উচ্চ রক্তচাপ/ হাই ব্লাড প্রেসার হোমিওপ্যাথিক ঔষধ
হাইপাটেনশন ইংরেজি ( Hypertenoion), , যার আরেক নাম উচ্চ রক্তচাপ, HTN, বা HPN হল একটি রোগ যখন কোন ব্যাক্তি রক্তের চাপ সব সময়েই স্বাভাবিক যেয়ে উর্দ্ধে থাকে তাকে হাইপাটেশন বা গৌণ হাইপাটেশনে শ্রেণীভুক্ত করা হয়। প্রায় ৯০% ভাগ ক্ষেত্রেই প্রথামকি “হাইপটেশন” বলে ধরা হয়।
সারা বিশ্বে উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাত হিসেবে পরিচিত এবং আরো অনো দেশের মত বাংলাদেশেও বিপুল সংখ্যক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রয়েছে।
হৃৎপিন্ডের ধবনীতে রক্ত প্রবাহের চাপ অনেক বেশি থাকলে সেটিকে উচ্চ রক্ত বা হাই ব্লাড প্রেশার হিসেবে ধরা হয়। দুটি মানের মধ্যেমে এই রক্তচাপ রেকর্ড করা হয়। যেটার সংখ্যা বেশি সেটাকে বলা হয় সিস্টেলিক প্রশারর, আর যেটার সংখ্যা কম সেটাকে ডায়াস্টলিক প্রেসার ধরা হয়।
প্রতিচি হৃৎস্পন্দন অর্থাৎ হৃৎপিন্ডে সংকোচন বা সম্প্রসারণের সময় একবার সিস্টেলিক প্রেশার এবং একবার ডায়াস্টালিক প্রেসার হয়। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তচাপ থাকে ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি।
কারো ব্লাড প্রেসার রিডিং যদি ১৪০/৯০ এর যেযেও বেশি হয়, তখন বুঝতে হবে তার উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার হয়েছে। অপরদিকে রক্তচাপ যদি ৯০/৬০ বা এর আশেপাশে থাকে তাহলে তাকে লো ব্লাড প্রেসার হিসেবে ধরা হয়। যদি বয়স নির্বিশেয়ে রক্তচাপ খানিকটা বেশি কম হতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ হলে কি সমস্যা দেখা দিতে পারে তা নিন্ম রুপ :
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্তণে না থাকলে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অঙ্গে জটিলতা তৈরি হওয়ার সম্ভবনা থাকে। অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ থেকৈ হৃৎপিন্ডের পেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং এর ফলে দুর্বল হৃৎপিন্ডে রক্ত পাম্প করতে পারে না। এছাড়া এমন রক্তপাপের করণে কিডনি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থঅকে, মস্তিস্কে স্টোক বা রক্তক্ষরণও হতে পারে। এরকম ক্ষেত্রে রোগী মৃত্যুও সম্ভাবনা থকে। আর বিশেষ ক্ষেত্রে উচ্চ চাপের কারণে রেটিনার রক্তক্ষরণ হয়ে একজন মানুষ অন্ধত্বও বরণ করতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ হলে কি কি খাবেন:
রসুন : রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে রসুনের ভুমিা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন এক টুকরো রসুন কোয়া খেলে আপনার কোলেস্টরণ নিয়ন্ত্রণ থাকে। এর ফলে রক্তচাপও স্বাভাবিক থাকে।
গাজর : হাই ব্লাড প্রেসার কমাতে খাদ্য থালিকায় গাজর রাখতে হবে। গাজরের রস করে খেতে পারেন। আরও ভালো ফল চাইলে পালং শাকে সঙ্গে গাজরের রস করে খেতে পারেন।
পিয়াজ ও মধু : রুপর্চ্চার পাশাপাশি রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণেরও সমান কার্যকরী পিয়াজ ও মধু। এক চা-চামচ পিয়াজের রসের সঙ্গে ২ চা-চামচ মধু মেশান। নিয়মিত মিশ্রনটি খান উপকার পাবেন। ঘরোয়া উপায়ে এই পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারেন তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুল করবেন না।
হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ :
লক্ষণ সাদৃশ্যে উচ্চ রক্তচাপে সাধারণত যে ঔষধগুলো ব্যবহ্যারিত হয় সে গুলো সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হলো :-
১/ বেলেডোনা (Belladona) : বেলেডোনা রোগীর মাথা ব্যথা চোখ মুখ লাল ক্যারোটি ও ধবনীর দপদপানি, হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ফলে অজ্ঞান হয়ে পড়া, অত্যাধিক রোদের তাপ, কাজের টেনশন, হঠাৎ ইত্তেজনায় রক্ত চাপের বৃদ্ধি। ঝিলিক মারা ব্যথা, ব্যথা হঠাৎ আসে হঠাৎ যায়, চোখ মুখ লাল হয়ে যায়, ব্যথার স্থান গরম, লাল জ্বালা ও স্পর্শকাতর (এই চারটি লক্ষণে বেলেডোনা প্রয়োগ সর্বোউত্তম)। সামান্য শব্দে ভয় পায় শুয়ে থাকতে পানে না। বেলেডোনা (Belladona) খাবরের পরে। (বেলেডোনা ও একোনাইট ন্যাপ পর্যায়ক্রমে একটার পর একটা রোগীকে সেবন করাতে হবে।
২/ রাউল ফিয়া (Rauwalfia Serp): রাউল ফিয়া ফিয়া রোগীর উচ্চ রক্তপাপ রোগের একটি উৎকৃষ্ট হোমিওপ্যাথিক ঔষধ। মাথা ব্যথা, মথা ঘোরা, অনিদ্রা, শরীর ম্যাচ ম্যাচ করা, মন অস্থির হওয়া লক্ষণে রাউল ফিয়ায় রাউল ফিয়া অতি উৎকৃষ্ট ঔষধ।
সেবন বিধি : ১০ বা ১৫ ফোঁটা করে পানিতে মিশিয়ে দিনে দুইবার সেবন করতে হবে। অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করন। ঔষধ সেবনে যদি রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকিয়া গভির নিদ্রা হয় তবে রোগী জন্য ভালো
৩/ গ্লোনায়িন (Glonoine) : গ্লোনায়িনের রোগী উচ্চ রক্তপার জনিত মাথায় ভয়ানক দপদপানি ব্যথা, মাথা ব্যথায় রোগী অস্থির হইয়া পরে, রোগী অত্যান্ত উত্তেজনা পূর্ণ ও রাগে সামান্য কারনেই মাথা ব্যথা করে। রোগী মাথা বড় হয়ে গেছে। এইগুলো লক্ষণে গ্লোনায়িন কার্যকর।
সেবন বিধি : গ্লোনায়িন 1x ১০ বা ১৫ ফোঁটা করে সামান্য এক ঢোক পানি মিশিয়ে ঘন্টা দুয়েক পর পর সেবন করুণ। অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুণ।
৪/ ভিসকাম এলব ((Viskam Alb) : ভিসকাম এলবের রোগী বুক অত্যান্ত ধরফর করে, শ্বাস নিতে কষ্ট, বামদিকে শুইতে অক্ষমতা, বুক অত্যান্ত ভারিবোধ, কোন এক অবস্থায় অধিক্ষন থাকিতে না পারা, মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা, তন্দ্রা, সব সময় রাগ ভাব, সারা শরীর জ্বালা প্রচন্ড রক্তের উচ্চচাপ ইত্যাদি লক্ষণে ভিসকাম এলব কার্যকর।
সেবন বিধি : ভিসকাম এলব Q ১০ ফোঁটা করে এক ঢোক পানিসহ দিনে ৩ বার সেবন করতে হবে। অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুণ।
৫/ লাইকোপাস (Lycopus) : রোগী হাই প্রেশার বৃদ্ধি হৃৎপিণ্ডের ব্যথা, নাড়ীর গতি দ্রুত ইত্যাদি লক্ষণে লাইকোপস কার্যকর।
সেবন বিধি : ৩০/২০০ শক্তি ১০ ফোঁটা ঔষধ এক ঢোক পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিনে ৩ বার অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করতে হবে।
৬/ এম্বা গ্রিসিয়া (Ambra Gresea) : অতিরিক্ত রক্তচাপ জনিত মাথার তালুতে বেদনা, বুক ধরফরানি, কানে কম শোনা, বুকে চাপবোধ, অনিদ্রা ইত্যাদি লক্ষণে এম্বা গ্রিসিয়া কার্যকর।
সেবন বিধি : এম্বা গ্রিসিয়া ৬/৩০ শক্তি ১০ ফোঁটা ঔষধ এক ঢোক পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিনে ৩ বার সেবন করুণ। তথবা রেজিষ্টর্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুণ।
৭/ অরাম মেটালিকাম (Aurum Aetallicum) : রোগীর রক্ত মস্তিস্কে ধাবিত হয়, সমস্ত রক্ত মাথা থেকে নিচ পর্যন্ত ছুটে আসে বলে মনে হয়, ফলে মাথা ব্যথা রাতে বৃদ্ধি, রোগী মনে হয় কপাল ছিড়ে যাবে, মাথা নীচু করলে বা চললে মাথা ঘরে, দুই ভ্রুরু মধ্যে নাসিকারমূলে দপদপ করে, আধ কপালে মাথা ব্যথা, হৎপিণ্ডের চর্বি জমে, পরিশ্রম করলে বুক ধরফর করে, মনে হয় হৎপিণ্ডের কম্পন ২/৩ মিনিটের জন্য থেমে গেল কিন্ত পরক্ষেণেই প্রবলভাবে লাফিয়ে উঠে, নাড়ী দ্রুত গতিশীল, ক্ষণ অনীয়মিত স্পন্দন চলতে কষ্ট হয়।
সেবন বিধি : অরাম মেটালিকাম ৩০/২০০ শক্তি ১০ ফোঁটা ঔষধ এক ঢোক পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিনে ৩ বার সেবন করুণ। তথবা রেজিষ্টর্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুণ।
৮/ সেফালান্ডা ইন্ডিকা (Cephalandra Indica) : ডায়াবেটিস রোগীদের উচ্চ রক্তচাপ রেগীর জন্য এই ঔষধটি বিশেষ ভাবে ব্যবহৃত হয়। মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, মাথা চক্কর দেওয়া, হাত-পা, চোখ-মুখ আগুনের পোড়ার ন্যায় জ্বালা, প্রবল পানি পিপাসা, জ্বালা ঠান্ড পানিতে রোগী আরাম বোধ করে। এ লক্ষণ থাকিলে সেফালান্ডা ইন্ডিকা ছ ১০ ফোঁটা করে এক ঢোক পানিসহ দিনে ৩ বার সেবন করতে হবে। অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুণ।
৯/ গ্লোনায়িন (Glonoine) 1x, ১০ ফোঁটা, ক্র্যাটেগাস (Crataegus) Q ১০ ফোঁটা, প্যাসিফ্লোরা (Passiflora) Q ১০ ফোঁটা এই তিনটি ঔষধ পর্যায়ক্রমে ২/৩ ঘন্টা অন্তর প্রয়োগ করবেন অথবা পর্যায় ক্রমে দিনে প্রত্যেকটি ঔষধ ৩ বার সেবন করতে হবে অথাৎ আজ গ্লোনায়িন ৩ বার কাল ক্র্যাটেগাস ৩ বার পরশু প্যাসিফ্লোরা ৩ বার সেবন করলে ফলাফল পরীক্ষা করবেন।
উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপ্রেসারে বাইয়োকেমি চিকিৎসা :
১০/ ক্যালি ফস (Kali Phos) ও নেট্রাম মিউর (Natrum Mur) বাইয়োকেমিক মতে এই ঔষধ দুটি উচ্চ রক্তচাপে উৎকৃষ্ট ঔষধ। 6x বা 12x ৩/৪টি বড়ি এক ঢোক গরম পানির সহিত মিশিয়ে ১ ঘন্টা বা আধ ঘন্টা পর পর সেবন করলে উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়।
চিকিৎসার জন্য যোগযোগ :
আরোগ্য হোমিও হল
প্রতিষ্ঠাতা : মৃত: ডা: আজিজুর রহমান
প্রা: ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)
বি.এস.এস, ডি.এইচ.এম. এস (ঢাকা)
মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)
ডি.এইচ.এম. এস (ঢাকা)
স্থাপিত Ñ ১৯৬২ ইং
মেবাবাইল : ০১৭১৮-১৬৮৯৫৪
arh091083@gmail.com
hafizurrahman2061980@gmail.com