homeopathic (আরোগ্য হোমিও হল)

সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২১

নাকের পলিপাসে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

নাকের পলিপাসে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

 


নাকের পলিপাসে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

মানবদেহের রক্তের ইসনোফিল ও সিরাম আইজিই এর পরিমাণ বেড়ে গেলেই ঠান্ডা, সর্দি, হাঁচি লেগে থাকে এবং নাকের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় যা শ্লৈষ্মিক ঝিল্লিগুলোতে অ্যালার্জি প্রদাহ সৃষ্টি করে। এক ধরনের মাংসপিন্ড ধিরে ধিরে বাড়তে থাকে । প্রথমে এটি আকারে ছোটো থাকে এবং মটরশুটির মতো দেখা যায় । পরবর্তীতে এটি আকারে বড় হয়ে নাকের ছিদ্র বন্ধ করে দেয় । কখনো কখনো নাক থেকে রক্তক্ষরণও হতে পারে। 



নাকের পলিপাসের প্রকারভেদ :

নাকের পলিপাস ২ ধরনের হয়ে থাকে । যথা : -   

ক/ ইথময়ডাল পলিপাস যা এলার্জির কারণে দুই নাকে দেখা দেয়। 

খ/ এন্ট্রোকোয়ানাল পলিপাস যা ইনফেকশনের কারণে এক নাকে হতে দেখা যায়।

নাকে পলিপাসের কারণ :-

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অ্যালার্জি জনিত এবং দীর্ঘমেয়াদী নাক ও সাইনাসের প্রদাহ বা ক্ষত পলিপাসের প্রধান কারন । কারো কারো ঋতু পরিবর্তনের কারনে অথবা অ্যালার্জির কারনে পলিপাস হয় ।  অনেক সময় বংশগত কারনে পলিপাস হতে পারে।

নাকের পলিপাসের লক্ষণ :-

নাকের পলিপাসের বিভিন্ন লক্ষন রয়েছে । যেমনঃ একনাগাড়ে হাঁচি , নাক দিয়ে পানি পড়া , নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম , নাক এবং তালু চুলকানো , নাকে ব্যাথা , মাথা ব্যাথা , জ্বর জ্বর অনুভূতি, খাবারে অরুচি, ঘুমের সময় নাক ডাকা, শরীর শুকিয়ে যাওয়া ও কখনো নাকের মাংস বাইরে বের হয়ে যাওয়া ইত্যাদি থাকতে পারে।


হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :-

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা খুব জনপ্রিয়। হোমিওপ্যাথি ঔষধ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি হয়, যা বহু গবেষণার পর রোগের লক্ষণ গুলি বিবেচনা করে রোগীকে দেওয়া হয়।  প্রতিকারে প্রত্যেকের লক্ষণ আলাদা ভাবে বিবেচনা করার পরই কোন সার্বিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। হোমিওপ্যাথিতে সমস্ত লক্ষণ গুলির প্রতিকার করতে দক্ষ এবং এ অবস্থার অবসান ঘটিয়ে পুনরায় ফিরে আসতে দেয় না। সর্বাধুনিক ও উন্নত এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা রয়েছে, যা সমস্যা সমাধানের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এবং একবার আরোগ্য হলে তা আর দেখা দেয় না। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগীর মানসিক লক্ষণ, ধাতুগত লক্ষণ ও রোগ লক্ষণ বিবেচনা করে ঔষধ প্রয়োগ করা হয়। ফলে অল্প কিছু দিনের সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় আপনিও চিরদিনের জন্য রোগ সমূহ থেকে মুক্তি পারেন। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই সরকার স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোর্সে পাসকৃত ও অভিজ্ঞ এবং গভ. রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু কখনও নিজে থেকে কোন ঔষধ সেবন করা উচিত নয়। আপনি যদি সমস্যায় ভোগেন, তাহলে দ্রুত হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন যে আপনার রোগ লক্ষণ অনুযায়ী আপনার সঠিক চিকিৎসা করবে। রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয়।

রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করলে কোন প্রকার অস্ত্রপচার ছাড়াই নাকের পলিপাস ও সাইনোসাইটিস থেকে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব। 

সর্তকতা :-

সব ধরনের অ্যালার্জিটিক খাদ্য পরিহার করতে হবে। ঠান্ডা লাগা ও ধূলাবালি থেকে সাবধান থাকতে হবে। প্রথম অবস্থায় পলিপাসের চিকিৎসা না নিলে পরবর্তী সময়ে সাইনাসের ইনফেকশন হয়ে সাইনোসাইটিস ও এ্যাজমা হতে পারে।

সচেতনতা : -

নাকের পলিপাস চিকিৎসায় অবৈজ্ঞানিক ও অপচিকিৎসা পরিহার করুন। অনেকে দ্রুত আরোগ্য করার নামে বা চটকদারী বিজ্ঞাপনে ফাঁদে পড়ে এসিড জাতীয় বা ক্ষতিকারক পদার্থ বা ক্ষতিকর তরল দ্রব্য বা ক্ষতিকর চূর্ণ পাউটার দ্বারা নাকের পলিপাস পুড়ানো বা নাকের পলিপাসে লাগানো বা অপসারণ করে। এ ধরনের চিকিৎসা বিজ্ঞানসম্মত নয় এবং এ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে এধরনের অপচিকিৎসা নেই। অপচিকিৎসক’রা নিজেদের স্বার্থে ও অতিরিক্ত আর্থিকভাবে লাভে বিভিন্ন প্যাথির নাম অবৈধভাবে নাম ব্যবহার করে প্রচার করে অপচিকিৎসা চালিয়ে আসছে। তা সম্পূরভাবে অপচিকিৎসা। যা কাম্য নয়। এধরনের অপচিকিৎসায় নাকের ঝিল্রির বিরাট ক্ষতি করে। নাকের হাড়ে ও ঝিল্লিতে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়। ক্ষতিকারক ঘা হয়। নাকের ভিতরে পঁচন ধরে ও মাংস পঁচনের মত গন্ধ বের হয়। যা রোগীকে অপচিকিৎসার কুফল রোগীকে সাড়াজীবন বহন করতে হতে পারে। ফলে অপচিকিৎসায় রোগী মানসিক ও শারীরিক এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

নাকের পলিপাস নিরাময়ে কথিত চিকিৎসকগণ এসিড জাতীয় কিছু লাগিয়ে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। যা সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞান সম্মত। ভাবতেও কষ্ট হয় এরকম অমানসিক কাজ চিকিৎসকগণ দ্বারা সম্ভব? গত কয়েক বছরে এরকম অসংখ্য রোগী যাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সার্জারি ছাড়া সম্ভব নয়। অথচ নিয়মতান্ত্রিক ভাবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবনে নাকের পলিপাস রোগী স্বাভাবিক ভাবে নিরাময় সম্ভব। আসুন এরকম অপচিকিৎসা থেকে বিরত রাখি এবং অন্যকেও সচেতন করি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্বীকৃত বিজ্ঞান সম্মত প্রাকৃতিক ও নিরাপদ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গভ. রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের নিকট হতে চিকিৎসা নিন এবং সুস্থ থাকুন।

যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান (পান্না)

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্ন)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

 ওমিক্রন করোনায় আক্রান্ত  চিকিৎসকের বাস্তব অভিজ্ঞতা

ওমিক্রন করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসকের বাস্তব অভিজ্ঞতা


 ওমিক্রন করোনায় আক্রান্ত  চিকিৎসকের বাস্তব অভিজ্ঞতা

ইসরায়েলে প্রথম ‘ওমিক্রন’  করোনা শনাক্ত হয় গত শনিবার সকালের দিকে। এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হন দেশটির চিকিৎসক এলাড মাওর। ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি ডজন ডজন রোগী দেখেছেন, মিশেছেন শত শত মানুষের সঙ্গে। এলাড মাওর প্রাথমিকভাবে আশঙ্কা করছেন, হয়তো এই ভ্যারিয়েন্ট ইতোমধ্যে শত শত মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন এ চিকিৎসক।

পজিটিভ হওয়ার ৩ দিন আগে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মাওর তেল আবিবে তার হাসপাতালের বিশালসংখ্যক কর্মীর সঙ্গে এক বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। পরে ১০ জন রোগীর ধমনীতে স্টেন্ট প্রবেশ করান তিনি। সেখান থেকে তেল আবিবের উত্তরাঞ্চলে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের এক সম্মেলনে চলে যান তিনি।

একই গাড়িতে ৭০ বছর বয়সী এক সহকর্মীর সঙ্গে ৯০ মিনিটের পথ পেরিয়ে সম্মেলনে যান তিনি। সেখানে পৌঁছে জনাকীর্ণ ক্যান্টিনে আরও পাঁচজনের সাথে দুপুরের খাবার খান।

৪৫ বছর বয়সী মাওর কয়েক ডজন দর্শকের সাথে একক সংগীতা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ওই অনুষ্ঠানে তার ১৩ বছর বয়সী সন্তানও পিয়ানো বাজায়। শেষে গত শুক্রবার রাতে ডা. মাওর তার শ্বশুর বাড়িতে, স্ত্রী এবং পরিবারের অন্য ৯ সদস্যকে সাথে নিয়ে সামুদ্রিক খাবার খান।

কিন্তু এত সব মানুষের মাঝে, যাদের বেশিরভাগই ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনের ৩টি করে ডোজ পেয়েছিলেন, শুধুমাত্র তার ৭০ বছর বয়সী সহকর্মীর ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। সেটিও হয়েছে তেল আবিবের সম্মেলন থেকে ফেরার ৫দিন পর।


ভাইরাসটি পরীক্ষায় ধরা পড়তে বেশ কয়েকদিন লেগে, সুতরাং আক্রান্তের সেই সংখ্যা এখন বাড়তে পারে। এছাড়া তার সংস্পর্শে আসা সবার করোনা এখনো পরীক্ষা করা হয়নি। তেল আবিবে ডা. মাওর শেবা মেডিক্যাল সেন্টারে ইতোমধ্যে কমপক্ষে ৫০ জনের পিসিআর পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের ৩বার করে পরীক্ষা করা হয়।

এসব পরীক্ষার প্রাথমিক ফলাফল ইসরায়েলের অন্যতম নেতৃস্থানীয় করোনা ল্যাবরেটরি শেবা মেডিক্যাল সেন্টারের সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞদের সতর্কভাবে আশান্বিত করেছে যে, যাদের টিকার ৩টি করে ডোজ দেওয়া হয়েছে তাদের জন্য ওমিক্রন তেমন ঝুঁকিপূর্ণ নাও হতে পারে। যেমনটি প্রথম দিকে আশঙ্কা করা হয়েছিল।

ডা. মাওর গত সপ্তাহে অনেক মানুষের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন যারা সবাই স্বাস্থ্যসেবা কর্মী অথবা তাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্য। তিনি যেসব মানুষের সাথে বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন তাদের বেশিরভাগই টিকার পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করেছে বা সম্প্রতি তারা বুস্টার ডোজও নিয়েছেন।

শেবা মেডিক্যালের পরিচালক অধ্যাপক গিলি রিজেভ-ইয়োচে বলেছেন, বিচ্ছিন্ন ঘটনায় খুব বেশি পূর্বানুমান না করাটাই গুরুত্বপূর্ণ। ওই হাসপাতালে করোনাভাইরাসের গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধ্যাপক গিলি।

তিনি বলেন, ‘এসব ঘটনা কিছু ক্ষেত্রে আমাদের বলছে যে, আপনি যদি টিকা নিয়ে থাকেন, তাহলে ওমিক্রন আপনার জন্য ততটা সংক্রামক হবে না। আমি মনে করি, এটাই বড় বিষয়।’

নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন ডা. মাওর। টিকার পূর্ণ ডোজ নেওয়া এই চিকিৎসককে করোনা কিছুটা কাবু করে ফেলেছে। তিনি অধূমপায়ী এবং তার দীর্ঘমেয়াদী কোনো রোগ নেই। তারপরও   জ্বর, গলা ব্যথা ও পেশীর ব্যথা নিয়ে বিছানায় কাটিয়েছেন তিনি। বুধবার দুপুরের পর থেকে তুলনামূলক ভালো বোধ করতে শুরু করেছেন।

টেলিফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডা. মাওর বলেন, ‘সবকিছু সত্ত্বেও, ভ্যাকসিন এবং বুস্টার ডোজ নেওয়া সত্ত্বেও, আমি ৪৮ ঘণ্টা শয্যাশায়ী ছিলাম। আমার যদি ভ্যাকসিন না নেওয়া থাকতো, তাহলে শেষ পর্যন্ত হয়তো আমাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হতো।’

অধ্যাপক গিলি রিজেভ-ইয়োচে বলেন, ডা. মাওরের এই ঘটনা দেখিয়েছে যে, দেশে আসা প্রত্যেককে প্রতি ৫দিন সকালের দিকে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। লোকজনকে সতর্ক হতে হবে। দৈনিক-ভিত্তিতে এই পরীক্ষা করাতে হবে।


যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২১

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায়  রক্ত জমাটের কারণ

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় রক্ত জমাটের কারণ

 


অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায়  রক্ত জমাটের কারণ জানালেন বিজ্ঞানীরা -

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা নেওয়ার পর ইউরোপে যে কয়েকজন মানুষের রক্ত জমাট বেঁধেছিল, তার মূল কারণ উদ্ঘাটন করেছে বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানীর গবেষণায় জানা গেছে প্রশ্নের উত্তর। চিকিৎসা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়েছে সেই গবেষণা প্রতিবেদন।




অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মূল উপাদান হলো সার্স-কোভ-২ বা করোনা ভাইরাসের সমধর্মী কোনো ভাইরাস (অ্যাডেনোভাইরাস), যেটির অভ্যন্তরে করোনাভাইরাসের জেনেটিক বৈশিষ্টগুলো বিশেষ প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করানো হয়েছে। অর্থাৎ এটি এক প্রকার রূপান্তরিত অ্যাডেনোভাইরাস যা মানুষের প্রতিরোধী শক্তিকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত করে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে যে অ্যাডেনোভাইরাসটি বেছে নিয়েছে, সেটি একটি সাধারণ ঠাণ্ডাজ্বর সৃষ্টিকারী একপ্রকার ভাইরাস। মানুষএই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।

এতদিন বিজ্ঞানীদের একাংশের সন্দেহ ছিল, মূল সমস্যা রয়েছে অ্যাডেনোভারাসের মধ্যে। সম্ভবত কিছু মানুষের দেহের অভ্যন্তরীণ পরিবেশের সঙ্গে এই ভাইরাসটি খাপ খাইয়ে নিতে পারছে না এবং তারই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এই রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া। কিন্তু ল্যানসেটের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা অ্যাডেনোভাইরাসের মধ্যে কোনো সমস্যা দেখতে পাননি।

সেক্ষেত্রে কী কারণে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে - প্রশ্নের উত্তরে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, মানবদেহে এই টিকার ডোজ প্রবেশ করার পরপরই রক্তে প্ল্যাটিলেট-৪ নামের এক প্রকার অনুচক্রিকার নিঃসরণ ঘটতে শুরু করে।

টিকার অ্যাডেনোভারাসের মধ্যে রয়েছে ব্যাপকভাবে নেতিবাচক প্রতিরোধী উোদান, অন্যদিকে প্ল্যাটিলেট-৪ ব্যাপকভাবে ইতিবাচক প্রতিরোধী উপাদানে সমৃদ্ধ। এই নেতিবাচক ও ইতিবাচক প্রতিরোধী উপাদানের সম্মিলনের ফলেই মানবদেহে তৈরি হয় করোনা প্রতিরোধী শক্তি বা প্রোটিন।

প্রায় সব মানুষের দেহে এই সম্মিলন নির্বিঘ্নে হলেও বিরল কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, টিকার ডোজ মানবদেহে প্রবেশের পর নিঃসৃত প্ল্যাটিলেট-৪ যখন অ্যাডেনো ভাইরাসের সামনে আসে, তখন তাকে ভুলক্রমে প্রতিপক্ষ ভাইরাস ভেবে আক্রমণ করে অ্যাডেনোভাইরাস। তখন এই দুইয়ের সম্মিলনের পরিবর্তে শুরু হয় যুদ্ধ এবং তার ফলেই রক্ত জমাট বাঁধার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।

চলতি বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চের দিকে ইউরোপে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ডোজ নেওয়ার পর রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার সমস্যায় আক্রান্ত হন দুই শতাধিক ব্যক্তি, তাদের মধ্যে মারা যায় ১০০ জনের বেশি। শুধু যুক্তরাজ্যেই এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৭৩ জন।

কিন্তু একই সঙ্গে এটিও সত্য, বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ নিয়েছেন অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা। তারা জটিল কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হননি। কেবল যুক্তরাজ্যের টিকাদান কর্মসূচিতেই ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ৫ কোটি অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকার ডোজ।

গবেষক দলের অন্যতম সদস্য ও কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অ্যালেন পার্কার বিবিসিকে বলেন, ‘টিকা নেওয়ার পর কারও দেহে এই সমস্যা দেখা দেবে তা আগে থেকে বলার কোনো উপায় নেই এবং বিশ্বজুড়ে যতসংখ্যক অ্যাস্ট্রাজেনেকার ডোজ ব্যবহৃত হয়েছে; সেই তুলনায় রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা খুবই, খুব কম।’

‘এ কারণে এই সমস্যাকে গুরুত্ব না দিয়ে বরং টিকাটি যে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে করোনা থেকে সুরক্ষা দিয়েছে এবং দিচ্ছে; সেই বিষয়ে আমাদের মনোযোগ দিতে হবে।

তথ্য সুত্র  বিবিসি

যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান (পান্না)

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্ন)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

বন্ধ্যা রোগীরা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিন

বন্ধ্যা রোগীরা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিন

 


বন্ধ্যা রোগীরা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিন

কোন স্ত্রী লোকের সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতার অভাবকে বন্ধাত্ব বলে এবং ২ বৎসর বা তার থেকে বেশি সময় চেষ্টা করার পড়েও যদি গর্ভধারণে ব্যার্থ হলে তাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বন্ধ্যত্ব বলে।

৮% দম্পতি বন্ধ্যত্বের শিকার হয়ে থাকেন। বন্ধ্যত্ব স্বামী বা স্ত্রী উভয়ের  হতে পারে।



বন্ধ্যত্ব সাধারণত দু ধরনের যথা :

প্রাথমিক বন্ধ্যত্ব :  বিবাহের পর সকল সুবিধা থাকা সত্ত্বেও যদি কখনই গর্ভধারণ না হওয়াকে প্রাথমিক বন্ধ্যত্ব বলে।

 দ্বিতীয় পর্যায়ের বন্ধ্যত্ব ( কোন মহিলা প্রথম বার গর্ভধারণের পর দ্বিতীয় বার আর যদি গর্ভধারণ করতে না পারে তবে তাকে পরবর্তী বা দ্বিতীয় পর্যায়ের বন্ধ্যত্ব বলে। কারণ: বন্ধ্যত্ব স্বামী বা স্ত্রী যে কোন একজনের কারণে হতে পারে। কিন্তু আমাদের সমাজে অন্যায় ভাবে শুধুমাত্র স্ত্রীদেরকে দোষারোপ করা হয়ে থাকে এমন কি কোন কোন ক্ষেত্রে স্বামীকে দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিয়েতে উৎসাহিত করা হয়।


১)স্বামীর বন্ধ্যত্ব :-


ক/ স্বামীর বীর্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শুক্রাণু না থাকা।

খ/ /মৃত শুক্রাণু বা শুক্রাণু বিহীন বীর্যের কারণে একটি অণ্ডকোষলুপ্ত প্রায় অণ্ডকোষ, জন্মগত ভাবে অণ্ডকোষ না থাকলে।

গ/ অণ্ডকোষের প্রদাহ, মাম্পস বা গলা ফুলা রোগের কারণে।

ঘ/ বিকৃত শুক্রাণু থাকলে।

ঙ/ যৌন ক্রিয়ায বা শারীরিক ক্ষমতা অক্ষম হলে।

চ/ শুক্রাণু বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় তাপ ও পরিবেশ যদি অণ্ডকোষে না থাকে।

ছ/ যৌনাঙ্গে যক্ষ্মা, গনোরিয়া প্রভৃতি রোগে আক্রান্ত থাকলে।

২) স্ত্রীর বন্ধ্যত্ব : -

ক/  স্ত্রী জরায়ুর আকার ছোট,  ডিম্বাশয় যদি সঠিক ভাবে কাজ না করে। মাসিকের গণ্ডগোল থাকলে।

খ/ বস্তি কোটরের প্রদাহ হলে। 

গ/ বংশগত জরায়ুতে টিউমার হলে।

ঘ/ যক্ষ্মা গনোরিয়া ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হলে।

উল্লেখিত কারণ ছাড়াও স্ত্রীর ডিম্ব সৃস্টি হয় তখন যৌনমিলন না হলে গর্ভধারণ হয় না।

রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা :-

বন্ধ্যত্বের কারণ নির্ণয়ে প্রথমে স্বামীর বীর্য পরীক্ষা করতে হবে। যদি কোন অসুবিধা ধরা না পড়ে তখন স্ত্রীকে পরীক্ষা করতে হবে।

পরামর্শ :-

যদি কোন দম্পতির একবারেই সন্তান না হয় অথবা সন্তান হওয়ার পর দ্বিতীয় সন্তান কাঙ্ক্ষিত সময়ে না হয় তবে তাদেরকে নিন্মলিখিত পরামর্শ দিতে হবে।

স্বামী -স্ত্রীকে আশ্বস্ত করে দুশ্চিন্তা কমাতে হবে (সব ঠিক থাকার পরেও শতকরা ২০ ভাগ দম্পতির ১ বছরে বাচ্চা নাও হতে পারে, শতকরা ১০ ভাগ দম্পতির দু বছরে বাচ্চা নাও হতে পারে)।

স্ত্রীর ডিম্বক্ষরনের সময় অর্থাৎ মাসিক শুরুর ১১ তম দিন থেকে ১৮ তম দিন পর্যন্ত প্রতিদিন সম্ভব না হলে ১ দিন পরে পরে স্বামীর সাথে সহবাসের পরামর্শ দিতে হবে।

স্বামীর - স্ত্রীর কোন জটিল রোগ বা যৌন রোগ থাকলে তার চিকিৎ নিতে হবে। স্বামী বা স্ত্রীর ধূমপান, মদ্যপান, যে কোন নেশা গ্রহণ, বর্জন করতে হবে। অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, ওজন বেশি থাকলে কমাতে হবে।

হোমিওপ্যথিক সবিধান মতে , রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয়,এই জন্য অভিজ্ঞ হোমিওচিকিৎসক রোগীর সব লক্ষণ মিলিয়ে বন্ধ্যত্বের রোগীর চিকিৎসা দিতে পারলে তাহলে আল্লাহর রহমতে হোমিওপ্যাতিতে বন্ধ্যত্বের চিকিৎসায় সমাধান সম্ভব।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা: -

প্রাথমিক ভাবে লক্ষণের উপর যেই সব ঔষধ আসতে পারে, অরাম- মিউর, ন্যাট,বোরাক্স, হেলোনিয়াস, ,নেট্রাম মিউর, কোনিয়াম, থুজা, সালফার, নাক্স,পালছেটিলা, সিপিয়া, লাইকোপোডিয়াম, সিলিনিয়াম সহ আরও অনেক ঔষধ লক্ষণের উপর আসতে পারে, তাই অভিজ্ঞ চিকিৎসক পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করলে রোগ আরো জটিল আকারে পৌঁছতে পারে।

যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com