homeopathic (আরোগ্য হোমিও হল)

সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১

অনিয়মিত ঋতুস্রাবে হোমিওপ্যাথি ঔষধ

অনিয়মিত ঋতুস্রাবে হোমিওপ্যাথি ঔষধ

 অনিয়মিত ঋতুস্রাবে হোমিওপ্যাথি  চিকিৎসা 

অনিয়মিত ঋতুস্রাবে হোমিওপ্যাথি  চিকিৎসা:

ঋতুস্রাব একটি মহিলার জীবনের একটি স্বাস্থ্যকর অভিজ্ঞতা।প্রতিটি বয়স্ক ও যুবতী নারীদের প্রতি ২৮ দিনপর হয়ে থাকে। - দিন সময়ের জন্য ঘনীভূত না হয়ে হবে, এবং রক্তের ক্ষরণ প্রায় এক কাপের এক চতুর্থাংশের মত হওয়া উচিত। একটি মহিলার জন্য, মাসিক চক্র তা সামগ্রিক কল্যাণের একটি ধার্মিক নির্দেশক। কিছু মহিলাদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয় যা দীর্ঘ বিরতির পর উপস্থিত হয়, চক্রের স্থায়িত্ব অনির্দেশ্য অসঙ্গতিপূর্ণ হয় এবং স্বাভাবিক আঠাশ দিনের চক্র অনুপস্থিত থাকে। কিছু মহিলার মাসিক চক্র সঙ্গে খুব ক্ষুদ্র সমস্যা আছে, যখন অন্যদের প্রতি মাসে অত্যাচার সহ্য করতে হয়। অনিয়মিত মাসগুলি প্রারম্ভিক বয়ঃসন্ধিকালে সাধারণ এবং সাধারণত বিরক্তিকর নয়। ঋতুস্রাবে দুই মাসেরও বেশি সময়ের ব্যবধান হলে নারীদের সতর্ক হওয়া উচিত, কারণ এইগুলি হরমোনাল ভারসাম্যহীনতা এবং ডিম্বস্ফোটনের সমস্যাগুলির ইঙ্গিত দিতে পারে।

 একটি মহিলার প্রথাগত হরমোনাল চক্রটি বিভিন্ন হরমোনগুলির মধ্যে একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্যের উপর নির্ভরশীল। অনেক সম্ভাব্য উদ্দীপক হরমোন ভারসাম্য উদ্দীপিত করে অনিয়মিত মাসিক হতে পারে। যদি কোনোমহিলার ডিম্বাণু উৎপাদন করতে ব্যর্থ হয়, তবে তার ডিম্বাশয় প্রোজেস্টেরন নামে একটি হরমোন তৈরির জন্য কোনো সংকেত পাবে না। প্রোজেস্টেরন এন্ডোমেট্রিয়াম নামক জরায়ুর লাইনকে নিয়ন্ত্রিত করতে অপরিহার্য, যা ঋতুস্রাবের সময় বর্জন করা হয়। প্রোজেস্টেরন ছাড়া, এন্ডোমেট্রিয়াম ক্রমাগত বৃদ্ধি পায় যতক্ষণ না এটি ভাঙ্গতে শুরু করে এবং অনেক বেশি জরায়ুর রক্তপাত হিসেবে বেড়িয়ে যায়। এন্ডোমেট্রিয়ামটি আংশিক ভাবে এবং অন্তঃসংশোধিতভাবেও প্রবাহিত হতে পারে এবং রক্তপাত অনিয়মিত বা দীর্ঘায়িত হয়ে যায়।



অনিয়মিত মাসিকের কারনঃ-

 

বয়ঃসন্ধি।

জন্ম দমনের ওষুধ. স্ট্রট অ্যানোরেক্সিয়া, বুলিমিয়ার কারণে খারাপ আহার আপনার হরমোনকে প্রভাবিত করতে পারে, অত্যধিক ওজন হ্রাস বা বাড়ানো,তীব্র ব্যায়াম,

স্তন্যদুগ্ধ খাওয়ানো, গর্ভাবস্থা নিয়ে উদ্বেগ,রক্তশূন্যতা,মেনোপজ,

এন্ড্রোজেনের (এটি একটি স্টেরয়েড হরমোন যেমন - টেসটোস্টেরন যা পুরুষালী বৈশিষ্ট্যের বিকাশ রক্ষণাবেক্ষণকে নিয়ন্ত্রণ করে) অত্যধিক উৎপাদন করতে পারে।

জরায়ু মধ্যস্ত ফাইব্রয়েড,সিস্ট, পলিপ। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম (এই অবস্থায় ডিম্বাশয় কোনও ডিমের পুরোপুরি পরিপক্ক হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত হরমোন তৈরি করে পারে না, যার ফলে কিছু ফলিকলস সিস্ট হয়ে থেকে যায়, ডিম্বস্ফোটন ঘটে না এবং প্রোজেস্টেরন হরমোন তৈরি হয় না। প্রোজেস্টেরন ছাড়া যেকোনো মহিলার মাসিক চক্র অনিয়মিত বা অনুপস্থিত থাকবে)

এন্ডোমেট্রিয়োসিস (এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে জরায়ুর ভিতরে পাওয়া কোষগুলি বৃদ্ধি পায় ফলে তার জরায়ুর বাইরে আটকে বাঁধার সৃষ্টি করে। এটির ফলে বন্ধ্যাত্ব এবং অনিয়মিত মাসিক হতে পারে)

শ্রোর্ণীর সংক্রমণ,ডিম্বাশয় ক্যান্সার,প্রদাহজনক গর্ভের রোগ,থাইরয়েড রোগ,হৃদরোগ।


অনিয়মিত মাসিকের লক্ষন নিন্মে আলোচনা করা হলো :

 মাসিক চক্রের দৈর্ঘ্যের অসঙ্গতি, ব্রণ, স্ফীত হওয়া, শক্তির মাত্রা কমা, বেদনাযুক্ত স্তন,

জ্বর,শরীরের ঠান্ডা হয়ে যাওয়া,যৌন ইচ্ছার  পরিবর্তন, বন্ধ্যাত্ব, অবসাদ, অস্টিওপোরোসিস। জরায়ুর ক্যান্সার এন্ডোমেট্রিয়াল হাইপারপ্লাসিয়া (বিলম্বিত ডিম্বস্ফোটনের ফলে অত্যধিক এস্ট্রোজেন উৎপাদনের কারণে জরায়ুর ভিতরের আস্তরণে অত্যধিক কোষ বৃদ্ধি হয়)

অনিয়মিত মাসিকে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা : -

 পালসাটিলা : পালসাটিলা প্রতিকার গুলির মধ্যে প্রথম ভাবা হয়েছিল, স্নেহের মধ্যে, যা নারীদের কাছে অদ্ভুত। এটি মূলত নম্রতা, মৃদুতা, নমনীয়তা নারীর প্রকৃতির - এটি ড্রাগের সর্বাধিক চরিত্রগত; এমনকি অশ্রুজল, আরেকটি মেয়েলি বৈশিষ্ট্য, দৃঢ়ভাবে পালসাটিল্লা নির্দেশ করে। তারপরে আমাদের অস্থিরতা, দ্বিধা পরিবর্তন যোগ্যতা রয়েছে, যা অবশ্যই পালসাটিলা এবং কিছু নারীর বৈশিষ্ট্য। রহস্যময় মাসিক যা বিলম্বিত এবং গুরুতর মাসিক কোলকের সাথে আসে এবং চরিত্রগত মেজাজ তার ইঙ্গিত হবে। পালসাটিল্লা পরিমাণে অল্প হওয়া ছাড়াও, খুব দেরী করে প্রকাশ পাওয়ার প্রবণতা সম্পন্ন করে।

কলোফাইলামঃ এটি অনিয়মিত মসিকের চিকিৎসা, গর্ভবতী হতে মুশকিল হলে বা জরায়ুর দুর্বল পেশীর কারণে ধীরে ধীরে সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে একটি মূল্যবান প্রতিকার। রোগী ভারী রক্তপাতসহ মাসিক অস্বস্তি এবং শ্রোর্ণী অঞ্চলে, ঊরূ পায়ে ব্যথা অনুভব করে। এই রোগীদের গর্ভাবস্থার উদ্বায়ীতা কারণে অভ্যাসগত গর্ভপাতের অভিযোগ করেন।

সিমিচিফুগা রেসমোসাঃ এই প্রতিকারটি অনিয়মিত এবং যন্ত্রণাদায়ক মাসিকের সাথে শুটিং যন্ত্রণা যা নিতম্ব এবং ঊরূ দিয়ে নিচে যাবে বা প্রসব যন্ত্রণার মত ক্র্যাম্প শ্রোর্ণী অঞ্চলে অনুভুত হয় মহিলারা মাসিক ঋতুস্রাবের আগে অস্থির, ভীত, এবং বিষণ্ণ হয়ে ওঠে। এই মহিলারা শক্তিশালী, গল্পপ্রিয়, বিষণ্ণ, তারা নিজেদেরকে আঘাত করার চেষ্টা করে, এবং বন্ধ থাকা ঘোড়ার গাড়িতে ঘুরে বেড়ানোর ভয় নিয়ে আসন্ন খারাপের স্বপ্ন দেখে।

ল্যাকেসিসঃ- যেসব মহিলাদের শারীরিক এবং মানসিক উভয় আউটলেটের খুব প্রয়োজন সঙ্গে আবেগ প্রবণ তাদের জন্য এই প্রতিকারের পরামর্শ দেওয়া হয়। মাসিক প্রবাহ অনিয়মিত, ভারী এবং উত্তেজনার ত্রাণ আনে। এই রোগীদের সন্দেহ বা ঈর্ষা দৃঢ় অনুভূতি থাকার সঙ্গে খুব স্পষ্টভাষী হয়। কোমর বা ঘাড়ের চারপাশে তাদের নিষেধাত্মক পোশাকের অসহিষ্ণুতা রয়েছে।

লাইকোপডিয়াম :- এই প্রতিকারটি বিলম্বিত মাসিক যার পর দীর্ঘদিন ধরে ভারী প্রবাহ আসে তার জন্য এটি অসামান্য। এই রোগীদের প্রচণ্ড ক্ষুধার সঙ্গে মিষ্টির জন্য তীব্র আকাঙ্ক্ষা আছে। তারা পেটের স্ফীত এবং ফাঁপা হবার অভিযোগ করেন, এবং আত্মবিশ্বাসের অভাব সঙ্গে সবসময় একটি চিন্তিত চেহারা থাকে, যদিও তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে কর্তৃত্বপ্রি় হতে পারে।

মুরেক্স পারপারিয়াঃ এই প্রতিকার অনিয়মিত মাসিকতা যার সাথে বড় ক্লট এবং প্রজনন অনুভূতি থাকে তাতে বিস্ময়করভাবে কাজ করে। এই রোগীদের খুব দুর্বল লাগে, তারা গর্ভের জন্য খুব সচেতন, এবং মনে হয় যেন শ্রোর্ণীর ব্যথাজনক স্থানে কিছু চাপছে। এই ব্যথার অনুভূতি বসার সময় আরো খারাপ, তাই রোগী সবসময় পা শক্তভাবে জোড়া করে বসে। অংশগুলির সংক্ষিপ্ত স্পর্শ এই মহিলাদের মধ্যে সহিংস যৌন উত্তেজনা সৃষ্টি করে।

সিকেলি কর্নুটামঃ এটি পাতলা, কোঁকড়ান চামড়ার মহিলাদের অনিয়মিত মাসিকের জন্য একটি দরকারী প্রতিকার। তাদের পুরো দেহটি প্রচণ্ড তাপের অনুভূতি দ্বারা বিস্তৃত এবং তারা জরায়ুতে জ্বলন্ত যন্ত্রণা ভোগ করে। মাসিক হল অনিয়মিত, অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং মাঝে মাঝে পরের ঋতুস্রাবের পর্যন্ত জলজল রক্ত ক্রমাগত ক্ষরণ হয়। তাদের গর্ভাবস্থা তৃতীয় মাসে গর্ভপাত হবার ভয় থাকে।

সিপিয়া: এই প্রতিকারটি ক্লান্ত এবং টেনে আনা এমন মহিলাদের জন্য উপযুক্ত যারা তাদের নিজের পরিবারের সদস্যদের জন্য উদাসীন। তিনি অতিরিক্ত পরিশ্রম করার অনুভূতি রাখেন, যদি দাবি করা হয় তাহলে খিটখিটে এবং ব্যঙ্গজনক হয়ে ওঠে। মাসিক বিলম্বিত হচ্ছে এই অনুভূতিতে যে শ্রোর্ণীর তল দুর্বল, বা জরায়ু পাশে ঝুলে পড়েছে।


অনিয়মিত মাসিকের জন্য স্ব-যত্ন ব্যবস্থা:

 আরাম করুন এবং চাপ কমান, ক্লান্তিকর শারীরিক ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন,  কোন খাওয়ার ব্যাধি নির্মূল করুন, প্রচুর পরিমাণে তাজা ফল এবং সবজি দিয়ে একটি সুষম খাদ্য খান।

লবণ এবং ক্যাফিন গ্রহণের পরিমাণ কমান। অতএব, স্বাস্থ্যকর জরায়ুর স্বাভাবিক উপায়ের মর্ম উপলব্ধি করুন, ক্রমে সুস্থ জীবনযাপনে ফিরে আসুন এবং আপনার মাসিক বছর গুলিতে যে পরিবর্তন গুলি ঘটছে তা হ্রাস করুন। আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা করতে চান তবে আপনি একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

মহিলাদের জরায়ু টিউমারে হোমিওপ্যাথিক ওষধ

মহিলাদের জরায়ু টিউমারে হোমিওপ্যাথিক ওষধ


মহিলাদের জরায়ু টিউমারে হোমিওপ্যাথিক ওষধে সমাধান


মহিলাদের জরায়ু টিউমারে হোমিওপ্যাথিক ওষধে সমাধান

ইউটেরিন ফাইব্রয়েড ( (Uterian Fibroid)) বা জরায়ুর টিউমার এক ধরণের নির্দোষ টিউমার যা কিনা প্রাথমিকভাবে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি হয় না। সাধারণত অধিকাংশ ক্ষেত্রে সন্তান গর্ভকালীন সময়ে মহিলাদের জরায়ুতে এ ধরণের টিউমার এর সৃষ্টি বা বিকাশ হয়ে থাকে।


জরায়ুর টিউমার একটি হতে পারে বা একাধিকও হতে পারে। আকারগত দিক দিয়ে একটি মটরদানা থেকেও ছোট হতে পারে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা বৃদ্ধি পেয়ে সম্পূর্ণ জরায়ুর কাঠামোর চাইতেও বড় হয়ে পাঁজরের খাঁচা পর্যন্ত পৌছে যায়।


জরায়ুর টিউমার বা (Uterian Fibroid Tumor)  কেন হয়?

অনেক সময় দেখা যায় মহিলাদের ঋতু সংশ্লিষ্ট সমস্যা থাকলে অর্থাৎ সঠিক সময়ে ঋতুস্রাব না হলে বা সময়ের পূর্বে বা পরে হলে অথবা অতিরিক্ত বা কম ঋতু রক্তস্রাব প্রবাহিত হলে তাদের জরায়ুতে টিউমার হতে পারে। এছাড়া জরায়ু বা ডিম্বাশয়ের কোন জটিল অসুস্থতা থাকলেও জরায়ুতে টিউমার হতে পারে।


অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীরা জরায়ুতে টিউমার হবার পর হতে অনেকদিন পর্যন্ত কিছুই বুঝতে সক্ষম হন না। কারণ বাহ্যিক বা আভ্যন্তরিকভাবে কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না। সমস্যাটি তখনই ধরা পড়ে যখন একজন মহিলা মাসিক ঋতুস্রাবের সমস্যার চিকিৎসা করার জন্য বা সন্তান গর্ভে আসলে সাধারণ পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য একজন গাইনী চিকিৎসক এর সরণাপন্ন হন।



Uterine Fibroid Tumorজরায়ুর টিউমার হবার লক্ষণসমূহ :

অতিরিক্ত মাসিক রক্তপাত।

ঋতুস্রাব ১ সপ্তাহ বা তার চাইতেও বেশি সময় পর্যন্ত প্রবাহিত হওয়া।

তলপেটে চাপ চাপ বা প্রচন্ড ব্যথা হওয়া।

মাসিকের আগে, সময়ে অথবা পরে প্রচন্ড ব্যথা হওয়া।

ঘন ঘন মূত্রত্যাগের ইচ্ছা হওয়া।

মূত্রাশয় সম্পূর্ণ খালি হয় না, মনে হয় আরও একটু প্রস্রাব হবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।

পিঠের নিচের অংশ, কোমড় বা পা ব্যথা করা।

হঠাৎ করে তলপেটে প্রচুর ব্যথাসহ রক্তস্রাব হওয়া।


জরায়ু টিউমারের শ্রেণীবিভাগ :

Fibroids  বা জরায়ুর টিউমারকে সাধারণত তাদের অবস্থান দ্বারা শ্রেণীবদ্ধ করা হয়।

Intramural Fibroids  – জরায়ুর পেশীর ভেতর দিকে বৃদ্ধি পায়।

Submucosal Fibroids – জরায়ুর ভেতরে দিকে তৈরি হয়ে জরায়ু গহ্বরের দিকে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

Subserosal Fibroids– জরায়ুর পেশীর বাইরের অংশে প্রাচীরের ভেতর বৃদ্ধি পায় এবং বৃহদাকার আকৃতি ধারণ করে জরায়ু প্রাচীরের বাইরের দিকটায় বৃদ্ধি পেতে থাকে।


জরায়ুতে বা জরায়ু মুখের টিউমার চিকিৎসার জন্য কখন চিকিৎসক এর সাহায্য নেবেন

আপনি যদি উপরে বর্ণিত জরায়ু টিউমার এর লক্ষণসমূহের কোন একটি আপনার মধ্যে অনুভব করেন তবে দেরী না করে আজই উপযুক্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


হোমিওপ্যাথি মতে জরায়ুর টিউমারের সেরা হোমিও ঔষধ (Uterian fibroid treatment)

ক্যালক্যারিয়া আয়োড


মোটা, থলথলে মাংসপেশী ও অতিরিক্ত মেদ যুক্ত মহিলাদের চিকিৎসায় ভালো কাজ করে। সাধারণত এই ধরনের রোগীদের শরীরে প্রায়ই বিভিন্ন জাতীয় টিউমারের উপস্থিতি, টনসিল আক্রান্ত হওয়া বা টনসিলের প্রদাহ হওয়া (টনসিলাইটিস), শরীরের বিভিন্ন গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, প্রভৃতি লক্ষণ লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া তাদের প্রায়ই থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। ক্যালকেরিয়া আয়োড থাইরয়েড গ্রন্থির অসুস্থতা চিকিৎসায়ও সাফল্যের সাথে ব্যবহার হচ্ছে।


ক্যালকেরিয়া কার্ব


ক্যালকেরিয়া ধাতু প্রকৃতিযুক্ত রোগীদের চিকিৎসায় একটি সেরা ঔষধ। অন্য সবার কথা জানিনা। আমি নিজে এই ঔষধটি প্রয়োগ করে কখনো ব্যর্থ হয়নি। তবে যথেষ্ঠ সতর্কতার সাথে সঠিক নিয়মে ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায় বিপদ ঘটার সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে ক্যালকেরিয়ার ওভারডোজ হলে জরায়ু বা ফুসফুস থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, হঠাৎ সংজ্ঞাহীন হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা, হাড়ের ভেতর রিউমাটিক ব্যথা প্রভৃতি সমস্যা সৃষ্টি করে।


এছাড়া জরায়ুর টিউমার বা জরায়ু মুখের টিউমার চিকিৎসা ক্ষেত্রে ফ্র্যাক্সিনাস অ্যামেরিকানা, পালসেটিলা, সিপিয়া, লিলিয়াম টিগ, বোরাক্স, ট্রিলিয়াম, নেট্রাম মিউর, ইগ্নেসিয়া, ল্যাকেসিস, সাইলিসিয়া প্রভৃতি ঔষধগুলোও লক্ষণ অনুযায়ী ভালো কাজ করে।




জরায়ুর ক্যান্সার হলে করণীয় কি?

জরায়ুতে দূষিত টিউমার বা ক্যান্সার হলে অবশ্যই সবার আগে প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করবেন। যদি বিশেষ কোনো কারনে অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি মতে চিকিৎসা নেয়া সম্ভব না হয় অথবা অন্যান্য মতে চিকিৎসায় ভালো ফলাফল না পাওয়া যায় শুধুমাত্র সেই পরিস্থিতিতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করার জন্য সুপারিশ করা যাচ্ছে। জরায়ুর দূষিত টিউমার বা জরায়ুর ক্যান্সার রোগীদের সাহায্যার্থে নিচে কিছু ঔষধের লক্ষণ নির্দেশিকা দেয়া হলো।


জরায়ুতে দূষিত টিউমার বা ক্যান্সার হয়েছে সন্দেহ হলে থুজা অক্সিডেন্টালিস প্রয়োগ করা যায়। এতে অনেক ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে।


তবে পরীক্ষা করে ক্যান্সার নিশ্চিত হয়েছে বলে প্রমাণ হলে হাইড্র্যাষ্টিস Q বাহ্যিকভাবে ব্যবহার করা ও অরাম মিউর ন্যাট 3X সঠিক নিয়মে খেলে অনেক সময় ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।


স্বনামধন্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডাঃ বোরিক এর মতে জরায়ু টিউমার বা ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধ সমূহের মধ্যে অরাম মিউর ন্যাট শ্রেষ্ঠ।


বংশগত বা বংশের অন্যান্য আত্নীয়  স্বজনদের মধ্যে ক্যান্সার হবার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেলে কার্সিনোমা উচ্চ শক্তিতে দীর্ঘদিন পর পর ব্যবহার করতে হবে।


প্রচুর কালচে রক্তক্ষরণ হলে হ্যামোমেলিস Q উপকারী।


জরায়ুতে দূষিত টিউমার বা জরায়ুর ক্যানসার এর প্রথম অবস্থায় আর্সেনিক আয়োড প্রয়োজন হবে।


দূষিত অর্বুদ বা টিউমার আঙ্গুরের মতো আকৃতি ধারণ করলে এবং আর্স আয়োডে কাজ না হলে থুজা প্রয়োগ করতে হবে। জরায়ুর টিউমারের এইরূপ গঠনগত অবস্থায় থুজা অন্য সব ঔষধের তুলনায় অধিক কার্যকরী।


এছাড়া জরায়ুর ক্যান্সার চিকিৎসায় অন্যান্য প্রয়োজনীয় ঔষধসমুহ হচ্ছে-
আর্সেনিক এলবাম, ক্রিয়োজোট, ল্যাপিস এলবাম
, প্রভৃতি।


হোমিওপ্যাথি মতে জরায়ু টিউমার বা জরায়ুর ক্যান্সার চিকিৎসা সম্বন্ধে আরও জানতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা নিচের কমেন্ট বক্স ব্যবহার করে আপনার মন্তব্য আমাদেরকে জানাতে পারেন।


জরায়ু টিউমারের সঠিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার (fibroid treatment)  জন্য যোগাযোগ করুন-


যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১

 যৌন রোগের উৎপত্তি ও হোমিওপ্যাথিক ঔষধ

যৌন রোগের উৎপত্তি ও হোমিওপ্যাথিক ঔষধ

 যৌন রোগের উৎপত্তি ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা


দিন যত যাচ্ছে পৃথিবী জুড়েই যৌন রোগের প্রকোপ বৃদ্দি পাচ্ছে। এই যৌন রোগ থেকে ক্যান্সার, অন্ধত, জন্মগত ক্রুটি, এমনিকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পাবে। তাই যৌন রোগ ও এর কারণে সৃষ্ট অন্যান্য রোগ গুলোকে থেকে বাঁচতে হলে শুরুতে এর চিকিৎসা করা জরুরি।

সাধারণত যৌনঙ্গ থেকে তরল নি:সৃত হওয়া মুত্রে জ্বালাভাব, শারীরিক সম্পর্কে সময় ব্যাথা বা রক্তপাত, তলপেটে ব্যাথা, মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত এবং সংক্রমণে সব উপসর্গেও কোনোটি দেখলে অবশ্যই যৌন রোগের পরীক্ষা করানো উচিত।


এছাড়া এ বিষয়ে দ্রুত  চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। করণ বেশির ভাগ যৌন রোগই উপযুক্ত চিকিৎসায় সম্পূর্ণ সেওে ওঠে। কিন্ত চিকিৎসায় অবহেলা করণে তা ভবিস্যতে রোগের শঙ্কা বাড়িয়ে দিতে পারে।

আজ যৌন রোগ নিয়ে বিশষে কলাম লিখেছেন, ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), আরোগ্য হোমিও হল, বিএসএস, ডিএইচএমএস (ঢাকা) সুস্থ শরীর নিয়ে অনন্দময় হয়ে উঠবে, অর্থাৎ আমাদের লাইফ স্টাইল কী হবে? লাইফ স্টাইল হল অভ্যাস, দৃষ্টিভঙ্গি, পছন্দ, সামাজিক এবং রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনা, সংস্কৃতি , সর্বোপরি অর্থনৈতিক অবস্থা, এই সব মিলিয়ে হল লাইফ স্টাইল।

এই আনন্দময় জীবনযাবন থেকেই সৃষ্টি, বর্তমানে যৌন সমম্যা, যা একটি মারাত্নক সম্যাসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যত দিন যাচ্ছে এ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এই সমস্ত রোগীদেও চিকিৎসা নিয়ে আছে অনেক জটিলতা। দেশের আনাচে-গড়ে উছেছে বিভিন্ন চমকপ্রদ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান।

অনেকেই এসব রং বেরঙ্গেও প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসা নিয়ে হচ্ছেন প্রতারিত। আমার কাছে অনেক রোগীরা আসে তাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে অনেকে এ রোগ নিয়ে খুবই উদ্বেগে আছেন। অনেকে এ সম্যাসা নিয়ে বিচলিত। কোথায় গেলে ভালো চিকিৎসা পাবে তা কেই বুঝতে পারছে না।


আসলে যৌন সম্যাসা কোন সমস্যা নয়। একটু বুঝে চললে আর জীবন টাকে নিয়মের ভেতওে আনলে এই রোগ কোন রোগই নয়। তবে জীবন চলার পথে কিছু সমস্যা থাকে, আমারা নিজেরাই কিছু সমস্যা শরীরে সৃষ্টি করি। যার ফলে আমরা হতাশায় ভুগী আর ভাবি এ রোগের কোন চিকিৎসা নেই।

কিন্ত এখনো যদি আমারা জীনটাকে সুন্দও করে সাজাতে পারি আর সমাস্যার কারণে ভালো কোনো অর্গানন অনুসরণকারী হোমিও চিকিৎসকের সরণাপন্ন হই, তাহলে আমারা একটি সুন্দও সুখী নীড় তৈরি করতে পারবো। আজকাল রাস্তাঘাটে চলাফেরা করলে দেখি বাহারি রঙ্গের বাহারি সব চিকিৎসা পোস্টা বা সাইনবোর্ড দেখতে পাই। 

তারা সাতদিনের ভেতর সব ঠিক করে দেবে বলে চ্যালেঞ্জ, গ্যারান্টি, দিয়ে প্রচারপত্র বিলি করে। নিরীহ সাধারণ মানুষকে আকর্ষণ করার লক্ষে পোস্টাররেড় বিফলে মুল্যফেরত, জীবনের শেষ চিকিৎসা এসব কথা উল্লেখ করতেও দ্বিধাবোধ করেনা। আসলে মুল কথা হলো আমাদের দেশের বেশির ভাগ পুরুষ এই সমস্যায় ভুগছেন।

মেয়েদের ভেথরেরও এ সম্যাসা আছে তবে খুব কম। আমার চিকিৎসা করার সময় দেখি মেয়েদের সংখ্যা অনেক কম এ হিসেবে “সেক্স” সমস্যাটা কিছুই না। তবে বিষেষ কিছু কারণে সম্যাসা হয়ে থকে। মুলত যে সব করণে সমস্যা হয়ে থাকে সেগুলো হচ্ছে মানসিক সুশ্চিন্তা, মানসিক হতাসা, মানসিক ভীতি। 




* অতিরিক্ত হস্তমৈথুন।

* সময়মতো বিয়ে না করা।

* যৌনশক্তি বাড়ানোর নামে ‘ওয়ান টাইম মেডিসিন’ সেবন করা।

*  অতিরিক্ত ধূমপান করা।

৬. স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বহুদিন সম্পর্ক ছিন্ন থাকা।

* দীর্ঘদিন যাবৎ কঠিন আমাশয় ও গ্যাস্ট্রিক রোগে ভুগা।

*  সঙ্গদোষ অর্থাৎ খারাপ বন্ধুদের কারণে খারাপ কাজে সম্পৃক্ত হওয়া, পর্নো মুভি দেখা ও এ জাতীয় চিন্তা করা।

* অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হওয়া।

*  ডায়াবেটিস হওয়ার কারণে।

* মোটা হওয়ার কারনে।

* পরিবারে উদাসীনতা, যারা কায়িক পরিশ্রম করে মানে অলস যারা।

* প্রেম করে বিয়ের আগে অবাধ মেলামেশা করা।

* কোনো অনুশাসন না মেনে চলা। মূলত এসব কর্মকাÐে আরও সমস্যা আছে। তবে এই সমস্যাগুলো আমরা চিকিৎসা করার সময় রোগীদের মাঝে দেখি। যতই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হোক না কেন, হোমিওপ্যাথি লক্ষণ দিয়ে চিকিৎসা দিতে পারলে এই রোগী আরোগ্য হওয়া সম্ভব।

হামিওপ্যাথি ঔষধে সমাধান : রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয়। যৌন সমস্যার রোগীদেরকে একজন অভিজ্ঞ অর্গানন অনুসরণকারী  চিকিৎসক নির্বাচন করতে হবে যিনি সঠিক লক্ষণ অথবা ‘মাইজমেটিক’ অনুসরণ করে চিকিৎসাসেবা দেন, তাহলে  হোমিওপ্যাথিতে আরোগ্য হওয়া সম্ভব।

কিন্তু আফসোসের বিষয় অনেক হোমিও চিকিৎসক ও হোমিও কলেজগুলোর শিক্ষক রোগীদেরকে পেটেন্ট, টনিক, মিশ্র প্যাথি দিয়ে চিকিৎসা দেয় আর  নিজেদেরকে ‘ক্ল্যাসিকাল হোমিওপ্যাথ’ বলে থাকেন। এসব ডাক্তারদেরকে ডা. স্যামুয়েল হ্যানিমান বলে থাকেন শঙ্কর জাতের হোমিওপ্যাথ। তাই নিজেদেরকে যদি হ্যানিমেনের উত্তরসূরী দাবি করে থাকি তাহলে সঠিক লক্ষণ দিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে।

অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা যে সব মেডিসিন ব্যবহার করে থাকে, এসিডফস, এগনাস কাস্ট, অসগোন্ধা, ক্যালাডিয়াম স্যাংক, ডামিয়ানা, জিনসিং, নুপারলোটিয়াম, নাক্সবোম, লাইকোফোডিয়াম, সিলিনিয়ামসহ অসংখ্য হোমিও মেডিসিন লক্ষণের ওপর আসতে পারে।

যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২১

 মানষিক রোগে হোমিওপ্যাথিক হোমিওপ্যথিক ঔষধ

মানষিক রোগে হোমিওপ্যাথিক হোমিওপ্যথিক ঔষধ

 মানষিক সমস্যায় হোমিওপ্যাথিক ঔষধ....


 মানষিক রোগে হোমিওপ্যাথিক হোমিওপ্যথিক চিকিৎসা

Veratrum Album : একলা থাকতে পারে না, অথচ কারো সাথে বিশেষ কথাও বলে না। বাড়ি থেকে বেরিয়ে লক্ষ্যহীনভাবে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায়। মাঝে মাঝে দুর্দান্ত হয়ে ওঠে। চিৎকার করে, অভিশাপ দেয়। রোগির মধ্যে জিনিসপত্র কাটবার বা ছিঁড়বার প্রবণতা দেখা দেয়। প্রেম ও ধর্মের বিষয়ে বেশি বকবক করে। রাতের বেলায় উৎপাত বাড়ে। এই ধরনের রোগির ওপর ভিরেট্রাম এলবাম (Veratrum Album) ভালো ফল দেয়।


Arum Metallicum:  রোগি আত্মহত্যার কথা চিন্তা করে, মাঝে মাঝে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আবার এর সাথে মৃত্যুভয়ও থাকে। মনে করে সে যেন বড় পাপ করেছে। জীবনের ওপর বিতৃষ্ণা। কারো সাথে কথা বলার সময় প্রশ্নের ওপর প্রশ্ন করতে থাকে; উত্তরের অপেক্ষা করে না। তার মতের সামান্য প্রতিবাদ করলেই সে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে। অচেনা মানুষের সাথে মিশতে ভয় পায়। এসব রোগির অনেক ক্ষেত্রে হাই ব্লাড প্রেসার থাকে। অরম মেটালিকাম  (Arum Metallicum) এই লক্ষণ গুলিতে খুব কার্যকর। এই ওষুধে বহু ক্ষেত্রে আত্মহত্যা প্রবণ রোগির মানসিকতা পাল্টে দেওয়া যায়।



Hyoscyamus : রোগি কাজে, অঙ্গভঙ্গিতে এবং কথাবার্তায় অশ্লীল ইতর হয়ে পড়ে। অত্যন্ত বাচাল, কাপড় - চোপড় খুলে ফেলে। জননেন্দ্রিয় বের করে দেখায়। অত্যন্ত হিংসুটে। সন্দেহ করে কেউ যেন তার ক্ষতি করতে সবসময় চেষ্টা করছে। প্রলাপে রোগি ছুটে বাইরে যেতে চায়। বাড়ির জিনিসপত্র বিক্রি করার প্রবণতা। আশেপাশের অনেক মানুষের কাজকর্ম সন্দেহের চোখে দ্যাখে। দাঁত দিয়ে কাপড় কাটে বা হাত দিয়ে কিছু না কিছু খুঁটতে থাকে। এই রোগ লক্ষণে হায়াসায়ামস (Hyoscyamus) দেবেন। বদ্ধ উন্মাদের ক্ষেত্রে হায়াসায়ামস ভালো ফল দেয়।


Argentum Nitricum : লোককে কাছে পেলেই নিজের অসুবিধার কথা বলতে শুরু করে। কথা বলার জন্য সবসময় লোক খুঁজে বেড়ায়। তার একনাগাড় বকবকে লোকে যে বিরক্ত হয়; তা সে বুঝতে পারে না। মাঝে মাঝে ভাবে লোকে তাকে ঠিকমতো বুঝতে পারছে না বা এরা সবাই মহামূর্খ। তাকে যোগ্য মূল্যায়ণ করার মতো মানুষ এ তল্লাটে নেই। রোগিকে বয়সের তুলনায় বেশি বুড়ো বুড়ো দেখতে লাগে। এসব ক্ষেত্রে আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম Argentum Nitricum : দেবেন। লক্ষণ ভেদে অন্যান্য ঔষধ আসতে পারে।


যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান (পান্না)

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্ন)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com