homeopathic (আরোগ্য হোমিও হল)

সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১

হৃদরোগ থেকে বাঁচতে  ১০ খবার বর্জ ন করুন

হৃদরোগ থেকে বাঁচতে ১০ খবার বর্জ ন করুন

হৃদরোগ থেকে বাঁচতে  ১০ খবার বর্জন করুন

 

যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

 রোটা ভাইরাস ও ডায়রিয়া লক্ষণ

রোটা ভাইরাস ও ডায়রিয়া লক্ষণ

 রোটা ভাইরাস ও ডায়রিয়া লক্ষণ




যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

স্তন টিউমার ও স্তন ক্যান্সারে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

স্তন টিউমার ও স্তন ক্যান্সারে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা



স্তন টিউমার ও স্তন ক্যান্সারে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

মহিলাদের স্তন টিউমার (ব্রেস্ট টিউমার) হওয়া বর্তমানে কমন একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে অনেক নারী এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। কোন কারণে কোষের বিভাজন ও ধ্বংসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ বাধাগ্রস্ত হলে টিউমার তৈরি হয়ে থাকে।

স্তন টিউমার সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমেই যে কথাটা বলতে হয় তা হল বর্তমানে মহিলারা আগের থেকে অনেক সচেতন এবং বাড়ির সবার স্বাস্থ্যরক্ষার পাশাপাশি তারা নিজেদের সমস্যা নিয়ে অনেক বেশি ডাক্তারের কাছে যান ও সচেতনতা মুলক ক্যাম্প গুলোতে অংশ গ্রহণ করেন।

কিন্তু এখনও সমাজে অনেকরকম কুসংস্কার রয়ে গেছে। ফলে ব্রেস্ট বা স্তনে টিউমার হলে মহিলারা প্রথমেই মনে করেন বোধহয় স্তনে ক্যানসার হয়েছে। কোন লাম্প বা ফোলা তৈরি হলেই যে ক্যান্সার এটা ঠিক না।

টিউমারের প্রকারভেদ :-

স্তনে দুই ধরনের টিউমার হয়। অবশ্য শরীরের যেকোনো জায়ঘাতেই এই দুই ধরনের টিউমার হয়। একটা হল বিনাইন টিউমার যা নন ক্যান্সার টিউমার এবং অন্যটা হল ম্যালিগ্যান্ট বা ক্যান্সার টিউমার।

বিনাইন টিউমার যেকোন বয়সেই হতে পারে। অর্থাৎ সাত বছর থেকে সত্তর বছর যেকোনো বয়সেই দেখা যেতে পারে। ম্যালিগ্যান্ট টিউমার বিদেশে সাধরণত চল্লিশ-পয়তাল্লিশ বছর বয়সে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে ত্রিশ বছর বয়সেও খুব অল্প সংখ্যায় দেখা যায়।

বিনাইন টিউমার :

বিনাইন টিউমার সম্বন্ধে বলতে গেলে খুব পরিচিত যে টিউমারটি দেখা যায় তা হল ফাইব্রোঅ্যাডিনোমা। যেটা কিন্তু পনেরো বছর বয়স থেকে আঠারো কি কুড়ি-বাইশের মেয়েদের দেখা যায়। শক্ত চাকার মতো, এক জায়ঘায় ধরলে অন্য জায়গায় পালিয়ে যায়। এই টিউমারটার আসলে গঠনগত ক্রটি দেখা যায় এবং সম্পূর্ণ বিনাইন। এই টিউমার থেকে ক্যানসার হবার সম্ভাবনা একেবারেই থাকে না। আর যেহেতু এই টিউমারগুলো থেকে ক্যানসার হবার সম্ভাবনা নেই, তাই এই টিউমারগুলোকে সত্যি। অপারেশন করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। ওষুধেও এই টিউমারগুলো সারে না। বিদেশে কতগুলো পরীক্ষা করে নেওয়া হয়। এরপর মেয়েটিকে জিঞ্জাসা করা হয় সে কি চায়? আজকালকার দিনে মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করাই বাঞ্ছনীয়। কেউ যদি বলে ডাক্তার আমার অপারেশন করার ইচ্ছা নেই সেক্ষেত্রে কিন্তু গভীর পরীক্ষার মাধ্যমে নজর রাখা সম্ভভ। মজার ব্যাপার হল বহুক্ষেত্রেই দেখা গেছে ম্যামোগ্রামে ধরা পড়া ফাইব্রো অ্যাডিনোমাটি ষাট বা সত্তর বছর বয়সেও ম্যামোগ্রামে দেখা যাচ্ছে। তখনও  একটা ছোট্র মটরশুটির মতো দানা হয়ে রয়েছে। তাহলে ধারণা করা যেতে পারে যে এতদিন অবধি কোনো পরিবর্তন না হওয়া টিউমারটি মেরে ফেলার টিউমার নয়। এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই অবজার্ভেশনে রাখা চলে। তবে রোগীর যদি মনের জোর থাকে তাহলে অবজার্ভেশনে রাখা চলে। কিন্তু বেশিরভাগ সময় মুশকিল হয় পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি। সেক্ষেত্রে দরকার হল নিয়মিত চেক আপ। অর্থাৎ জায়গাটা বাড়ছে কি না, ব্যথা হচ্ছে কি না। যদি দেখা যায় জিনিসটা বেড়েছে বা ব্যথা হয়েছে তাহলে তখন তো অপারেশনের রাস্তা খোলাই রয়েছে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে এসব ক্ষেত্রে ওষুধে সারবে না। ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ বছর পরে নতুন করে কোনো ফাইব্রয়েড অ্যাডিনোমা তৈরি হয় না।

সিস্ট কাকে বলে :

আর এক ধরনের লাম্প হচ্ছে সিস্ট। সিস্ট জিনিসটা হল একটা জলভরা থলি। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে যেরকম লোকের চুল পাকে তেমনি ব্রেস্টে কিংবা কিডনিতে সিস্ট আসবে, কিছু কিছু কোষ মরে যাবে, সেই জায়গাটা ফাঁকা হয়ে যাবে। একটু জল ভরে যাবে জায়গাটা। সেটাকেই সিস্ট বলে। আর এই সিস্টগুলো থেকে কখনোই ক্যানসার হয় না। তবে কিছু কিছু ক্যানসার আছে যারা সিস্ট নিয়ে বয়ে বেড়ায়। একশোটা সিস্টের মধ্যে নিরাসব্বইটাই কিন্তু বিনাইন বা নন ক্যানসারাস দেখা যায়।

বাচ্চাদের দুধ খাওয়াতে গিয়ে অনকে সময় স্তনে দুধ জমে যায়। ঠিকমতো দুধটা না বেরোনোর জন্য রয়ে গেল। সেটাও একটা সিস্ট। পার্থক্য হল একটা সিস্টে দুধ আছে, অন্য সিস্টে জল রয়েছে। কিন্তু দুধটা জমে থাকার দরুন আদৌ কোনো অসুবিধা হয় না। তাহলে সিস্টের মতো চাকা বা সিস্ট নিয়ে যদি কেউ আসে তাহলে এক্ষেত্রেও অপারেশনের দরকার পড়ে না।

আলট্রাসোনোগ্রাফি করে সিস্ট নির্ধারণ হয়ে গেলে ক্লিনিকেই নিডল সিরিঞ্জের সাহায্যে একটু বার করে দিলেই দুধ কিংবা জল যাই হোক সমস্যা মিটে যাবে। কাটাকুটি করার প্রয়োজন নেই। এটা করলেই পুরোপুরি নিরাময়।

স্তন ক্যানসার :

ব্রেস্ট ক্যানসার সম্বন্ধে বলতে গেলে প্রথমেই বলব ‘ব্রেস্ট ক্যানসার’ সেরে যায়। এফ.এন.এ.সি বা ‘কোর বায়োপসি’ করলে ক্যানসার কোনো দিনও ছড়ায় না। ব্রেস্ট ক্যানসার একটা মাল্টি সিস্টেমিক ডিজিজ। শুধু ব্রেস্ট ছাড়া অন্যান্য অঙ্গেরও চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। সেই কারণে ব্রেস্ট ক্যানাসরের চিকিৎসা করাতে একজন সার্জেন ছাড়াও একজন মেডিকেল অষ্কোলজিস্ট আর একজন রেডিওথেরাপিস্টের মিলিত প্রয়াসে সুসম্পন্ন হয় এবং অবশ্যই সাহায্যের জন্য দক্ষ নার্স ও কাউন্সেলরেরও প্রয়োজন। এভাবে একটা টিম তৈরি হয়। যাদের মিলিত প্রচেষ্ট থাকে রোগীকে সমস্ত রকম উদ্বেগ ও চিন্তা থেকে মুক্ত রাখা।



লক্ষণ :

ক/ ব্রেস্ট ক্যানসারের লক্ষণে রোগীরা সাধারণত লাম্প, নিপল ঢুকে যাওয়া, বুতে চাকা বা গাঁট অনুভব করেন। অনক সময়স্তনবৃন্ত থেকে লাল রঙের রস বা রক্ত বের হয়।

খ/ কমবেশি সব মহিলাদের স্তনেই লাম্প থাকে। এর মধ্যে কয়েকটি ক্যানসারাস ও কয়েকটি নন-ক্যানসারাস। এই ব্রেস্ট লাম্পগুলি অনেক সময় আন্ডারআর্ম বা কলার বোনের তলাতেও দেখা যায়। এছাড়া স্তনবৃন্তের আশপাশেও এই ধরনের লাম্প থাকে যেগুলি টিপলে শক্ত লাগে এবং অবস্থান পরিবর্তন করে না। এমন কিছু দেখলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। 

গ/ কোনও রকম র‌্যাশ নেই স্তনে, তবু ইচিং বা চুলকানির মতো অনুভূতি হচ্ছে, এমন কিছু কিন্তু ক্যানসারের লক্ষণ। অনেক সময় এর সঙ্গে নিপ্‌ল থেকে হালকা হালকা রস‌ নিঃসৃত হয়, স্তনের ত্বকেও কিছুটা পরিবর্তন আসে। তাই চুলকানির মতো কিছু হলে নিজে থেকে কোনও ক্রিম বা লোশন লাগাবেন না। আগে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলবেন। 

গ/ স্তনে টিউমার থাকলে তা আশপাশের ব্রেস্ট টিস্যুগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং তার ফলে স্তনে একটা ফোলা ফোলা ভাব দেখা যায়। এরই সঙ্গে স্তনে লাল ভাবও থাকে। স্তনে হাত দিলে বা চাপ দিলে ব্যথাও লাগে।

ঘ/ কাঁধ এবং ঘাড়ের ব্যথাও ব্রেস্ট ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে কারণ এই ক্যানসার স্তন থেকে খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে শরীরের এই অংশগুলিতে। এই সমস্ত জায়গায় ব্যথা হলে সাধারণের পক্ষে জানা সম্ভব নয় তা মাস্‌ল পেইন নাকি ক্যানসারের কারণে ঘটছে। তাই পরীক্ষা করে নেওয়াই ভাল। 

ঙ/ স্তনের আকার এবং সাইজ পরিবর্তনও এই ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। সচরাচর এই বিষয়টি পার্টনারের চোখেই বেশি পড়ে। তেমন কিছু শুনলে বিষয়টি উড়িয়ে দেবেন না। নিজেই আয়নার সামনে স্তনটি পরীক্ষা করুন এবং ক্যানসারের পরীক্ষা করিয়ে নিন।

চ/ স্তনে লাম্প সব সময় বড় আকারের হয় না। ছোট ছোট ফুসকুড়ির মতো লাম্পও দেখা যায় স্তনবৃন্তের আশপাশে। অন্তর্বাস পরে থাকার সময় যদি ঘর্ষণ অনুভব করেন, বিছানায় শোওয়ার সময় যদি ব্যথা লাগে তবে চিকিৎসকের কাছে যেতে দেরি করবেন না। 

জ/ ব্রেস্টফিডিং করছেন না অথচ স্তনবৃন্ত থেকে অল্প অল্প দুধের মতো জলীয় পদার্থ নিঃসরণ হচ্ছে এমনটা দেখলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যাবেন। এটি ব্রেস্ট ক্যানসারের অন্যতম বড় লক্ষণ। অনেক সময় স্তনবৃন্ত থেকে রক্ত পড়তেও দেখা যায়।

ঝ/ স্তনবৃন্ত হল স্তনের অসম্ভব সংবেদনশীল অংশ। যদি দেখেন যে স্তনবৃন্ত স্পর্শ করলেও তেমন একটা অনুভূতি হচ্ছে না বা একেবারেই অনুভূতিহীন হয়ে গিয়েছে তবে তা ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। স্তনবৃন্তের ত্বকের তলায় ছোট ছোট টিউমার তৈরি হলেই এমনটা হয়। 

ঞ/ স্তনবৃন্ত চ্যাপ্টা হয়ে যাওয়া, বেঁকে যাওয়া বা স্তনবৃন্তের শেপ অসমান হয়ে যাওয়া ক্যানসারের লক্ষণ, বিশেষ করে যদি ব্রেস্টফিডিং না চলাকালীন অবস্থাতেও এই বিষয়গুলি চোখে পড়ে। সঙ্গীকে বলুন ভাল করে পর্যবেক্ষণ করতে। সামান্য সন্দেহ হলেই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

ট/ স্তনের উপরের ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া, অনেকটা কমলালেবুর খোসার মতো, ক্যানসারের প্রাথমিক স্টেজের লক্ষণ। দিনের মধ্যে একটা সময় তাই ভালভাবে স্তনটি পর্যবেক্ষণ করা উচিত। যে কোনও লক্ষণ চোখে পড়লেই দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং পরীক্ষা করান।

স্তন টিউমার এর কারণ : 

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ইৎবংঃ ঞঁসড়ঁৎ বা ঈধহপবৎ এর কারণ হিসেবে মায়াজমকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাইকোসিস ও টিউবারকুলোসিস মায়াজম ও সক্রিয় থাকতে পারে। এছাড়া পারিবারিক বা বংশগত ইতিহাসে কারও ক্যান্সার হয়ে থাকলে ওই মায়াজমটি ইৎবংঃ ঈধহপবৎ-এর ঝুঁকিটা আরও বাড়িয়ে দেয়।

ডিজিটাল বিজ্ঞান এখনো স্তনের টিউমার বা ক্যান্সার জাতীয় টিউমারের কারণ খুঁজে বের করতে পারেনি। তবে কিছু নির্দিষ্ট কারণকে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা ইৎবংঃ ঞঁসড়ঁৎ-এর কারণ বলে চিহ্নিত করেছেন। যেমন: 

১। কোন আঘাতজনিত কারণে স্তনের ঞরংংঁব বা কোষ নষ্ট হয়ে গেলে।

২। অনেক বেশি বয়সে প্রথমে গর্ভধারণ। 

৩। বাচ্চাকে যদি স্তনের দুধ পান করানো না হয়। 

৪। যেসব পরিবারে ক্যান্সার বা ব্রেস্ট ক্যান্সারের ইতিহাস পাওয়া যায়। 

৫। ইস্টোজেন ও প্রজেস্টোরেন হরমোনের আনুপাতিক বৈষম্য তেজষ্ক্রিয় আয়নের প্রভাবের কারণে। 

৬। মাসিক হচ্ছে একটি বড় কারণ।

৭। কম বয়সে মাসিক হওয়া এবং বেশি বয়সে বন্ধ হয়। 

৮। এছাড়া রেডিয়েশনের প্রভাবেও টিউমার ও ক্যান্সার হতে পারে।



ক্যান্সারের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার সুফল

হোমিওপ্যাথি গবেষক ও চিকিৎসক ডা. বার্নেট তাঁর ক্লিনিক্যাল গবেষণায় লক্ষ্য করেন যে, একটি বা দুটি হোমিওপ্যাথি ঔষধ ব্যবহারে প্রায়ই টিউমার এবং ক্যান্সার সারানো যায় না। কারণ টিউমার/ক্যান্সারের পেছনে সাধারণত অনেকগুলো কারণ (খরহশ) থাকে । আর একেকটি কারণ দূর করতে একেক ধরনের ঔষধের প্রয়োজন হয়। তিনি পিত্তপাথর থেকে কোলেস্টেরিনাম (ঈযড়ষবংঃবৎরহঁস) নামক একটি ঔষধ আবিষ্কার করেন যা দিয়ে অনেক লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যান্সার তিনি নির্মুল করেছেন। হোমিওপ্যাথিতে ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যর্থতার একটি মুল কারণ হলো রোগীর জীবনীশক্তিহীনতা বা মারাত্মক শারীরিক দুর্বলতা (ষড়ি ারঃধষরঃু) ।

অধিকাংশ রোগী কবিরাজি এবং এলোপ্যাথিক চিকিৎসা করে শরীরের বারোটা বাজিয়ে যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়, তখন আসে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের কাছে। অবাক লাগে যখন দেখা যায়, লোকেরা স্তন টিউমার এবং স্তন ক্যান্সারের মতো সহজ রোগে অপারেশন, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি ইত্যাদি করে ধ্যানাধ্যান মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। অথচ অকল্পনীয় শক্তিশালী হোমিওপ্যাথি ঔষধের কাছে স্তন টিউমার এবং স্তন ক্যান্সার একেবারে সহজ রোগ।

স্তন টিউমার সম্পর্কে হোমিওপ্যাথি গবেষক ও চিকিৎসক ডা. বার্নেট একটি মজার গল্প লিখে গেছেন। এক মহিলার স্তনে ক্যান্সার হলে বার্নেট প্রায় দেড় বৎসর হোমিওপ্যাথি ঔষধ খাইয়ে বিনা অপারেশনে সেটি সারিয়ে দেন। কিছুদিন পর সেই মহিলা তার এক বান্ধবীকে ডা. বার্নেটের কাছে নিয়ে আসেন, যার ডান স্তনে একটি টিউমার হয়েছে। ভদ্র মহিলা ডা. বার্নেটকে জিজ্ঞেস করলেন, “এটি নিরাময় করতে আপনার কত দিন লাগবে?”। বার্নেট বললেন, “দুই বৎসর”। ভদ্র মহিলা বললেন, “তাহলে আমি অপারেশন করাকেই ভালো মনে করি। কেননা তাতে মাত্র পনের দিন লাগে”। তারপর সে অপারেশন করাল এবং অপারেশনের ছয় মাস পরে তার বাম স্তনে আবার টিউমার দেখা দিল। বাম স্তনে টিউমার আবার অপারেশন করে ফেলে দেওয়ার ছয়মাস পরে তার জরায়ুতে ক্যান্সার দেখা দেয়। জরায়ুতে অপারেশনের কিছুদিন পর সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল। এভাবে দুই বছর ঔষধ খাওয়া যার কাছে বিরক্তিকর মনে হয়েছিল, তিন তিনটি অপারেশনের ধাক্কায় দেড় বছরের মধ্যে সে দুনিয়া ছেড়ে বিদায় নিল। 

হায় ! নির্বোধ মানুষেরা সব বিষয়ে কেবল শর্টকার্ট রাস্তা খোঁজে, কিন্তু তারা বুঝতে চায় না যে, শর্টকার্ট রাস্তা প্রায় সবক্ষেত্রেই মানুষের জন্য ধ্বংস ডেকে আনে।

হোমিওপ্যাথিকে বলা হয় পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা বিজ্ঞান (যড়ষরংঃরপ যবধষরহম ংপরবহপব) অথবা মনো-দৈহিক গঠনগত (ঈড়হংঃরঃঁঃরড়হধষ সবফরপরহব) চিকিৎসা বিজ্ঞান। অর্থাৎ এতে কেবল রোগকে টার্গেট করে চিকিৎসা করা হয় না বরং সাথে সাথে রোগীকেও টার্গেট করে চিকিৎসা করা হয়। রোগীর শারীরিক এবং মানসিক গঠনে কি কি ত্রুটি আছে (পড়হমবহরঃধষ ফবভবপঃ), সেগুলোকে একজন হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক খুঁজে বের করে তাকে সংশোধনের চেষ্টা করেন। রোগটা কি জানার পাশাপাশি তিনি রোগীর মন-মানসিকতা কেমন, রোগীর আবেগ-অনুভূতি কেমন, রোগীর পছন্দ-অপছন্দ কেমন, রোগী কি কি জিনিসকে ভয় পায়, কি ধরণের স্বপ্ন দেখে, ঘাম কেমন, ঘুম কেমন, পায়খানা-প্রস্রাব কেমন, কি পেশায় নিয়োজিত আছে, কি কি রোগ সাধারণত তার বেশী বেশী হয়, অতীতে কি কি রোগ হয়েছিল, বংশে কি কি রোগ বেশী দেখা যায়, রোগীর মনের ওপর দিয়ে কি ঝড় বয়ে গেছে ইত্যাদি ইত্যাদি জেনে রোগীর ব্যক্তিত্ব (রহফরারফঁধষরঃু) বুঝার চেষ্টা করেন এবং সেই অনুযায়ী ঔষধ নির্বাচন করেন। এই কারণে হোমিওপ্যাথিক ঔষধে এমন রোগও সেরে যায়, যা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে কল্পনাও করা যায় না। একজন হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক রোগীর শারীরিক কষ্টের চাইতে বেশী গুরুত্ব দেন রোগীর মানসিক অবস্থাকে। কেননা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন যে, অধিকাংশ জটিল রোগের সূচনা হয় মানসিক আঘাত (সবহঃধষ ংযড়পশ) কিংবা মানসিক অস্থিরতা/উৎকন্ঠা/দুঃশ্চিনতা (ধহীরবঃু) থেকে। মোটকথা অধিকাংশ মারাত্মক রোগের প্রথম শুরুটা হয় মনে এবং পরে তা ধীরে ধীরে শরীরে প্রকাশ পায়। এজন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলতেন যে, মনই হলো গিয়ে আসল মানুষটা (সরহফ রং ঃযব সধহ)। তাছাড়া পৃথিবীতে হোমিওপ্যাথি ঔষধই একমাত্র ঔষধ যাকে মানুষের শরীর এবং মনের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আবিষ্কার করা হয়েছে। পক্ষান্তরে দুনিয়ার অন্য সমসত্ম ঔষধই আবিষ্কার করা হয় ইঁদুর-খরগোশ-গিনপিগ ইত্যাদি পশুদের শরীরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। এই কারণে হোমিওপ্যাথি ঔষধ মানুষের শরীর ও মনকে যতটা বুঝতে পারে, অন্য কোন ঔষধের পক্ষেই তা সম্ভব নয়।

টিউমার এবং ক্যান্সার চিকিৎসায় আমাদের সকলেরই উচিত প্রথমে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা অবলম্বন করা। কেননা, কেমোথেরাপি, অপারেশন, রেডিয়েশন ইত্যাদি শতকরা নিরানব্বই ভাগ ক্ষেত্রেই রোগীর মৃত্যুকে দ্রুত ডেকে আনে। হোমিওপ্যাথিতে টিউমার/ক্যান্সার চিকিৎসার আরেকটি বিরাট সুবিধা হলো এতে শতকরা নিরানব্বই ভাগ ক্ষেত্রে ব্যয়বহুল, কষ্টদায়ক এবং ক্ষতিকারক কোন প্যাথলজিক্যাল টেস্টের দরকার হয় না। (যেমন-বায়োপসি, মেমোগ্রাফী, এক্স-রে, সিটি ষ্ক্যান (ঈঞ ংপধহ), এমআরআই (গজও) ইত্যাদি)। কেননা হোমিওপ্যাথিতে ঔষধ দেওয়া হয় রোগীর শারীরিক গঠন এবং মানসিক বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। যারা ইতিমধ্যে কেমোথেরাপি, অপারেশন, রেডিয়েশান ইত্যাদি অপচিকিৎসা নিয়ে মৃত্যুর দুয়ারে পৌঁছে গেছেন, তাদেরও কাল বিলম্ব না করে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত। ইহার মাধ্যমে তারা ঐসব কুচিকিৎসার কুফল থেকে মুক্ত হয়ে আবারও রোগমুক্ত সুস্থ-সুন্দর জীবনধারায় ফিরে আসতে সক্ষম হবেন। যেহেতু আমাদের দেশে মেধাসম্পন্ন হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের যথেষ্ট অভাব রয়েছে, তারপরও হোমিওপ্যাথি আরোও আয়ত্ব করে হোমিওপ্যাথি ঔষধ প্রেসক্রাইব করা এবং হোমিওপ্যাথদের জন্য সরকারি সুযোগসুবিধা বৃদ্ধি করা। কেননা হোমিওপ্যাথি ঔষধ একই সাথে রোগের জন্যও ভালো এবং রোগীর চিকিৎসা ব্যয়ও কমিয়ে দেয় অনেক। এমনকি যে-সব ক্ষেত্রে ক্যান্সার সারা শরীরে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার কারণে রোগীকে বাচাঁনো কোন মতেই সম্ভব নয়, সেক্ষেত্রে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত রোগীর যাবতীয় অমানুষিক কষ্টসমূহ নিয়ন্ত্রণে রাখার চিকিৎসাতেও (ঢ়ধষষরধঃরাব ঃৎবধঃসবহঃ) হোমিওপ্যাথি ঔষধ অন্য যে-কোন ঔষধের চাইতে সেরা প্রমাণিত হয়ে থাকে। তাই যে-সব সেবামুলক সংস্থা মানুষকে ক্যান্সারের চিকিৎসা সেবা প্রদানরত আছে, তারা ইচ্ছে করলে ক্যানসারের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে একই পয়সায় আরো অনেক বেশী মানুষকে প্রকৃত চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে পারেন। (সূত্র : ঈ.ই গ ঊরষষরধং ্ ঙঃযবৎং)

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা : 

===============

রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয়। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় আধুনিক ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে কোনো ধরনের অস্ত্রোপচার ও কষ্টকর থেরাপি ছাড়াই সুস্থতা লাভ করা সম্ভব এবং রোগীর লক্ষণগুলো সংগ্রহ করে সঠিক ওষুধ নির্বাচন করতে পারলে তাহলে ব্রেস্ট টিউমার ও জরায়ু টিউমার ব্যাধিতে হোমিওপ্যাথিতে সফল চিকিৎসা দেয়া সম্ভব।

আপনার যে কোন রোগব্যাধির যে কোন সমস্যায় সর্বদা লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা প্রদানে পাশে আছি। রোগ লক্ষণ যত কঠিন হোক না কেন, রোগলক্ষণ প্রাথমিক বা দ্বিতীয় অবস্থায় সংশ্লিষ্ট রোগলক্ষণ বিষয়ে একজন বিশেষ অভিজ্ঞ রেজির্ষ্টাড হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে আপনার ব্যাধি আরোগ্য হবেই।

মানব দেহ মনে সৃষ্ট, জন্মগত, বংশগত অথবা এই জীবনে অর্জিত পুরুষ, মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধ সহ যে কোন বয়সীদের যেকোন ব্যক্তিগত বা গোপনীয় রোগব্যাধি, যেকোন পুরাতন রোগব্যাধি বা ক্রনিক ডিজিজ ও ক্যান্সার সহ যেকোন প্রকার রোগব্যাধির লক্ষণভিত্তিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করুন।

নিরাপদ ও স্থায়ী চিকিৎসার জন্য আপনার যে কোন রোগব্যাধির যে কোন সমস্যায় সর্বদা পাশে আছি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্বীকৃত বিজ্ঞানসম্মত প্রাকৃতিক ও নিরাপদ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গভ. রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের নিকট হতে গ্রহণ করুন এবং সুস্থ থাকুন।

যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

রবিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২১

 যোনি শুকনো দূর করার  ঘরোয়া উপায়

যোনি শুকনো দূর করার ঘরোয়া উপায়

 

 যোনি শুকনো দূর করার  ঘরোয়া উপায়

মেনোপজের সময় বা পরে মহিলাদের মধ্যে যোনি শুকনো এটি সাধারণ সমস্যা। এটি বেশ কয়েকটি কারণে বা অল্প বয়সী মহিলাদের ক্ষেত্রেও এ ঘটতে পারে। কারণ কোনও কারণই নয়, সমস্যাটি কারণে অসুস্তিবোধ করে।

 যোনি শুকনোর : প্রথম ধাপ, পরামর্শ,  সতর্কবাণী।

মেনোপজের সময় বা পরে মহিলাদের মধ্যে যোনি শুকনো  বা সুস্কতা একটি সাধারণ সমস্যা। এটি বেশ কয়েকটি কারণে অল্প বয়সী মহিলাদের হয়ে থাকে। কোনও কারণই নয়, সমস্যাটি দিনের বেলা অস্বস্তি তৈরি করার পাশাপাশি যৌন অস্বস্তি বা অসম্ভব করে তুলে আপনি চুলকানি বা ময়শ্চারাইজিং পণ্যগুলি সহ, এস্ট্রোজেনযুক্ত ওষুধের মাধ্যমে বা যৌন ক্রিয়াকলাপের আগে বা সময় উত্তেজনা বাড়িয়ে এই শুষ্কতা দুর করতে পারেন।

ধাপ

পদ্ধতি ১ এর ১: তৈলাক্তকরণ উন্নতি


যৌনতার সময় লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার করেন। জল ভিত্তিক লুব্রিকেন্টস বিভিন্ন ধরণের রয়েছে যা লিঙ্গটিতে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা সরবরাহ করতে পারে। আপনি ফার্মাসিটি এবং সুপারমার্কেট গুলিতে এমন অনেক পণ্য দেখতে পারেন। শুষ্কতার কারণে সৃষ্ট অস্বস্তিকর ঘর্ষণ কমাতে যৌন ক্রিয়াকলাপের আগে এবং সময় আপনি যতটা চান ব্যবহার করুন।

সিলিকন ভিত্তিক লুব্রিকেন্টগুলিও ভাল বিকল্প, তবে তারা পোশাক দাগ দিতে পারে এবং যৌন খেলনাগুলির সাথে সামঞ্জস্য নাও করতে পারে।

খনিজ তেল এবং পেট্রোলিয়াম জেলি এর মতো তেল ভিত্তিক পণ্যগুলি এড়িয়ে চলুন।

আপনি যদি প্রাকৃতিক পণ্য পছন্দ করেন তবে জোজোবা, নারকেল বা অ্যালো অয়েল ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।



আপনি যদি হরমোনগুলি একপাশে রাখতে চান তবে কোনও ফার্মাসিতে যোনি ময়শ্চারাইজার কিনুন। ময়েশ্চারাইজারগুলি লুব্রিক্যান্ট থেকে আলাদা - লুব্রিকেন্টগুলি কেবল লিঙ্গের আগে এবং সময় ব্যবহার করা হয়; যোনি ময়শ্চারাইজারগুলি যোনি শুষ্কতার কারণে চলমান অস্বস্তি উন্নতির জন্য সর্বদা ব্যবহার করণ।

নিশ্চিত হয়ে নিন যে পণ্যটিতে ইস্ট্রোজেন, সুগন্ধ বা স্বাদ নেই এবং প্রয়োজনে বাধা contraceptive রাব পদ্ধতি (সাধারণত কনডম) ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতি দুই বা ৩ দিনে একবার ব্যবহার করুন।


যৌন উত্তেজনা বাড়ান। কিছু মহিলাদের ক্ষেত্রে, যোনি শুকনো সম্পূর্ণরূপে জাগ্রত না হয়ে সহবাস করার চেষ্টা করার ফলাফল। উত্তেজনা রক্তকে যৌনাঙ্গে নিয়ে যায় এবং দেহটি নিজের যোনি লুব্রিক্যান্ট উত্পাদন শুরু করে। আরও উত্তেজিত হওয়ার জন্য বিভিন্ন উপায়ে চেষ্টা করুন এবং আপনার যদি সমস্যা অব্যাহত থাকে, তবে একজন চিকিৎসক সাথে কথা বলুন।

ফোরপ্লেতে বেশি সময় ব্যয় করুন। স্নেহ, চুম্বন, ম্যাসাজ, ম্যানুয়াল উদ্দীপনা এবং ওরাল সেক্স শরীরকে যৌনতার জন্য আরও ভালভাবে প্রস্তুত করতে সহায়তা করে। যৌন আনন্দ বাড়ানোর জন্য খেলনা যেমন ভাইব্রেটর ব্যবহার করুন। জাগ্রত হতে এবং প্রচণ্ড উত্তেজনা পেতে অনেক মহিলার ক্লিটোরাল উদ্দীপনা প্রয়োজন। আপনার নিজের দেহে কী আনন্দ দেয় তা জানার জন্য হস্তমৈথুন করার চেষ্টা করুন এবং এই তথ্যটি আপনার সঙ্গীর সাথে ভাগ করুন। মানসিক চাপ কমাতে! মানসিক কারণে অনেক মহিলার যৌন উত্তেজনা নিয়ে সমস্যা হয়। গরম ঝরনা নেওয়া বা হাঁটতে হাঁটতে লিঙ্গের ঠিক আগে আরাম করুন।

পদ্ধতি ২ এর ২: জীবনধারা পরিবর্তন করে


যোনি শাওয়ার বা ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি স্প্রে ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। এই পণ্যগুলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রচারের উপায় হিসাবে মহিলাদের লক্ষ্যযুক্ত করা হয়েছে। তবে যোনি শরীরের এমন একটি অংশ যা নিজেকে পরিষ্কার করে। আপনার যোনি শুষ্কতা থাকলে এই ধরণের পণ্যগুলি থেকে দূরে থাকুন কারণ তারা সমস্যাটি আরও খারাপ করে তুলতে পারে।

গরম জল যথেষ্ট পরিমাণে বেশি। যোনি বাইরে বা ভিতরে সাবান বা অন্যান্য পরিষ্কারের পণ্য ব্যবহার করবেন না।


খাঁটি, সুগন্ধ মুক্ত পণ্য ব্যবহার করুন। এই পণ্যগুলিতে থাকা রাসায়নিকগুলির কারণে  স্নান, সুগন্ধযুক্ত সাবান এবং ক্রিম এবং লন্ড্রি ডিটারজেন্ট শুষ্কতা আরও খারাপ করতে পারে। যখনই সম্ভব, সহজ, অপরিশোধিত পণ্য ব্যবহার করুন। প্রাকৃতিক লন্ড্রি ডিটারজেন্ট ব্যবহার করার চেষ্টা করুন এবং ফ্যাব্রিক সফটনার ওয়াশকোথ ব্যবহার করবেন না।


গরম টব এবং পুল সহ যত্ন নিন। পাবলিক সুইমিং পুলগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্লোরিন থাকে যা ত্বককে অনেক শুকিয়ে দেয়। সুইমিং পুল বা হট টবগুলিতে প্রচুর সময় ব্যয় করবেন না, বা কমপক্ষে আপনার যোনিটি পরে বিশুদ্ধ, টাটকা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।


হাইড্রেটেড থাকুন, কারণ ডিহাইড্রেশন যোনি শুষ্কতায় অবদান রাখে। প্রতিদিন নয়টি চশমা (প্রায় ২ লিটার) তরল পান করার চেষ্টা করুন।

আপনার প্রচুর ঘাম হওয়ার অভ্যাস থাকলে, যখনই আপনি শারীরিক কার্যকলাপ করেন বা আপনি যদি কোনও উষ্ণ অঞ্চলে থাকেন তবে বেশি জল পান করুন। জল, রস বা চা তরল হিসাবে গণনা করা হয়।


ব্যায়াম নিয়মিত. এটি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। অ্যারোবিক ক্রিয়াকলাপগুলি হৃদস্পন্দন এবং শ্বাস প্রশ্বাস বাড়ায়। হাঁটাচলা, হালকা দৌড়, সাইকেল চালানো এবং সাঁতার কাটা ভাল বিকল্প। সপ্তাহে পাঁচ দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট এরোবিক ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।



ভাল ফ্যাট এবং সয়া পণ্য গ্রহণ করুন। ওমেগা ৩ এবং ফ্ল্যাকসিড তেল এবং সয়া জাতীয় পণ্যগুলির মধ্যে এস্ট্রোজেনের মতো গুণ রয়েছে, যা যোনি শুষ্কতার উন্নতি করতে পারে। সপ্তাহে বেশ কয়েকবার সালমন বা ম্যাকারেলের মতো চর্বিযুক্ত মাছ খান এবং সয়াজাতীয় পণ্যগুলিকে আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন।

যোনি স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে আপনি মৌখিক প্রোবায়োটিকও নিতে পারেন। এই পণ্যগুলি ফার্মেসীগুলিতে ক্যাপসুল আকারে পাওয়া যায়। আরেকটি বিকল্প হ'ল লাইভ সংস্কৃতি সহ দই খাওয়া।


ধূমপান বন্ধকর. নিকোটিন আসক্তি যোনি শুকনো কারণ বা খারাপ হতে পারে। সুতরাং আপনার লক্ষণগুলি উন্নত করতে এখন ধূমপান বন্ধ করুন।

সমস্যাটি আরও খারাপ করে তোলে এমন ওষুধ ব্যবহার বন্ধ করুন। কিছু অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস, ফ্লু এবং অ্যান্টিএলার্জিক এজেন্টগুলি যোনিতে সংবেদনশীল ত্বক সহ মিউকাস ঝিল্লি শুকিয়ে নিতে পারে। আপনার নেওয়া ওষুধগুলির একটি তালিকা তৈরি করুন এবং সেগুলি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। তাদের মধ্যে কেউ শুষ্কতা খারাপ করছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখুন এবং তা পরিবর্তন করার চেষ্টা করুণ। চিকিত্সকের নির্দেশনা ছাড়া কোনও ওষুধ খাবেনা।

পদ্ধতি ৩ এর ৩: লো এস্ট্রোজেন স্তরের কারণে শুষ্কতার সাথে মোকাবিলা করা



ডাক্তারের সাথে ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করুন। মেনোপজের সময় এবং পরে শরীরের ইস্ট্রোজেনের স্তরটি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়, যা স্রাব বন্ধ করে এবং যোনিপথের ক্ষত সৃষ্টি করে - শুষ্কতা এবং যোনিটির দেয়াল পাতলা করে। অতএব, শুষ্কতা বাড়ানোর সবচেয়ে সাধারণ উপায় হ'ল হারানো ইস্ট্রোজেন প্রতিস্থাপন করা। তবে এই হরমোনটির ব্যবহার কিছু মহিলার পক্ষে নিরাপদ নাও হতে পারে। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরিস্থিতিটি আলোচনা করুন যাতে তিনি আপনার চিকিৎসার ইতিহাস মূল্যায়ন করতে পারেন এবং পরীক্ষা দিতে পারেন। আপনার ডিম্বাশয় অপসারণ করা হয়েছে বা কেমোথেরাপির চিকিৎসা করা থাকলে আপনারও কম ইস্ট্রোজেন স্তর থাকতে পারে। আপনার যদি বর্তমানে স্তন বা এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার রয়েছে বা ইস্ট্রোজেন ব্যবহার করবেন না। যদি আপনার যোনির রক্তপাত নির্ণয় করা হয় তবে হরমোনটি ব্যবহার করবেন না।



একটি ইস্ট্রোজেন ক্রিম ব্যবহার করুন। প্রতিদিন একজন বা ২টি সপ্তাহের জন্য একজন অ্যাপ্লিকেশনরের সাহায্যে যোনিতে ক্রিমটি প্রবেশ করুন এবং তারপরে সপ্তাহে একবার বা ২বার - অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করুণ।

হরমোনটি পিল আকারে আসে। একজন আবেদনকারীর সাথে যোনিতে দৈনিক দুই সপ্তাহের জন্য ধহফোকান এবং তারপরে সপ্তাহে দু'বার প্রয়োজন হিসাবে দীর্ঘ দিন। যোনি ইস্ট্রোজেন দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের জন্য নিরাপদ হিসাবে বিবেচিত হয়।


একটি ইস্ট্রোজেন রিং চেষ্টা করুন। আপনি যদি ক্রিমটি ব্যবহার করতে না চান তবে অন্যান্য বিকল্প রয়েছে। রিংটি নমনীয় এবং স্থানীয় টিস্যুতে হরমোন ছেড়ে দেওয়ার জন্য অবশ্যই যোনিতে প্রবেশ করাতে হবে। যদি এটি রহোকাতে সমস্যা হয় তবে আপনার জন্য এটির জন্য একজন ডাক্তারের কাছে বলুন। রিংটি প্রতি ৩ মাস অন্তর পরিবর্তন করা দরকার। সহবাসের সময় আপনি যোনিতে আংটিটি ছেড়ে দিতে পারেন।


প্রস্টেরোনা চেষ্টা করুন। ডিহাইড্রোপিয়েনড্রোস্টেরন বা সিন্থেটিক ডিএইচইএ নামে পরিচিত পণ্যটি একটি ইস্ট্রোজেনমুক্ত যোনি সাপোজিটরি। প্রতিদিন যোনিতে ক্যাপসুল রহঃড়োকান। আপনি যদি স্থানীয় যোনি থেরাপি নিতে চান তবে এটি ইস্ট্রোজেন এড়াতে চান তবে এটি একটি ভাল বিকল্প হতে পারে।


আপনার ডাক্তারকে ওসপিমিফিনের জন্য একটি প্রেসক্রিপশন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন। এই ওষুধটি ইস্ট্রোজেন থেকে তৈরি নয়, তবে এটি একই রকম এবং যোনিতে একইভাবে কাজ করে। বড়ি যোনি শুষ্কতা উন্নত করতে পারে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে আপনি তাপ স্পাইক অভিজ্ঞ হতে পারে।

ড্রাগটি জরায়ুর রক্ত ​​জমাট বা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। আপনার যদি বর্তমানে স্তন ক্যান্সার হয়েছে বা হয়েছে তবে আপনার এটি ব্যবহার করা উচিত নয়। এই ওষুধটি গ্রহণের ঝুঁকি এবং সুবিধা সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।


হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (এইচআরটি) ব্যবহার করে দেখুন। এই চিকিত্সার মধ্যে কেবল যোনিতে নয়, পুরো দেহে হরমোনের মাত্রা বাড়াতে ওরাল এস্ট্রোজেন পরিপূরক গ্রহণ করা  উচিদ। আপনার যদি মেনোপজের মারাত্মক লক্ষণ করে যেমন - হট স্পাইকগুলি থাকে তবে এটি উপকারী হতে পারে। তবে এটির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং কিছু ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এইচআরটি ত্বক বা ত্বকের জেলের নীচে একটি বড়ি, প্যাচ, ইমপ্লান্ট আকারে একটি প্রেসক্রিপশন সহ উপলব্ধ। আপনার চিকিৎসকের সাথে এইচআরটি-এর ঝুঁকি এবং সুবিধাগুলি বলুন।

চিকিৎসকের পরামর্শ

বুকের দুধ খাওয়ানো অস্থায়ীভাবে হরমোনকে পরিবর্তিত করে এবং যোনি শুকনো কারণ হতে পারে। আপনি গর্ভবতী বা নার্সিংয়ে থাকলে এস্ট্রোজেন ব্যবহার করবেন না। শারীরিক উত্তেজনার জন্য বেছে নিন এবং লুব্রিকেন্ট বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।



সতর্কবাণী 

আপনি যদি লুব্রিকেন্টস এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার পরেও অস্বস্তি বজায় রাখতে থাকেন তবে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। জ্বলন, চুলকানি বা অস্বস্তি সৃষ্টি করে এমন কোনও পণ্য ব্যবহার বন্ধ করুন।

যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২১

 যৌন রোগে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

যৌন রোগে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

 


যৌন রোগে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা


যৌন সমস্যা বা যৌন অক্ষমতা বলতে এমন সমস্যাকে বোঝায় যা যৌন প্রতিক্রিয়া চক্রের যে কোন ধাপে ঘটবার কারণে পরিপূর্ণ যৌন তৃপ্তি থেকে স্ত্রীকে বঞ্চিত রাখে। যৌন প্রতিক্রিয়া চক্রের ৪টি ধাপ রয়েছে। যেমান- উত্তেজনা, প্লেট, প্রচণ্ড উত্তেজনা (অর্গাজম) এবং রেজোল্যুশন। বিভিন্ন গবেষণার তথ্যমতে ৪৩ শতাংশ নারী ও ৩১ শতাংশ পুরুষ কোন না কোন মাত্রার যৌন অক্ষমতায় বর্তমানে ভুগছেন। এই বিষয়টি এমন একটি বিষয় যা নিয়ে আলোচনা করতে অনেকেই লজ্জা বোধ করেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্যা চিকিৎসায় সমাধান হয়। তাই যারা এমন সমস্যায় ভোগছেন তাদের উচিত খোলামেলাভাবে বিষয়টি নিয়ে সঙ্গিকে নিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করা।

যৌন সমস্যা বর্তমানে বিশ্বেজুড়ে একটি জটিল সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এ রোগীর হার দিন দিন বেরেই চলেছে। এই সুযোগে দেশের আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে নানা রং-বেরংগের পোস্টার সাজিয়ে বিভিন্ন দাওয়া খানা ও চমকপ্রদ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। যেখানে চিকিৎসার নামে করা হয় প্রতারনা। হতাশা গ্রস্থ যুব সমাজ আরো বেশী হতাশা গ্রস্থ হচ্ছে। এক পর্যায় তারা মনে করে এ রোগের মনে হয় আর চিকিৎসার নেই । অতিরিক্ত হস্তমৈথুন, যৌনবাহিত রোগ (সিফিলিস, গনোরিয়া), রক্তে সেক্স-হরমোনের ভার সাম্যহীনতা।এছাড়াও রয়েছে ডায়াবেটিস, দুশ্চিন্তা, টেনশন, অবসাদ, ও অপুষ্টি, যৌনরোগ বা এইডস ভীতি। সেক্স-এডুকেশের অভাব, বয়সের পার্থক্য, পার্টনারকে অপছন্দ ইত্যাদি। নারীর ত্রুটিপূর্ণ যৌনাসন, মানসিক ও শারীরিক সমস্যা ইত্যাদি কারণে এ রোগ বা সমস্যা হতে পারে। এ সমস্যা যে কোন বয়সেই হতে পারে, সে ক্ষেএে লজ্জা, অবহেলা না করে জটিল হওয়ার পূর্বেই দ্রুত চিকিৎসা নেয়া আবশ্যক।
শারীরিক কারণ : অনেক ধরণের শারীরিক কারণে যৌন সমস্যা তৈরি হতে পারে। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, রক্তনালী সংক্রান্ত রোগ, স্নায়ু রোগ, হরমোন ভার সাম্যহীনতা, দুরারোগ্য ব্যাধি যেমন কিডনি বা লিভারের রোগ এবং অতিরিক্ত মদ্যপান, নিয়মিত মাদক সেবন ও ঔষধের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার ইত্যাদি। এছাড়াও, কিছু অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ড্রাগসহ কয়েকটি নির্দিষ্ট ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যৌন ইচ্ছা এবং ক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে।
মানসিক কারণ : কর্মস্থলে চাপ ও অস্থিরতা, যৌন সক্ষমতা নিয়ে অতিমাত্রায় উদ্বিগ্ন বা দুশ্চিন্তায় থাকা, সম্পর্ক নিয়ে জটিলতা, ডিপ্রেশন, অপরাধবোধ এবং অতীতের কোন ঘটনা বা সেক্সুয়াল ট্রমার প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি মানসিক কারণে যৌন সমস্যায় ভুগতে পারেন যে কোনো পুরুষ।
যৌন সমস্যায় নারী-পুরুষ উভয়ই ভুগতে পারেন। প্রাপ্তবয়স্ক যে কারো যেকোন বয়সে যৌন সমস্যা হতে পারে। পুরুষদের সাধারণত যেসব যৌন সমস্যাটি বেশি হয়ে থাকে সেগুলো হলো অনিয়ন্ত্রিত বীর্যপাত, লিঙ্গ উত্থিত না হওয়া এবং যৌন ইচ্ছা না জাগা (আইএসডি)ইত্যাদি ।
বিভিন্ন ধরনের যৌন ব্যাধি :-

সব সময় যে অবাধ সঙ্গমের ফলেই এই ধরনের রোগ হয় তা নয়, কোনও একজন আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে বহুবার শারীরিক সম্পর্কের ফলেও এই রোগ হতে পারে। কিছু যৌন রোগের নাম ও লক্ষণ নিন্মে আলোচনা করা হলো।
১/ ক্ল্যামিডিয়া : যোনি এবং পুরুষাঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক ক্ষরণ এই রোগের প্রধান লক্ষণ। গড়ে ৫০ শতাংশ পুরুষ ও ৭০ শতাংশ মহিলাদের মধ্যে এই রোগ দেখা যায়। দ্রুত চিকিৎসা করলে সেরে ওঠা সম্ভব। ক্ল্যামিডিয়া হলে খুব সহজেই অন্যান্য যৌনরোগ বাসা বাধতে বাঁধে শরীরে।
২/ গনোরিয়া : সচরাচর ক্ল্যামিডিয়া এবং গনোরিয়া একই সঙ্গে হয়। যোনি বা পুরুষাঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক ক্ষরণ, মূত্রত্যাগ করার সময় যন্ত্রণা ইত্যাদি সাধরণত এই রোগের লক্ষণ। চিকিৎসা না করলে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ।
৩/ যৌনাঙ্গে হার্পিস : ৮০ শতাংশ মানুষ যাঁদের যৌনাঙ্গে হার্পিস রয়েছে তাঁরা জানেন না যে তাঁদের শরীর আসলে একটি বিশেষ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত। অজান্তেই তাঁরা সঙ্গী বা সঙ্গিনীর শরীরে সংক্রামিত করেন এই ভাইরাস। যৌনাঙ্গে ছোট ছোট ফোস্কার মতো র‌্যাশ এই রোগের লক্ষণ। ফোস্কা পরার বেশ কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে চুলকানির অনুভূতি হয় যৌনাঙ্গে। একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর বার বার এই র‌্যাশগুলি বের হতে থাকে।
৪/ সিফিলিস : প্রাচীনকাল থেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে মানুষ। ঠিক সময়ে ধরা পড়লে সাম্প্রতিক কালে সহজেই সারানো যায় এই রোগ। কিন্তু রোগ বেড়ে গেলে তা সাঙ্ঘাতিক যন্ত্রণাদায়ক হয়। যৌনাঙ্গ, পায়ু এবং মুখে আলসার হয়, এমনকী চোখ এবং মস্তিষ্কও আক্রান্ত হয়। যৌন রোগ গুলির মধ্যে অন্যতম মারণ রোগ। তবে প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগের লক্ষণ শরীরে চট করে ধরা পড়ে না।
৫/ যৌনাঙ্গে আঁচিল বা ওয়ার্ট : যৌনাঙ্গ এবং পায়ুর আশেপাশে আঁচিলের মতো র‌্যাশ এক ধরনের যৌন রোগ। একত্রে একসঙ্গে অনেক গুলি আঁচিল দেখা যায়। হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস, যা সার্ভিক্যাল ক্যানসারের কারণ এবং যৌন সংসর্গে এক শরীর থেকে অন্য শরীরে ছড়ায়, তাই এই রোগের জন্ম দেয়। অনেক সময় এই আঁচিল গুলি ফোস্কার মতো হয় আবার অনেক সময় এগুলি আলসারেও পরিণত হতে পারে।
৬/ হেপাটাইটিস বি : অনেকেই হয়তো জানেন না, এ রোগটিও যৌন সংসর্গের ফলে ছড়ায়। একই ভাবে ছড়াতে পারে হেপাটাইটিস এ এবং হেপাটাইটিস সি তবে তার সংখ্যা খুবই কম। লিভার সংক্রান্ত জটিলতা, মূত্রের রং পরিবর্তন, গা বমি ভাব ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ হতে পারে।
৭/ এইচআইভি : এইচআইভি ভাইরাস মরণব্যাধি নয় কিন্তু এই রোগের মূল লক্ষণ শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে পড়ে তাই এই ভাইরাস শরীরে থাকলে অন্য যে কোনও কঠিন রোগ হলে তা মারণ আকার ধারণ করে।
৮/ যৌনকেশে উকুন : মাথার চুলের মতো যৌনাঙ্গের কেশেও উকুন বাসা বাঁধতে পারে এবং শারীরিক মিলনের সময়ে তা অন্যের শরীরে সংক্রামিত হয়। যৌনাঙ্গের আশপাশে চুলকানি হলে তা এই কারণে হতে পারে।
৯/ ট্রাইকোমোনিয়াসিস : যৌনাঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক ক্ষরণ, যৌনক্রিয়ার সময় যৌনাঙ্গে যন্ত্রণা এবং মূত্রত্যাগের সময় যন্ত্রণা এই রোগের লক্ষণ যদিও সঠিক চিকিৎসায় দ্রুত সেরে ওঠা সম্ভব।
১০/ ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস : যোনি থেকে নিঃসরণে দুর্গন্ধ এই রোগের লক্ষণ। অন্যান্য রোগের তুলনায় এই রোগ খুব সহজেই সেরে যায়।



বিভিন্ন ধরনের যৌন সমস্যা :-

যৌন সমস্যা কথাটার অর্থ ব্যাপক । যৌন মিলনে সমস্যা, যৌনরোগ, গর্ভধারণে সমস্যা ইত্যাদি সব কিছুই যৌন সমস্যার মধ্যে ফেলা যায়। এই পোস্টে পুরুষদের যৌন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হল যেগুলো সুস্থ যৌনসঙ্গম ও যৌন তৃপ্তির পথে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে।
১/ শীঘ্রপতন : পুরুষদের যৌন সমস্যার সম্মন্ধে কথা বলতে গেলে প্রথমেই যেটা মনে আসে তা হল শীঘ্রপতন। পৃথিবীর প্রায় এক তৃতীয়াংশ পুরুষরা জীবনে কোন না কোন সময়ে যৌন সমস্যায় পড়ে থাকে।তবে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে শীঘ্রপতনের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
২/ বিলম্বিত বীর্যস্খলন : শীঘ্রপতনের বিপরীত একটি যৌন সমস্যা হল বিলম্বিত বীর্যস্খলন। এক্ষেত্রে বীর্যস্খলন হতে অত্যধিক বিলম্ব হয় যা দুজন সঙ্গীর পক্ষেই অসুবিধাজনক। সঙ্গিনীর প্রতি আকর্ষনের অভাব, ধর্মীয় বা অন্য কারণে যৌনসঙ্গমে অপরাগ, স্নায়ুতে আঘাত, কিছু কিছু ঔষধের (medicine) পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার ফলে এই সমস্যা হতে পারে। সঠিক কারণ চিহ্নিত করতে পারলে বিলম্বিত বীর্যস্খলন নামক এই যৌন সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
৩/ রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন : যৌন সমস্যাজনিত অপর একটি গুরুতর ব্যাপার হল রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন। এক্ষেত্রে বীর্যস্খলনের সময় বীর্য মূত্রনালী দিয়ে বের হওয়ার পরিবর্তে মূত্রথলীতে প্রবেশ করে। ফলে হস্তমৈথুন বা যৌনসঙ্গমের সময় অর্গ্যাজম হলেও বীর্য বের হয় না। মূত্রথলীর স্ফিংটার পেশী ঠিকমত কাজ না করলে এই ধরণের যৌন সমস্যা হয়। রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের একটি সম্ভাব্য কারণ। কারণের উপর নির্ভর করে ওষুধ বা অপারেশনের মাধ্যমে এই সমস্যার চিকিৎসা করা হয়।
৪/ ধ্বজভঙ্গ : আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ছেলেদের যৌন সমস্যা হল ধ্বজভঙ্গ বা impotency। এইরোগে লিঙ্গ একেবারেই উত্তেজিত হয় না বা হলেও স্বল্প সময়েই শিথীল হয়ে যায়। প্রায় ৪০ শতাংশ পুরুষ জীবনের কোন না কোন সময় এই যৌন সমস্যায় উপনীত হয়। এই রোগের আধুনিক নাম ইরেকটাইল ডিসফাংশন (ইডি)। নানাবিধ শারীরিক বা মানসিক কারণে এই সমস্যা হতে পারে। শারীরিক কারণসমূহ হল মূলত হৃদরোগ, মধুমেহ, হরমোনের সমস্যা, স্নায়বিক দুর্বলতা, বয়সজনিত অন্যান্য অসুখ, ধুম্রপান, ঔষধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া, যৌনাঙ্গে আঘাত ইত্যাদি। মানসিক কারণসমূহ মধ্যে দুঃশ্চিন্তা, মানসিক রোগ, ভালভবে আদর না করতে পারার চিন্তা ইত্যাদি অন্যতম। তবে সুচিকিৎসায় ইডির নিরাময় সম্ভব। যেমন ভায়াগ্রা গোত্রের ঔষধ কার্যকরী। এছাড়াও নিয়মিত শারীরিক কসরৎ, বিশেষত এরোবিক এক্সারসাইজ বিশেষ উপকারী। তবে যদি মনে হয় যে ইরেকটাইল ডিসফাংশনের সমস্যা হচ্ছে তাহলে সত্বর কোন ভাল ইউরোলজিস্ট বা সেক্সোলজিস্টের পরমর্শ নেওয়া উচিৎ। উনি যথাযথ পরীক্ষা করে দেখা যে ধ্বজভঙ্গের কারণ শারীরিক না মানসিক এবং সেই অনুসারে চিকিৎসা করা।
৫/ যৌনক্ষুধা বা যৌনআকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়া : যৌন সমস্যাজনিত আরেকটি সমস্যা হলো পুরুষদের যৌনক্ষুধা কমে যাওয়া। মূলত শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে গেলে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়। তবে অনেক সময় মানসিক অবসাদ, দুঃশ্চিন্তা, মধুমেহ, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদির ফলেও যৌনইচ্ছা কমে যেতে পারে। তবে দেখা গেছে যে শারিরীক কসরৎ করলে যৌনইচ্ছা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এগুলো বাদ দিলেও পুরুষদের বিভিন্ন যৌনরোগ যেমন এইচ.আই.ভি., গনোরিয়া, সিফিলিস ইত্যাদি যৌনমিলনে জটিলতা সৃষ্টি করে থাকে।
ধাতু দূর্বলতা বা Spermatorrhoea : অনৈচ্ছিক বীর্যপাতের নামই হলো ধাতু দুর্বলতা।এ ধরনের সমস্যায় সপ্নাবেশ বা কোম উদ্দীপনা ছাড়াই বারবার বীর্যস্থলন হয়। সাধারণভাবে বলতে গেলে ইহা নিজে কোন রোগ নয় বরং অন্যান্য রোগের উপসর্গ।
ধাতু দূর্বলতা (Spermatorrhoea) এর কারণসমূহঃ যৌবন কালে অস্বাভাবিক উপায়ে শুক্র ক্ষয় হলে এই সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে, হস্তমৈথুন এবং অতিরিক্ত যৌন মিলন করা ইহার প্রধান কারণ। কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শ্বরোগ ইত্যাদির কারণেও ইহা হতে পারে। আবার অনেক সময় সিফিলিস, গনোরিয়া, ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ স্বরূপ এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্বাভাবিক ভাবে হরমোনের অভাবে অথবা কৃত্রিম অতিরিক্ত মৈথন বা অস্বাভাবিক শুক্রপাত করতে থাকলে স্পারম্যাটোরিয়া সৃষ্টি হতে পারে। আবার অনেক সময় অপুষ্টি বা ভিটামিন প্রভৃতির অভাবে অথবা দীর্ঘদিন রক্তশূন্যতা বা নানা প্রকার রোগে ভোগার ফলে ইহা দেখা দিতে পারে। যারা সাধারণত বেশি পরিমান যৌন মিলন করে,অতিরিক্ত শুক্রক্ষয় করে তাদের শুক্রথলিতে শুক্র বেশি সঞ্চিত থাকে না।ইহার ফলে তাদের শুক্র নির্গত হতে দেখা যায় তাদের শুক্রে ঘনত্ব (viscosity) কম এবং তা দেখতে বেশ তরল। ইহাতে রোগীর ভয়ানক দুর্বলতা সৃষ্টি হয়।
ধাতু দূর্বল্য (Spermatorrhoea) এর লক্ষণসমূহ : স্পারম্যাটোরিয়ার লক্ষণযুক্ত রোগীর শুক্র অত্যন্ত তরল হয়। অনেক সময় পাতলা পানির মত নির্গত হয়, শুক্রে ঘনত্ব (viscosity) খুব কম হয়। রোগী ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দেহগত অপুষ্টির ভাব প্রকাশ পেয়ে থাকে। দেহের সৌন্দর্য নষ্ট হয় এবং জীর্ণ শীর্ণ হয়ে পড়ে,মুখ মলিন এবং চক্ষু কোঠরাগত হয়ে পরে। দেহে প্রয়োজনীয় প্রোটিন এবং ভিটামিনের প্রবল অভাব পরিলক্ষিত হয়। রোগীর জীবনীশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং নানা প্রকার রোগে অতি সহজেই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দেহে যৌন হরমোন বা পিটুইটারি এড্রিনাল প্রভৃতি গ্রন্থির হরমোন কম নিঃসৃত হয়। ইহার ফলে দেহে যৌন ক্ষমতা কমে যায় এবং শুক্র ধীরে ধীরে পাতলা হতে থাকে। আবার এর কারণে সিফিলিস,গনোরিয়ার মত রোগের প্রকাশ লাভ করার সুযোগ হয়। শুক্রপাত বেশি হওয়ার দরুন দৈহিক এবং মানসিক দুর্বলতা বৃদ্ধি পায়,মাথা ঘোরে,বুক ধড় ফড় করে, মাথার যন্ত্রণা দেখা যায়। আক্রান্ত ব্যক্তি সর্বদাই অস্থির বোধ করে। বসা থেকে উঠলেই মাথা ঘোরে এবং চোখে অন্ধকার দেখে, ক্ষুধাহীনতার ভাব দেখা দেয়। ইহাতে পেনিস বা জননেদ্রীয় এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে, তার শুক্রের ধারণ শক্তি একেবারে কমে যায়। রাত্রে স্বপ্ন দেখে শুক্র ক্ষয় হয়, আবার দিনের বেলায়ও নিদ্রাকালীন স্বপ্ন দেখে শুক্রপাত হয়। সমস্যা ধীরে ধীরে কঠিন আকার ধারণ করলে সামান্য উত্তেজনায় শুক্রপাত হয়। স্ত্রীলোক দর্শনে বা স্পর্শে শুক্রপাত ঘটে, এমনকি মনের চাঞ্চল্যেও শুক্রপাত হয়। পায়খানার সময় কুন্থন দিলে শুক্রপাত হয়, স্মরণশক্তি কমে যায়, বুদ্ধিবৃত্তি কমে যায়, পুরুষাঙ্গের ক্ষীনতা ও দুর্বলতা দেখা যায়, চোখের চারদিকে কালিমা পরে, অকাল বার্ধক্য এবং ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। এই বিশ্রী সমস্যার লক্ষণ মানুষের বিশেষ করে তরুনদের উন্নতির পথে প্রধান একটা অন্তরায় হয়ে দাড়ায়।



যৌন সমস্যার বিভিন্ন কারণ :

১/ মানসিক দুশ্চিন্তা, মানসিক হতাশা, মানসিক ভীতি।
২/ অতিরিক্ত হস্ত মৈথুন।
৩./সময়মত বিবাহ না করা।
৪/ যৌন শক্তি বাড়ানোর নামে “ওয়ান টাইম মেডিসিন” সেবন করা।
৫. অতিরিক্ত ধুমপান করা।
৬/ স্বামী স্ত্রীর মাঝে বহুদিন সম্পর্ক ছিন্ন থাকা।
৭/ দীর্ঘদিন যাবৎ কঠিন আমাশয় ও গ্যাষ্টিক রোগে আক্রান্ত থাকা।
৮/ সংগদোষ অর্থাৎ খারাপ বন্ধুদের কারনে খারাপ কাজে সম্পৃক্ত হওয়া, পর্ণ মুভি দেখা ও এ জাতীয় চিন্তা করা।
৯./অতিরিক্ত সপ্নদোষ হওয়া।
১০/ ডায়াবেটিস হওয়ার কারনে।
১১/ স্থুলতার কারনে।
১২. পরিবারে উদাসীনতা, যারা কায়িক পরিশ্রম করে মানে অলস যারা।
১৩/ বিয়ের আগে অবাধ মেলামেশা করা।
১৪/ কোন ধর্মীয় অনুশাসন না মেনে চলা।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা :
===============
হোমিওপ্যাথি ঔষধ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি হয়, যা বহু গবেষণার পর রোগের লক্ষণ গুলি বিবেচনা করে রোগীকে দেওয়া হয়। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা খুব জনপ্রিয়। প্রতিকারে প্রত্যেকের লক্ষণ আলাদা ভাবে বিবেচনা করার পরই কোন সার্বিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। হোমিওপ্যাথিতে সমস্ত লক্ষণ গুলির প্রতিকার করতে দক্ষ এবং এ অবস্থার অবসান ঘটিয়ে পুনরায় ফিরে আসতে দেয় না। দ্রুত বীর্যপাত বা বিভিন্ন যৌনরোগ বা যৌনসমস্যা সমাধানের জন্য সর্বাধুনিক ও উন্নত এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা রয়েছে, যা সমস্যা সমাধানের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এবং একবার আরোগ্য হলে তা আর দেখা দেয় না। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগীর মানসিক লক্ষণ, ধাতুগত লক্ষণ ও রোগ লক্ষণ বিবেচনা করে মেডিসিন প্রয়োগ করা হয়। ফলে অল্প কিছু দিনের সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় আপনিও চিরদিনের জন্য যৌন সংক্রান্ত রোগ সমূহ থেকে মুক্তি পারেন। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই সরকার স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোর্সে পাসকৃত ও অভিজ্ঞ এবং গভ. রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
কিন্তু কখনও নিজে থেকে কোন ঔষধ গ্রহণ করা উচিত নয়। আপনি যদি যৌন সমস্যায় ভোগেন, তাহলে দ্রুত হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন যে আপনার রোগ লক্ষণ অনুযায়ী আপনার সঠিক চিকিৎসা করবে। রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্বীকৃত বিজ্ঞানসম্মত প্রাকৃতিক ও নিরাপদ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গভ. রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের নিকট হতে গ্রহণ করুন এবং সুস্থ থাকুন।
(তথ্যসূত্র : সংবাদপত্র, পুস্তক, ওয়েবসাইড)

যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com