভিন্ন দুই বিষয়। ডিসফেজিয়া মানে শুধুই খাবার  সময় কিংবা পানি পান করার সময় সমস্যা বোধ করা। অন্যদিকে অডিনোফাগিয়া তৈরি হয় যখন খাবার কিংবা পানি গ্রহণের সময় ব্যথা অনুভব হয়। এই দুটো সমস্যা অনেকের একই সাথে হতে পারে। যার গলায় খাবার আটকে যাওয়ার সমস্যা আছে তার যে ব্যথা থাকতেই হবে এমনটা কিন্ত নয়। তবে বেশিভাগ ক্ষেত্রেই ডিসফেজিয়া এবং অডিনোফাগিয়া একসাথেই হয়ে থাকে। যতি খাবার গলায় আটেকে যায় তবে তারা তারি হাসপালে ব্যবস্থা করবেন।

চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ :

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত -১৯৬২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com



বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যাথার হোমিওপ্যাথিক ঔষধ

শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যাথার হোমিওপ্যাথিক ঔষধ



শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যাথায় হোমিওপ্যাথিক ঔষধ :

homeopathy medicine for pain
আমাদের শরীরে যখন তখন বিভিন্ন অঙ্গে ব্যাথা অনুভুত হয়। এই ব্যাথার অনুভুতি বিভিন্ন কারনে হতে পারে। আঘাত লাগা, পড়ে যাওয়া, গ্যাস, স্নায়ুর সমস্যা ইত্যাদি বিভিন্ন কারনে এই ব্যাথার অনুভুতি হয়। এখানে বিভিন্ন প্রকার ব্যাথার উপসর্গ অনুযায়ী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা (homeopathy medicine for pain) আলোচনা করা হল।


Symptomatic homeopathy medicine for pain
  আঘাত লেগে যদি শরীরের কোন স্থান থেঁৎলে বা ছেঁচে যায় তাহলে  - Arnica । আর যদি Arnica  তে সম্পূর্ণ উপকার না হয় তাহলে -Ledum ।  Ledum- এ আঘাতজনিত কালো শিরার দাগ পর্যন্ত বিলুপ্ত হয়।

কিন্তু যদি কোন স্থানে খোঁচা লাগে বা পেরেক,ছুঁচ,পিন ইত্যাদি ফুটে যায় তাহলে- Ledum  ।

আঘাত লেগে কোন স্থান কেটে গেলে সর্বাপেক্ষা উপকারী ওষুধ - Calendula Q

 শরীরে কোন স্থান আঘাত লেগে যদি স্নায়ু আহত হয় তাহলে - Hypericum 

যদি মাংস পেশি আঘাত লেগে কালশিরা পড়ে তাহলে - Arnica  ।

কোন ভারী বস্তু ওঠাতে গিয়ে পিঠে, ঘাড়ে ব্যাথা, তাহলে – Rhus Tox

কেবলমাত্র চোখে আঘাত ও তজ্জনিত উপসর্গ – Artemisia Vul


বহুদিনের পুরনো ও মচকানো ব্যাথায় – Ammon Mur 


পড়ে গিয়ে বা আঘাত লেগে বহুদিন পর্যন্ত ফুলে থাকে, তাতে ছুঁচ ফোটানোর মতো ব্যাথা – Conium ।

আঘাত লেগে হাড় ভেঙ্গে যাওয়া ও ওই হাড় জুড়তে দেরী হওয়া – Symphytum

আঘাত লাগা জায়গা ক্ষত হয়ে পুঁজ জমে ভীষণ ব্যাথা – Silicea

পায়ের আঙ্গুল বা পায়ের তলায় ভীষণ বেদনা, পা ফোলে,পায়ের তলায় ঝিনঝিন ধরা বা পিন ফোটানো বা খেঁচে ধরার মতো ব্যাথা – Apocynum Andro  ।



heel pain

পায়ের তলায় ও গোড়ালিতে ব্যাথা, টিপলে তত ব্যাথা লাগে না কিন্তু চলতে গেলে ভীষণ ব্যাথা – Antim Crud  ।


হাতের কব্জি, পায়ের গোড়ালির গাঁটে প্রদাহ ও ব্যাথা – Abrotenum

ব্যাথা ধীরে ধীরে চরম সীমায় ওঠে আবার হঠাৎ কমে। গলার ভেতর ঘায়ের মতো ব্যাথা, কাশিবার সময় ব্যাথা – Argent Met

পিঠে ব্যাথা, নিশ্বাস নেবার সময় ব্যাথা – Aconite Nap

পেটের ব্যাথা খাবারের পরেই কমে কিন্তু কিছুক্ষণ পরে আবার বাড়ে – Lachesis  ।


pain
ডান কাঁধের ব্যাথা আঙ্গুল পর্যন্ত পরিচালিত হয়। বাম তর্জনী ও আঙ্গুলের বেদনা,প্রদাহ – Acid Hydrofluor  ।

ব্যাথা নড়াচড়া করলে বৃদ্ধি হয় না কিন্তু স্থির হয়ে বসে থাকলে ছুঁচফোটানো ব্যাথা – Kali Carb ।


হাতের কব্জিতে আঘাত বা মচকে গিয়ে ব্যাথা – Cistus

নাভির কাছে নিঃশ্বাস গ্রহনের সময় খোঁচামারা ব্যাথা,তলপেটে কাটাছেঁড়ার মতো ব্যাথা – Hyociamus

শরীরের কোন স্থানের ব্যাথা যখন আড়াআড়িভাবে পরিচালিত হয় – Lac Can 

শরীরের কোন স্থানের বেদনা যখন কোনাকুনি ভাবে চালিত হয় – Agaricus

ব্যাথা হঠাৎ আসে ও হঠাৎ যায়, ব্যাথা স্থান পরিবর্তন করে অর্থাৎ একবার এখানে তো একবার সেখানে – Acic Nit

স্তনের নীচে ব্যাথা, পাছার হাড়ে স্পর্শকাতর বেদনা – Lilium Tig

সর্টরিবের নীচে পেটের বামদিকে ব্যাথা, দ্রুত চললে প্লীহায় ব্যাথা – Rhododendron



back pain
মেরুদণ্ডে ও পিঠে ব্যাথা, শ্বাস গ্রহনেও ব্যাথা বাড়ে, কাশির সময় বুকে ছুঁচফোটার মতো ব্যাথা – Spigelia

পিঠে ও ঘাড়ে ব্যাথা, মাথা নিচু করে রাখতে পারে না – Radium



চিকিৎসা সার্থে যোগাযোগ করুন-


আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত -১৯৬২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

ব্যাথায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

ব্যাথায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা


ব্যাথায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :

শারিরীক বিভিন্ন রোগের উপসর্গের ফল স্বরুপ বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা হতে পারে।একটু সচেতন হলে সাধারন ব্যথায় দৌড়াদৌরি করার প্রয়োজন হবেনা।আজকে ব্যথায় ব্যবহার কারা হয় এমন ১৫ টি ঔষধ নিয়ে আলোচনা করা হবে।

1. Aconitum napellus : একোনাইট ব্যথার একটি সেরা ঔষধ। সাধারণত ভয়ঙ্কর ধরণের ব্যথা, ছুড়ি মারার মতো ব্যথা, হুল ফোটানোর ব্যথা, ব্যথার চোটে দম বন্ধ হয়ে আসে, ব্যথা যদি হঠাৎ দেখা দেয় এবং ব্যথার চোটে যদি ‘এখনই মরে যাব’ এমন ভয় হতে থাকে, তবে একোনাইট খেতে হবে।


2. Arnica montana : যে-কোন ধরনের আঘাত,থেতলানো,মচকানো, মোচড়ানো বা উপর থেকে পতনজনিত ব্যথায় আর্নিকা খেতে হবে।পেশী বা মাংশের ব্যথায় আর্নিকা এক নম্বর ঔষধ। শরীরের কোন একটি অঙ্গের বেশী ব্যবহারের ফলে যদি তাতে ব্যথা শুরু হয়, তবে আর্নিকা খেতে ভুলবেন না। যদি শরীরের কোন অংশে এমন তীব্র ব্যথা থাকে যে, কাউকে তার দিকে আসতে দেখলেই সে ভয় পেয়ে যায় (কারণ ধাক্কা লাগলে ব্যথার চোটে তার প্রাণ বেরিয়ে যাবে); এমন লক্ষণে আর্নিকা প্রযোজ্য। আঘাত পাওয়ার কয়েক বছর পরেও যদি সেখানে কোন সমস্যা দেখা দেয়, তবে আর্নিকা সেটি নিরাময় করবে।

3. Bryonia alba :  মাথা ব্যথা, জয়েণ্টের ব্যথা, হাড়ের ব্যথা, মাংশের ব্যথা, বুকের ব্যথা, বাতের ব্যথা প্রভৃতিতে ব্রায়োনিয়া সেবন করতে পারেন যদি সেই ব্যথা নড়াচড়া করলে বেড়ে যায়। ব্রায়োনিয়ার লক্ষণ হলো আক্রান্ত অঙ্গ যত বেশী নড়াচড়া করবে, ব্যথা তত বেশী বৃদ্ধি পেতে থাকে।

4. Rhus Toxicodendron :  পক্ষান্তরে মাথা ব্যথা, জয়েণ্টের ব্যথা, হাড়ের ব্যথা, মাংশের ব্যথা, বুকের ব্যথা, বাতের ব্যথা প্রভৃতিতে রাস টক্স সেবন করতে পারেন যদি সেই ব্যথা নড়াচড়া করলে কমে যায়। রাস টক্সের লক্ষণ হলো আক্রান্ত অঙ্গ যত বেশী নড়াচড়া করবে, ব্যথা তত বেশী কমতে থাকে।খুব ভারী কিছু উঠাতে গিয়ে কোমরে বা শরীরের অন্য কোন স্থানে ব্যথা পেলে রাস টক্স এক নাম্বার ঔষধ।

5. Chamomilla :  যদি ব্যথার তীব্রতায় কোন রোগী দিগ্বিদিক জ্ঞানশূণ্য হয়ে পড়ে, তার ভদ্রতাজ্ঞানও লোপ পেয়ে যায়, সে ডাক্তার বা নার্সকে পযর্ন্ত গালাগালি দিতে থাকে;তবে তাকে ক্যামোমিলা খাওয়াতে হবে। ক্যামোমিলা হলো অভদ্র রোগীদের ঔষধ।

6. Colchicum autumnale :  কলচিকাম গেটে বাত বা জয়েন্টের ব্যথায় ব্যবহৃত হয়। ছোট ছোট জয়েন্টের বাতে এবং বিশেষত পায়ের বৃদ্ধাঙুলের বাতের ব্যথায় কলচিকাম প্রযোজ্য। কলচিকামের প্রধান লক্ষণ হলো খাবারের গন্ধে বমি আসে এবং আক্রান্ত অঙের জোর/শক্তি কমে যায়।


7. Hypericum perforatum :  যে-সব আঘাতে কোন স্মায়ু ছিড়ে যায়, তাতে খুবই মারাত্মক ব্যথা শুরু হয়, যা নিবারণে হাইপেরিকাম খাওয়া ছাড়া গতি নেই। শরীরের সপর্শকাতর স্থানে আঘাত পেলে বা কিছু বিদ্ধ হলে হাইপেরিকাম খেতে হবে ঘনঘন।যেমন- ব্রেন বা মাথা, মেরুদন্ড, (পাছার নিকটে) কণ্ডার হাড়ে, আঙুলের মাথায়, অণ্ডকোষে ইত্যাদি ইত্যাদি। (তবে যে-সব ক্ষেত্রে পেশী এবং স্নায়ু দুটোই আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে বলে মনে হয়, তাতে আনির্কা এবং হাইপেরিকাম একত্রে মিশিয়ে খেতে পারেন।) আঘাতের স্থান থেকে প্রচণ্ড ব্যথা যদি চারদিকে ছড়াতে থাকে বা খিঁচুনি দেখা দেয় অথবা রসধমবংশরীর ধনুকের ন্যায় বাঁকা হয়ে যায় (ধনুষ্টঙ্কার), তবে হাইপেরিকাম ঘনঘন খাওয়াতে থাকুন।


8. Ledum palustre :  সূচ, আলপিন, তারকাটা, পেরেক, টেটা প্রভৃতি বিদ্ধ হলে ব্যথা কমাতে এবং ধনুষ্টঙ্কার / খিচুনি ঠেকাতে লিডাম ঘনঘন খাওয়ান। অর্থাৎ যে-সব ক্ষেত্রে কোনকিছু শরীরের অনেক ভেতরে ঢুকে যায়, তাতে লিডাম প্রযোজ্য। এই ক্ষেত্রে লিডাম ব্যথাও দূর করবে এবং ধনুষ্টংকার হলে তাও সারিয়ে দেবে।চোখে ঘুষি বা এই জাতীয় কোনো আঘাত লাগলে লিডাম এক ঘণ্টা পরপর খেতে থাকুন। বাতের ব্যথায় উপকারী বিশেষত যাদের পা দুটি সব সময় ঠান্ডা থাকে।

9. Kali bichromicum:ক্যালি বাইক্রোম প্রধান লক্ষণ হলো ব্যথা আঙুলের মাথার মতো খুবই অল্প জায়গায় হয়ে থাকে,ব্যথা ঘন ঘন জায়গা বদল করে ইত্যাদি ইত্যাদি।

10. Plantago Major :  দাঁত, কান এবং মুখের ব্যথায় প্লানটাগো মেজর এমন চমৎকার কাজ করে যে, তাকে এক কথায় যাদু বলাই যুক্তিসঙ্গত।পত্রিকায় দেখলাম, একজন প্রখ্যাত সাংবাদিকের দাঁতব্যথা সারাতে না পেরে ডেন্টিস্টরা শেষ পযর্ন্ত একে একে তাঁর ভালো ভালো চারটি দাঁতই তুলে ফেলেছেন। আহা ! বেচারা ডেন্টিস্টরা যদি প্লানটাগো’র গুণের কথা জানত, তবে প্রবীন এই সাংবাদিকের দাঁতগুলো বেচেঁ যেতো।

11. Pulsatilla pratensis : পালসেটিলা’র ব্যথার প্রধান লক্ষণ হলো ব্যথা ঘনঘন স্থান পরিবর্তন করে। আজ এক জায়গায় তো কাল অন্য জায়গায় কিংবা সকালে এক জায়গায় তো বিকালে অন্য জায়গায়।রসধমবং (১)

12. Lac caninum :  ল্যাক ক্যান-এর ব্যথার প্রধান লক্ষণ হলো ব্যথা ঘনঘন সাইড/ পার্শ্ব পরিবর্তন করে। আজ ডান পাশে তো কাল বাম পাশে কিংবা সকালে সামনের দিকে তো বিকালে পেছনের দিকে।

13. Bellis perennis  প্রচণ্ড গরমের সময় অথবা পরিশ্রম করে ঘর্মাক্ত শরীরে আইসক্রিম বা খুব ঠান্ডা পানি খাওয়ার পরে যদি ব্যথা বা অন্য যে-কোন রোগ দেখা দেয়, তবে বেলিস পিরেনিস খাওয়া ছাড়া আপনার মুক্তির কোন বিকল্প রাস্তা নাই।

14. Magnesia phosphorica : ম্যাগ ফস স্মায়বিক ব্যথার এক নম্বর ঔষধ। ইহার ব্যথা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছুড়ি মারা অথবা চিড়িক মারা ধরণের মারাত্মক ব্যথা।আক্রান্ত অঙ্গকে মনে হবে কেউ যেন লোহার হাত দিয়ে চেপে ধরেছে।

15. Thuja occidentalis : টিকা (বিসিজি, ডিপিটি, এটিএস, পোলিও, হেপাটাইটিস, এটিএস ইত্যাদি) নেওয়ার কারণে ব্যথা হলে থুজা খেতে হবে। টিকা নেওয়ার কারণে শরীরের বিভিন্ন স্থানে চিড়িক মারা ব্যথা (neuralgia, sciatica) অর্থাৎ স্নায়বিক ব্যথা হয় এবং বার্নেটের মতে থুজা হলো সেরা ঔষধ।

চিকিৎসার্থে যোগাযোগ করুন-


আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত -১৯৬২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com



বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

উচ্চ রক্তচাপ/ হাই ব্লাড প্রেসার হোমিওপ্যাথিক ঔষধ

উচ্চ রক্তচাপ/ হাই ব্লাড প্রেসার হোমিওপ্যাথিক ঔষধ


উচ্চ রক্তচাপ/ হাই ব্লাড প্রেসার হোমিওপ্যাথিক ঔষধ


হাইপাটেনশন ইংরেজি  ( Hypertenoion), , যার আরেক নাম উচ্চ রক্তচাপ, HTN, বা HPN হল একটি রোগ যখন কোন ব্যাক্তি রক্তের চাপ সব সময়েই স্বাভাবিক যেয়ে উর্দ্ধে থাকে তাকে হাইপাটেশন বা গৌণ হাইপাটেশনে শ্রেণীভুক্ত করা হয়। প্রায় ৯০% ভাগ ক্ষেত্রেই প্রথামকি “হাইপটেশন” বলে ধরা হয়।
সারা বিশ্বে  উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাত হিসেবে পরিচিত এবং আরো অনো দেশের মত বাংলাদেশেও বিপুল সংখ্যক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রয়েছে।


উচ্চ রক্তচাপ কি
হৃৎপিন্ডের ধবনীতে রক্ত প্রবাহের চাপ অনেক বেশি থাকলে সেটিকে উচ্চ রক্ত বা হাই ব্লাড প্রেশার হিসেবে ধরা হয়। দুটি মানের মধ্যেমে এই রক্তচাপ রেকর্ড করা হয়। যেটার সংখ্যা বেশি সেটাকে বলা হয় সিস্টেলিক প্রশারর, আর যেটার সংখ্যা কম সেটাকে ডায়াস্টলিক প্রেসার ধরা হয়।
প্রতিচি হৃৎস্পন্দন অর্থাৎ হৃৎপিন্ডে সংকোচন বা সম্প্রসারণের সময় একবার সিস্টেলিক প্রেশার এবং একবার ডায়াস্টালিক প্রেসার হয়। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তচাপ থাকে ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি।
কারো ব্লাড প্রেসার রিডিং যদি ১৪০/৯০ এর যেযেও বেশি হয়, তখন বুঝতে হবে তার উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার হয়েছে। অপরদিকে রক্তচাপ যদি ৯০/৬০ বা এর আশেপাশে থাকে তাহলে তাকে লো ব্লাড প্রেসার হিসেবে ধরা হয়। যদি বয়স নির্বিশেয়ে রক্তচাপ খানিকটা বেশি কম হতে পারে।


উচ্চ রক্তচাপ হলে কি সমস্যা দেখা দিতে পারে তা নিন্ম রুপ :
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্তণে না থাকলে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অঙ্গে জটিলতা তৈরি হওয়ার সম্ভবনা থাকে। অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ থেকৈ হৃৎপিন্ডের পেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং এর ফলে দুর্বল হৃৎপিন্ডে রক্ত পাম্প করতে পারে না। এছাড়া এমন রক্তপাপের করণে কিডনি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থঅকে, মস্তিস্কে স্টোক বা রক্তক্ষরণও হতে পারে। এরকম ক্ষেত্রে রোগী মৃত্যুও সম্ভাবনা থকে। আর বিশেষ ক্ষেত্রে উচ্চ চাপের কারণে রেটিনার রক্তক্ষরণ হয়ে একজন মানুষ অন্ধত্বও বরণ করতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ হলে কি কি খাবেন:
রসুন : রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে রসুনের ভুমিা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন এক টুকরো রসুন কোয়া খেলে আপনার কোলেস্টরণ নিয়ন্ত্রণ থাকে। এর ফলে রক্তচাপও স্বাভাবিক থাকে।
গাজর : হাই ব্লাড প্রেসার কমাতে খাদ্য থালিকায়  গাজর রাখতে হবে। গাজরের রস করে খেতে পারেন। আরও ভালো ফল চাইলে পালং শাকে সঙ্গে গাজরের রস করে খেতে পারেন।
পিয়াজ ও মধু : রুপর্চ্চার পাশাপাশি রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণেরও সমান কার্যকরী পিয়াজ ও মধু। এক চা-চামচ পিয়াজের রসের সঙ্গে ২ চা-চামচ মধু মেশান। নিয়মিত মিশ্রনটি খান উপকার পাবেন। ঘরোয়া উপায়ে এই পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারেন তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুল করবেন না।

হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ :
 
লক্ষণ সাদৃশ্যে উচ্চ রক্তচাপে সাধারণত যে ঔষধগুলো ব্যবহ্যারিত হয় সে গুলো সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হলো :-

১/ বেলেডোনা (Belladona) : বেলেডোনা রোগীর মাথা ব্যথা চোখ মুখ লাল ক্যারোটি ও ধবনীর দপদপানি, হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ফলে অজ্ঞান হয়ে পড়া, অত্যাধিক রোদের তাপ, কাজের টেনশন, হঠাৎ ইত্তেজনায় রক্ত চাপের বৃদ্ধি। ঝিলিক মারা ব্যথা, ব্যথা হঠাৎ আসে হঠাৎ যায়, চোখ মুখ লাল হয়ে যায়, ব্যথার স্থান গরম, লাল জ্বালা ও স্পর্শকাতর (এই চারটি লক্ষণে বেলেডোনা প্রয়োগ সর্বোউত্তম)। সামান্য শব্দে ভয় পায় শুয়ে থাকতে পানে না। বেলেডোনা (Belladona) খাবরের পরে। (বেলেডোনা ও একোনাইট ন্যাপ পর্যায়ক্রমে একটার পর একটা রোগীকে সেবন করাতে হবে।

২/ রাউল ফিয়া (Rauwalfia Serp):  রাউল ফিয়া ফিয়া  রোগীর উচ্চ রক্তপাপ রোগের একটি উৎকৃষ্ট হোমিওপ্যাথিক ঔষধ। মাথা ব্যথা, মথা ঘোরা, অনিদ্রা, শরীর ম্যাচ ম্যাচ করা, মন অস্থির হওয়া লক্ষণে রাউল ফিয়ায় রাউল ফিয়া অতি উৎকৃষ্ট ঔষধ। 

সেবন বিধি : ১০ বা ১৫ ফোঁটা করে পানিতে মিশিয়ে দিনে দুইবার সেবন করতে হবে। অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করন। ঔষধ সেবনে যদি রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকিয়া গভির নিদ্রা হয় তবে রোগী জন্য ভালো

৩/ গ্লোনায়িন (Glonoine)  : গ্লোনায়িনের রোগী উচ্চ রক্তপার জনিত মাথায় ভয়ানক দপদপানি ব্যথা, মাথা ব্যথায় রোগী অস্থির হইয়া পরে, রোগী অত্যান্ত উত্তেজনা পূর্ণ ও রাগে সামান্য কারনেই মাথা ব্যথা করে। রোগী মাথা বড় হয়ে গেছে। এইগুলো লক্ষণে গ্লোনায়িন কার্যকর।
সেবন বিধি : গ্লোনায়িন 1x ১০ বা ১৫ ফোঁটা করে সামান্য এক ঢোক পানি মিশিয়ে ঘন্টা দুয়েক পর পর সেবন করুণ। অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুণ।


৪/ ভিসকাম এলব ((Viskam Alb) : ভিসকাম এলবের  রোগী বুক অত্যান্ত ধরফর করে, শ্বাস নিতে কষ্ট, বামদিকে শুইতে অক্ষমতা, বুক অত্যান্ত ভারিবোধ, কোন এক অবস্থায় অধিক্ষন থাকিতে না পারা, মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা, তন্দ্রা, সব সময় রাগ ভাব, সারা শরীর জ্বালা প্রচন্ড রক্তের উচ্চচাপ ইত্যাদি লক্ষণে ভিসকাম এলব কার্যকর।  

সেবন বিধি : ভিসকাম এলব Q ১০ ফোঁটা করে এক ঢোক পানিসহ দিনে ৩ বার সেবন করতে হবে। অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুণ।

৫/ লাইকোপাস (Lycopus) : রোগী হাই প্রেশার বৃদ্ধি হৃৎপিণ্ডের ব্যথা, নাড়ীর গতি দ্রুত ইত্যাদি লক্ষণে লাইকোপস কার্যকর।
সেবন বিধি : ৩০/২০০ শক্তি ১০ ফোঁটা ঔষধ এক ঢোক পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিনে ৩ বার অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করতে হবে। 

৬/ এম্বা গ্রিসিয়া (Ambra Gresea) : অতিরিক্ত রক্তচাপ জনিত মাথার তালুতে বেদনা, বুক ধরফরানি, কানে কম শোনা, বুকে চাপবোধ, অনিদ্রা ইত্যাদি লক্ষণে এম্বা গ্রিসিয়া কার্যকর।
সেবন বিধি : এম্বা গ্রিসিয়া ৬/৩০ শক্তি ১০ ফোঁটা ঔষধ এক ঢোক পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিনে ৩ বার সেবন করুণ। তথবা রেজিষ্টর্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুণ।

৭/ অরাম মেটালিকাম (Aurum Aetallicum)  : রোগীর রক্ত মস্তিস্কে ধাবিত হয়, সমস্ত রক্ত মাথা থেকে নিচ পর্যন্ত ছুটে আসে বলে মনে হয়, ফলে মাথা ব্যথা রাতে বৃদ্ধি, রোগী মনে হয় কপাল ছিড়ে যাবে, মাথা নীচু করলে বা চললে মাথা ঘরে, দুই ভ্রুরু মধ্যে নাসিকারমূলে দপদপ করে, আধ কপালে মাথা ব্যথা, হৎপিণ্ডের চর্বি জমে, পরিশ্রম করলে বুক ধরফর করে, মনে হয় হৎপিণ্ডের কম্পন ২/৩ মিনিটের জন্য থেমে গেল কিন্ত পরক্ষেণেই প্রবলভাবে লাফিয়ে উঠে, নাড়ী দ্রুত গতিশীল, ক্ষণ অনীয়মিত স্পন্দন চলতে কষ্ট হয়।
সেবন বিধি : অরাম মেটালিকাম ৩০/২০০ শক্তি ১০ ফোঁটা ঔষধ এক ঢোক পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিনে ৩ বার সেবন করুণ। তথবা রেজিষ্টর্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুণ।

৮/ সেফালান্ডা ইন্ডিকা (Cephalandra Indica) : ডায়াবেটিস রোগীদের উচ্চ রক্তচাপ রেগীর জন্য এই ঔষধটি বিশেষ ভাবে ব্যবহৃত হয়। মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, মাথা চক্কর দেওয়া, হাত-পা, চোখ-মুখ আগুনের  পোড়ার ন্যায় জ্বালা, প্রবল পানি পিপাসা, জ্বালা ঠান্ড পানিতে রোগী আরাম বোধ করে। এ লক্ষণ থাকিলে সেফালান্ডা ইন্ডিকা ছ ১০ ফোঁটা করে এক ঢোক পানিসহ দিনে ৩ বার সেবন করতে হবে। অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুণ।

৯/ গ্লোনায়িন (Glonoine) 1x, ১০ ফোঁটা, ক্র্যাটেগাস (Crataegus) Q ১০ ফোঁটা, প্যাসিফ্লোরা (Passiflora) Q ১০ ফোঁটা এই তিনটি ঔষধ পর্যায়ক্রমে ২/৩ ঘন্টা অন্তর প্রয়োগ করবেন অথবা পর্যায় ক্রমে দিনে প্রত্যেকটি ঔষধ ৩ বার সেবন করতে হবে অথাৎ আজ গ্লোনায়িন ৩ বার কাল ক্র্যাটেগাস ৩ বার পরশু প্যাসিফ্লোরা ৩ বার সেবন করলে ফলাফল পরীক্ষা করবেন।


উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপ্রেসারে বাইয়োকেমি চিকিৎসা :
১০/ ক্যালি ফস (Kali Phos)নেট্রাম মিউর (Natrum Mur) বাইয়োকেমিক মতে এই ঔষধ দুটি উচ্চ রক্তচাপে উৎকৃষ্ট ঔষধ। 6x বা 12x ৩/৪টি বড়ি এক ঢোক গরম পানির সহিত মিশিয়ে ১ ঘন্টা বা আধ ঘন্টা পর পর সেবন করলে উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়।


চিকিৎসার জন্য যোগযোগ :

আরোগ্য হোমিও হল
প্রতিষ্ঠাতা : মৃত: ডা: আজিজুর রহমান
প্রা: ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)
বি.এস.এস, ডি.এইচ.এম. এস (ঢাকা)
মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)
ডি.এইচ.এম. এস (ঢাকা)
স্থাপিত Ñ ১৯৬২ ইং
মেবাবাইল : ০১৭১৮-১৬৮৯৫৪
arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com









বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

স্ট্রোক  বাথরুমেই বেশি হয় কেন?

স্ট্রোক বাথরুমেই বেশি হয় কেন?


স্টোক সাধরণত বথরুমেই বেশি হয় কেন:-

স্টোক সাধারণত বাথরুমেই বেশি হয়। ইহার কারণ বাথরুমের ঢুকে স্না করার সময় আমরা প্রথমেই মাথা এবং চুল ভেজাই যা একদম উচিত নয়। এটি সাধারণ প্রায় মানুষই করে থাকে। এই ভাবে প্রথমে মাথায় জন দিলে রক্ত দ্রুত মাথায় দ্রুত মাথায় উঠে যায় এবং কৈশিক ও ধমনী একসাথে ছিঁড়ে যাওয়া সম্ভবনা থাকে। যাহার ফলে স্টোক করে তার:পর মাটিতে পড়ে যায়।

কানাডার মেপিকেল অ্যাসোসিয়েশন জানালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে স্টোক বা মিনি স্টোকের করণে যে ধরণের ঝঁকি কথা আগে মনে করা হতো প্রকৃতপক্ষে এই ঝুঁকি দীর্ঘস্থায় এবং আরো ভয়াবহ হতে পারে। বিশ্বের একাধিক গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী, স্নানের সময় স্টোক আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা দিনের পর দিন বেড়েই চলছে চিকিৎসদের স্নান কারার সময় কিছু নিয়ম মেনে সাবাইকে স্নান করা উচিত।



সছিক নিয়ম মেনে স্নান না করলে হতে পারে মৃত্যু। স্নান করার সময় প্রথমেই মাথা এবং চুল ভেজানো একদম উচিত নয়। কারণ মানুষের শরীরে রক্ত সঞ্চালন একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় হয়ে থাকে। শরীরের তাপমাত্রা বাইরের তাপ মাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাধরণত কিছুটা সময় লাগে। চিকিৎসদের মতে মাথায় প্রথমেই জল দিলে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত সঞ্চালনের গতি বহু গুণ বৃদ্ধি পায়। সে সময় বেড়ে স্টোকের ঝুঁকিও । অতিরিক্ত রক্তসঞ্চালনে ফলে রক্তের চাপ বেড়ে মস্তিস্কের ধমনী ছিঁড়ে সাওয়ার সম্ভবনা থাকে।


স্নান করার সঠিক নিয়ম :-
প্রথমে পায়ে পাতা ভেজাতে হবে। তারপর আস্তে আস্তে উপর অংশের কাঁধ পর্যন্ত ভেজাতে হবে। তার পর মুখে পানি দিয়ে ভেজাতে হবে। সবার শেষে মাথায় পানি দিয়ে ভেজাতে হবে।

যাহাদের উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টরণ এবং মাইগ্রেন আছে তাদের অবশই এই নিয়ে মেনে চলা উচিত। এই তথ্যগুলো বয়স্ক মা-বা এবং আত্নীয় পরিজনদের অবশ্যই জানিয়ে দিন।


চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ :-
আরোগ্য হোমিও হল
প্রতিষ্ঠাতা : মৃত: ডা: আজিজুর রহমান
প্রা: ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)
বি. এস এস, ডি.এইচ.এম.এস (ঢাকা)
ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)
 ডি.এইচ.এম.এস (ঢাকা)
রেজিষ্টার্ড নং - ১৬৯৪২
স্থাপিত - ১৮৬২ ইং
মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।
মোবাইল : ০১৭১৮-১৬৮৯৫৪
রোগী দেখার সময় প্রতিদিন বৈকাল ৪টা হতে রাত্রি ১০টা পর্যন্ত।
  
Mel: arh091083@gmail.com . hafizurrahman2061980@gmail.com


মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

থাইরয়েড রোগে হোমিপ্যাথিক ঔষধ

থাইরয়েড রোগে হোমিপ্যাথিক ঔষধ


থাইরয়েড এর কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা :
বর্তমান পৃথিবীতে থাইরয়েড সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশী। অনেকে এই রোগের নাম শুনলেও বা আশেপাশে আক্রন্ত রোগী দেখলে কিংবা নিজের আক্রান্ত হলেও আমারা এই রোগ সম্পর্কে
অনেকেই খুব একটা বেশী জানিনা। চলুন তা হলে এ সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

থাইরয়েড কি?
থাইরয়েড হল আমাদের একটি গ্রন্থি যা আমাদের গলার সমনের দিকে অবস্থিত। এই গ্রন্থি থেকে কিছু প্রয়াজনীয় হরমোন নি:সৃত হয়। এই হরমোন আমাদের বিপাকসহ আরও বিভিন্ন কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। এই রহমোন তৈরির জন্য এই গ্রন্থিটির প্রয়োজনীয় পরিমাণে আয়োডিনের দরকার হয়। উক্ত হরমোন আমাদের বিপাক ক্রিয়া সহ বিবিন্ন শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা
পালন করে।

থাইরয়েড গ্রন্থি
থাইরয়েড গ্রন্থি সাধারণত ২ ধরণের হরমোন নি:সরণ করে।
ট্রাই-আয়োডোথাইরোনিন (T3)
থাইরক্সিন (T4)
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জন্মের সময় এই গ্রন্থি ঠিকভাবে তৈরি না হলে কিংবা প্রয়াজনমত হরমোন তৈরি করতে না পারলে বাচ্চাদের শারীরিক এবং মানসিক বৃদ্ধি ব্যহত হয়।
আমাদের শরীরে যতটুকু হরমোন প্রয়াজন তার চেয়ে কম বা বেশি পরিমানে  হরমোন তৈরি হলে হাইপোথাইরয়ডিজম হতে পারে। অবার প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণে এই হরমোন উৎপান্ন হলে হাইপারথায়ডিজম হতে পারে। উভয়ই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি কর। এছাড়াও উক্ত গ্রন্থি থেকে আরও বিভিন্ন রোগ হতে পারে।


এই গ্রন্থি থেকে সাধারণত বেশ হয় এমন কিছু রোগ নিয়ে আলোচনা 

ঘাইপোথাইরয়ডিজন  (Hypothyroidism)
হাইপারথাইরয়ডিজন (Hyperthyroidism)
গায়েটার  (Goiter) 
নডিউল (Nodule) 
থাইরয়েড ক্যান্সার Thyroid Cancer) 
গ্রেভস ডিজিজ (Graves disease)
হাইপোথাইরয়ডিজম (Hypothyroidism)



থাইরয়েড গ্রন্থি যদি প্রয়োজনের তুলনায় কম হরমোন উৎপাদন করে তখন  ঘাইপোথাইরয়ডিজম হবার সম্ভবনা থাকে। যদিও আনেক সময় এর চোখে পড়ার মত লক্ষণ দেখা যায় না। ফলে অনেকে বঝতেই পারেনা যে তিনি হাইপোথাইরয়ডিজম এ আক্রান্ত।

হাইপোথাইরয়াজিম হলে যে লক্ষণ দেখা যায় :

ক্লান্তি কিংবা অবসাদ অনুভব করা
কোন কিছুতে মোনযোগ দিতে পারে না।
শরীরের ত্বক শুস্ক হয়ে যায়
কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যায়।
অল্পতেই শীত শীত অনুভব করে।
পেশী বা বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যাথা অনুভুত করে।
বিষন্নতা অনুভব করে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাবের সময় অতিরিক্ত পরিমাণ রক্তক্ষরণ হয়।
শরীরের পালস রেট কম স্বাভাবিক এর তলনায় কম দেখা যায়।

থাইপারথাইরয়জিয়াম:
এ ক্ষেত্রে হাইপারথাইরয়াডিজম এর উল্টো ঘটনা ঘটে। থাইরয়েডে গ্রন্থি প্রয়োজনের তুলানয় বেশি হরমোন উৎপাদন করলে হাপারথাইরয়াডিজম হবার সম্ভবানা থাকে। থাইরয়েড গ্রন্থিকে নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিস্কের পিটুইটারি গ্রন্থি নামক এক গ্রন্থি। মস্তিস্কের এই পিটুইটারি গ্রন্থিকে আবার নিয়ন্ত্রণ 
করে মস্তিস্কেও হাইপাথ্যালাম নামক অংশ এই হাইপাথালামাস থাইরয়েড রিলিজিং হরমোন (TRH)  নামক এক হরমোন নির্গত করে।   এই (TRH)  হরমোন এর কাজ হল পিটুইটারি গ্রন্থিকে থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন (TRH) নামক এক হরমোন নির্গত করার জন্য সংকেত পাঠানো। এই ঞজঐ হরমোন উক্ত গ্রন্থিকে থাইরয়েড হরমোন নির্গত রকার জন্য সংকেত পাঠায়। বোঝা গেল তাহলে এই হরমোন উৎপাদন এর জন্য শুধুমাত্র থাইরয়েড গ্রন্থি দায়ী নয়। হাইপোথ্যালামাস, পিটুইটারি গ্রন্থি এবং থাইরয়েড গ্রন্থি মিলিত প্রচেষ্টায় হরমোন নির্গমণ কাজ সম্পন্ন হয়।
এখন উক্ত তিনটি গ্রন্থির যে কোনো একটি বা একাধিক গ্রন্থি যদি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কাজ করে ফলে যতটুকু হরমোন দরকার তার চেয়ে বিশি পরিমাণ হরমোন উৎপন্ন হয়। আর তখনই বাঁধে সমস্যা। যেটা হাইপারথাইরয়াজিম নামে পরিচিত।

হাইপারথাইরয়াজিমম হলে যে লক্ষণ দেখা যায় :-
অতিরিক্ত ঘাম হয়
গরম সহ্য হয় না
খাবার হজমে সমস্যা
দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ বেড়ে যা।
অস্থিরতা অনুভব করে।
শরীরের ওজন কমে যায়।
পালস রেট বেড়ে যায়।
অনিদ্রা দেখা যায়
চুল পাতলা এবং ভঙ্গুর হয়ে যায়।
ত্বক পাতলা হয়ে যায়।
মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাব অনিয়মিত কিংবা খুব অল্প পরিমাণে হয়।
বয়স্ক রোগীদের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। শরীর খুব খারাপ অবস্থা হলে এবং হাইপারথাইরয়াডিজম এর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না হলে থাইরয়েড স্টর্ম (thyroid storm) হতে পারে। এতে রোগীর রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, জ্বর আসাতে পারে এবং হৃদস্পন্দন বন্ধ হবার সম্ভবনা থাকে।


হোমিওপ্যাথিক ঔষধ :
হোমিওপ্যাথিক ঔষধে থাইরয়েড চিকিৎসায় থাইরয়েডিনাম ছাড়াও আয়োডিন, নেট্রাম মিউর, লাইকোপডিয়া, সাইলেসিয়া, ফিডোরিনাম, থুজা, মেডোরিনামসহ আরও অনেক ঔষধ লক্ষনের উপর আসতে পারে তবে কখনো রেজিষ্টর্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ খাওয়া ঠিক নয়। কারণ চিকিৎসক তার অভিজ্ঞতার ওপর ঔষধ নির্বাচন করে থাকেন যা চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ঔষধে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ক্ষতি সম্ভবানা প্রবল থাকে। 

থাইরয়েড এ সমস্যায় লক্ষণ বিত্তিক বেস্ট তিনটি হোমিওপ্যাথিক ঔষধের বর্ননা নীচে দেওয়া হলো :
Thyroidinum (থাইরয়েডিনাম) 
১. দেহ ও মনের খর্বতা
২. অতিরিক্ত মোটা হতে থাকা বা ফুলতে থাকা কিম্বা অতিরিক্ত রক্তহীনতা ও শীর্ণতা।
৩. চর্মরোগ ও চুল উঠে যায়।
৪. উন্মাদ ভাব এবং অনিদ্রা।

Thyroidinum  (থাইরয়েডিনাম) চরিত্রগত লক্ষণ :
১/ দেহ ও মনের খর্বতা। উন্মাদ ভাব এবং অনিদ্রা। অঘোরে ঘুম ও 
অস্থিরতাসহ বিষাদ পর্যায়ক্রমে উপস্থিত, উত্তেজনা প্রবণ, অল্প প্রতিবাদে উত্তেজিত হয়, সামন্য কারণে চটে উঠে। উত্তেজিত উত্তেজনার পরেই মানসিক অবসাদ। হতবুদ্ধি বাব, রাত্রে বয়ের অভিব্যক্তি। অত্যন্ত ক্রিপন, স্বভাব, অল্পে অসন্তষ্ট, সর্বদাই বিষন্ন, সর্বদাই বিরক্ত, অকারণে কাঁদে, উলঙ্গ হয়, আত্নহত্যার ইচ্ছা ইত্যাদি লক্ষণ থাকে।
২/ অতিরিক্ত মোটা হতে থাকা কিংবা অতিরিক্ত রক্তহীনতা, প্রবল দুর্বলতা ও শীর্ণতা। রোগী সময় সময় সাংঘাতিক রুপে রক্তহীন হয়ে পড়ে ও শরীর কঙ্কালসার হয়।
৩/ চর্ম রোগ এবং মাথার চুল উঠিয়া যায়।
৪/ থাইরয়েড গ্রন্থিও দুর্বলতা থেকে প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি দ্রব্য খাওয়ার প্রবৃত্তি জন্মে।
৫/ অত্যান্ত শীতার্ত।
৬/ মিষ্টি দ্রব্যে খাওয়ার আকাঙ্খা বেশী।
৭/ রক্তস্বল্পতা, র্শীণতা, পেশী দুর্বলতা, ঘাম, মাথা ধরা, মুখ ও অঙ্গ প্রত্যাঙ্গ স্নায়বিক কম্পন, ঝিনঝিন করার অনুভুতি ও পক্ষঘাত সৃষ্টি করে। হৃৎক্রিয়া ঘাড়ে, চক্ষুগোলক বহির্নিগত ও প্রসারিত হ। শ্লৈম্মিক শোথ ও গলগন্ডসহ জড়বুদ্ধি রোগে ভাল কাজ করে।
৮/ স্ত্রীলোকের ঋতু এক বৎসর যাবৎ বন্ধ থাকলে ও এই ঔষধ সেবনে এক সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় ঋতু অবির্ভাব সম্ভব হইয়া থাকে। ঋতু¯্রাব বন্ধ হয়ে স্তনে দুগ্ধ ক্ষরণ বড়ে যায়। ঋতুস্রাব-পরিমানে প্রচুর, দীর্ঘস্থায়ী, অল্প বয়সে রজ:লোপ।
৯/ ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে স্তনে দুগ্ধ ক্ষরণ বেড়ে যায়।
১০/ ঠান্ডা পানির পিপাসা।
১১/ রাত্রে গাড়িতে বমি ভাব, ঠান্ডায় বৃদ্ধি।
১২/ ক্ষীণ, অবিরাম নাড়ী। সামনে ঝুকিলে বুক ধড়ফড়ানি বেড়ে যায়, বুক ধড়ফড়ানি জন্য বিছানায় শুয়ে থাকতে পারে না। দ্রুত নাড়ী (ন্যাজ) বুকে উদ্বেগ বোধ যেন বুক সঙ্কচিত হয়ে পড়েছে। সামান্য পরিশ্রমে বুক ধড়ফড়ানি হৃদৎপিন্ডের ক্রিয়া দুর্বল, সেই সাথে আঙ্গলের অবশতা।

২/আয়োডিনাম :
ক্রিয়াস্থল : গ্লন্ড সমূহের উপর, স্ত্রীলোকদের স্তন, ডিম্বাকোষ, শ্লৈম্মিক ঝিল্লি, অন্ত্রর ক্রিয়া প্রকাশ করে।

আয়োডিনাম এর চরিত্রগত ও ধাতুগত লক্ষণ :
ক/ অত্যান্ত ক্ষুধা এবং প্রচুর আহার সত্বেও শীর্ণতা। খাওয়ার পর রোগী শান্তি পায়। খাইলে শান্তি পায় না খাইলে অশান্তি শুরু হয়।
খ/ দেহের শীর্ণতা, রোগী এত খায় তবুও শুকাইয়া যায়।
গ/ মেয়েদের স্থন দুটি শুকাইয়া ন্যাকড়ার মত হইয়া পড়ে।
ঘ/ থাইরয়েড, স্তন, যকৃত ডিম্বাধার, অন্ডকোষ, গ্রীবা, প্রষ্টেট গ্রন্থি বা গলা ফোলা, মুত্রশায় ফুলিয়া শক্ত হইয়া যায়।
ঙ/ রোগী গম কাতর তবে সব সময় ঠান্ডা চায়। ঠান্ডা বাতাস, ঠান্ডা পানী পান করতে চায়।
চ/ সামান্য কারণে ঠান্ডা বা সর্দি লেগে যায়।
ছ/ অত্যান্ত গরম প্রবণতা ও দুর্বলাতা।
জ/ স্নান করিতে আগ্রহী, অনেক সময় ২/৩ বারও স্নান করে।
ঝ/ রোগী সামন্য পরিশ্রমেই দুর্বল হইয়া পড়ে।
ঞ/ সিঁড়ি দিয়া উপরে উঠিতে গেলে মনে হয় দম বন্ধ হয়ে যাবে।
নেট্রাম মিউর

সারসংক্ষেপ : অলস্য, নম্রতা, ইন্দ্রিয় শক্তির স্নাহরতা, জৈব তরল পদার্থ নষ্ট হয়ে রক্ত শূন্যতা, ও শ্লেম্মাপ্রধান ধাতু ব্যক্তি। গলার মাঝে প্লাগ থাকার অনুভুতি। সকাল ১০টায়, পূর্বাহ্নে, দৈহিক পরিশ্রমে, ময়দা দ্বারা প্রাস্ত নায় বাড়ে। ঠান্ডা পানিতে গোসলে, শুয়ে থাকলে, ঘামের পরে, চাপে, দীর্ঘ শ্বাসে, ডান পাশে শয়নে ও কাজড় এঁটে পরলে কমে। ক্রোধ খিটখিটে, উৎকন্ঠা, প্রেমাতুর, নির্বাক দু:খ, বিষণতা, অত্যানুভুততিযুক্ত, উদাসীনতা, প্রলাপ, অসন্তষ্ট, স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা, কাঁদে, তেতো ও লবণ প্রিয়তা, প্রকাশ্য স্থানে প্রস্রাব করতে লজ্জাবোধ। পরনো আশাভঙ্গ হতে রোগের উৎপত্তি। দীর্ঘ সময় অবনত হয়ে থাকলে কোমর বা পিঠ ব্যথা করে। ঘামাবস্থায় ব্যথা ছাড়া অন্য সকল লক্ষণ উপশ্রম। শীর্ণতা, স্পপ্নসঞ্চরণ, রক্তস্বপ্লতা ও রক্তস্রাব ।

নেট্রাম মিউর এর বিশেষ লক্ষণ :
১/ পুরনো আশাভঙ্গ হতে রোগী উৎপত্তি।
২/ দীর্গ সময় অবনত হয়ে থাকলে কোমর বা পিঠ ব্যথা করে।
অনুভতি : (ক) জিবে চুল থাকার অনুভুতি।
(খ) উত্তাপর ঝলকাবোধ, ঘুমের সময় যেনো গরম পানি ছিটিয়ে দিচ্ছে এ রুপ অনুভতি।
(গ) উত্তাপের অনুভুতি, জাগলে, রক্তবহা নালিগুলোতে টেটে লম্বা করার অনুভুতি।
সঠিক হোমিপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ/নির্দেশনা ছাড়া কোন ঔষধ সেবন করা উচিত নয়। 
খাইরয়েড রোগীরা কি কি খাবেন :
ফ্রেস ফল এবং শাকসজি, সামুদিক মাছ, প্রচুর পরিমাণে পানি, আদা, সবুজ সবজির রস, কাঁচা সবজি
যেমন : চমেটো, কাঁচা মরিচ, গাজর, শশা, খিরা, পেঁঁপে ইত্যাদি খাবার বেশি খাওয়া উচিত।

থাইরয়েড রোগীদের খাবার বাধা-নিষেধে:
বাঁধাকপি, পুঁইশাক, ব্রকোলি, প্রভৃতি খাদ্য বেশি পরিমাণে খেলে থাইরয়েডের মস্যা হতে পারে।



চিকিৎসার্থে যোগাযোগ করুন-
আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত -১৯৬২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com


বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২২

বাচ্চাদের বিছানায় প্রস্রাবে হোমিওপ্যাথিক ও বায়োকেমিক ঔষধ

বাচ্চাদের বিছানায় প্রস্রাবে হোমিওপ্যাথিক ও বায়োকেমিক ঔষধ



বাচ্চাদের বিছানায় প্রস্রাবে হোমিওপ্যাথিক ও বায়োকেমিক চিকিৎসা:


একটু বড় বাচ্চাদের বিছানায় প্রস্রাব করা একটি রোগ। এই রোগটির নাম ইনুওরেসি'স। সাধারণত ৪-৫ বছরের ভেতর একটি শিশু পূর্ণভাবে টয়লেটে গিয়ে প্রস্রাব করতে শিখে। যদি ৫ বছরের পরেও কেউ বিছানায় প্রস্রাব করতে থাকে তাহলেই আমরা তাকে ‘ইনুওরেসিস বলবো। কেউ কেউ প্রথম থেকেই টয়লেটে গিয়ে প্রস্রাবের অভ্যাসটি রপ্ত করতে পারে না। অন্যরা আবার প্রথমে হয়ত অভ্যাসটি ঠিকই গড়ে তুলেছিল কিন্তু কয়েক বছর পর আবার কাপড়ে প্রস্রাব করা শুরু করে।

প্রথম ক্ষেত্রটিকে আমরা প্রাইমারি এবং দ্বিতীয় ক্ষেত্রটিকে সেকেন্ডারি ইনওরেসিস বলবো। সাধারণত মেয়েদের তুলনায় ছেলেরাই এ রোগে বেশি ভোগে। সম্ভবত এই কারণে যে, কোন কিছু শিক্ষণের (Learning) জন্য যে Conditioning-এর প্রয়োজন তা মেয়েদের ক্ষেত্রে সহজে ঘটে। সংখ্যা তথ্য সাধারণত কত শিশু এই রোগে ভোগে তার কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য বাংলাদেশে নেই।

তবে বৃটেনে ৫ বছর পর্যন্ত ১০%, ৮ বছর পর্যন্ত ৪% এবং ১৪ বছর পর্যন্ত ১% শিশু এই রোগে ভুগে থাকে। বাস্তবে এর চেয়েও বেশিসংখ্যক শিশু এই রোগে ভুগে থাকে। কিন্তু তাদের বাপ-মা তা ডাক্তারের কাছে রিপোর্ট করে না বলে রেকর্ডকৃত হচ্ছে না। এবং এ কারণেই যারা ডাক্তারের কাছে চিকিৎসার জন্য আসে তাদের বয়স প্রায়ই ৮/১০ কিংবা তারও বেশি হয়ে থাকে। যদি এই ন্যূনতম হিসেবেও ধরা হয় তাহলে বাংলাদেশে ৮ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে ১৬-২০ লাখ শিশু এই রোগটিতে ভুগছে।

কারণসমূহ -- বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোন শারীরিক কারণ পাওয়া যায় না। তাই কারণসমূহকে দুইভাবে ভাগ করা যায়।

ক. শারীরিক কারণ

১. মূত্রনালীর সংক্রমণ,

২. প্রস্রাবের থলির ধারণ ক্ষমতা কম হওয়া কিংবা তার কার্যকারিতায় ত্রুটি থাকা

৩. স্নায়ু সিস্টেম-এর পূর্ণতা বা পরিপক্কতা (Maturation)দেরিতে হওয়া

৪. বংশগতির প্রভাব থাকা, কেননা দেখা গেছে এসব রোগীর ৭০% নিকটাত্মীয়েরও এই রোগ ছিল। তাছাড়া ডায়াবেটিস, মৃগীরোগ, স্পাইনা বাইফডা ইত্যাদি রোগের সঙ্গেও এর লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে।

 খ. মানসিক ও পারিপার্শ্বিককারণ সমূহ -- এটার মধ্যে রয়েছে অত্যন্ত কড়াকড়িভাবে টয়লেট ট্রেনিং করানো, শিশুর প্রতি বাপ-মা'র নেতিবাচক কিংবা উদাসীন দৃষ্টিভঙ্গি, সংসারে অশান্তি ইত্যাদি


হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :
রাস-এরোমেটিক (Rhus – Aromatica):শিশুদের বিছানায় প্রস্রাবে রাস-এরোমেটিক(Rhus – Aromatica), দিনে ৩ বার ৫ ফোটা করে অব্যর্থ ফল দেয়।

(Cina) : ক্রিমিতে আক্রান্ত শিশুরা যদি ঘুমের ঘোরে বিছানায় অসারে প্রস্রাব করে এবং সর্বদা ফোটা ফোটা প্রস্রাব করে তাদের জন্য সিনা দেয়া প্রয়োজন।২০০ ও ওয়ান এম শক্তির ঔষধ সকাল বিকাল দুই মাত্র সেব্য। শিশু মাঝে মাঝেই নাক চুলকায় বা বালিশে নাক ঘষে। ঘুমের মধ্য দাঁত কড়কড় করে। অত্যধিক আবদারপরায়ণ। অনবরত এটি ওটি চায়। দিলেও সন্তুষ্ট হয় না। আবার আর কিছু খায়। অত্যধিক ক্ষুধা ও খায়। জিহ্বা পরিষ্কার এমন শিশু বিছানায় প্রস্রাব করলে সিনা (Cina 2০০, 1০০০ প্রয়ােজ্য।

(Causticum) : শিশু প্রথম ঘুমেই বিছানায় প্রস্রাব করে কষ্টিকাম তাদের পরম বন্ধু। শীতকালে বিছানায় প্রস্রাবের প্রবনতা বেশি হলে কষ্টিকাম উত্তম ঔষধ। বিছানায় প্র্রস্রাবের চিকিৎসার কথা মনে হলেই এই ঔষধের নাম স্মরন করা হয়। ৩০ বা ২০০ শক্তির ঔষধ দিনে দুই মাত্রা সেবন করতে হয়। 
ঘুমের মধ্য অসাড়ে প্রস্রাব করে, কিছুই জানতে পারে না। শিশু / বাচ্চা খুব নম্র। তিরঙ্কার করলে কেঁদে ফেলে। হাচি কাশির সময় ২/১ ফোটা প্রস্রাব বের হওয়ার অভ্যাসে কষ্টিকাম (Causticum) 200, 1000.

(Kreosote): যেসব বাচ্চারা মনে করে যে সে বাহিরে প্রস্রাব করছে কিন্তু ঘুম থেকে উঠে দেথে যে নিজের বিছানায়ই প্রস্রাব করেছে, সহজে জাগানো যায় না, বিছানায় প্রস্রাব করার পরেও বাচ্চা ঘুম থেকে জাগ্রত হয় না, প্রস্রাবে ভিজেই ঘুমাতে থাকে। 
দিনই জোর করে হলেও প্রস্রাব করিয়ে শোয়ানো তবুও শয়নের পর পরই প্রস্রাব করে ফেলে। বিছানায় প্রস্রাব করে অপরাধ বোধ করে, শিশু ভয়ানক শীতকাতর এরূপ লক্ষনের রোগীর জন্য ক্রিয়োজোট (Kreosote)প্রয়োজন । (Kreosote) c«‡qvRb | 30/200 শক্তির ঔষধ দিনে দুই মাত্রা সেব্য।

সিপিয়া (Sepia) : যে বাচ্চা প্রথম ঘুমেই বিছানায় প্রস্রাব করে এবং প্রস্রাবে দুর্ঘন্ধ থাকে তার জন্য সিপিয়া পরম বন্ধু। বিশেষ করে মেয়েদের বিছানায় প্রস্রাবের সমস্যায়  সিপিয়া (Sepia) : ভালো কাজ করে। 3০ বা 2০০ শক্তির ঔষধ দিনে দুই মাত্রা সেব্য।

(Sulphur) : সোরার প্রবনতা বা সুপ্ত সোরার বহিঃপ্রকাশ, গোসলে অনিহা, মিস্টি ও মশলা জাতীয় খাবার পছন্দ ,  যে সকল বাচ্চারা অতিরিক্ত দুষ্ট, বদমেজাজি এবং রাতের দ্বিতীয়ার্ধে বিছানায় প্রস্রাব করেন তাদের ক্ষেত্রে সালফার (Sulphur)কার্যকরী।

মেডোরিনাম Medorrhinum): সাইকোসিস ধাতুর রোগী এবং সুনির্বাচিত ঔষধ ব্যর্থ হলে মেডোরিনাম কার্যকরী, মেডোরিনামের শিশুরা দিনের বেলায় ঘুমালেও প্রস্রাব করে দেয়। রাত্রে বিছানায় প্রস্রাব করে। প্রস্রাব খুব দুর্গন্ধযুক্ত। রক্তশুন্য, শুষ্ক, শীর্ণ দূর্বল স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন, খর্বাকৃতি ও স্থূলবুদ্ধি বিশিষ্ট শিশু। সে বাতাস চায় কিন্তু সে ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না।
গনােরিয়া চাপা পড়া পিতামাতার সন্তানদের বিছানায় প্রস্রাব করার মেডোরিনাম Medorrhinum): উৎকৃষ্ট ঔষধ । শিশুর স্মরণশক্তি একবারেই কম। পড়ে মনে রাখতে পারে না। অংক মােটেই বুঝে না। প্রস্রাবে খুব দুর্গন্ধ। ক্ষুধা ও পিপাসা বেশী। দেহ শীর্ণ ও বামন।

সিফিলিনাম (Syphilinum) :সিফিলিটিক মায়াজমের শিশুরা রাত্রে ঘুমানোর সাথে সাথেই প্রস্রাব করে দেয়, এবং রাত্রের মধ্যে কয়েকবার বিছানায় প্রস্রাব করে, মুখে লালা জমার প্রবনতা এবং মুখে দুর্গন্ধ হয়।

স্যানিকিউলা (Sanicula) :  দিনের বেলায় যে সমস্ত শিশু বাচ্চারা কাপড় খুলতে খুলতে বা বিছানা হতে নামতে নামতেই প্রস্রাব করে ফেলে সেই সমস্ত শিশুদের রাত্রে বিছানায় প্রস্রাব করার ক্ষেত্রে ব্যবহার্য্য। প্রস্রাব করা স্থানে লালাভ দাগ পড়ে। তার মলের এক অদ্ভুত লক্ষণ এই যে, মল তার চার কোনা বিশিষ্ট হয়। শিশুর ঘাড়ে অত্যধিক ঘাম হয় এরকম লক্ষন ও বৈশিষ্ট্যে স্যানিকিউলা (Sanicula) : 3০, 2০০, 1০০০

সার্সাপেরিলা (Sarsaparilla):  যে সমস্ত শিশু বাচ্চারা জাগ্রত অবস্থায় না দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে পারে না, বসে প্রস্রাব করতে গেলে ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব নির্গত হয়, তাদের বিছানায় প্রস্রাব করার ইহা ভাল ঔষধ। জাগ্রত অবস্থার না দাঁড়ালে ভালভাবে প্রস্রাব না হওয়া অথচ শয়ন ও নিদ্রাঘােরে অসাড়ে প্রস্রাব হওয়া এর বিশেষত্ব। প্রস্রাব শেষ হওয়ায় প্রাক্কালে ভয়ানক যাতনা ও বিদ্যুৎ প্রবাহের ন্যায় শরীর ঝাকি দেয়াও এর আর এক বিশেষত্ব। এরূপ লক্ষন  বৈশিষ্ট্যে সার্সাপেরিলা (Sarsaparilla): 3০, 2০০, 1০০০

অ্যাসিড ফস (Acid Phos) : স্নায়ুতন্ত্রের কারণে মানসিক ও শারীরিক অক্ষমতা (রাতে বিছানায় মূত্রত্যাগ) নিয়ন্ত্রণ করতে উপযোগী।

ইকুইজেটাম (Equisetum) : কোন ঔষধ কাজ না করলে ইকুইজেটাম (ঊয়ঁরংবঃঁস) ৬ শক্তি দিনে তিন বার সেব্য।

ক্রিমি থাকিলে সিনা (Cina Maritima) ২০০ বা সােমরাজ Q, ৫ ফোটা করিয়া দিনে ৪বার কিছুদিন সেবনীয়। - ডাঃ প্রস্রাদ বন্দ্যোপাধ্যায়

ব্লুমিয়া ওডাে (Blumea Odorata) 2x (ডাঃ কাসিং) দিনে ৩ বার ৩ ফোটা করে। 

খুজা (Thuja Occidentalis) :আচিলযুক্ত বা লাল তিলওয়ালা শিশুদের বিছানায় প্রস্রাব করা ব্যাধিতে খুজা (Thuja Occidentalis) :2০০, 1০০০।

ব্যাসিলিনাম (Bacillinum): শিশু বা বালকদের শয্যামূত্রের ক্ষেত্রে ভালাে ওষুধ ব্যাসিলিনাম (Bacillinum)। - ডাঃ ফুবিস্টার (Foubister)



শিশুর বিছানায় প্রস্রাবের সমস্যায় বায়োকেমিক চিকিৎসা :
নেট্রাম ফস ( Natrum Phos):   ক্রিমিতে আক্রান্ত শিশুরা বিছানায় প্রস্রাব করলে  Natrum Pho– 3X ১/৪  বড়ি দিনে তিন বার বয়স অনুসারে সেব্য 

নেট্রাম সালফ ( Natrum Sulph):  শিশুরা বিছানায় প্রস্রাব করলে  নেট্রাম সালফ – 6x; ১/৪  বড়ি দিনে তিন বার বয়স অনুসারে সেব্য 

ক্যালকেরিয়া ফস (Calcarea phos): রক্ত শুন্য দুর্বল পুষ্টিহীন শিশুর  বিছানায় প্রস্রাব  বন্ধের জন্য (Calcarea phos)- 6x ev 12x,  ১ /৪  বড়ি দিনে তিন বার বয়স অনুসারে সেব্য

কেলি ফস (Kali phos): স্নায়ুবিক দুর্বল শিশুর জন্য কেলি ফস 3xবা 6x , ১ /৪  বড়ি দিনে তিন বার বয়স অনুসারে সেব্য। 

চিকিৎসার্থে যোগাযোগ করুন-

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত -১৯৬২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com