homeopathic (আরোগ্য হোমিও হল)

সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

রবিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২২

  পর্ণোগ্রাফি থেকে দুরে থাকুন, পর্ণোগ্রাফি দেখলে মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তিকে দূর্বল করে

পর্ণোগ্রাফি থেকে দুরে থাকুন, পর্ণোগ্রাফি দেখলে মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তিকে দূর্বল করে


 পর্ণোগ্রাফি দেখলে মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তিকে দূর্বল করে :

স্নায়ুবিজ্ঞান (Neuroscience) এখন স্বীকার করে যে, মানুষের মস্তিষ্ক অভিযোজন ক্ষমতা সম্পন্ন। অর্থাৎ, অভিজ্ঞতা লাভের মধ্যদিয়ে মস্তিষ্কে পরিবর্তন ঘটে এবং আমরা যা দেখি, শুনি বা জানি, তার সবকিছুর সাথেই মস্তিষ্কের সংযোগ গড়ে ওঠে। দর্শন ক্লাসের আলোচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে নতুন কোনো শহরের পথঘাট চেনা, এমনকি আপাতদৃষ্টিতে নিষ্ক্রিয়ভাবে বসে থেকে কোনো গান শোনা কিংবা টিভি দেখা — আমাদের প্রতিটি কাজের সাথেই মস্তিষ্কের তাৎক্ষনিক সংযোগ গড়ে ওঠে এবং মানুষ হিসেবে আমরা কে, কেমন, এই সংযোগগুলোই সেটা নির্ধারণ করে দেয়। পর্নোগ্রাফী দেখা একটি নীরব অথচ ভয়ঙ্কর সমস্যা যা মহামারীর আকার ধারণ করেছে। এর মাধ্যমে নারীদের চাইতে পুরুষরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।


এই বিষয়টির ক্ষতিকারক দিক সংক্রান্ত অধিকাংশ নিবন্ধগুলোতে বিষয়টি সম্পর্কে সাধারণত মনস্তাত্ত্বিক এবং/অথবা সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করা হয়। তবে বক্ষ্যমাণ নিবন্ধে স্নায়ুবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে পর্নোগ্রাফী দেখার ক্ষতিকর প্রভাবগুলো সম্পর্কে আলোপাত করা হবে।


প্রচলিত যে মডেলটির (model) মাধ্যমে মানুষের শেখা এবং মনে রাখার প্রক্রিয়াটিকে ব্যাখ্যা করা হয়, সেই মডেলটির ভিত্তি হলো সিন্যাপটিক প্লাসটিসিটি (synaptic plasticity)। সিন্যাপটিক প্লাসটিসিটি হলো মস্তিষ্কের সেই ক্ষমতা যার মাধ্যমে অভিজ্ঞতায় সাড়া দিতে মস্তিষ্ক তার নিউরনসমূহের (মস্তিষ্ক কোষ) মধ্যকার সংযোগগুলোর শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কি পরিমাণ এবং কোন ধরণের স্নায়বিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে এবং সেইসাথে কি পরিমাণ নিউরোট্রান্সমিটারের (neurotransmitter – আনবিক গঠন সম্পন্ন স্নায়বিক সংবাহক) নির্গমন ঘটবে, তা নিয়ন্ত্রণ করাও এই ক্ষমতার অন্তর্ভুক্ত। অধিকাংশ মানুষ ডোপামিন সম্পর্কে যা কিছু জানে তা বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তি যেমন, মুহাম্মাদ আলি বা মাইকেল জে. ফক্সের পারকিন্সন্ (Parkinson) রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা থেকে। শরীরে ডোপামিনের কার্যকারিতায় ত্রুটি দেখা দিলে মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়।


মস্তিষ্কের একটি অত্যাবশ্যক নিউরোট্রান্সমিটার হলো ডোপামিন (dopamine)। এর ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি সচেতন অঙ্গসঞ্চালন, অনুপ্রেরণা দান, প্রতিদান দেওয়া, শাস্তি দেওয়া এবং শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। শিশুদের এডিএইচডি (ADHD – Attention Deficit-Hyperactivity Disorder), বার্ধক্যজনিত স্মৃতিশক্তি হ্রাস (cognitive decline) এবং বিষণ্ণতার (depression) ক্ষেত্রেও ডোপামিনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।


আনন্দ অনুভব, প্রতিদান, শিক্ষণ প্রক্রিয়া ইত্যাদিতে ডোপামিনের ভূমিকা অবিচ্ছেদ্য। কোকেইনের মতো ড্রাগগুলোর কার্যকারিতা ডোপামিনারজিক সিস্টেম (Dopaminergic System)  কেন্দ্রিক। এই ড্রাগগুলোর কার্যকারিতার ফলে প্রচুর পরিমাণে ডোপামিনের নিঃসরণ ঘটে। ফলে শরীরে “উচ্চমাত্রার শক্তি বা আনন্দ অনুভূতি” সৃষ্টি হয় যা ক্রমেই আসক্তিতে পরিণত হয়। একাধিক গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, ডোপামিন আনন্দের আবহ তৈরি করে, নয়তো প্রত্যক্ষ আনন্দ দানে ভূমিকা রাখে। মস্তিষ্কের বিভিন্ন অঞ্চলের উপর ভিত্তি করে, চরম আনন্দ লাভের মুহূর্তে, নয়তো আনন্দ লাভের পরে, ডোপামিনের নিঃসরণ ঘটে। এই নিঃসরণের সময়, ডোপামিন শারীরিক ক্রিয়ার সাথে মস্তিষ্কের নতুন সংযোগগুলোকে আরও বেশি শক্তিশালী (strengthen)  এবং দৃঢ় (reinforce)  করে যা ব্যক্তিকে পুরনায় ওই আনন্দ লাভের জন্য একই কাজ করতে উৎসাহ যোগাতে থাকে।


পর্নোগ্রাফীর সাথে এর সম্পর্কটা কোথায়? পর্দায় যৌন ক্রিয়াকলাপের দৃশ্য দেখলে যৌন উত্তেজনা তৈরি হয়, যা ডোপামিনারজিক সিস্টেমকে সক্রিয় করে তোলে। কোকেইনের মতো ড্রাগগুলো ঠিক এই কাজটিই করে থাকে। পর্দায় যৌন ক্রিয়াকলাপের দৃশ্য দেখার ফলে মস্তিকে নতুনভাবে তৈরি হওয়া সংযোগগুলো প্রচুর পরিমাণে নিঃসৃত ডোপামিনের দ্বারা আরও বেশি শক্তিশালী হয়। ফলে পর্দায় দেখা দৃশ্যগুলো ক্ষণস্থায়ী স্মৃতিপটে না-গিয়ে — যেক্ষেত্রে দৃশ্যগুলো পর্দা বন্ধ হওয়ার পর মন থেকে মুছে যেতো — ডোপামিনের দৃঢ়ীকরণ (reinforcement) প্রক্রিয়ার কারণে স্থায়ী স্মৃতিপটে প্রবেশ করে। এখানে দৃশ্যগুলো দর্শকের মনে রিপ্লেই মোডে (replay mode – বারবার চোখে ভাসতে থাকে) দৃঢ়ভাবে গেঁথে যায়। এক্ষেত্রে সমস্যার কথা হলো, কোনো কিছুকে যতবেশি স্মরণ করা হবে, মস্তিষ্কে তা ততবেশি স্থায়ী রূপ লাভ করতে থাকবে। স্কুলের ওই দিনগুলোর কথা মনে করে দেখুন — পরীক্ষার পড়া মুখস্ত করতে গিয়ে একটা বিষয় বারবার পুনরাবৃত্তির পর তা মাথায় গেঁথে যেতো!


পর্নোগ্রাফী হলো অলীক কল্পনা (fantasy)  প্রতিটি নতুন দৃশ্যে একজন নতুন নারীকে দেখে দর্শকের ভ্রম জাগে যেন প্রতিবার সে নতুন একজন নারীর সাথে সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে। পর্নোগ্রাফীর “তারকা” অভিনেত্রীরা ছবিতে পুরুষদের কাছে নিজেদেরকে মর্যাদাহীন এবং অবমাননাকর যৌনকর্মের শিকারে পরিণত করে। এসব যৌন আচরণ মানসিকভাবে সুস্থ অধিকাংশ মানুষের কাছে সম্পূর্ণরূপে অশ্লীল, জঘন্য। পর্নোগ্রাফীর চিত্রনাট্যের কাজই হলো দুএকটা পরিচিত এবং স্বাভাবিকভাবে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী আচরণের মাঝে এমন কিছু যৌন আচরণকে ঢুকিয়ে দেওয়া যেগুলো যৌনভাবে সুখকর নয়। আর এভাবেই দর্শক নতুন নতুন যৌন আচরণের সাথে পরিচিত হয়ে থাকে। পর্দা থেকে অবাস্তব কল্পনার পাশাপাশি এক ধরনের তড়িৎচৌম্বক তরঙ্গ (electromagnetic wave)  বিচ্ছুরিত হয় যা মস্তিষ্কে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়। ফলে ডোপামিনের নিঃসরণ ঘটে। পরিণতিতে, এক ধরনের বাস্তব অনুভূতির তৈরি হয় ঠিকই, তবে যে আনন্দ এবং তৃপ্তিবোধ তৈরি হয়, তা নিজেকে ধোকা দেওয়া ছাড়া কিছু নয়। ডোপামিন নতুন করে পাওয়া যৌনতৃপ্তি সাথে সাথে মস্তিষ্কের সংযোগসমূহকে শক্তিশালী করে। ফলে যা ঘটে তা হলো, ব্যক্তি তখন তার স্ত্রীকে নিজের অবচেতন মনে জমে থাকা কল্পিত যৌন আচরণে লিপ্ত হওয়ার আহ্বান করে।


মস্তিষ্কে সংঘটিত ঘটনা প্রবাহ খুবই যৌগিক আবার সরলও। পর্নোগ্রাফী দেখার ফলে সিন্যাপটিক প্লাসটিসিটি মস্তিষ্কে নতুন সংযোগ তৈরি করে। ফলে নতুন করে লাভ করা স্মৃতিগুলো সংরক্ষিত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা যেহেতু যৌন উত্তেজনার সাথে সম্পৃক্ত, তাই ডোপামিন নিঃসরণের মাধ্যমে নতুন সৃষ্ট সংযোগগুলো বহুগুণ বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে এবং পর্দায় দেখা দৃশ্যগুলো স্থায়ী স্মৃতিপটে সংরক্ষিত হওয়ার ফলে দুই ধরণের ঘটনা ঘটে :



১) কোকেইন মস্তিষ্কের যে গঠনতন্ত্রকে উদ্দীপ্ত করে, পর্নোগ্রাফীও ঠিক সেই গঠনতন্ত্রকেই উদ্দীপ্ত করে। ফলে আসক্তির জন্ম হয়।


২) পুরুষ প্রায়ই তার স্ত্রীর সাথে এসব দৃশ্যের পুনর্মঞ্চায়ন করতে চায় যার অনিবার্য পরিণাম হতাশা। এই পুনর্মঞ্চায়নের প্রত্যাশা পূরণ হবার নয়। কারণ একাধিক নতুন নতুন নারীর পরিবর্তে স্ত্রী শুধু একজন। আরও ভয়ানক বিষয় হলো, এই একজন নারীর যৌন বাচনভঙ্গি, আচরণ, শারীরিক আবেদন ইত্যাদি পুরুষের মনে জমে থাকা ওইসব নতুন নতুন নারীর সাথে কখনোই মিলবে না। হয়তো প্রথম প্রথম দুএকবার পুনর্মঞ্চায়ন বেশ উত্তেজনাকর এবং আনন্দঘন হতে পারে। তবে শীঘ্রই বাস্তবতা এসে হানা দেবে এবং যখন আনন্দ পাওয়া যাবে না, ডোপামিনের নিঃসরণও তখন বন্ধ হয়ে যাবে।



দুঃখজনক হলো, ঘটনার এখানেই শেষ নয়। অবাস্তব এবং কাল্পনা নির্ভর প্রত্যাশার কারণে বাস্তবে যখন হতাশার সৃষ্টি হবে, মস্তিষ্ক তখন ডোপামিনের নিঃসরণ শুধু বন্ধই করবে না; বাস্তবিক অর্থে, এই নিঃসরণ স্তর তখন সর্বনিম্ন স্তরেরও নীচে নেমে গিয়ে বিষণ্ণতার স্তরে গিয়ে পৌঁছবে। ফলে দাম্পত্য জীবনে হতাশা, অতৃপ্তি এবং অশান্তির জন্ম হবে। কারণ স্ত্রীকে সে “যেভাবে প্রত্যাশা করে, সেভাবে পায় না।” অনেক নারী নিজেদেরকে আরও বেশি আবেদনময়ী করার চেষ্টা করা সত্ত্বেও, এমনকি স্বামীদের মনের মতো করে আত্মমর্যাদাহীন, বিকৃতরুচির যৌনকর্মের জন্য নিজেদেরকে স্বামীদের হাতে তুলে দিলেও, পর্নোগ্রাফীতে আসক্ত স্বামীরা খুব সামান্য সময়ের জন্যই আনন্দ লাভ করবে এবং অল্প সময়েই আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। ফলে সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও স্ত্রী নিজেকে অনাকর্ষণীয় এবং আবেগিক দিক থেকে পরিত্যক্তা মনে করবে। অথচ সে জানবেও না যে, পর্নোগ্রাফীর ডোপামিনের সাথে সে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না।


এই সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, মস্তিষ্ক একটি সামগ্রিক সত্ত্বার মতো কাজ করে; এর কার্যকারিতার পরিধি হলো সর্বব্যাপী। ফলে মস্তিষ্কের কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের পরিবর্তন হলে অন্যান্য অংশও প্রভাবিত হয়। পর্নোগ্রাফী দেখার মাধ্যমে আক্ষরিক অর্থেই পুরো মস্তিষ্কের সকল স্নায়বিক সংযোগগুলোর পুনর্বিন্যাস ঘটে। ফলে মস্তিষ্কের অন্যান্য অংশ এবং তাদের কর্মদক্ষতার উপর কেমন প্রভাব পড়ে, তা গবেষণার ভিন্ন একটি ক্ষেত্র যা গভীর মনোযোগের দাবি রাখে।


স্নায়ুবিজ্ঞান পর্নোগ্রাফীতে আসক্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে বেশ পীড়াদায়ক চিত্র তুলে ধরলেও, এটি পুরোপুরি দুঃসংবাদ নয়। যদিও পর্নোগ্রাফী এবং কোকেইন মস্তিষ্কের একই গঠনতন্ত্রকে আক্রমণ করে, তথাপি দুটির পরিণতি পুরোপুরি এক নয়। মস্তিষ্কের সংশ্লিষ্ট গঠনতন্ত্রকে বিষমুক্ত করার জন্য, কোকেইনে আসক্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই একটি সুশৃঙ্খল এবং ধারাবাহিক আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। অন্যথায়, তার জীবনই ঝুঁকিগ্রস্থ হয়ে পড়ে। পক্ষান্তরে, অনেক মানুষ যারা পর্নোগ্রাফী দেখার বাস্তব এবং সুস্পষ্ট ক্ষতির দিক সম্পর্কে জেনে গেছে, তারা কোনো রকম নেতিবাচক মনস্তাত্ত্বিক বিপর্যয়ের শিকার না হয়েই, তাৎক্ষনিকভাবে পর্নোগ্রাফী দেখা বাদ দিতে পারে। এজন্য প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে এবং নিজেকে নানা রকম কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখতে হবে। প্রথম প্রথম অতীতের দেখা পর্নোগ্রাফীর মনোযোগ বিনষ্টকারী দৃশ্যগুলো চোখের সামনে ভাসতে থাকবে যা পর্নোগ্রাফী পরিত্যাগের ক্ষেত্রে ব্যক্তির ইচ্ছা এবং উদ্যমের জন্য একটি কঠিন পরীক্ষা। তবে সুখের কথা হলো, পর্নোগ্রাফী দেখার কারণে মস্তিস্কের স্নায়বিক সংযোগগুলোর যেভাবে পুনর্বিন্যাস ঘটেছিল, সেই পুনর্বিন্যাস ঘটানো আবারও সম্ভব। মস্তিষ্ক খুবই কর্মদক্ষ একটি অঙ্গ যা অব্যবহৃত সংযোগগুলো থেকে মুক্ত হতে পারে। ব্যক্তি যতই পর্নোগ্রাফীর সংযোগগুলোকে পুনরুদ্দীপ্ত না-করে থাকবে, মস্তিষ্কের পক্ষে ওইসব সংযোগগুলো পরিত্যাগ করার সম্ভাবনাও তত বেশি। আবার পূর্বের অভিজ্ঞতায় জড়ালে এবং মস্তিষ্ককে যৌন আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিষয়ে ব্যস্ত রাখলে, অনিবার্যভাবেই তা অন্যান্য সংযোগগুলোকে পুনরুদ্দীপ্ত করবে। কর্ম সম্পাদনের জন্য মস্তিষ্কের শুধু সময় এবং পছন্দ প্রয়োজন। ব্যক্তি তার মস্তিষ্কে যে বিষয়টি বারবার সক্রিয় করবে, মস্তিষ্ক সেটিকেই তার পছন্দ হিসেবে গ্রহণ করবে।


যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত - ১৯৬২ ইং

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com


শনিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২২

 সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? করোনা না সাধারণ ঠান্ডা লাগা বুঝার উপয় কী?

সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? করোনা না সাধারণ ঠান্ডা লাগা বুঝার উপয় কী?

  সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? করোনা না সাধারণ ঠান্ডা লাগা বুঝবেন কী ভাবে


 সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? করোনা না সাধারণ ঠান্ডা লাগা বুঝবেন কী ভাবে:

আবারও শুরু হয়েছে করোনার সংক্রমণ। নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে। আক্রান্তের সংখ্যাও দ্রুত হারে বাড়ছে। এদিকে শীতকালের এই সময়ে অনেকেরই জ্বর, সর্দি-কাশি কিংবা ফ্লু-এর মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে।। সব মিলিয়ে কোনটা সাধারণ ঠান্ডা লাগা, কোনটা ফ্লু, আর কোনটাই বা কোভিড বোঝা মুশ্কিল হযে পড়েছে ।


কোভিড এবং ফ্লুয়ের উপসর্গগুলো অনেকটা একইরকম হওয়ায়, অনেকেই ফ্লু এবং কোভিডের মধ্যে গুলিয়ে ফেলছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, নির্দিষ্ট কয়েকটি উপসর্গের দিকে নজর দিতে। তাহলেই নিজের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হতে পারে। তবে কোভিড এবং ফ্লু-এর লক্ষণগুলোর তীব্রতা ব্যক্তি বিশেষে পরিবর্তিত হয় হতে পারে।


সর্দি, কাশি, জ্বর, ক্লান্তি- এগুলো কোভিড-১৯ এবং ফ্লুর সাধারণ লক্ষণ। এছাড়াও, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হওয়া, ডায়রিয়া, গলা ব্যথা, পেশির ব্যথা এবং ঠান্ডা লাগা উভয় অবস্থারই লক্ষণ, কিন্তু সবার ক্ষেত্রে নাও হতে পারে। তবে করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট এবং স্বাদ ও গন্ধ হারানো এই দু’টি লক্ষণ মোটামুটি সাধারণ, কিন্তু ফ্লু-র ক্ষেত্রে এই লক্ষণগুলো দেখা যায় না।


ফ্লুয়ের ক্ষেত্রে সাধারণত যেসব উপসর্গ দেখা দেয়-


১. জ্বরের পাশাপাশি খুব ঠান্ডা লাগা


২. সর্দি, কাশি, এবং গলায় ব্যথা হওয়া


৩. নাক থেকে অনবরত পানি পড়া


৪. সারা শরীরে ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা হওয়া


৫. আলসেমি এবং ক্লান্তির অনুভূতি হওয়া


৬. অনেকের ক্ষেত্রে ডায়রিয়ার সমস্যাও দেখা দেয়


অন্যদিকে কোভিড হলে যেসব উপসর্গগুলো দেখা দেয়-


ক. করোনার প্রথম লক্ষণ হল জ্বর হওয়া


খ. জ্বরের সাথে সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, ক্লান্তিভাব


গ. স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়া


ঘ. মাথা যন্ত্রণা এবং সারা শরীরে ব্যথা


ঙ. কারও কারও ক্ষেত্রে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা দিতে পারে


চ. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কোভিডে আক্রান্ত হলে ত্বকে সংক্রমণ, চুলকানি হওয়া, ত্বক লালচে হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়


ছ. বুকে ব্যথা অনুভব হতে পারে।


কোভিড-১৯ এবং ফ্লু প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল টিকাকরণ। কিন্তু ভাইরাস যেহেতু পরিবর্তিত হতে থাকে, তাই শুধুমাত্র টিকা নেওয়াই ফ্লু বা কোভিডের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেয় না। নিরাপদ থাকার জন্য কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাও নিতে হবে । যেমন-


১. ঘন ঘন হাত ধোওয়া


২. চোখ, নাক, মুখ স্পর্শ না করা


৩. অন্যদের থেকে অন্তত ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা


৪. হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা


৫. অসুস্থ বোধ করলে বাড়িতে থাকা


৬. ভিড় জায়গা এড়িয়ে চলা


৭. সব সময় মাস্ক ব্যবহার করা

সূত্র: বোল্ড স্কাই


    যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত - ১৯৬২ ইং

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com


বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২২

কাশি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ

কাশি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ

কাশির লক্ষণ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :

ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় দু’ভাবেই কাশি হতে পারে। কাশি অনেককে বেশ ভোগালেও এটা কিন্তু রোগ প্রতিরোধের একটি প্রাকৃতিক উপায়। তবে অতিরিক্ত কাশি কোনো রোগের লক্ষণ হিসেবেও ঘটতে পারে।


হঠাৎ ও সজোরে ফুসফুসের বাতাস সশব্দে বের হওয়াই কাশি। এর মাধ্যমে শ্বাসনালি ও ফুসফুস থেকে বাইরের বস্তু, জীবাণু, মিউকাস নিষ্ক্রান্ত হয়ে ফুসফুসকে পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাখে। এটি একটি রিফ্লেক্স ক্রিয়া, যার রিসেপটর থাকে শ্বাসনালিতে।


এছাড়া পাকস্থলী, খাদ্যনালি, ডায়াফ্রাম, স্বরযন্ত্র ও পেরিকার্ডিয়ামেও কাশির রিসেপটর থাকে। রিসেপটর থেকে কাশির উত্তেজনা ভেগাস নার্ভ দিয়ে ব্রেনের মেডালায় পৌঁছে। সেখান থেকে স্পাইনাল নার্ভ, ভেগাস নার্ভ ও ফ্রেনিক নার্ভ হয়ে শ্বাস ত্যাগের মাংসপেশি ডায়াফ্রাম, শ্বাসনালিতে উত্তেজনা প্রবাহিত হয়ে কাশির উদ্রেক করে।


কাশি খুব জটিল সম্যাসা। হোমিওপ্যথিক চিকিৎসায় ভালো করা খুব কঠিন তার পরেও সংক্ষিপ্ত কিছু লক্ষণ ঔষধ বর্ণা দেওয়া হলো Ñ

কাশি-মোটেই থামছে নাধমকের পর  ধমক চলতেই থাকে --- কুপ্রাম মেটালিকাম ২০০,  ডোজ - ঘন্টা অন্তর

কাশির ধমক একচোট চলার পরে  সামান্য সময় গ্যাপ দিয়ে --আবার ধমক,  সামান্য সময়  গ্যাপ দিয়ে আবার ধমক, --- এরকম যদি তিনবার ধরে চলতে থাকে ( in three paroxysms--কুপ্রাম মেট

*কাশি- ধমকের পর ধমক চলতে চলতে মাঝখানে সামান্য সময়ের জন্য বিরতি বা গ্যাপের পরে আবার ধমকের পর ধমক,   বিশেষ করে মাঝ রাত্রির পরে  কাশির বৃদ্ধি --- ড্রসেরা ৩০ , ডোজ।

*যদি রকম দুই বার  ধরে কাশি চলতে থাকে (in two paroxysms) -- মার্ক সলফসফরাস

* কাশি-- খালি গায়ে বাড়ে, জামা কাপড়,  চাদর বা বেডসিট গায়ে দিলে কমে -- হিপার, রাস টকস,  রিউমেক্স,

* সব রকম বাদ্যযন্ত্রের শব্দে কাশি বাড়ে ---- এ্যাম্ব্রাগ্রিসিয়া,

* বাচ্চাদের কৃমিজনিত কাশি --- ইন্ডিগো,

* সকালে ঘুম থেকে উঠার পরেই  অনবরত কাশি,  মুখ থেকে সুতার মতন লম্বা হয়ে সর্দি উঠে, আর তখনই একটু কমে, যতক্ষন না সুতার মতন কফ বা সর্দি না বেরুবে, কাশি চলতেই থাকবে  ---- কক্কাস ক্যাকটাই,

* কাশি-- শুলে বাড়ে --- কোনিয়াম,  হায়োসিয়ামাস,  পালস, 

* কাশি শুলে কমে--- ক্যালি বাই,  ম্যাঙ্গেনাম এ্যাসেটিকাম,  সোরিনাম,

* কাশির শব্দ সেইরকমগরু বা মহিষের শিং দিয়ে তৈরী শিঙা বা ফিঙে  বাজালে যেমন শব্দ হয় ---- ভার্বাসকাম,

কাশি  শুষ্ক --- এত শুষ্ক যে স্টেথো দিয়ে শব্দ শুনলে মনে হয়--- করাত দিয়ে কেউ  কাঠ কাটছে। ----- সাঁই সাঁই করে শব্দ হয় ---- স্পঞ্জিয়া,

* কাশির ধমকে প্রস্রাব বেরিয়ে যায়,  তা সে বাচ্চা,  বড় সবার ক্ষেত্রেই --- কষ্টিকাম,  নেট্রাম মিউর, ফসফরাস,  পালসেটিলা, স্কুইলা,

* কাশি কুকুরের ডাকের মতন বিশ্রী, কর্কশ---- বেলেডোনা,  ড্রসেরা,

* যত কাশি হয়, বাচ্চারা তত কাঁদে--- আর্ণিকা,

* কাশি ঘুমের মধ্যে বেশী হয় ----ক্যামোমিলা,

* কাশি হামের পর থেকে চলতে থাকে --- ড্রসেরা, পালসেটিলা, মর্বিলিনাম, স্টিকটা,

* কাশি মদ্যপানে বাড়ে --- জিঙ্কাম মেট,


যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com


সোমবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২২

নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়

নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়

 নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায়  যা করণীয় 

নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায়  যা করণীয় 

নারী মানেই স্নেহ, ভালবাসা। কাছের মানুষ-গুলোর প্রতি যতœ, আদর আর মায়া। সাংসারিক হাজারটা দায়িত্বের মাধ্যমে সবাইকে আগলে রাখা। তবে আজকালকার দিনে এই ধারণা কিন্তু অনেকটাই বদলে গিয়েছে। এখন বাঙালী নারী আর চার-দেয়ালে সীমাবদ্ধ নেই। ঘরের সীমানা পেড়িয়ে তাঁরা আজ সাফল্যের সিঁড়ি-গুলো বেয়ে উঠে যাচ্ছে সাবলীল-ভাবে, শত বাধা-বিপত্তি ভেঙে দিয়ে। 

তবুও এখনো অনেক নারী-ই নিজেদের ব্যাপারে কিছুটা উদাসীন। প্রতিদিনের অফিস-বাসার কতশত কাজের মাঝে হয়তো সময়ই করে উঠতে পারেন না। দিনে দিনে পুরো ব্যাপারটা মন থেকে বলতে গেলে হারিয়েই যায়।


যে বিষয় গুলো আলোচনা করা হয়েছে

নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কি করণীয়

সঠিক ও পরিমিত খাদ্যাভ্যাস

নিয়মিত শরীরচর্চা

পরিমিত বিশ্রাম

ভিন্ন কিছু করা

দৈনন্দিন ব্যস্ততা থাকবেই। নারী হিসেবে তাঁদের দায়িত্বগুলো পালন করে যেতে হবে। এই ব্যাপারে হয়তো কোন বিতর্কের সুযোগ নেই। কিন্তু পাশাপাশি তাঁদের নিজেদের যতেœর দিকেও খেয়াল রাখাটা সমান, কখনোবা হয়তো একটু বেশিই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সবার যতেœর পাশাপাশি নিজের ও যতœ নেয়া চাই । শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য প্রতিদিন একজন নারী নিজের যতেœ কি কি করতে পারেন, চলুন জেনে নিই ।



১. সঠিক ও পরিমিত খাদ্যাভ্যাসঃ

রুটিন-মাফিক, পরিমিত খাদ্যাভ্যাস ই মূলত শারীরিক, তথা মানসিক সুস্থতার সবচেয়ে বড় নিয়ামক। বয়সের সাথে সাথে বিভিন্ন হরমোন-জনিত কারণে মেয়েদের একটু মোটা হয়ে যাবার ধাঁচ থাকে। পরবর্তীতে শরীর ভারী হয়ে যাবার জন্য নানাবিধ শারীরিক জটিলতা দেখা যায়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস থাকলে সহজেই এড়িয়ে যাওয়া যায় এই ভারী হয়ে যাবার প্রবণতা ।

খাবার নির্বাচন করার সময় হাই-প্রোটিন ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে খাদ্য-তালিকায় ভেজিটেবল, ফল-সহ পুষ্টিকর খাবার বেছে নিন। যেমন, গরু বা খাসির মাংসের বদলে বেছে নিতে পারেন সয়াবিন বড়ি, পালং শাক , পটল বা উচ্ছে । প্রথম প্রথম একটু কঠিন মনে হলেও পুরো ব্যাপারটিই আসলে অভ্যাসের উপর নির্ভরশীল। একবার অভ্যাস হয়ে গেলে পুরো ব্যপারটিই হয়ে ওঠে আসলেই সহজ। 

সঠিক খাদ্যতালিকা নির্বাচন এর পাশাপাশি সঠিক সময়ে খাচ্ছেন কি না সেটি ও সমান গুরুত্বপূর্ণ । অনেক সময়ই দেখা যায়, সকালের ব্যস্ততায় অনেক নারীই ঠিক মতো ব্রেকফাস্ট না করেই কাজে চলে যাচ্ছেন। আবার হয়তো সময় মতো লাঞ্চ করছেন না। এটা একেবারেই ঠিক নয়। তাই একটু সচেষ্ট হয়ে রুটিন-মাফিক খাওয়ায়া-দাওয়া করলে নিজের যতœ অনেকাংশেই নিশ্চিত করা যায়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, যেটা অনেক সময়ই নারীরা খেয়াল করেন না, তা হলো পর্যাপ্ত পানি পান করা। এ ব্যাপারেও একটু খেয়াল করলেই সুস্থতা অনেকটাই নিশ্চিত করা যায়।


২. নিয়মিত শরীরচর্চাঃ

প্রতিদিন কমপক্ষে এক ঘন্টা হালকা এক্সারসাইজ অথবা মেডিটেশন সত্যিই শরীর ও মন, দুটোই নিমিষেই করে ফেলতে পারে চাঙা। এক্সারসাইজ বলতে একেবারেই জিম-এ গিয়ে হেভি ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করে শরীরচর্চা করতে হবে এমনটি কিন্তু নয়।

প্রতিদিন ভোরবেলা কানে হেডফোন লাগিয়ে নিয়ে নিজের পছন্দের গান শুনতে শুনতে একটানা কোন পার্ক অথবা নিদেনপক্ষে ঘরের ভেতরেই হেঁটে বেড়ালেই শরীর অনেকটাই ফিট রাখা সম্ভব। প্রতিদিন এক্সারসাইজ-এর জন্য হার্ট-রেট বজায় থাকবে, শরীরের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়াও স্বাভাবিক থাকবে। যার এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী। পরবর্তীতে এজিং-এর মতো ভাবনাদায়ক বিষয়গুলো খুব সহজেই শুধুমাত্র একটিভ লাইফস্টাইল এবং এক্সারসাইজ-এর মাধ্যমেই এড়িয়ে যাওয়া যায়।

বর্তমানে অনেক নারীকেই মেডিটেশন করার ব্যাপারে উৎসাহী হতে দেখা যাচ্ছে। ভাবনায় আটকে না থেকে শুরু করে দেয়াই ভালো। আর মেডিটেশন যদি নাও শুরু করা হয়, তবে দেহ-মনের আড়ষ্টতা দূর করতে বডি ম্যাসাজ-ও বেশ কার্যকরী । 


৩. পরিমিত বিশ্রামঃ

পর্যাপ্ত ও শান্তির ঘুম না হলে মানসিক প্রশান্তি আসবে না। স্বাভাবিকভাবেই দায়িত্বের চাপে চলে আসে অতিরিক্ত টেনশন। পরিমাণমতো ঘুমালে অনেকখানিই কমে যায় টেনশন । কিন্তু শুধু পর্যাপ্ত ঘুম নয়, প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিশ্রামেরও। এক্ষেত্রে রুটিন-মাফিক বেশি রাত না জেগে তাড়াতাড়ি বিছানায় চলে যাওয়া এবং খুব ভোরে দিন শুরু করলে শরীর ও মন দুটোই চাঙা রাখা সম্ভব। সকাল সকাল দিন শুরু করলে সারাদিনে কাজ শেষ করার সময়ও বেশি পাওয়া যায়। 


৪. ভিন্ন কিছু করাঃ

নৈমিত্তিক ব্যস্ততা থাকবেই সকল নারীর । কিন্তু এরপরও নিজেদের মনে আনন্দের খোরাকের জন্যই যদি মাঝে মাঝে কিছুটা সময় তাঁরা নিজেদের পছন্দ মতো কিছু একটা করা সত্যিই উচিত। সেটা হতে পারে বই পড়া, গান শোনা , গান করা বা মুভি দেখা বা যেটাই মন চায়, সেটাই করতে হবে । 

আমাদের অনেকেরই মা-খালারা কাঁথা সেলাই, রান্না ইত্যাদি কাজে বেশ পারদর্শী। তাঁদের এই শখটি ধরে রাখতে একটু উৎসাহ আমরা সবাই চাইলেই দিতে পারি। মনে রাখা জরুরি, জীবনটা শুধু দায়িত্ব পালনের জন্যই নয়- পাশাপাশি এনজয় করাটাও সবারই প্রাপ্য। বাড়ির ছাদে অথবা বারান্দায় একটি ছোট বাগানের পরিচর্যা করলেও মন অনেক ভালো থাকে।

 

শেষকথা, স্বাস্থ্যের প্রতি সবারই খেয়াল রাখা দরকার কিন্তু একজন নারীকে যেহেতু পরিবারের সবারই খেয়াল রাখতে হয়, সেহেতু তার স্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ রাখা সবচেয়ে জরুরী ।

ভালো লাগলে লাইক দিন, কমান্ড করুণ :

যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com