homeopathic (আরোগ্য হোমিও হল)

সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২২

কাশি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ

কাশি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ

কাশির লক্ষণ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :

ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় দু’ভাবেই কাশি হতে পারে। কাশি অনেককে বেশ ভোগালেও এটা কিন্তু রোগ প্রতিরোধের একটি প্রাকৃতিক উপায়। তবে অতিরিক্ত কাশি কোনো রোগের লক্ষণ হিসেবেও ঘটতে পারে।


হঠাৎ ও সজোরে ফুসফুসের বাতাস সশব্দে বের হওয়াই কাশি। এর মাধ্যমে শ্বাসনালি ও ফুসফুস থেকে বাইরের বস্তু, জীবাণু, মিউকাস নিষ্ক্রান্ত হয়ে ফুসফুসকে পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাখে। এটি একটি রিফ্লেক্স ক্রিয়া, যার রিসেপটর থাকে শ্বাসনালিতে।


এছাড়া পাকস্থলী, খাদ্যনালি, ডায়াফ্রাম, স্বরযন্ত্র ও পেরিকার্ডিয়ামেও কাশির রিসেপটর থাকে। রিসেপটর থেকে কাশির উত্তেজনা ভেগাস নার্ভ দিয়ে ব্রেনের মেডালায় পৌঁছে। সেখান থেকে স্পাইনাল নার্ভ, ভেগাস নার্ভ ও ফ্রেনিক নার্ভ হয়ে শ্বাস ত্যাগের মাংসপেশি ডায়াফ্রাম, শ্বাসনালিতে উত্তেজনা প্রবাহিত হয়ে কাশির উদ্রেক করে।


কাশি খুব জটিল সম্যাসা। হোমিওপ্যথিক চিকিৎসায় ভালো করা খুব কঠিন তার পরেও সংক্ষিপ্ত কিছু লক্ষণ ঔষধ বর্ণা দেওয়া হলো Ñ

কাশি-মোটেই থামছে নাধমকের পর  ধমক চলতেই থাকে --- কুপ্রাম মেটালিকাম ২০০,  ডোজ - ঘন্টা অন্তর

কাশির ধমক একচোট চলার পরে  সামান্য সময় গ্যাপ দিয়ে --আবার ধমক,  সামান্য সময়  গ্যাপ দিয়ে আবার ধমক, --- এরকম যদি তিনবার ধরে চলতে থাকে ( in three paroxysms--কুপ্রাম মেট

*কাশি- ধমকের পর ধমক চলতে চলতে মাঝখানে সামান্য সময়ের জন্য বিরতি বা গ্যাপের পরে আবার ধমকের পর ধমক,   বিশেষ করে মাঝ রাত্রির পরে  কাশির বৃদ্ধি --- ড্রসেরা ৩০ , ডোজ।

*যদি রকম দুই বার  ধরে কাশি চলতে থাকে (in two paroxysms) -- মার্ক সলফসফরাস

* কাশি-- খালি গায়ে বাড়ে, জামা কাপড়,  চাদর বা বেডসিট গায়ে দিলে কমে -- হিপার, রাস টকস,  রিউমেক্স,

* সব রকম বাদ্যযন্ত্রের শব্দে কাশি বাড়ে ---- এ্যাম্ব্রাগ্রিসিয়া,

* বাচ্চাদের কৃমিজনিত কাশি --- ইন্ডিগো,

* সকালে ঘুম থেকে উঠার পরেই  অনবরত কাশি,  মুখ থেকে সুতার মতন লম্বা হয়ে সর্দি উঠে, আর তখনই একটু কমে, যতক্ষন না সুতার মতন কফ বা সর্দি না বেরুবে, কাশি চলতেই থাকবে  ---- কক্কাস ক্যাকটাই,

* কাশি-- শুলে বাড়ে --- কোনিয়াম,  হায়োসিয়ামাস,  পালস, 

* কাশি শুলে কমে--- ক্যালি বাই,  ম্যাঙ্গেনাম এ্যাসেটিকাম,  সোরিনাম,

* কাশির শব্দ সেইরকমগরু বা মহিষের শিং দিয়ে তৈরী শিঙা বা ফিঙে  বাজালে যেমন শব্দ হয় ---- ভার্বাসকাম,

কাশি  শুষ্ক --- এত শুষ্ক যে স্টেথো দিয়ে শব্দ শুনলে মনে হয়--- করাত দিয়ে কেউ  কাঠ কাটছে। ----- সাঁই সাঁই করে শব্দ হয় ---- স্পঞ্জিয়া,

* কাশির ধমকে প্রস্রাব বেরিয়ে যায়,  তা সে বাচ্চা,  বড় সবার ক্ষেত্রেই --- কষ্টিকাম,  নেট্রাম মিউর, ফসফরাস,  পালসেটিলা, স্কুইলা,

* কাশি কুকুরের ডাকের মতন বিশ্রী, কর্কশ---- বেলেডোনা,  ড্রসেরা,

* যত কাশি হয়, বাচ্চারা তত কাঁদে--- আর্ণিকা,

* কাশি ঘুমের মধ্যে বেশী হয় ----ক্যামোমিলা,

* কাশি হামের পর থেকে চলতে থাকে --- ড্রসেরা, পালসেটিলা, মর্বিলিনাম, স্টিকটা,

* কাশি মদ্যপানে বাড়ে --- জিঙ্কাম মেট,


যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com


সোমবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২২

নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়

নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়

 নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায়  যা করণীয় 

নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায়  যা করণীয় 

নারী মানেই স্নেহ, ভালবাসা। কাছের মানুষ-গুলোর প্রতি যতœ, আদর আর মায়া। সাংসারিক হাজারটা দায়িত্বের মাধ্যমে সবাইকে আগলে রাখা। তবে আজকালকার দিনে এই ধারণা কিন্তু অনেকটাই বদলে গিয়েছে। এখন বাঙালী নারী আর চার-দেয়ালে সীমাবদ্ধ নেই। ঘরের সীমানা পেড়িয়ে তাঁরা আজ সাফল্যের সিঁড়ি-গুলো বেয়ে উঠে যাচ্ছে সাবলীল-ভাবে, শত বাধা-বিপত্তি ভেঙে দিয়ে। 

তবুও এখনো অনেক নারী-ই নিজেদের ব্যাপারে কিছুটা উদাসীন। প্রতিদিনের অফিস-বাসার কতশত কাজের মাঝে হয়তো সময়ই করে উঠতে পারেন না। দিনে দিনে পুরো ব্যাপারটা মন থেকে বলতে গেলে হারিয়েই যায়।


যে বিষয় গুলো আলোচনা করা হয়েছে

নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কি করণীয়

সঠিক ও পরিমিত খাদ্যাভ্যাস

নিয়মিত শরীরচর্চা

পরিমিত বিশ্রাম

ভিন্ন কিছু করা

দৈনন্দিন ব্যস্ততা থাকবেই। নারী হিসেবে তাঁদের দায়িত্বগুলো পালন করে যেতে হবে। এই ব্যাপারে হয়তো কোন বিতর্কের সুযোগ নেই। কিন্তু পাশাপাশি তাঁদের নিজেদের যতেœর দিকেও খেয়াল রাখাটা সমান, কখনোবা হয়তো একটু বেশিই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সবার যতেœর পাশাপাশি নিজের ও যতœ নেয়া চাই । শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য প্রতিদিন একজন নারী নিজের যতেœ কি কি করতে পারেন, চলুন জেনে নিই ।



১. সঠিক ও পরিমিত খাদ্যাভ্যাসঃ

রুটিন-মাফিক, পরিমিত খাদ্যাভ্যাস ই মূলত শারীরিক, তথা মানসিক সুস্থতার সবচেয়ে বড় নিয়ামক। বয়সের সাথে সাথে বিভিন্ন হরমোন-জনিত কারণে মেয়েদের একটু মোটা হয়ে যাবার ধাঁচ থাকে। পরবর্তীতে শরীর ভারী হয়ে যাবার জন্য নানাবিধ শারীরিক জটিলতা দেখা যায়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস থাকলে সহজেই এড়িয়ে যাওয়া যায় এই ভারী হয়ে যাবার প্রবণতা ।

খাবার নির্বাচন করার সময় হাই-প্রোটিন ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে খাদ্য-তালিকায় ভেজিটেবল, ফল-সহ পুষ্টিকর খাবার বেছে নিন। যেমন, গরু বা খাসির মাংসের বদলে বেছে নিতে পারেন সয়াবিন বড়ি, পালং শাক , পটল বা উচ্ছে । প্রথম প্রথম একটু কঠিন মনে হলেও পুরো ব্যাপারটিই আসলে অভ্যাসের উপর নির্ভরশীল। একবার অভ্যাস হয়ে গেলে পুরো ব্যপারটিই হয়ে ওঠে আসলেই সহজ। 

সঠিক খাদ্যতালিকা নির্বাচন এর পাশাপাশি সঠিক সময়ে খাচ্ছেন কি না সেটি ও সমান গুরুত্বপূর্ণ । অনেক সময়ই দেখা যায়, সকালের ব্যস্ততায় অনেক নারীই ঠিক মতো ব্রেকফাস্ট না করেই কাজে চলে যাচ্ছেন। আবার হয়তো সময় মতো লাঞ্চ করছেন না। এটা একেবারেই ঠিক নয়। তাই একটু সচেষ্ট হয়ে রুটিন-মাফিক খাওয়ায়া-দাওয়া করলে নিজের যতœ অনেকাংশেই নিশ্চিত করা যায়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, যেটা অনেক সময়ই নারীরা খেয়াল করেন না, তা হলো পর্যাপ্ত পানি পান করা। এ ব্যাপারেও একটু খেয়াল করলেই সুস্থতা অনেকটাই নিশ্চিত করা যায়।


২. নিয়মিত শরীরচর্চাঃ

প্রতিদিন কমপক্ষে এক ঘন্টা হালকা এক্সারসাইজ অথবা মেডিটেশন সত্যিই শরীর ও মন, দুটোই নিমিষেই করে ফেলতে পারে চাঙা। এক্সারসাইজ বলতে একেবারেই জিম-এ গিয়ে হেভি ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করে শরীরচর্চা করতে হবে এমনটি কিন্তু নয়।

প্রতিদিন ভোরবেলা কানে হেডফোন লাগিয়ে নিয়ে নিজের পছন্দের গান শুনতে শুনতে একটানা কোন পার্ক অথবা নিদেনপক্ষে ঘরের ভেতরেই হেঁটে বেড়ালেই শরীর অনেকটাই ফিট রাখা সম্ভব। প্রতিদিন এক্সারসাইজ-এর জন্য হার্ট-রেট বজায় থাকবে, শরীরের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়াও স্বাভাবিক থাকবে। যার এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী। পরবর্তীতে এজিং-এর মতো ভাবনাদায়ক বিষয়গুলো খুব সহজেই শুধুমাত্র একটিভ লাইফস্টাইল এবং এক্সারসাইজ-এর মাধ্যমেই এড়িয়ে যাওয়া যায়।

বর্তমানে অনেক নারীকেই মেডিটেশন করার ব্যাপারে উৎসাহী হতে দেখা যাচ্ছে। ভাবনায় আটকে না থেকে শুরু করে দেয়াই ভালো। আর মেডিটেশন যদি নাও শুরু করা হয়, তবে দেহ-মনের আড়ষ্টতা দূর করতে বডি ম্যাসাজ-ও বেশ কার্যকরী । 


৩. পরিমিত বিশ্রামঃ

পর্যাপ্ত ও শান্তির ঘুম না হলে মানসিক প্রশান্তি আসবে না। স্বাভাবিকভাবেই দায়িত্বের চাপে চলে আসে অতিরিক্ত টেনশন। পরিমাণমতো ঘুমালে অনেকখানিই কমে যায় টেনশন । কিন্তু শুধু পর্যাপ্ত ঘুম নয়, প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিশ্রামেরও। এক্ষেত্রে রুটিন-মাফিক বেশি রাত না জেগে তাড়াতাড়ি বিছানায় চলে যাওয়া এবং খুব ভোরে দিন শুরু করলে শরীর ও মন দুটোই চাঙা রাখা সম্ভব। সকাল সকাল দিন শুরু করলে সারাদিনে কাজ শেষ করার সময়ও বেশি পাওয়া যায়। 


৪. ভিন্ন কিছু করাঃ

নৈমিত্তিক ব্যস্ততা থাকবেই সকল নারীর । কিন্তু এরপরও নিজেদের মনে আনন্দের খোরাকের জন্যই যদি মাঝে মাঝে কিছুটা সময় তাঁরা নিজেদের পছন্দ মতো কিছু একটা করা সত্যিই উচিত। সেটা হতে পারে বই পড়া, গান শোনা , গান করা বা মুভি দেখা বা যেটাই মন চায়, সেটাই করতে হবে । 

আমাদের অনেকেরই মা-খালারা কাঁথা সেলাই, রান্না ইত্যাদি কাজে বেশ পারদর্শী। তাঁদের এই শখটি ধরে রাখতে একটু উৎসাহ আমরা সবাই চাইলেই দিতে পারি। মনে রাখা জরুরি, জীবনটা শুধু দায়িত্ব পালনের জন্যই নয়- পাশাপাশি এনজয় করাটাও সবারই প্রাপ্য। বাড়ির ছাদে অথবা বারান্দায় একটি ছোট বাগানের পরিচর্যা করলেও মন অনেক ভালো থাকে।

 

শেষকথা, স্বাস্থ্যের প্রতি সবারই খেয়াল রাখা দরকার কিন্তু একজন নারীকে যেহেতু পরিবারের সবারই খেয়াল রাখতে হয়, সেহেতু তার স্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ রাখা সবচেয়ে জরুরী ।

ভালো লাগলে লাইক দিন, কমান্ড করুণ :

যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

রবিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২২

 ঋতুশূল বেদনা বা বাধক বেদনায় হোমিওপ্যাথিক চিকৎসা

ঋতুশূল বেদনা বা বাধক বেদনায় হোমিওপ্যাথিক চিকৎসা

 ঋতুশূল বা বাধক বেদনায় হোমিওপ্যাথিক চিকৎসা : 


 ঋতুশূল বা বাধক বেদনায় হোমিওপ্যাথিক চিকৎসা : 

কারণ – হিম ঠাণ্ডা লাগা, জরায়ুর প্রদাহ, ডিম্বকোষের পীড়া, কোষ্ঠবদ্ধতা, জরায়ুর গ্রীবার পথের সঙ্কোচন ও জরায়ুর নিঃসারক ধমনীতে রক্তাধিক্যতা প্রভৃতি কারণে কতুশূল বা বাধক বেদনা হইয়া থাকে ।

লক্ষণ—ইহাতে পৃষ্ঠদেশে, কোমরে, উরুদেশে, ডিম্বকোষে ও জরায়ুতে অত্যন্ত বেদনা থাকে এবং তলপেটে প্রসব বেদনার ন্যায় বেদনা অনুভব হয়। এই বেদনা ঋতুস্রাবের পূর্ব্বে বা ঋতুস্রাবের সময় আরম্ভ হয় ।

এবং দুই এক দিন কিম্বা ঋতুস্রাব যতদিন থাকে ততদিন থাকিয়া শেষে কমিয়া যায়। এতৎসহ মাথাধরা, বুক ধড়ফড়  করা, অল্প রক্তস্রাব প্রভৃতি লক্ষণ বিদ্যমান থাকে। বাধক রোগ বর্ত্তমান থাকিলে স্ত্রীলোকের সন্তান প্রায়ই হয় না।



চিকিৎসা

অ্যাকোনাইট (Aconit) : ৩০,২০০:— মানসিক উত্তেজনা হইতে অথবা হঠাৎ ভয় পাইয়া ঋতু বন্ধ হইয়া কিংবা অল্প পরিমাণ ঋতুর সঙ্গে যদি তলপেটে ও কোমরে তীব্র বেদনা এবং আনুসঙ্গিক উপসর্গ উপস্থিত হয়, তবেই অ্যাকোনাইট বিশেষ উপযোগিতার সহিত ব্যবহৃত হইয়া থাকে।

এপিস মেলিফিকা (Apis Mel)  : ৩০, ২০০:– ডানদিকের ডিম্বাশয়ে হুলবিদ্ধবৎ বেদনা, রোগিণীর ক্রন্দনপ্রবণতা, না কাঁদিয়া থাকিতে পারে না। প্রস্রাবের স্বল্পতাসহ হস্তপদে এবং মুখমন্ডলে শোথ। রক্তহীনতা। খুব অল্প পরিমাণ লালবর্ণের গাঢ় প্রস্রাব এবং উহা ত্যাগকালে জ্বালা।

অ্যামোন-কার্ব ( Ammonium Car)  : ৩০, ২০০:– বাধকে তীব্র বেদনা এবং ক্ষুধামান্দ্য। ঋতুশোণিত কালো চাপচাপ, তীব্র বেদনার সঙ্গে নির্গত হয়। রজঃস্রাবের পূর্বেই পেটে বেদনা, যথাসময়ের অনেক পূর্বে ঋতু হয়। ঋতুসময়ে কলেরার ন্যায় লক্ষণ প্রকাশ পায় দাঁত ককনানি, শীতশীতভাব, সর্বদা আড়ামোড়া খাওয়া, বিষণ্ণতা।

বেলাডোনা (Belladonna) : ৩০, ২০০:—পেটে ভয়ানক টাটানি ব্যথা, প্রসববেদনার ন্যায় বেদনা। মনে হয় যেন যোনিপথ দিয়া সমস্ত বাহির হইয়া যাইবে৷ ঋতুশোণিত কতকটা তরল, কতকটা চাপচাপ । অত্যন্ত যন্ত্রণা এবং উত্তেজনাসহ বাধক বেদনায় বেলাডোনা বিশেষ উপযোগী।

কোমরে এবং সমস্ত পেটে বেদনা, যেন টাটিয়ে থাকে, উহাতে হাত দেওয়া যায় না। মাথাধরা, মুখমন্ডল আরক্তিম। রক্তাধিক্য লক্ষণযুক্ত বাধকবেদনায় বিশেষ উপযোগী। রক্তপ্রধান ধাতুবিশিষ্ট যুবতীদের ব্যাধি।

বোরাক্স (Borax) : ৩০,২০০:– ঝিল্লীযুক্ত বাধকে ইহা বিশেষ উপযোগিতার সর্হিত ব্যবহৃত হয়। তীব্র বেদনাসহ শীঘ্র শীঘ্র প্রচুর পরিমাণ ঋতুস্রাব হয় । অন্ডলালের ন্যায় শ্বেতপ্রদর, উহাঁ নির্গত হইবার সময়ে মনে হয় যেন যোনিদ্বার দিয়া গরম জল বাহির হইতেছে। বমন বা বমনেচ্ছাসহ পাকাশয়ে বেদনা।

ব্রায়োনিয়া (Bryonia) ৩০,২০০:– ঋতুকালে স্তনে বেদনা; নাসিকা হইতে রক্তস্রাব, ঋতুস্রাব শীঘ্র শীঘ্র এবং প্রচুর পরিমাণে হয়। ডিম্বাশয়ে বিশেষত ডানদিকের ডিম্বাশয়ে সূচিবিদ্ধবৎ বেদনা, জোরে নিঃশ্বাসের সঙ্গে বেশি করিয়া অনুভূত হয়। ডিম্বাশয় ছিঁড়িয়া যাওয়ার ন্যায় বেদনা, উরুদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।

ক্যাল্কেরিয়া কার্ব (Calcarea carb) : ৩০, ২০০:— গণ্ডমালা ধাতুবিশিষ্টা এবং মোটা থলথলে চেহারার  স্ত্রীলোকগণ যাহারা সামান্য কারণেই সর্দিকাশিতে ভুগিয়া থাকে, তাহাদের বাধকবেদনায় বিশেষ উপযোগী।

পদদ্বয়ের অত্যন্ত শীতলতা, মনে হয় ভিজা মোজা পায়ে দিয়া আছে। পুনঃপুনঃ ঋতুর প্রকাশ, পরিমাণে প্রচুর এবং বহুদিন স্থায়ী। শৈত্যভোগ অথবা অর্দ্রতাজনিত ঠাণ্ডাজলে স্নান করিয়া হঠাৎ ঋতু বন্ধ হইয়া প্রবল বেদনা উপস্থিত হয়।

ক্যামোমিলা (Chamomilla) ৩০,২০০:— অত্যন্ত খিট্খিটে মেজাজ, উগ্র স্নায়বিক প্রকৃতির যুবতীদের বাধকবেদনায় উপযোগিতার সহিত ব্যবহৃত হয়। অত্যন্ত বেদনা, রোগিণী সহ্য করিতে পারে না, আক্ষেপিক এবং প্রসববেদনার ন্যায় বেদনা;

বেদনা সামান্য হইলেও রোগিণীর কাছে অসহ্য বোধ হয়। বেদনার সঙ্গে অল্প পরিমাণ চাপচাপ ঋতুশোণিত নির্গত হয়, বেদনা অসহ্য হওয়ায় রোগিণী ক্রন্দন করে, কিছু জিজ্ঞাসা করিলে অভদ্রভাবে উত্তর দেয়।

সিমিসিফিউগা (Cimicifuga) : ৩০,২০০:– বাতরোগগ্রস্তা, স্নায়বিক প্রকৃতির স্ত্রীলোকগণের বাধকে বিশেষ হিতকর। কোমরে এবং পৃষ্ঠে বেদনা; ঋতু সময়ে কোরিয়া, মূর্ছা এবং মানসিক বিকৃতি। মানসিক অবসাদ, মন দুঃখপূর্ণ, মনে হয় বুঝি পাগল হইয়া যাইবে।

জরায়ুপ্রদেশে বেদনা, পেটের একদিক হইতে অন্যদিকে বিস্তৃত হয়। প্রসববেদনার ন্যায় বেদনা, মনে হয় যেন সমস্ত নাড়িভুঁড়ি যোনিপথ দিয়া বাহির হইয়া যাইতেছে। অনিয়মিত ঋতু কখনও অল্প, কখনও বেশি, কখনও সময়ে হয়, কখনও অসময়ে, সেই সঙ্গে পূর্বোক্তরূপ বেদনা।

কলোফাইলাম (Caulophyllum) : ৩০,২০০:– আক্ষেপিক বাধকে বিশেষ হিতকর কলোফাইলাম জ্ঞাপক প্রসববেদনার ন্যায় সেই প্রকৃতির বাধকেও ইহা উপযোগী। আক্ষেপিক বেদনা দেহের অন্যান্য অংশে যেমন ঊরুতে, বুকে, হাতে, পায়ে বিস্তৃত হয়।

কোমর হইতে পিউবিস পর্যন্ত, সবিরাম বেদনা  ইহার বিশেষত্ব। হাঁতে পায়ের আঙুলে বাতের বেদনা, বিশেষত সঞ্চরণশীল বেদনা  থাকিলে ইহা অধিকতর উপযোগিতার সহিত ব্যবহৃত হয়।

কলোসিন্থ (Colocynth) : ৩০,২০০:– কলোসিন্থ সকল প্রকার বেদনারই একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ এবং সকল প্রকার ।বাধকবেদনাতেই ইহা উপযোগিতার সহিত ব্যবহৃত হইয়া থাকে অত্যন্ত অসহ্য বেদনা, সেই বেদনার জন্য রোগিণী উপুড় হইয়া থাকে। পেটে বালিশ প্রভৃতি চাপ দিয়া শয়ন করে, ইহাতে সে আরাম পায় । 

উত্তাপ প্রয়োগেও বেদনার উপশম হয়, ক্রোধ অথবা বিরক্তির পরেই বেদনা ধরিলে ইহা আরও উপযোগিতার ‘সহিত ব্যবহৃত হইয়া থাকে। অত্যন্ত অধৈর্য ও উত্তেজিত স্বভাবের রোগিণী, কিছু জিজ্ঞাসা করিলে অসন্তুষ্ট হয়, রাগিয়া উঠে।

ককিউলাস (Cocculus) : ৩০,২০০: — তীব্র বেদনাসহ অতি শীঘ্র ঋতু দেখা দেয়; এত বেদনা, মনে হয় পেটের ভিতর দুইখানি ধারাল পাথর ঠোকাঠুকি করিতেছে । অত্যন্ত বমনেচ্ছা এবং বমন ও মানসিক অবসাদ। ঋতুরক্ত কালো কালো চাপ চাপ, ঋতুকালে অত্যন্ত দুর্বলতা, রোগিণী চলাফেরা করিতে পারে না। মাথাধরা এবং বমনেচ্ছা।

কফিয়া ক্রুডা ((Coffea)  : ৩০,২০০:– ঋতুশোণিত নিঃসরণ সময়ে তীব্র বেদনা, রোগিণী সহ্য করিতে পারে না এরূপ বেদনা। বেদনার জন্য রোগিণী ছটফট করে এবং ক্রন্দন করে।

ক্রোকাস (Crocus) ৩০,২০০:– ঋতুস্রাব কালো বর্ণের, আঠার মতো পুরু এবং সূতার মতো হইয়া নির্গত হয়। রক্ত নির্গত হইয়াই জমিয়া যায়। কালোবর্ণের চট্ট্চটে জমাট বা চাপচাপ রক্তস্রাব, টানিলে যেন কালো সূতার ন্যায় হইয়া নির্গত হয়। সেইসঙ্গে বেদনা এবং মনে হয় যেন পেটে কোন গোলাকার বস্তু নড়াচড়া করিয়া বেড়াইতেছে।

সিক্লামেন (Cyclamen)৩০,২০০:— রক্তহীনা এবং হরিৎপাণ্ডু বা ক্লোরোসিসগ্রস্তা স্ত্রীলোকদের বাধকবেদনায় উপযোগী। অজীর্ণরোগ বিশেষত যে সকল স্ত্রীলোকের ঘৃতপক্ক জিনিস খাইলে মোটেই সহ্য হয় না।

তাহাদের বাধকবেদনায় ইহা অধিকতর উপযোগিতার সহিত ব্যবহৃত হইয়া থাকে। ঋতুকালে পেটে ভয়ানক বেদনা। মানসিক নিস্তেজতা । সিক্লামেন রোগিণীর প্রায়ই পিপাসা দেখা যায় এবং সে মুক্ত বায়ু পছন্দ করে না, তাহাতে উপসর্গ বেশি হয়।

জেলসিমিয়াম (Gelsemium ৩০,২০০:– আচ্ছন্নভাব এবং সকল বিষয়ে বৈরাগ্য এই লক্ষণসহ বাধক। আক্ষেপিক ও স্নায়বিক বাধকে বিশেষ উপযোগী। ঋতুস্রাবের পূর্বেই মাথাধরা ও বমন প্রকাশ পায়।

ঋতুকালে আরক্তিম মুখমন্ডল, মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চয়। প্রচুর পরিমাণে মূত্রনিঃসরণে মাথাধরার নিবৃত্তি। জরায়ুর মধ্যে তীব্র বেদনা, প্রসববেদনার ন্যায় বেদনা কোমরে, পৃষ্ঠে এবং ঊরুতে বিস্তৃত হয়।

হ্যামামেলিস (Hamamelis) : ৩০,২০০:– ঋতুর সময় ঋতু না হইয়া পৃষ্ঠে, কুঁচকিতে এবং ঊরুতে বেদনা। মস্তিষ্কে এবং অন্ত্রে পূর্ণতাবোধ। মস্তকে তীব্র বেদনা, তন্দ্রা এবং গাঢ় নিদ্রা, ডিম্বকোষেও তীব্র বেদনা। অর্শ এবং পদদ্বয়ের স্ফীতি ও বেদনাযুক্ত শিরা লক্ষণে ইহা অধিকতর উপযোগিতার সহিত ব্যবহৃত হয়।

ইগনেসিয়া (Ignatia) :  ৩০, ২০০:– হিস্টিরিয়ারোগগ্রস্তা স্ত্রীলোকগণের বাধকে বিশেষ উপযোগী। জরায়ুর মধ্যে আক্ষেপের ন্যায় ছুরিকাবিদ্ধবৎ তীব্র বেদনা, স্পর্শে বেদনার বৃদ্ধি ।

জীবনে নৈরাশ্য এবং অত্যন্ত বিষণ্ণভাব,রোগিণী অত্যন্ত শোকপূর্ণা, ঘনঘন দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে। কোন বিষয়ে মনঃসংযোগ করিতে পারে না। মাথার মধ্যে যেন সমস্ত গোলমাল হইয়া গিয়াছে এইরূপ মনে হয়। প্রসববেদনার ন্যায় বেদনা।

লিলিয়াম টিগ্রাইনাম (Lilium Tigrinum) : ৩০,২০০:— শীঘ্র শীঘ্র ঋতু হয়, কিন্তু স্রাব পরিমাণে অত্যন্ত অল্প। দুর্গন্ধ গাঢ় রংয়ের স্রাব। রোগিণী যখন চলাফেরা করে কেবলমাত্র তখনই নির্গত হয়। প্রসববেদনার ন্যায় বেগ, পেটের নাড়িভুঁড়ি সমস্ত যোনিপথ দিয়া বাহির হইয়া যাইতেছে এইরূপ মনে হয়।

তলপেটে তীব্র বেদনা এবং এক কুঁচকি হইতে অন্য কুঁচকি পর্যন্ত বিস্তৃত হয়, বেদনা নিচের দিকে এমন কি পায়ে নামিয়া আসে। রোগিণীর বিষন্নভাব, না কাঁদিয়া থাকিতে পারে না। হৃৎস্পন্দন, অত্যন্ত রতীচ্ছা এবং সেইজন্য অস্থিরতা। জরায়ুর স্থানবিচ্যুতি ঘটিলে ইহা অধিকতর উপযোগিতার সহিত ব্যবহৃতহয়।

ম্যাগনেসিয়া ফস (Magnesia Phos) : ৩০,২০০:- স্নায়বিক এবং আক্ষেপিক বাধকবেদনায় ইহা বিশেষ উপযোগিতার সহিত ব্যবহৃত হয়। ফলত, প্রকৃতির বাধকের ইহা একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। ঋতুর পূর্বে বেদনার বৃদ্ধি, ঋতু  আরম্ভ হইলে ইহার উপশম। বেদনা এত তীব্র হয় যে, রোগিণী সম্মুখের দিকে উপুড় হইয়া থাকিতে বাধ্য হয়।

উত্তাপে এবং কঠিন চাপে বেদনার উপশম এবং সঞ্চালনে বৃদ্ধি। ডানদিকে বেদনার আধিক্য, তীবরেঁধার ন্যায় বা বিদ্যুত্ব বেদনা। গাঢ় রংয়ের আঠার ন্যায় স্রাব,ঠাণ্ডা হাওয়ায় রোগের বৃদ্ধি। ঝিল্পীযুক্ত বাধকেও ইহা বিশেষ উপযোগী।

নেট্রাম মিউর(Natrum Mur) : ৩০২০০:– যে সকল স্ত্রীলোক ক্রন্দনশীলা, দুঃখকষ্টে বা সামান্য কারণে অশ্রুপাত করে অথচ সহানুভূতি দেখাইলে বা সান্ত্বনা দিলে রাগ করে খিট খিটে স্বভাব। এবং যে সকল স্ত্রীলোক প্রায়ই দুর্বলা এবং রক্তহীনা, যাহাদের মুখমন্ডল শীর্ণ ও শুষ্ক, যাহারা সর্বদা বিষন্ন এবং সামান্য কারণে কুপিত, সামান্য কারণে যাহাদের হৃৎস্পন্দন, কম্প ও মানসিক উত্তেজনা হয় ।

এবং যাহারা অত্যধিক লবণ খায়, তাহাদের বাধকবেদনায় নেট্রাম মিউর বিশেষ উপযোগিতার সহিত ব্যবহৃত হইয়া থাকে। জরায়ুদ্রংশ এবং জরায়ুতে আক্ষেপিক বেদনা থাকিলে ইহা অধিকতর উপযোগিতার সহিত ব্যবহৃত হইয়া থাকে।

ঋতু অনেক বিলম্বে অল্প পরিমাণে হয়, সেই সময়ে বা তাহার পূর্বে মানসিক বিষণ্ণতা, শিরঃপীড়া, হৃৎস্পন্দন, কোমরে বেদনা ইত্যাদি লক্ষণ প্রকাশ পায়। ঋতুসময়ে দিনের বেলায় পদতলে বরফের ন্যায় ঠান্ডা এবং রাত্রিকালে উহা জ্বালাযুক্ত হয়।

প্লাটিনা (Platinum) : ৩০,২০০:- অত্যন্ত গর্বিত এবং উদ্ধত স্বভাবের স্ত্রীলোক যাহারা নিজেকে মহৎ মনে করে এবং অপর সকলকে ঘৃণা করে, নিকৃষ্ট মনে করে, চারিপার্শ্বের দ্রব্যাদি যাহার চক্ষে অত্যন্ত ছোট বলিয়া মনে হয়, তাহাদের বাধকবেদনায় ইহা বিশেষ উপযোগী।

ইহা প্রধানত স্ত্রীব্যাধিতেই ব্যবহৃত হইয়া থাকে এবং স্ত্রীরোগে ইহা একটি উৎকৃষ্ট ঔষধরূপে গণ্য হয়। অত্যন্ত দুর্গন্ধযুক্ত কালোবর্ণের চাপচাপ খণ্ডযুক্ত স্রাব। অতি শীঘ্র শীঘ্র বেশি পরিমাণে ঋতুস্রাব হয়। জরায়ুর মধ্যে বেদনার সঙ্গে আক্ষেপ।

স্রাব আরম্ভের পূর্বে পৃষ্ঠদেশেও বেদনা, রোগিণী চীৎকার করিতে থাকে। স্বামিসহবাস অত্যন্ত কষ্টদায়ক, অথচ প্ল্যাটিনাজ্ঞাপক রোগিণী অত্যন্ত কামাতুরা, কামোন্মত্ততায় যাহাকে সম্মুখে দেখে তাহাকেই সজোরে আলিঙ্গন করে।

পালসেটিলা (Pulsatilla) :  ৩০, ২০০:— ইহা বাধকবেদনার একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। নম্র প্রকৃতির, অশ্রুপ্রবণা যুবতীদের বাধকে ইহা বিশেষ উপযোগিতার সহিত ব্যবহৃত হয়। ঋতুবন্ধ অথবা উহা বিলম্বে নিয়মিতভাবে প্রকাশ পায়।

স্রাব অত্যন্ত অল্প হয়। ঋতুর পূর্ব হইতেই তলপেটে জরায়ুর মধ্যে টানিয়া ধরার ন্যায় অথবা কাটিয়া ফেলার ন্যায় বেদনা হয়। অত্যন্ত স্পর্শদ্বেষ, হাত দিতে পারা যায় না। বেদনা সঞ্চরণশীল  অর্থাৎ এক স্থান হইতে অন্য স্থানে চলিয়া বেড়ায়। জরায়ুর স্থানচ্যুতি। ঋতুস্রাব সবিরাম , কখনও বন্ধ হয় আবার পরক্ষণে স্রাব চলিতে থাকে।

ঋতুস্রাবের সঙ্গে শীতবোধ, বেদনা যত বেশি হয় শীতভাবও তত বেশি প্রকাশ পায়। ঋতুপ্রকাশের পূর্বে তলপেটে তীব্র বেদনা। কখনও খামচানোর ন্যায়, আবার কখনও বা খিলধরার ন্যায় বেদনা। রুদ্ধ গৃহে রোগিণী অত্যন্ত কষ্ট অনুভব করে, যেন দম বন্ধ হইয়া আসে। রোগিণী মুক্ত বায়ুতে থাকিতে আরাম বোধ করে। ঋতুস্রাব কখনও কালো চাপচাপ, কখনও জলবৎ বর্ণহীন তরল রক্ত।

সিপিয়া (Sepia) : ৩০,২০০:— কোমলস্বভাব, উদাসীনভাব, নিজের ছেলে মেয়েদের উপরেও টান নাই। সংসারের কাজকর্ম করিতে অনিচ্ছা। ঋতুর পূর্বে পেটে অত্যন্ত বেদনা, সমস্ত শরীরে কম্পন। ঋতুকালে পায়ের হাড়ে বেদনা, দন্তবেদনা, দৃষ্টিশক্তির ক্ষীণতা, শ্বেতপ্রদর স্রাব। যোনিতে সঙ্কোচক বেদনা, সহবাসকালে যোনিতে ভয়ানক বেদনা অনুভব করে। শ্রোণীপ্রদেশে প্রসববেদনার ন্যায় বেদনা।

সেই সঙ্গে ত্রিকাস্থিপ্রদেশে ঠেলিয়া ধরারন্যায় বেদনা মনে হয় যেন শ্রোণীপ্রদেশের যন্ত্রসমূহ প্রসববেদনার সঙ্গে নামিয়াবহির্গত হয়তেছে যোনিপথ দিয়৷ সমস্ত বাহির হইয়া যাইতেছে এই অনুভূতি হইতে নিস্তার পাইবার জন্য রোগিণী পায়ের উপর পা দিয়া জড়সড় হইয়া বসে।জরায়ুদ্রংশসহ বাধকবেদনায় অধিকতর উপযোগিতার সহিত ব্যবহৃত হয়।

সিকেলি কর (Secale Cor) : ৩০,২০০ :– শীর্ণকায়া স্ত্রীলোকদের বাধকবেদনায় বিশেষ উপযোগী। জরায়ুতে অত্যন্ত সঙ্কোচক বেদনা। জরায়ু বহির্গত হইয়া পড়িবার মতো বেদনা। জরায়ু এবং ডানদিকের ডিম্বাশয়ে রক্তাধিক্য এবং টাটানি বেদনা।

অনিয়মিত ঋতু অল্প অথবা অধিক পরিমাণে হয়। গাঢ় বর্গের তরল রক্তস্রাব। অধিকদিন স্থায়ী অথবা এক ঋতু হইতে পরবর্তী ঋতু পর্যন্ত পাতলা জলবৎ রক্ত ধীরে ধীরে নির্গত  হইতে থাকে। হাতপা ঠাণ্ডা ঝিন ,ঝিন করে। অত্যন্ত দুর্বলতা। পায়ের ডিমেতে খাল ধরে।

সেনিসিও (Senecio) : ৩০,২০০:– সেনিসিও স্ত্রী রোগের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। জরায়ুতে এবং বিশেষত ব্লাডারের গলদেশে তীব্র বেদনাসহ অনিয়মিত ঋতু বা ঋতুবন্ধ।

সালফার (Sulphur) : ৩০,২০০:– সোরা এবং স্কোফুলাধাতুর রোগিণীদের পক্ষে উপযোগী। বিশেষত অন্য সুনির্বাচিত ঔষধ প্রয়োগে উপকার না হইলে ইহা ব্যবহৃত হইয়া থাকে। হাতেপায়ে জ্বালা, সমস্ত শরীরে উত্তাপবোধ।

জরায়ুপ্রদেশে ভারবোধ এবং প্রসবের বেশের ন্যায় বেগ, রোগিণী সোজা হইয়া দাঁড়াইতে পারে না, তাহাতে কষ্টবোধ হয়। শরীরে অসংখ্য চর্মরোগ থাকিলে অপরিষ্কার বা নোংরা স্বভাবের হইলে বিশেষ ফলপ্রদ।

ভাইবারনাম ওপুলাস (Viburnum Opulus) : ৩০,২০০ :– আক্ষেপিক এবং স্নায়বিক বাধকে ইহা বিশেষ উপযোগী। বিশেষত এরূপক্ষেত্রে  ঝিল্পীযুক্ত বাধকেও ইহা উপযোগী। বেদনা এত তীব্র যে, রোগিণী বসিতে চেষ্টা করিলে তাহার মূর্ছা হয়।

তলপেটে শূলবৎ বেদনা ইহার বেদনার আর একটি বিশেষত্ব যে, উহা কোমরের পৃষ্ঠদেশ হইতে আরম্ভ করিয়া কোমর জুড়িয়া যৌনাস্থি  এবং উরুর সম্মুখের পেশিতে বিস্তৃত হয়। জরায়ুর মধ্যে খাল ধরে। ঋতুস্রাব অতি বিলম্বে অল্প পরিমাণে হয়। কয়েক ঘন্টা অবস্থিতির পরে আবার বন্ধ হইয়া যায় । ইহা বাধকবেদনার একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ।

জিঙ্কাম মেট্যালিকাম (Zincum Metallicum) : ৩০,২০০:–অত্যন্ত স্নায়ধিক অবসাদ। রোগিণীর পদদ্বয় অবিরত কম্পিত হয় , ইহা জিঙ্কামের বিশিষ্ট লক্ষণ। ঋতুস্রাব আরম্ভ হইলে রোগিণীর আর কোন উপসর্গ থাকে না, কিন্তু স্রাব বন্ধ হইলেই পেটে বেদনা, মাথার যন্ত্রণা, অজীর্ণতা ইত্যাদি নানা উপসর্গ আসিয়া উপস্থিত হয়।


যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com