কাশির লক্ষণ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :
ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় দু’ভাবেই কাশি হতে পারে। কাশি অনেককে বেশ ভোগালেও এটা কিন্তু রোগ প্রতিরোধের একটি প্রাকৃতিক উপায়। তবে অতিরিক্ত কাশি কোনো রোগের লক্ষণ হিসেবেও ঘটতে পারে।
হঠাৎ ও সজোরে ফুসফুসের বাতাস সশব্দে বের হওয়াই কাশি। এর মাধ্যমে শ্বাসনালি ও ফুসফুস থেকে বাইরের বস্তু, জীবাণু, মিউকাস নিষ্ক্রান্ত হয়ে ফুসফুসকে পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাখে। এটি একটি রিফ্লেক্স ক্রিয়া, যার রিসেপটর থাকে শ্বাসনালিতে।
এছাড়া পাকস্থলী, খাদ্যনালি, ডায়াফ্রাম, স্বরযন্ত্র ও পেরিকার্ডিয়ামেও কাশির রিসেপটর থাকে। রিসেপটর থেকে কাশির উত্তেজনা ভেগাস নার্ভ দিয়ে ব্রেনের মেডালায় পৌঁছে। সেখান থেকে স্পাইনাল নার্ভ, ভেগাস নার্ভ ও ফ্রেনিক নার্ভ হয়ে শ্বাস ত্যাগের মাংসপেশি ডায়াফ্রাম, শ্বাসনালিতে উত্তেজনা প্রবাহিত হয়ে কাশির উদ্রেক করে।
কাশি খুব জটিল সম্যাসা। হোমিওপ্যথিক চিকিৎসায় ভালো করা খুব কঠিন তার পরেও সংক্ষিপ্ত কিছু লক্ষণ ঔষধ বর্ণা দেওয়া হলো Ñ
* কাশি-মোটেই থামছে না, ধমকের পর ধমক চলতেই থাকে --- কুপ্রাম মেটালিকাম ২০০, ২ ডোজ - ৬ ঘন্টা অন্তর
কাশির ধমক একচোট চলার পরে সামান্য সময় গ্যাপ দিয়ে --আবার ধমক, সামান্য সময় গ্যাপ দিয়ে আবার ধমক, --- এরকম যদি তিনবার ধরে চলতে থাকে ( in three paroxysms) --কুপ্রাম মেট
*কাশি- ধমকের পর ধমক চলতে চলতে মাঝখানে সামান্য সময়ের জন্য বিরতি বা গ্যাপের পরে আবার ধমকের পর ধমক, বিশেষ করে মাঝ রাত্রির পরে কাশির বৃদ্ধি --- ড্রসেরা ৩০ , ১ ডোজ।
*যদি ঐ রকম দুই বার ধরে কাশি চলতে থাকে (in two paroxysms) -- মার্ক সল, ফসফরাস
* কাশি-- খালি গায়ে বাড়ে, জামা কাপড়, চাদর বা বেডসিট গায়ে দিলে কমে -- হিপার, রাস টকস, রিউমেক্স,
* সব রকম বাদ্যযন্ত্রের শব্দে কাশি বাড়ে ---- এ্যাম্ব্রাগ্রিসিয়া,
* বাচ্চাদের কৃমিজনিত কাশি --- ইন্ডিগো,
* সকালে ঘুম থেকে উঠার পরেই অনবরত কাশি, মুখ থেকে সুতার মতন লম্বা হয়ে সর্দি উঠে, আর তখনই একটু কমে, যতক্ষন না সুতার মতন কফ বা সর্দি না বেরুবে, কাশি চলতেই থাকবে ---- কক্কাস ক্যাকটাই,
* কাশি-- শুলে বাড়ে --- কোনিয়াম, হায়োসিয়ামাস, পালস,
* কাশি শুলে কমে--- ক্যালি বাই, ম্যাঙ্গেনাম এ্যাসেটিকাম, সোরিনাম,
* কাশির শব্দ সেইরকম, গরু বা মহিষের শিং দিয়ে তৈরী শিঙা বা ফিঙে বাজালে যেমন শব্দ হয় ---- ভার্বাসকাম,
* কাশি শুষ্ক --- এত শুষ্ক যে স্টেথো দিয়ে শব্দ শুনলে মনে হয়--- করাত দিয়ে কেউ কাঠ কাটছে। ----- সাঁই সাঁই করে শব্দ হয় ---- স্পঞ্জিয়া,
* কাশির ধমকে প্রস্রাব বেরিয়ে যায়, তা সে বাচ্চা, বড় সবার ক্ষেত্রেই --- কষ্টিকাম, নেট্রাম মিউর, ফসফরাস, পালসেটিলা, স্কুইলা,
* কাশি কুকুরের ডাকের মতন বিশ্রী, কর্কশ---- বেলেডোনা, ড্রসেরা,
* যত কাশি হয়, বাচ্চারা তত কাঁদে--- আর্ণিকা,
* কাশি ঘুমের মধ্যে বেশী হয় ----ক্যামোমিলা,
* কাশি হামের পর থেকে চলতে থাকে --- ড্রসেরা, পালসেটিলা, মর্বিলিনাম, স্টিকটা,
* কাশি মদ্যপানে বাড়ে --- জিঙ্কাম মেট,
যোগাযোগ -
আরোগ্য হোমিও হল
প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান
ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)
বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)
ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)
ডিএইচ এমএস (ঢাকা)
রেজি নং- ১৬৯৪২
মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।
মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪
arh091083@gmail.com
hafizurrahman2061980@gmail.com
0 coment rios: