homeopathic (আরোগ্য হোমিও হল)

সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১

মহিলাদের জরায়ু টিউমারে হোমিওপ্যাথিক ওষধ

মহিলাদের জরায়ু টিউমারে হোমিওপ্যাথিক ওষধ


মহিলাদের জরায়ু টিউমারে হোমিওপ্যাথিক ওষধে সমাধান


মহিলাদের জরায়ু টিউমারে হোমিওপ্যাথিক ওষধে সমাধান

ইউটেরিন ফাইব্রয়েড ( (Uterian Fibroid)) বা জরায়ুর টিউমার এক ধরণের নির্দোষ টিউমার যা কিনা প্রাথমিকভাবে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি হয় না। সাধারণত অধিকাংশ ক্ষেত্রে সন্তান গর্ভকালীন সময়ে মহিলাদের জরায়ুতে এ ধরণের টিউমার এর সৃষ্টি বা বিকাশ হয়ে থাকে।


জরায়ুর টিউমার একটি হতে পারে বা একাধিকও হতে পারে। আকারগত দিক দিয়ে একটি মটরদানা থেকেও ছোট হতে পারে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা বৃদ্ধি পেয়ে সম্পূর্ণ জরায়ুর কাঠামোর চাইতেও বড় হয়ে পাঁজরের খাঁচা পর্যন্ত পৌছে যায়।


জরায়ুর টিউমার বা (Uterian Fibroid Tumor)  কেন হয়?

অনেক সময় দেখা যায় মহিলাদের ঋতু সংশ্লিষ্ট সমস্যা থাকলে অর্থাৎ সঠিক সময়ে ঋতুস্রাব না হলে বা সময়ের পূর্বে বা পরে হলে অথবা অতিরিক্ত বা কম ঋতু রক্তস্রাব প্রবাহিত হলে তাদের জরায়ুতে টিউমার হতে পারে। এছাড়া জরায়ু বা ডিম্বাশয়ের কোন জটিল অসুস্থতা থাকলেও জরায়ুতে টিউমার হতে পারে।


অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীরা জরায়ুতে টিউমার হবার পর হতে অনেকদিন পর্যন্ত কিছুই বুঝতে সক্ষম হন না। কারণ বাহ্যিক বা আভ্যন্তরিকভাবে কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না। সমস্যাটি তখনই ধরা পড়ে যখন একজন মহিলা মাসিক ঋতুস্রাবের সমস্যার চিকিৎসা করার জন্য বা সন্তান গর্ভে আসলে সাধারণ পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য একজন গাইনী চিকিৎসক এর সরণাপন্ন হন।



Uterine Fibroid Tumorজরায়ুর টিউমার হবার লক্ষণসমূহ :

অতিরিক্ত মাসিক রক্তপাত।

ঋতুস্রাব ১ সপ্তাহ বা তার চাইতেও বেশি সময় পর্যন্ত প্রবাহিত হওয়া।

তলপেটে চাপ চাপ বা প্রচন্ড ব্যথা হওয়া।

মাসিকের আগে, সময়ে অথবা পরে প্রচন্ড ব্যথা হওয়া।

ঘন ঘন মূত্রত্যাগের ইচ্ছা হওয়া।

মূত্রাশয় সম্পূর্ণ খালি হয় না, মনে হয় আরও একটু প্রস্রাব হবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।

পিঠের নিচের অংশ, কোমড় বা পা ব্যথা করা।

হঠাৎ করে তলপেটে প্রচুর ব্যথাসহ রক্তস্রাব হওয়া।


জরায়ু টিউমারের শ্রেণীবিভাগ :

Fibroids  বা জরায়ুর টিউমারকে সাধারণত তাদের অবস্থান দ্বারা শ্রেণীবদ্ধ করা হয়।

Intramural Fibroids  – জরায়ুর পেশীর ভেতর দিকে বৃদ্ধি পায়।

Submucosal Fibroids – জরায়ুর ভেতরে দিকে তৈরি হয়ে জরায়ু গহ্বরের দিকে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

Subserosal Fibroids– জরায়ুর পেশীর বাইরের অংশে প্রাচীরের ভেতর বৃদ্ধি পায় এবং বৃহদাকার আকৃতি ধারণ করে জরায়ু প্রাচীরের বাইরের দিকটায় বৃদ্ধি পেতে থাকে।


জরায়ুতে বা জরায়ু মুখের টিউমার চিকিৎসার জন্য কখন চিকিৎসক এর সাহায্য নেবেন

আপনি যদি উপরে বর্ণিত জরায়ু টিউমার এর লক্ষণসমূহের কোন একটি আপনার মধ্যে অনুভব করেন তবে দেরী না করে আজই উপযুক্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


হোমিওপ্যাথি মতে জরায়ুর টিউমারের সেরা হোমিও ঔষধ (Uterian fibroid treatment)

ক্যালক্যারিয়া আয়োড


মোটা, থলথলে মাংসপেশী ও অতিরিক্ত মেদ যুক্ত মহিলাদের চিকিৎসায় ভালো কাজ করে। সাধারণত এই ধরনের রোগীদের শরীরে প্রায়ই বিভিন্ন জাতীয় টিউমারের উপস্থিতি, টনসিল আক্রান্ত হওয়া বা টনসিলের প্রদাহ হওয়া (টনসিলাইটিস), শরীরের বিভিন্ন গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, প্রভৃতি লক্ষণ লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া তাদের প্রায়ই থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। ক্যালকেরিয়া আয়োড থাইরয়েড গ্রন্থির অসুস্থতা চিকিৎসায়ও সাফল্যের সাথে ব্যবহার হচ্ছে।


ক্যালকেরিয়া কার্ব


ক্যালকেরিয়া ধাতু প্রকৃতিযুক্ত রোগীদের চিকিৎসায় একটি সেরা ঔষধ। অন্য সবার কথা জানিনা। আমি নিজে এই ঔষধটি প্রয়োগ করে কখনো ব্যর্থ হয়নি। তবে যথেষ্ঠ সতর্কতার সাথে সঠিক নিয়মে ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায় বিপদ ঘটার সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে ক্যালকেরিয়ার ওভারডোজ হলে জরায়ু বা ফুসফুস থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, হঠাৎ সংজ্ঞাহীন হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা, হাড়ের ভেতর রিউমাটিক ব্যথা প্রভৃতি সমস্যা সৃষ্টি করে।


এছাড়া জরায়ুর টিউমার বা জরায়ু মুখের টিউমার চিকিৎসা ক্ষেত্রে ফ্র্যাক্সিনাস অ্যামেরিকানা, পালসেটিলা, সিপিয়া, লিলিয়াম টিগ, বোরাক্স, ট্রিলিয়াম, নেট্রাম মিউর, ইগ্নেসিয়া, ল্যাকেসিস, সাইলিসিয়া প্রভৃতি ঔষধগুলোও লক্ষণ অনুযায়ী ভালো কাজ করে।




জরায়ুর ক্যান্সার হলে করণীয় কি?

জরায়ুতে দূষিত টিউমার বা ক্যান্সার হলে অবশ্যই সবার আগে প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করবেন। যদি বিশেষ কোনো কারনে অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি মতে চিকিৎসা নেয়া সম্ভব না হয় অথবা অন্যান্য মতে চিকিৎসায় ভালো ফলাফল না পাওয়া যায় শুধুমাত্র সেই পরিস্থিতিতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করার জন্য সুপারিশ করা যাচ্ছে। জরায়ুর দূষিত টিউমার বা জরায়ুর ক্যান্সার রোগীদের সাহায্যার্থে নিচে কিছু ঔষধের লক্ষণ নির্দেশিকা দেয়া হলো।


জরায়ুতে দূষিত টিউমার বা ক্যান্সার হয়েছে সন্দেহ হলে থুজা অক্সিডেন্টালিস প্রয়োগ করা যায়। এতে অনেক ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে।


তবে পরীক্ষা করে ক্যান্সার নিশ্চিত হয়েছে বলে প্রমাণ হলে হাইড্র্যাষ্টিস Q বাহ্যিকভাবে ব্যবহার করা ও অরাম মিউর ন্যাট 3X সঠিক নিয়মে খেলে অনেক সময় ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।


স্বনামধন্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডাঃ বোরিক এর মতে জরায়ু টিউমার বা ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধ সমূহের মধ্যে অরাম মিউর ন্যাট শ্রেষ্ঠ।


বংশগত বা বংশের অন্যান্য আত্নীয়  স্বজনদের মধ্যে ক্যান্সার হবার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেলে কার্সিনোমা উচ্চ শক্তিতে দীর্ঘদিন পর পর ব্যবহার করতে হবে।


প্রচুর কালচে রক্তক্ষরণ হলে হ্যামোমেলিস Q উপকারী।


জরায়ুতে দূষিত টিউমার বা জরায়ুর ক্যানসার এর প্রথম অবস্থায় আর্সেনিক আয়োড প্রয়োজন হবে।


দূষিত অর্বুদ বা টিউমার আঙ্গুরের মতো আকৃতি ধারণ করলে এবং আর্স আয়োডে কাজ না হলে থুজা প্রয়োগ করতে হবে। জরায়ুর টিউমারের এইরূপ গঠনগত অবস্থায় থুজা অন্য সব ঔষধের তুলনায় অধিক কার্যকরী।


এছাড়া জরায়ুর ক্যান্সার চিকিৎসায় অন্যান্য প্রয়োজনীয় ঔষধসমুহ হচ্ছে-
আর্সেনিক এলবাম, ক্রিয়োজোট, ল্যাপিস এলবাম
, প্রভৃতি।


হোমিওপ্যাথি মতে জরায়ু টিউমার বা জরায়ুর ক্যান্সার চিকিৎসা সম্বন্ধে আরও জানতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা নিচের কমেন্ট বক্স ব্যবহার করে আপনার মন্তব্য আমাদেরকে জানাতে পারেন।


জরায়ু টিউমারের সঠিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার (fibroid treatment)  জন্য যোগাযোগ করুন-


যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১

 যৌন রোগের উৎপত্তি ও হোমিওপ্যাথিক ঔষধ

যৌন রোগের উৎপত্তি ও হোমিওপ্যাথিক ঔষধ

 যৌন রোগের উৎপত্তি ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা


দিন যত যাচ্ছে পৃথিবী জুড়েই যৌন রোগের প্রকোপ বৃদ্দি পাচ্ছে। এই যৌন রোগ থেকে ক্যান্সার, অন্ধত, জন্মগত ক্রুটি, এমনিকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পাবে। তাই যৌন রোগ ও এর কারণে সৃষ্ট অন্যান্য রোগ গুলোকে থেকে বাঁচতে হলে শুরুতে এর চিকিৎসা করা জরুরি।

সাধারণত যৌনঙ্গ থেকে তরল নি:সৃত হওয়া মুত্রে জ্বালাভাব, শারীরিক সম্পর্কে সময় ব্যাথা বা রক্তপাত, তলপেটে ব্যাথা, মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত এবং সংক্রমণে সব উপসর্গেও কোনোটি দেখলে অবশ্যই যৌন রোগের পরীক্ষা করানো উচিত।


এছাড়া এ বিষয়ে দ্রুত  চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। করণ বেশির ভাগ যৌন রোগই উপযুক্ত চিকিৎসায় সম্পূর্ণ সেওে ওঠে। কিন্ত চিকিৎসায় অবহেলা করণে তা ভবিস্যতে রোগের শঙ্কা বাড়িয়ে দিতে পারে।

আজ যৌন রোগ নিয়ে বিশষে কলাম লিখেছেন, ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), আরোগ্য হোমিও হল, বিএসএস, ডিএইচএমএস (ঢাকা) সুস্থ শরীর নিয়ে অনন্দময় হয়ে উঠবে, অর্থাৎ আমাদের লাইফ স্টাইল কী হবে? লাইফ স্টাইল হল অভ্যাস, দৃষ্টিভঙ্গি, পছন্দ, সামাজিক এবং রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনা, সংস্কৃতি , সর্বোপরি অর্থনৈতিক অবস্থা, এই সব মিলিয়ে হল লাইফ স্টাইল।

এই আনন্দময় জীবনযাবন থেকেই সৃষ্টি, বর্তমানে যৌন সমম্যা, যা একটি মারাত্নক সম্যাসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যত দিন যাচ্ছে এ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এই সমস্ত রোগীদেও চিকিৎসা নিয়ে আছে অনেক জটিলতা। দেশের আনাচে-গড়ে উছেছে বিভিন্ন চমকপ্রদ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান।

অনেকেই এসব রং বেরঙ্গেও প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসা নিয়ে হচ্ছেন প্রতারিত। আমার কাছে অনেক রোগীরা আসে তাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে অনেকে এ রোগ নিয়ে খুবই উদ্বেগে আছেন। অনেকে এ সম্যাসা নিয়ে বিচলিত। কোথায় গেলে ভালো চিকিৎসা পাবে তা কেই বুঝতে পারছে না।


আসলে যৌন সম্যাসা কোন সমস্যা নয়। একটু বুঝে চললে আর জীবন টাকে নিয়মের ভেতওে আনলে এই রোগ কোন রোগই নয়। তবে জীবন চলার পথে কিছু সমস্যা থাকে, আমারা নিজেরাই কিছু সমস্যা শরীরে সৃষ্টি করি। যার ফলে আমরা হতাশায় ভুগী আর ভাবি এ রোগের কোন চিকিৎসা নেই।

কিন্ত এখনো যদি আমারা জীনটাকে সুন্দও করে সাজাতে পারি আর সমাস্যার কারণে ভালো কোনো অর্গানন অনুসরণকারী হোমিও চিকিৎসকের সরণাপন্ন হই, তাহলে আমারা একটি সুন্দও সুখী নীড় তৈরি করতে পারবো। আজকাল রাস্তাঘাটে চলাফেরা করলে দেখি বাহারি রঙ্গের বাহারি সব চিকিৎসা পোস্টা বা সাইনবোর্ড দেখতে পাই। 

তারা সাতদিনের ভেতর সব ঠিক করে দেবে বলে চ্যালেঞ্জ, গ্যারান্টি, দিয়ে প্রচারপত্র বিলি করে। নিরীহ সাধারণ মানুষকে আকর্ষণ করার লক্ষে পোস্টাররেড় বিফলে মুল্যফেরত, জীবনের শেষ চিকিৎসা এসব কথা উল্লেখ করতেও দ্বিধাবোধ করেনা। আসলে মুল কথা হলো আমাদের দেশের বেশির ভাগ পুরুষ এই সমস্যায় ভুগছেন।

মেয়েদের ভেথরেরও এ সম্যাসা আছে তবে খুব কম। আমার চিকিৎসা করার সময় দেখি মেয়েদের সংখ্যা অনেক কম এ হিসেবে “সেক্স” সমস্যাটা কিছুই না। তবে বিষেষ কিছু কারণে সম্যাসা হয়ে থকে। মুলত যে সব করণে সমস্যা হয়ে থাকে সেগুলো হচ্ছে মানসিক সুশ্চিন্তা, মানসিক হতাসা, মানসিক ভীতি। 




* অতিরিক্ত হস্তমৈথুন।

* সময়মতো বিয়ে না করা।

* যৌনশক্তি বাড়ানোর নামে ‘ওয়ান টাইম মেডিসিন’ সেবন করা।

*  অতিরিক্ত ধূমপান করা।

৬. স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বহুদিন সম্পর্ক ছিন্ন থাকা।

* দীর্ঘদিন যাবৎ কঠিন আমাশয় ও গ্যাস্ট্রিক রোগে ভুগা।

*  সঙ্গদোষ অর্থাৎ খারাপ বন্ধুদের কারণে খারাপ কাজে সম্পৃক্ত হওয়া, পর্নো মুভি দেখা ও এ জাতীয় চিন্তা করা।

* অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হওয়া।

*  ডায়াবেটিস হওয়ার কারণে।

* মোটা হওয়ার কারনে।

* পরিবারে উদাসীনতা, যারা কায়িক পরিশ্রম করে মানে অলস যারা।

* প্রেম করে বিয়ের আগে অবাধ মেলামেশা করা।

* কোনো অনুশাসন না মেনে চলা। মূলত এসব কর্মকাÐে আরও সমস্যা আছে। তবে এই সমস্যাগুলো আমরা চিকিৎসা করার সময় রোগীদের মাঝে দেখি। যতই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হোক না কেন, হোমিওপ্যাথি লক্ষণ দিয়ে চিকিৎসা দিতে পারলে এই রোগী আরোগ্য হওয়া সম্ভব।

হামিওপ্যাথি ঔষধে সমাধান : রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয়। যৌন সমস্যার রোগীদেরকে একজন অভিজ্ঞ অর্গানন অনুসরণকারী  চিকিৎসক নির্বাচন করতে হবে যিনি সঠিক লক্ষণ অথবা ‘মাইজমেটিক’ অনুসরণ করে চিকিৎসাসেবা দেন, তাহলে  হোমিওপ্যাথিতে আরোগ্য হওয়া সম্ভব।

কিন্তু আফসোসের বিষয় অনেক হোমিও চিকিৎসক ও হোমিও কলেজগুলোর শিক্ষক রোগীদেরকে পেটেন্ট, টনিক, মিশ্র প্যাথি দিয়ে চিকিৎসা দেয় আর  নিজেদেরকে ‘ক্ল্যাসিকাল হোমিওপ্যাথ’ বলে থাকেন। এসব ডাক্তারদেরকে ডা. স্যামুয়েল হ্যানিমান বলে থাকেন শঙ্কর জাতের হোমিওপ্যাথ। তাই নিজেদেরকে যদি হ্যানিমেনের উত্তরসূরী দাবি করে থাকি তাহলে সঠিক লক্ষণ দিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে।

অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা যে সব মেডিসিন ব্যবহার করে থাকে, এসিডফস, এগনাস কাস্ট, অসগোন্ধা, ক্যালাডিয়াম স্যাংক, ডামিয়ানা, জিনসিং, নুপারলোটিয়াম, নাক্সবোম, লাইকোফোডিয়াম, সিলিনিয়ামসহ অসংখ্য হোমিও মেডিসিন লক্ষণের ওপর আসতে পারে।

যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২১

 মানষিক রোগে হোমিওপ্যাথিক হোমিওপ্যথিক ঔষধ

মানষিক রোগে হোমিওপ্যাথিক হোমিওপ্যথিক ঔষধ

 মানষিক সমস্যায় হোমিওপ্যাথিক ঔষধ....


 মানষিক রোগে হোমিওপ্যাথিক হোমিওপ্যথিক চিকিৎসা

Veratrum Album : একলা থাকতে পারে না, অথচ কারো সাথে বিশেষ কথাও বলে না। বাড়ি থেকে বেরিয়ে লক্ষ্যহীনভাবে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায়। মাঝে মাঝে দুর্দান্ত হয়ে ওঠে। চিৎকার করে, অভিশাপ দেয়। রোগির মধ্যে জিনিসপত্র কাটবার বা ছিঁড়বার প্রবণতা দেখা দেয়। প্রেম ও ধর্মের বিষয়ে বেশি বকবক করে। রাতের বেলায় উৎপাত বাড়ে। এই ধরনের রোগির ওপর ভিরেট্রাম এলবাম (Veratrum Album) ভালো ফল দেয়।


Arum Metallicum:  রোগি আত্মহত্যার কথা চিন্তা করে, মাঝে মাঝে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আবার এর সাথে মৃত্যুভয়ও থাকে। মনে করে সে যেন বড় পাপ করেছে। জীবনের ওপর বিতৃষ্ণা। কারো সাথে কথা বলার সময় প্রশ্নের ওপর প্রশ্ন করতে থাকে; উত্তরের অপেক্ষা করে না। তার মতের সামান্য প্রতিবাদ করলেই সে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে। অচেনা মানুষের সাথে মিশতে ভয় পায়। এসব রোগির অনেক ক্ষেত্রে হাই ব্লাড প্রেসার থাকে। অরম মেটালিকাম  (Arum Metallicum) এই লক্ষণ গুলিতে খুব কার্যকর। এই ওষুধে বহু ক্ষেত্রে আত্মহত্যা প্রবণ রোগির মানসিকতা পাল্টে দেওয়া যায়।



Hyoscyamus : রোগি কাজে, অঙ্গভঙ্গিতে এবং কথাবার্তায় অশ্লীল ইতর হয়ে পড়ে। অত্যন্ত বাচাল, কাপড় - চোপড় খুলে ফেলে। জননেন্দ্রিয় বের করে দেখায়। অত্যন্ত হিংসুটে। সন্দেহ করে কেউ যেন তার ক্ষতি করতে সবসময় চেষ্টা করছে। প্রলাপে রোগি ছুটে বাইরে যেতে চায়। বাড়ির জিনিসপত্র বিক্রি করার প্রবণতা। আশেপাশের অনেক মানুষের কাজকর্ম সন্দেহের চোখে দ্যাখে। দাঁত দিয়ে কাপড় কাটে বা হাত দিয়ে কিছু না কিছু খুঁটতে থাকে। এই রোগ লক্ষণে হায়াসায়ামস (Hyoscyamus) দেবেন। বদ্ধ উন্মাদের ক্ষেত্রে হায়াসায়ামস ভালো ফল দেয়।


Argentum Nitricum : লোককে কাছে পেলেই নিজের অসুবিধার কথা বলতে শুরু করে। কথা বলার জন্য সবসময় লোক খুঁজে বেড়ায়। তার একনাগাড় বকবকে লোকে যে বিরক্ত হয়; তা সে বুঝতে পারে না। মাঝে মাঝে ভাবে লোকে তাকে ঠিকমতো বুঝতে পারছে না বা এরা সবাই মহামূর্খ। তাকে যোগ্য মূল্যায়ণ করার মতো মানুষ এ তল্লাটে নেই। রোগিকে বয়সের তুলনায় বেশি বুড়ো বুড়ো দেখতে লাগে। এসব ক্ষেত্রে আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম Argentum Nitricum : দেবেন। লক্ষণ ভেদে অন্যান্য ঔষধ আসতে পারে।


যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান (পান্না)

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্ন)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com


সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১

পা ফাটার সমস্যা দূর করুণ

পা ফাটার সমস্যা দূর করুণ

পা ফাটার সমস্যা দূর করুণ


শীতের আগমন মানে ত্বকের জন্য দুঃসংবাদ। কারণ এসময় আবহাওয়ার প্রভাবে আমাদের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। মুখের যত্নে র প্রতি আমরা সবাই কম-বেশি মনোযোগী হলেও খেয়াল থাকে না পায়ের বেলায়। আপনাকে সারাদিন বহন করে নিয়ে চলে যে পা জোড়া, তার প্রতি যতœশীল তো হতেই হবে। 

শীত এলে পা ফাটার সমস্যা প্রায় সবারই হয়ে ‍থাকে। কোমল পা-ও হয়ে পড়ে খসখসে। পা ফাটার কারণে দেখতে তো অসুন্দর লাগেই, এটি অস্বস্তি ও কখনো কখনো যন্ত্রণারও কারণ হতে পারে। পা যেহেতু ধুলোবালির কাছাকাছি বেশি থাকে তাই পা পরিষ্কার রাখাও বেশি জরুরি। আর নয়তো পা ফাটার সমস্যা দেখা দিতে সময় নেবে না। 

শীতের সময়ে পা ফাটার সমস্যায় যদি আপনিও ভুগে থাকে তবে আজই সেদিকে নজর দিন। প্রতিদিনের ছোট ছোট কিছু কাজই আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্ত রাখবে। নিয়ম মেনে যতœ নিতে পারলেই এই শীতেও আপনার পা থাকবে পরিচ্ছন্ন ও কোমল। সেজন্য খুব বেশি সময়ও লাগবে না। মিনিট দুয়েকের কিছু কাজই যথেষ্ট। 



চলুন জেনে নেওয়া যাক-

কোমল হবে পা

প্রতি সন্ধ্যায় বাড়িতে ফেরার পর একটি কাজ করতে হবে। বিশ্রাম নেওয়ার সময় হালকা গরম পানিতে শ্যাম্পু গুলিয়ে পা দু’খানা ভিজিয়ে রাখতে হবে মিনিট বিশেক। এই সময়ে আপনাকে আলাদা কোনো যতœ করতে হবে না। হয়তো টিভি দেখছেন বা গল্পের বই পড়ছেন, একটি বোলে শ্যাম্পু মেশানো পানি নিয়ে তাতে পা ভিজিয়ে রাখলেই হবে। এতে আলাদা করে সময় নষ্ট হবে না। এরপর পা তুলে ঝামাপাথর দিয়ে রুক্ষ অংশ ঘষে পরিষ্কার করে নিন। এরপর ধুয়ে ক্রিম মেখে মোজা পরে নিন। ঘুমের আগে পায়ে ময়েশ্চারাইজার মাখতে ভুলবেন না।


মৃত কোষ পরিষ্কার

পায়ের মৃত কোষ প্রতিদিন পরিষ্কার না করলে সমস্যা। কারণ এগুলো জমতে থাকলে একটা সময় শক্ত খোলসের মতো হয়ে যাবে। তখন তা বিদায় করা মুুশকিল হয়ে যাবে। সেজন্য ব্যবহার করতে পারেন স্ক্রাব। চালের গুঁড়া, মধু, লেবুর রস, দুধের সর দিয়ে ঘরোয়া স্ক্রাব তৈরি করে সেটি পায়ে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এরপর শুকিয়ে গেলে ঘষে ঘষে তুলে নিন। এরপর ধুয়ে ক্রিম লাগিয়ে নিন।


অ্যালোভেরা জেল ও অলিভ অয়েল ব্যবহার

প্রতিবার পা ধোওয়ার পর অ্যালোভেরা জেল ও অলিভ অয়েলের একটি মিশ্রণ তৈরি করে পুরো পায়ে ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে। এতে পা ফাটার ভয় কমবে। সেইসঙ্গে পা হবে কোমল।


ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার

পা ভালো রাখতে সাহায্যকারী আরেকটি উপাদান হলো ভিটামিন ই ক্যাপসুল। সেজন্য কয়েকটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ফুটো করে তেলটুকু ফুটো করে নিন। এরপর সেই তেল পেট্রোলিয়াম জেলির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ে মেখে মোজা পরে নিন। এতে পা তো ফাটবেই না, সেইসঙ্গে থাকবে নরমও।


বাইরে বের হওয়ার আগে

পা ফাটার সমস্যা খুব বেশি হলে বাইরে বের হওয়ার আগে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন প্রতিবার বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই মোজা ও পা ঢাকা জুতা পরে বের হতে হবে। এতে পা ফাটার ভয় অনেকটা কমবে। 


গোসলের পর পায়ের যত্ন

গোসলের পর পায়ের যতেœর দিকেও মন দিতে হবে। প্রতিদিন গোসলের পর পায়ে অবশ্যই ময়েশ্চরাইজার লাগিয়ে নেবেন। আবার বাইরে বের হওয়ার সময় পা ঢাকা জুতা পরার আগে ভালোভাবে ক্রিম মেখে মোজা পরে নিতে হবে। এতে ভালো থাকবে পা।

যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২১

মহিলাদের লিউকোরিয়া বা সাদাস্রাবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

মহিলাদের লিউকোরিয়া বা সাদাস্রাবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

মহিলাদের লিউকোরিয়া বা সাদাস্রাবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা



হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতিতে অত্যন্ত কার্যকরভাবে লিউকোরিয়া (খবঁপড়ৎৎযড়বধ) বা সাদাস্রাবের স্থায়ী চিকিৎসা সম্ভব। আজকের আলোচনায় লিউকোরিয়া বা সাদাস্রাব কি, সাদাস্রাবের কারণ ও লিউকোরিয়া চিকিৎসায় ব্যবহৃত প্রধান কয়েকটি হোমিওপ্যাথিক ঔষধের নাম ও তাদের লক্ষণ নির্দেশিকা দেয়া হয়েছে।


সাদাস্রাব বা শ্বেতপ্রদর কেন বলা হয়?

নারীদের যোনি এবং জরায়ুর শ্লৈষ্মিক আবরণী, অভ্যন্তর ও জরায়ু মুখ থেকে একপ্রকার অনিয়মিত শ্লেষ্মা, রস, পূঁজ প্রভৃতি যে ক্লেদ স্রাব নির্গত হয়, এই স্রাবকে লিউকোরিয়া বা সাদাস্রাব বলে। এটা একটা স্ত্রী যৌন উপসর্গ।


শ্বেতপ্রদর বা সাদাস্রাব প্রথম নিঃসরণের সময় সাদা থাকে, তাই একে শ্বেতপ্রদর বা সাদাস্রাব; ইংরেজিতে খবঁপড়ৎৎযড়বধ (লিউকোরিয়া) বলে। কিন্তু পরে এটা হরিদ্রাভ, সবুজাভ বা মিশ্রিত রংয়ের হয়। অতিরিক্ত শ্বেত কণিকা থাকে বলে একে সাদা দেখায়। এটা অনুত্তেজক হতে পারে, আবার বিদাহী উত্তেজক হতে পারে।



শ্বেতপ্রদর বা সাদাস্রাব (খবঁপড়ৎৎযড়বধ) এর কারণ সমূহ

১। স্ক্রফুলা বা গণ্ডমালা ধাতু এবং শ্লেষ্মা প্রধান ধাতুকে এর পূর্ববর্তী কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়।


২। গণোরিয়া বা প্রমেহ রোগ, গণোরিয়া জীবাণু দ্বারা সার্ভিক্স, ভ্যাজাইনা আক্রান্ত হয়।



 

৩। ট্রাইকোমোনাস ভ্যাজাইনালিস নামের জীবাণু দ্বারা ভ্যাজাইনা আক্রান্ত হওয়া, জননযন্ত্রে নানা জীবাণু দূষণের জন্য এটা হতে পারে।


৪। গর্ভস্রাব বা প্রসবের পর জরায়ু দূষিত হওয়া।


৫। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব ও উপযুক্ত পরিবেশের অভাব এর প্রধান কারন।


৬। দেহে বা জরায়ুর কোন অসুস্থতা যথা রক্তহীনতা, যক্ষা, ক্রণিক নেফ্রাইটিস, ক্রণিক প্যাসিভ কনজেশসন প্রভৃতি।


৭। ঋতুকালে তলপেটে ঠাণ্ডা লাগানো বা অন্য কোন কারণে জননেন্দ্রিয়ের প্রদাহ।


৮। জরায়ু মুখে বা প্রসব পথে ক্যান্সার। গর্মির ঘা, টিউমার বা অন্য কোনো রোগ হওয়া।


৯। অজীর্ণ, আমাশয়, পুরাতন ম্যালেরিয়া জ্বর, কালাজ্বর, যক্ষা প্রভৃতি পীড়ায় স্বাস্থ্যভঙ্গ হওয়া।


১০। যোনি দ্বারে ক্ষুদ্র কৃমির উপদ্রব।


১১। হস্তমৈথুন, অতিরিক্ত রতিক্রিয়া, পুনঃ পুনঃ গর্ভধারণ বা পুনঃ পুনঃ গর্ভস্রাব।


শ্বেতপ্রদর বা সাদাস্রাব এর লক্ষণাবলী কি কি?

১। জরায়ু থেকে অনিয়মিত ভাবে সাদা স্রাব বা ডিমের শ্বেতাংশের মতো স্রাব বের হতে থাকে।


২। মাঝে মাঝে তার সঙ্গে লালচে স্রাব বা দুই এক ফোঁটা রক্ত বের হয়।


৩। ইনফেকশন থাকলে যোনির চুলকানি হয়।


৪। প্রস্রাব ঘন ঘন হয় এবং প্রস্রাবে জ্বালা থাকে। মূত্রনালীর প্রদাহ সৃষ্টি হয়।


৫। স্রাব সাধারণতঃ ঋতুর পূর্বে বা পরে প্রকাশ পায়।


৬। কোমরে বেদনা হয়। তলপেট ভারী হয়, রোগিনী ক্রমে ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ে।


৭। ক্ষুধামন্দা, কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্ল, হৃদস্পন্দন প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দেয়।


৮। মাথাধরা ও মাথাব্যথা থাকে।


৯। যোনি থেকে নির্গত শ্বেতপ্রদর ঝাঁঝালো বা হাজাকর হয়। যেখানে লাগে সে স্থানটি হেজে যায়।


১০। স্রাব অস্বচ্ছ, কটু, যন্ত্রণাদায়ক হয়। যোনি মধ্যে উষ্ণতা এবং সংকোচন বোধ হয়।


যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

 যৌন রোগ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সমাধান

যৌন রোগ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সমাধান

যৌন রোগ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সমাধান


যৌন রোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা অন্ধকারে যেন আলোর  দিশারী  । যৌন  সমস্যা বর্তমানে একটি জটিল সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে । এ রোগীর হার দিন দিন বেরেই চলেছে । এই সুযোগে দেশের আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে নানা রংবেরংগের পোস্টার সাজিয়ে বিভিন্ন দাওয়া খানা ও চমকপ্রদ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান । যেখানে চিকিৎসার নামে করা হয় বিভিন্নভাবে প্রতারনা । হতাশা গ্রস্থ যুব সমাজ আরো বেশী হতাশা গ্রস্থ হচ্ছে । এক পর্যায় তারা মনে করে এ রোগের মনে হয় আর চিকিৎসার নেই । অতিরিক্ত হস্তমৈথুন, যৌনবাহিত রোগ( সিফিলিস, গনোরিয়া).রক্তে সেক্স-হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ।


এছাড়াও ডায়াবেটিস, দুশ্চিন্তা,টেনশন, অবসাদ, ও অ-পুষ্টি, যৌনরোগ বা এইডস ভীতি ।  সেক্স-এডুকেশের অভাব, বয়সের পার্থক্য, পার্টনারকে অপছন্দ । নারীর ত্রুটিপূর্ণ যৌনাসন, মানসিক ও শারীরিক সম্যসা। ইত্যাদি কারণে এ রোগ বা সমস্যা  হতে পারে । এ সমস্যা যে কোন বয়সেই হতে পারে, সে ক্ষেএে লজ্জা, অবহেলা, আজ কাল, না করে জটিল হওয়ার পূর্বেই দ্রুত চিকিৎসা নেয়া আবশ্যক। সমস্যার সহজ সমাধান হল সময় নিয়ে  হোমিওচিকিতসা গ্রহন করা । হোমিও ঔষধ পাশাপাশি কাউনসিলিং এর সাহায্যে, পুরুষত্বহীনতা বা যৌনরোগের সহজ এবং স্বল্প খরচে কোন রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন প্রাকৃতিক ভাবে শতভাগ আরোগ্য করে। অন্যদিকে মহিলাদেরও যৌন দুরবলতা, যৌনকর্মে ‍অনীহা ইত্যাদি থাকতে পারে এবং হোমিওপ্যাথিতে তারও চমৎকার চিকিৎসা আছে। হোমিও ঔষধের কোনো বিরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। তাই লজ্জা ও জড়তা  ফেলে খোলা মনে ডাঃ এর সাথে আলাপ করুন। এ সমস্যা খুবই সাধারণ এবং এর সফল চিকিৎসাও পাবেন ।



পুরুষত্বহীনতা কি?

ইহা পুরুষের যৌনকার্যে  অক্ষমতাকে বুঝায়।


শ্রেণীবিভাগঃ

সাধারণত পুরুষত্বহীনতাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।

১। ইরেকশন ফেইলিউরঃ পুরুষের লিঙ্গের উথ্বানে ব্যার্থতা।

২।পোনিট্রেশন ফেলিউরঃ লিঙ্গের যৌনিদ্বার ছেদনে ব্যার্থতা বা অক্ষমতা।

৩।প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশনঃ সহবাসে দ্রুত বীর্যপাত তথা স্বায়ীত্বের অভাব।


যৌন রোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু ঔষধের তালিকা নিম্নে আলোচনা করা হল :


Lycopodium clavatum :

লাইকোপোডিয়াম ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের কারণে ধ্বজভঙ্গ হলে এটি খেতে পারেন। লাইকোপোডিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়।  এদের ব্রেন খুব ভালো কিন্তু স্বাস্থ্য খুব খারাপ, এদের প্রস্রাব অথবা পাকস্থলী সংক্রান্ত কোন না কোন সমস্যা থাকবেই । অকাল বার্ধক্য, সকাল বেলা দুর্বলতা ইত্যাদি ইত্যাদি।


Agnus Castus:

সাধারণত গনোরিয়া রোগের পরে যৌন দুর্বলতা দেখা দিলে এটি ভালো কাজ করে। পুরুষাঙ্গ ছোট এবং নরম হয়ে যায়, পায়খানা এবং প্রস্রাবের আগে-পরে আঠালো পদার্থ নির্গত হয়, ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়।


Caladium seguinum:

যারা যৌনমিলনে কোন আনন্দ পান না বা যৌনমিলনের পর বীর্য নির্গত হয় না বা যাদের বীর্য তাড়াতাড়ি নির্গত হয়ে যায় ।বা যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে দুবর্ল হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য কার্যকরী।


Origanum marjorana:

ওরিগ্যানাম ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। তবে এটি নিম্নশক্তিতে খাওয়া উচিত কেননা উচ্চশক্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।


Selenium:

যৌন শক্তির দুর্বলতা, দ্রুত বীর্য নির্গত হওয়া, স্বপ্নদোষ, মাথার চুল পড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় সেলিনিয়াম একটি প্রথম শ্রেণীর ঔষধ। বিশেষত যাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে।



যারা যৌনমিলনে কোন আনন্দ পান না বা যৌনমিলনের পর বীর্য নির্গত হয় না বা যাদের বীর্য তাড়াতাড়ি নির্গত হয়ে যায় ।বা যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে দুবর্ল হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য কার্যকরী।


Caladium seguinum:

ওরিগ্যানাম ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। তবে এটি নিম্নশক্তিতে খাওয়া উচিত কেননা উচ্চশক্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।


Origanum marjorana:

ডায়াবেটিস রোগীদের ধ্বজভঙ্গে এটি ভালো কাজ করে। এটি ক্ষুদ্রাকৃতি হয়ে যাওয়া পুরুষাঙ্গকে পূর্বের আকৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।


Salix nigra: 

মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ প্রভৃতি কারণে সৃষ্ট পুরুষদের যৌনকর্মে দুর্বলতা বা অক্ষমতার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ হলো স্যালিক্স নাইগ্রা। এসব কারণে যাদের ওজন কমে গেছে, এই ঔষধ একই সাথে তাদের ওজনও বাড়িয়ে দিয়ে থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। পাশাপাশি অবিবাহিত যুবক-যুবতী বা যাদের স্বামী-স্ত্রী বিদেশে আছেন অথবা মারা গেছেন । এই ঔষধ তাদের মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনা কমিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সাহায্য করে।


Sabal serrulata:

 সেবাল সেরুলেটা পুরুষদের যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পাশাপাশি হজমশক্তি, ঘুম, শারীরিক শক্তি, ওজন (কম থাকলে) ইত্যাদিও বৃদ্ধি পায়। এটি মেয়েদেরও যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে থাকে ।  ক্ষুদ্রাকৃতির স্তনবিশিষ্ট মেয়েদের স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি করে থাকে। বয়ষ্ক পুরুষদের প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধিজনিত যে-কোন সমস্যা এবং ব্রঙ্কাইটিস নির্মূল করতে পারে।


Staphisagria:

পুরুষদের যৌন দুর্বলতা দূর করার ক্ষেত্রে স্টেফিসেগ্রিয়া একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। বিশেষত অতিরিক্ত যৌনকর্ম করার কারণে বা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে যাদের ধ্বজভঙ্গ হয়ে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য। বিয়ের প্রথম কিছুদিনে মেয়েদের প্রস্রাব সম্পর্কিত অথবা যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত কোন সমস্যা হলে নিশ্চিন্তে স্টেফিসেগ্রিয়া নামক ঔষধটি খেতে পারেন। কারণ স্টেফিসেগ্রিয়া একই সাথে যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত রোগে এবং আঘাতজনিত রোগে সমান কাযর্কর।




Conium:

স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অধিক কিন্তু অক্ষম।সহবাস কালে সোহাগ আলিঙ্গনের সময় লিঙ্গ শিথিল হইয়া পড়ে।


Calcarea Carb:

ক্যালকেরিয়া কার্ব যৌনশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। বিশেষত মোটা, থলথলে স্বাস্থ্যের অধিকারী লোকদের বেলায় এটি ভালো কাজ করে।


Natrum carbonicum:

যে সব নারীদের পুরুষরা আলিঙ্গন করলেই বীযর্পাত হয়ে যায় (সহবাস ছাড়াই) । অর্থাৎ অল্পতেই তাদের তৃপ্তি ঘটে যায় এবং পরে আর সঙ্গমে আগ্রহ থাকে না, তাদের জন্য উৎকৃষ্ট ঔষধ হলো নেট্রাম কার্ব। এই কারণে যদি তাদের সন্তানাদি না হয় (অর্থাৎ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়)।  তবে নেট্রাম কার্বে সেই বন্ধ্যাত্বও সেরে যাবে।


Nux Vomica:

নাক্স ভমিকা ঔষধটি যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ । বিশেষত যারা শীতকাতর, যাদের পেটের সমস্যা বেশী হয়, সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকে ।  শারীরিক পরিশ্রম কম করে, মানসিক পরিশ্রম বেশী করে ইত্যাদি ইত্যাদি।


যৌন রোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিন এবং সুস্থ থাকুন ।  ডাক্তারের পরার্মশ ছাড়া ঔষধ খাবেন না। 


যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১

লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা করাই হোমিওপ্যাথির মূল ভিত্তি

লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা করাই হোমিওপ্যাথির মূল ভিত্তি

লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা করাই হোমিওপ্যাথির মূল ভিত্তি


 



যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান (পান্না)

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্ন)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com





হৃদরোগ থেকে বাঁচতে  ১০ খবার বর্জ ন করুন

হৃদরোগ থেকে বাঁচতে ১০ খবার বর্জ ন করুন

হৃদরোগ থেকে বাঁচতে  ১০ খবার বর্জন করুন

 

যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

 রোটা ভাইরাস ও ডায়রিয়া লক্ষণ

রোটা ভাইরাস ও ডায়রিয়া লক্ষণ

 রোটা ভাইরাস ও ডায়রিয়া লক্ষণ




যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

স্তন টিউমার ও স্তন ক্যান্সারে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

স্তন টিউমার ও স্তন ক্যান্সারে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা



স্তন টিউমার ও স্তন ক্যান্সারে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

মহিলাদের স্তন টিউমার (ব্রেস্ট টিউমার) হওয়া বর্তমানে কমন একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে অনেক নারী এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। কোন কারণে কোষের বিভাজন ও ধ্বংসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ বাধাগ্রস্ত হলে টিউমার তৈরি হয়ে থাকে।

স্তন টিউমার সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমেই যে কথাটা বলতে হয় তা হল বর্তমানে মহিলারা আগের থেকে অনেক সচেতন এবং বাড়ির সবার স্বাস্থ্যরক্ষার পাশাপাশি তারা নিজেদের সমস্যা নিয়ে অনেক বেশি ডাক্তারের কাছে যান ও সচেতনতা মুলক ক্যাম্প গুলোতে অংশ গ্রহণ করেন।

কিন্তু এখনও সমাজে অনেকরকম কুসংস্কার রয়ে গেছে। ফলে ব্রেস্ট বা স্তনে টিউমার হলে মহিলারা প্রথমেই মনে করেন বোধহয় স্তনে ক্যানসার হয়েছে। কোন লাম্প বা ফোলা তৈরি হলেই যে ক্যান্সার এটা ঠিক না।

টিউমারের প্রকারভেদ :-

স্তনে দুই ধরনের টিউমার হয়। অবশ্য শরীরের যেকোনো জায়ঘাতেই এই দুই ধরনের টিউমার হয়। একটা হল বিনাইন টিউমার যা নন ক্যান্সার টিউমার এবং অন্যটা হল ম্যালিগ্যান্ট বা ক্যান্সার টিউমার।

বিনাইন টিউমার যেকোন বয়সেই হতে পারে। অর্থাৎ সাত বছর থেকে সত্তর বছর যেকোনো বয়সেই দেখা যেতে পারে। ম্যালিগ্যান্ট টিউমার বিদেশে সাধরণত চল্লিশ-পয়তাল্লিশ বছর বয়সে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে ত্রিশ বছর বয়সেও খুব অল্প সংখ্যায় দেখা যায়।

বিনাইন টিউমার :

বিনাইন টিউমার সম্বন্ধে বলতে গেলে খুব পরিচিত যে টিউমারটি দেখা যায় তা হল ফাইব্রোঅ্যাডিনোমা। যেটা কিন্তু পনেরো বছর বয়স থেকে আঠারো কি কুড়ি-বাইশের মেয়েদের দেখা যায়। শক্ত চাকার মতো, এক জায়ঘায় ধরলে অন্য জায়গায় পালিয়ে যায়। এই টিউমারটার আসলে গঠনগত ক্রটি দেখা যায় এবং সম্পূর্ণ বিনাইন। এই টিউমার থেকে ক্যানসার হবার সম্ভাবনা একেবারেই থাকে না। আর যেহেতু এই টিউমারগুলো থেকে ক্যানসার হবার সম্ভাবনা নেই, তাই এই টিউমারগুলোকে সত্যি। অপারেশন করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। ওষুধেও এই টিউমারগুলো সারে না। বিদেশে কতগুলো পরীক্ষা করে নেওয়া হয়। এরপর মেয়েটিকে জিঞ্জাসা করা হয় সে কি চায়? আজকালকার দিনে মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করাই বাঞ্ছনীয়। কেউ যদি বলে ডাক্তার আমার অপারেশন করার ইচ্ছা নেই সেক্ষেত্রে কিন্তু গভীর পরীক্ষার মাধ্যমে নজর রাখা সম্ভভ। মজার ব্যাপার হল বহুক্ষেত্রেই দেখা গেছে ম্যামোগ্রামে ধরা পড়া ফাইব্রো অ্যাডিনোমাটি ষাট বা সত্তর বছর বয়সেও ম্যামোগ্রামে দেখা যাচ্ছে। তখনও  একটা ছোট্র মটরশুটির মতো দানা হয়ে রয়েছে। তাহলে ধারণা করা যেতে পারে যে এতদিন অবধি কোনো পরিবর্তন না হওয়া টিউমারটি মেরে ফেলার টিউমার নয়। এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই অবজার্ভেশনে রাখা চলে। তবে রোগীর যদি মনের জোর থাকে তাহলে অবজার্ভেশনে রাখা চলে। কিন্তু বেশিরভাগ সময় মুশকিল হয় পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি। সেক্ষেত্রে দরকার হল নিয়মিত চেক আপ। অর্থাৎ জায়গাটা বাড়ছে কি না, ব্যথা হচ্ছে কি না। যদি দেখা যায় জিনিসটা বেড়েছে বা ব্যথা হয়েছে তাহলে তখন তো অপারেশনের রাস্তা খোলাই রয়েছে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে এসব ক্ষেত্রে ওষুধে সারবে না। ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ বছর পরে নতুন করে কোনো ফাইব্রয়েড অ্যাডিনোমা তৈরি হয় না।

সিস্ট কাকে বলে :

আর এক ধরনের লাম্প হচ্ছে সিস্ট। সিস্ট জিনিসটা হল একটা জলভরা থলি। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে যেরকম লোকের চুল পাকে তেমনি ব্রেস্টে কিংবা কিডনিতে সিস্ট আসবে, কিছু কিছু কোষ মরে যাবে, সেই জায়গাটা ফাঁকা হয়ে যাবে। একটু জল ভরে যাবে জায়গাটা। সেটাকেই সিস্ট বলে। আর এই সিস্টগুলো থেকে কখনোই ক্যানসার হয় না। তবে কিছু কিছু ক্যানসার আছে যারা সিস্ট নিয়ে বয়ে বেড়ায়। একশোটা সিস্টের মধ্যে নিরাসব্বইটাই কিন্তু বিনাইন বা নন ক্যানসারাস দেখা যায়।

বাচ্চাদের দুধ খাওয়াতে গিয়ে অনকে সময় স্তনে দুধ জমে যায়। ঠিকমতো দুধটা না বেরোনোর জন্য রয়ে গেল। সেটাও একটা সিস্ট। পার্থক্য হল একটা সিস্টে দুধ আছে, অন্য সিস্টে জল রয়েছে। কিন্তু দুধটা জমে থাকার দরুন আদৌ কোনো অসুবিধা হয় না। তাহলে সিস্টের মতো চাকা বা সিস্ট নিয়ে যদি কেউ আসে তাহলে এক্ষেত্রেও অপারেশনের দরকার পড়ে না।

আলট্রাসোনোগ্রাফি করে সিস্ট নির্ধারণ হয়ে গেলে ক্লিনিকেই নিডল সিরিঞ্জের সাহায্যে একটু বার করে দিলেই দুধ কিংবা জল যাই হোক সমস্যা মিটে যাবে। কাটাকুটি করার প্রয়োজন নেই। এটা করলেই পুরোপুরি নিরাময়।

স্তন ক্যানসার :

ব্রেস্ট ক্যানসার সম্বন্ধে বলতে গেলে প্রথমেই বলব ‘ব্রেস্ট ক্যানসার’ সেরে যায়। এফ.এন.এ.সি বা ‘কোর বায়োপসি’ করলে ক্যানসার কোনো দিনও ছড়ায় না। ব্রেস্ট ক্যানসার একটা মাল্টি সিস্টেমিক ডিজিজ। শুধু ব্রেস্ট ছাড়া অন্যান্য অঙ্গেরও চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। সেই কারণে ব্রেস্ট ক্যানাসরের চিকিৎসা করাতে একজন সার্জেন ছাড়াও একজন মেডিকেল অষ্কোলজিস্ট আর একজন রেডিওথেরাপিস্টের মিলিত প্রয়াসে সুসম্পন্ন হয় এবং অবশ্যই সাহায্যের জন্য দক্ষ নার্স ও কাউন্সেলরেরও প্রয়োজন। এভাবে একটা টিম তৈরি হয়। যাদের মিলিত প্রচেষ্ট থাকে রোগীকে সমস্ত রকম উদ্বেগ ও চিন্তা থেকে মুক্ত রাখা।



লক্ষণ :

ক/ ব্রেস্ট ক্যানসারের লক্ষণে রোগীরা সাধারণত লাম্প, নিপল ঢুকে যাওয়া, বুতে চাকা বা গাঁট অনুভব করেন। অনক সময়স্তনবৃন্ত থেকে লাল রঙের রস বা রক্ত বের হয়।

খ/ কমবেশি সব মহিলাদের স্তনেই লাম্প থাকে। এর মধ্যে কয়েকটি ক্যানসারাস ও কয়েকটি নন-ক্যানসারাস। এই ব্রেস্ট লাম্পগুলি অনেক সময় আন্ডারআর্ম বা কলার বোনের তলাতেও দেখা যায়। এছাড়া স্তনবৃন্তের আশপাশেও এই ধরনের লাম্প থাকে যেগুলি টিপলে শক্ত লাগে এবং অবস্থান পরিবর্তন করে না। এমন কিছু দেখলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। 

গ/ কোনও রকম র‌্যাশ নেই স্তনে, তবু ইচিং বা চুলকানির মতো অনুভূতি হচ্ছে, এমন কিছু কিন্তু ক্যানসারের লক্ষণ। অনেক সময় এর সঙ্গে নিপ্‌ল থেকে হালকা হালকা রস‌ নিঃসৃত হয়, স্তনের ত্বকেও কিছুটা পরিবর্তন আসে। তাই চুলকানির মতো কিছু হলে নিজে থেকে কোনও ক্রিম বা লোশন লাগাবেন না। আগে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলবেন। 

গ/ স্তনে টিউমার থাকলে তা আশপাশের ব্রেস্ট টিস্যুগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং তার ফলে স্তনে একটা ফোলা ফোলা ভাব দেখা যায়। এরই সঙ্গে স্তনে লাল ভাবও থাকে। স্তনে হাত দিলে বা চাপ দিলে ব্যথাও লাগে।

ঘ/ কাঁধ এবং ঘাড়ের ব্যথাও ব্রেস্ট ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে কারণ এই ক্যানসার স্তন থেকে খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে শরীরের এই অংশগুলিতে। এই সমস্ত জায়গায় ব্যথা হলে সাধারণের পক্ষে জানা সম্ভব নয় তা মাস্‌ল পেইন নাকি ক্যানসারের কারণে ঘটছে। তাই পরীক্ষা করে নেওয়াই ভাল। 

ঙ/ স্তনের আকার এবং সাইজ পরিবর্তনও এই ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। সচরাচর এই বিষয়টি পার্টনারের চোখেই বেশি পড়ে। তেমন কিছু শুনলে বিষয়টি উড়িয়ে দেবেন না। নিজেই আয়নার সামনে স্তনটি পরীক্ষা করুন এবং ক্যানসারের পরীক্ষা করিয়ে নিন।

চ/ স্তনে লাম্প সব সময় বড় আকারের হয় না। ছোট ছোট ফুসকুড়ির মতো লাম্পও দেখা যায় স্তনবৃন্তের আশপাশে। অন্তর্বাস পরে থাকার সময় যদি ঘর্ষণ অনুভব করেন, বিছানায় শোওয়ার সময় যদি ব্যথা লাগে তবে চিকিৎসকের কাছে যেতে দেরি করবেন না। 

জ/ ব্রেস্টফিডিং করছেন না অথচ স্তনবৃন্ত থেকে অল্প অল্প দুধের মতো জলীয় পদার্থ নিঃসরণ হচ্ছে এমনটা দেখলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যাবেন। এটি ব্রেস্ট ক্যানসারের অন্যতম বড় লক্ষণ। অনেক সময় স্তনবৃন্ত থেকে রক্ত পড়তেও দেখা যায়।

ঝ/ স্তনবৃন্ত হল স্তনের অসম্ভব সংবেদনশীল অংশ। যদি দেখেন যে স্তনবৃন্ত স্পর্শ করলেও তেমন একটা অনুভূতি হচ্ছে না বা একেবারেই অনুভূতিহীন হয়ে গিয়েছে তবে তা ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। স্তনবৃন্তের ত্বকের তলায় ছোট ছোট টিউমার তৈরি হলেই এমনটা হয়। 

ঞ/ স্তনবৃন্ত চ্যাপ্টা হয়ে যাওয়া, বেঁকে যাওয়া বা স্তনবৃন্তের শেপ অসমান হয়ে যাওয়া ক্যানসারের লক্ষণ, বিশেষ করে যদি ব্রেস্টফিডিং না চলাকালীন অবস্থাতেও এই বিষয়গুলি চোখে পড়ে। সঙ্গীকে বলুন ভাল করে পর্যবেক্ষণ করতে। সামান্য সন্দেহ হলেই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

ট/ স্তনের উপরের ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া, অনেকটা কমলালেবুর খোসার মতো, ক্যানসারের প্রাথমিক স্টেজের লক্ষণ। দিনের মধ্যে একটা সময় তাই ভালভাবে স্তনটি পর্যবেক্ষণ করা উচিত। যে কোনও লক্ষণ চোখে পড়লেই দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং পরীক্ষা করান।

স্তন টিউমার এর কারণ : 

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ইৎবংঃ ঞঁসড়ঁৎ বা ঈধহপবৎ এর কারণ হিসেবে মায়াজমকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাইকোসিস ও টিউবারকুলোসিস মায়াজম ও সক্রিয় থাকতে পারে। এছাড়া পারিবারিক বা বংশগত ইতিহাসে কারও ক্যান্সার হয়ে থাকলে ওই মায়াজমটি ইৎবংঃ ঈধহপবৎ-এর ঝুঁকিটা আরও বাড়িয়ে দেয়।

ডিজিটাল বিজ্ঞান এখনো স্তনের টিউমার বা ক্যান্সার জাতীয় টিউমারের কারণ খুঁজে বের করতে পারেনি। তবে কিছু নির্দিষ্ট কারণকে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা ইৎবংঃ ঞঁসড়ঁৎ-এর কারণ বলে চিহ্নিত করেছেন। যেমন: 

১। কোন আঘাতজনিত কারণে স্তনের ঞরংংঁব বা কোষ নষ্ট হয়ে গেলে।

২। অনেক বেশি বয়সে প্রথমে গর্ভধারণ। 

৩। বাচ্চাকে যদি স্তনের দুধ পান করানো না হয়। 

৪। যেসব পরিবারে ক্যান্সার বা ব্রেস্ট ক্যান্সারের ইতিহাস পাওয়া যায়। 

৫। ইস্টোজেন ও প্রজেস্টোরেন হরমোনের আনুপাতিক বৈষম্য তেজষ্ক্রিয় আয়নের প্রভাবের কারণে। 

৬। মাসিক হচ্ছে একটি বড় কারণ।

৭। কম বয়সে মাসিক হওয়া এবং বেশি বয়সে বন্ধ হয়। 

৮। এছাড়া রেডিয়েশনের প্রভাবেও টিউমার ও ক্যান্সার হতে পারে।



ক্যান্সারের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার সুফল

হোমিওপ্যাথি গবেষক ও চিকিৎসক ডা. বার্নেট তাঁর ক্লিনিক্যাল গবেষণায় লক্ষ্য করেন যে, একটি বা দুটি হোমিওপ্যাথি ঔষধ ব্যবহারে প্রায়ই টিউমার এবং ক্যান্সার সারানো যায় না। কারণ টিউমার/ক্যান্সারের পেছনে সাধারণত অনেকগুলো কারণ (খরহশ) থাকে । আর একেকটি কারণ দূর করতে একেক ধরনের ঔষধের প্রয়োজন হয়। তিনি পিত্তপাথর থেকে কোলেস্টেরিনাম (ঈযড়ষবংঃবৎরহঁস) নামক একটি ঔষধ আবিষ্কার করেন যা দিয়ে অনেক লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যান্সার তিনি নির্মুল করেছেন। হোমিওপ্যাথিতে ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যর্থতার একটি মুল কারণ হলো রোগীর জীবনীশক্তিহীনতা বা মারাত্মক শারীরিক দুর্বলতা (ষড়ি ারঃধষরঃু) ।

অধিকাংশ রোগী কবিরাজি এবং এলোপ্যাথিক চিকিৎসা করে শরীরের বারোটা বাজিয়ে যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়, তখন আসে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের কাছে। অবাক লাগে যখন দেখা যায়, লোকেরা স্তন টিউমার এবং স্তন ক্যান্সারের মতো সহজ রোগে অপারেশন, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি ইত্যাদি করে ধ্যানাধ্যান মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। অথচ অকল্পনীয় শক্তিশালী হোমিওপ্যাথি ঔষধের কাছে স্তন টিউমার এবং স্তন ক্যান্সার একেবারে সহজ রোগ।

স্তন টিউমার সম্পর্কে হোমিওপ্যাথি গবেষক ও চিকিৎসক ডা. বার্নেট একটি মজার গল্প লিখে গেছেন। এক মহিলার স্তনে ক্যান্সার হলে বার্নেট প্রায় দেড় বৎসর হোমিওপ্যাথি ঔষধ খাইয়ে বিনা অপারেশনে সেটি সারিয়ে দেন। কিছুদিন পর সেই মহিলা তার এক বান্ধবীকে ডা. বার্নেটের কাছে নিয়ে আসেন, যার ডান স্তনে একটি টিউমার হয়েছে। ভদ্র মহিলা ডা. বার্নেটকে জিজ্ঞেস করলেন, “এটি নিরাময় করতে আপনার কত দিন লাগবে?”। বার্নেট বললেন, “দুই বৎসর”। ভদ্র মহিলা বললেন, “তাহলে আমি অপারেশন করাকেই ভালো মনে করি। কেননা তাতে মাত্র পনের দিন লাগে”। তারপর সে অপারেশন করাল এবং অপারেশনের ছয় মাস পরে তার বাম স্তনে আবার টিউমার দেখা দিল। বাম স্তনে টিউমার আবার অপারেশন করে ফেলে দেওয়ার ছয়মাস পরে তার জরায়ুতে ক্যান্সার দেখা দেয়। জরায়ুতে অপারেশনের কিছুদিন পর সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল। এভাবে দুই বছর ঔষধ খাওয়া যার কাছে বিরক্তিকর মনে হয়েছিল, তিন তিনটি অপারেশনের ধাক্কায় দেড় বছরের মধ্যে সে দুনিয়া ছেড়ে বিদায় নিল। 

হায় ! নির্বোধ মানুষেরা সব বিষয়ে কেবল শর্টকার্ট রাস্তা খোঁজে, কিন্তু তারা বুঝতে চায় না যে, শর্টকার্ট রাস্তা প্রায় সবক্ষেত্রেই মানুষের জন্য ধ্বংস ডেকে আনে।

হোমিওপ্যাথিকে বলা হয় পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা বিজ্ঞান (যড়ষরংঃরপ যবধষরহম ংপরবহপব) অথবা মনো-দৈহিক গঠনগত (ঈড়হংঃরঃঁঃরড়হধষ সবফরপরহব) চিকিৎসা বিজ্ঞান। অর্থাৎ এতে কেবল রোগকে টার্গেট করে চিকিৎসা করা হয় না বরং সাথে সাথে রোগীকেও টার্গেট করে চিকিৎসা করা হয়। রোগীর শারীরিক এবং মানসিক গঠনে কি কি ত্রুটি আছে (পড়হমবহরঃধষ ফবভবপঃ), সেগুলোকে একজন হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক খুঁজে বের করে তাকে সংশোধনের চেষ্টা করেন। রোগটা কি জানার পাশাপাশি তিনি রোগীর মন-মানসিকতা কেমন, রোগীর আবেগ-অনুভূতি কেমন, রোগীর পছন্দ-অপছন্দ কেমন, রোগী কি কি জিনিসকে ভয় পায়, কি ধরণের স্বপ্ন দেখে, ঘাম কেমন, ঘুম কেমন, পায়খানা-প্রস্রাব কেমন, কি পেশায় নিয়োজিত আছে, কি কি রোগ সাধারণত তার বেশী বেশী হয়, অতীতে কি কি রোগ হয়েছিল, বংশে কি কি রোগ বেশী দেখা যায়, রোগীর মনের ওপর দিয়ে কি ঝড় বয়ে গেছে ইত্যাদি ইত্যাদি জেনে রোগীর ব্যক্তিত্ব (রহফরারফঁধষরঃু) বুঝার চেষ্টা করেন এবং সেই অনুযায়ী ঔষধ নির্বাচন করেন। এই কারণে হোমিওপ্যাথিক ঔষধে এমন রোগও সেরে যায়, যা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে কল্পনাও করা যায় না। একজন হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক রোগীর শারীরিক কষ্টের চাইতে বেশী গুরুত্ব দেন রোগীর মানসিক অবস্থাকে। কেননা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন যে, অধিকাংশ জটিল রোগের সূচনা হয় মানসিক আঘাত (সবহঃধষ ংযড়পশ) কিংবা মানসিক অস্থিরতা/উৎকন্ঠা/দুঃশ্চিনতা (ধহীরবঃু) থেকে। মোটকথা অধিকাংশ মারাত্মক রোগের প্রথম শুরুটা হয় মনে এবং পরে তা ধীরে ধীরে শরীরে প্রকাশ পায়। এজন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলতেন যে, মনই হলো গিয়ে আসল মানুষটা (সরহফ রং ঃযব সধহ)। তাছাড়া পৃথিবীতে হোমিওপ্যাথি ঔষধই একমাত্র ঔষধ যাকে মানুষের শরীর এবং মনের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আবিষ্কার করা হয়েছে। পক্ষান্তরে দুনিয়ার অন্য সমসত্ম ঔষধই আবিষ্কার করা হয় ইঁদুর-খরগোশ-গিনপিগ ইত্যাদি পশুদের শরীরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। এই কারণে হোমিওপ্যাথি ঔষধ মানুষের শরীর ও মনকে যতটা বুঝতে পারে, অন্য কোন ঔষধের পক্ষেই তা সম্ভব নয়।

টিউমার এবং ক্যান্সার চিকিৎসায় আমাদের সকলেরই উচিত প্রথমে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা অবলম্বন করা। কেননা, কেমোথেরাপি, অপারেশন, রেডিয়েশন ইত্যাদি শতকরা নিরানব্বই ভাগ ক্ষেত্রেই রোগীর মৃত্যুকে দ্রুত ডেকে আনে। হোমিওপ্যাথিতে টিউমার/ক্যান্সার চিকিৎসার আরেকটি বিরাট সুবিধা হলো এতে শতকরা নিরানব্বই ভাগ ক্ষেত্রে ব্যয়বহুল, কষ্টদায়ক এবং ক্ষতিকারক কোন প্যাথলজিক্যাল টেস্টের দরকার হয় না। (যেমন-বায়োপসি, মেমোগ্রাফী, এক্স-রে, সিটি ষ্ক্যান (ঈঞ ংপধহ), এমআরআই (গজও) ইত্যাদি)। কেননা হোমিওপ্যাথিতে ঔষধ দেওয়া হয় রোগীর শারীরিক গঠন এবং মানসিক বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। যারা ইতিমধ্যে কেমোথেরাপি, অপারেশন, রেডিয়েশান ইত্যাদি অপচিকিৎসা নিয়ে মৃত্যুর দুয়ারে পৌঁছে গেছেন, তাদেরও কাল বিলম্ব না করে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত। ইহার মাধ্যমে তারা ঐসব কুচিকিৎসার কুফল থেকে মুক্ত হয়ে আবারও রোগমুক্ত সুস্থ-সুন্দর জীবনধারায় ফিরে আসতে সক্ষম হবেন। যেহেতু আমাদের দেশে মেধাসম্পন্ন হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের যথেষ্ট অভাব রয়েছে, তারপরও হোমিওপ্যাথি আরোও আয়ত্ব করে হোমিওপ্যাথি ঔষধ প্রেসক্রাইব করা এবং হোমিওপ্যাথদের জন্য সরকারি সুযোগসুবিধা বৃদ্ধি করা। কেননা হোমিওপ্যাথি ঔষধ একই সাথে রোগের জন্যও ভালো এবং রোগীর চিকিৎসা ব্যয়ও কমিয়ে দেয় অনেক। এমনকি যে-সব ক্ষেত্রে ক্যান্সার সারা শরীরে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার কারণে রোগীকে বাচাঁনো কোন মতেই সম্ভব নয়, সেক্ষেত্রে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত রোগীর যাবতীয় অমানুষিক কষ্টসমূহ নিয়ন্ত্রণে রাখার চিকিৎসাতেও (ঢ়ধষষরধঃরাব ঃৎবধঃসবহঃ) হোমিওপ্যাথি ঔষধ অন্য যে-কোন ঔষধের চাইতে সেরা প্রমাণিত হয়ে থাকে। তাই যে-সব সেবামুলক সংস্থা মানুষকে ক্যান্সারের চিকিৎসা সেবা প্রদানরত আছে, তারা ইচ্ছে করলে ক্যানসারের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে একই পয়সায় আরো অনেক বেশী মানুষকে প্রকৃত চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে পারেন। (সূত্র : ঈ.ই গ ঊরষষরধং ্ ঙঃযবৎং)

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা : 

===============

রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয়। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় আধুনিক ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে কোনো ধরনের অস্ত্রোপচার ও কষ্টকর থেরাপি ছাড়াই সুস্থতা লাভ করা সম্ভব এবং রোগীর লক্ষণগুলো সংগ্রহ করে সঠিক ওষুধ নির্বাচন করতে পারলে তাহলে ব্রেস্ট টিউমার ও জরায়ু টিউমার ব্যাধিতে হোমিওপ্যাথিতে সফল চিকিৎসা দেয়া সম্ভব।

আপনার যে কোন রোগব্যাধির যে কোন সমস্যায় সর্বদা লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা প্রদানে পাশে আছি। রোগ লক্ষণ যত কঠিন হোক না কেন, রোগলক্ষণ প্রাথমিক বা দ্বিতীয় অবস্থায় সংশ্লিষ্ট রোগলক্ষণ বিষয়ে একজন বিশেষ অভিজ্ঞ রেজির্ষ্টাড হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে আপনার ব্যাধি আরোগ্য হবেই।

মানব দেহ মনে সৃষ্ট, জন্মগত, বংশগত অথবা এই জীবনে অর্জিত পুরুষ, মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধ সহ যে কোন বয়সীদের যেকোন ব্যক্তিগত বা গোপনীয় রোগব্যাধি, যেকোন পুরাতন রোগব্যাধি বা ক্রনিক ডিজিজ ও ক্যান্সার সহ যেকোন প্রকার রোগব্যাধির লক্ষণভিত্তিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করুন।

নিরাপদ ও স্থায়ী চিকিৎসার জন্য আপনার যে কোন রোগব্যাধির যে কোন সমস্যায় সর্বদা পাশে আছি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্বীকৃত বিজ্ঞানসম্মত প্রাকৃতিক ও নিরাপদ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গভ. রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের নিকট হতে গ্রহণ করুন এবং সুস্থ থাকুন।

যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com