ওমিক্রন করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসকের বাস্তব অভিজ্ঞতা
ইসরায়েলে প্রথম ‘ওমিক্রন’ করোনা শনাক্ত হয় গত শনিবার সকালের দিকে। এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হন দেশটির চিকিৎসক এলাড মাওর। ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি ডজন ডজন রোগী দেখেছেন, মিশেছেন শত শত মানুষের সঙ্গে। এলাড মাওর প্রাথমিকভাবে আশঙ্কা করছেন, হয়তো এই ভ্যারিয়েন্ট ইতোমধ্যে শত শত মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন এ চিকিৎসক।
পজিটিভ হওয়ার ৩ দিন আগে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মাওর তেল আবিবে তার হাসপাতালের বিশালসংখ্যক কর্মীর সঙ্গে এক বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। পরে ১০ জন রোগীর ধমনীতে স্টেন্ট প্রবেশ করান তিনি। সেখান থেকে তেল আবিবের উত্তরাঞ্চলে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের এক সম্মেলনে চলে যান তিনি।
একই গাড়িতে ৭০ বছর বয়সী এক সহকর্মীর সঙ্গে ৯০ মিনিটের পথ পেরিয়ে সম্মেলনে যান তিনি। সেখানে পৌঁছে জনাকীর্ণ ক্যান্টিনে আরও পাঁচজনের সাথে দুপুরের খাবার খান।
৪৫ বছর বয়সী মাওর কয়েক ডজন দর্শকের সাথে একক সংগীতা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ওই অনুষ্ঠানে তার ১৩ বছর বয়সী সন্তানও পিয়ানো বাজায়। শেষে গত শুক্রবার রাতে ডা. মাওর তার শ্বশুর বাড়িতে, স্ত্রী এবং পরিবারের অন্য ৯ সদস্যকে সাথে নিয়ে সামুদ্রিক খাবার খান।
কিন্তু এত সব মানুষের মাঝে, যাদের বেশিরভাগই ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনের ৩টি করে ডোজ পেয়েছিলেন, শুধুমাত্র তার ৭০ বছর বয়সী সহকর্মীর ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। সেটিও হয়েছে তেল আবিবের সম্মেলন থেকে ফেরার ৫দিন পর।
ভাইরাসটি পরীক্ষায় ধরা পড়তে বেশ কয়েকদিন লেগে, সুতরাং আক্রান্তের সেই সংখ্যা এখন বাড়তে পারে। এছাড়া তার সংস্পর্শে আসা সবার করোনা এখনো পরীক্ষা করা হয়নি। তেল আবিবে ডা. মাওর শেবা মেডিক্যাল সেন্টারে ইতোমধ্যে কমপক্ষে ৫০ জনের পিসিআর পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের ৩বার করে পরীক্ষা করা হয়।
এসব পরীক্ষার প্রাথমিক ফলাফল ইসরায়েলের অন্যতম নেতৃস্থানীয় করোনা ল্যাবরেটরি শেবা মেডিক্যাল সেন্টারের সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞদের সতর্কভাবে আশান্বিত করেছে যে, যাদের টিকার ৩টি করে ডোজ দেওয়া হয়েছে তাদের জন্য ওমিক্রন তেমন ঝুঁকিপূর্ণ নাও হতে পারে। যেমনটি প্রথম দিকে আশঙ্কা করা হয়েছিল।
ডা. মাওর গত সপ্তাহে অনেক মানুষের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন যারা সবাই স্বাস্থ্যসেবা কর্মী অথবা তাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্য। তিনি যেসব মানুষের সাথে বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন তাদের বেশিরভাগই টিকার পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করেছে বা সম্প্রতি তারা বুস্টার ডোজও নিয়েছেন।
শেবা মেডিক্যালের পরিচালক অধ্যাপক গিলি রিজেভ-ইয়োচে বলেছেন, বিচ্ছিন্ন ঘটনায় খুব বেশি পূর্বানুমান না করাটাই গুরুত্বপূর্ণ। ওই হাসপাতালে করোনাভাইরাসের গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধ্যাপক গিলি।
তিনি বলেন, ‘এসব ঘটনা কিছু ক্ষেত্রে আমাদের বলছে যে, আপনি যদি টিকা নিয়ে থাকেন, তাহলে ওমিক্রন আপনার জন্য ততটা সংক্রামক হবে না। আমি মনে করি, এটাই বড় বিষয়।’
নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন ডা. মাওর। টিকার পূর্ণ ডোজ নেওয়া এই চিকিৎসককে করোনা কিছুটা কাবু করে ফেলেছে। তিনি অধূমপায়ী এবং তার দীর্ঘমেয়াদী কোনো রোগ নেই। তারপরও জ্বর, গলা ব্যথা ও পেশীর ব্যথা নিয়ে বিছানায় কাটিয়েছেন তিনি। বুধবার দুপুরের পর থেকে তুলনামূলক ভালো বোধ করতে শুরু করেছেন।
টেলিফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডা. মাওর বলেন, ‘সবকিছু সত্ত্বেও, ভ্যাকসিন এবং বুস্টার ডোজ নেওয়া সত্ত্বেও, আমি ৪৮ ঘণ্টা শয্যাশায়ী ছিলাম। আমার যদি ভ্যাকসিন না নেওয়া থাকতো, তাহলে শেষ পর্যন্ত হয়তো আমাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হতো।’
অধ্যাপক গিলি রিজেভ-ইয়োচে বলেন, ডা. মাওরের এই ঘটনা দেখিয়েছে যে, দেশে আসা প্রত্যেককে প্রতি ৫দিন সকালের দিকে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। লোকজনকে সতর্ক হতে হবে। দৈনিক-ভিত্তিতে এই পরীক্ষা করাতে হবে।
যোগাযোগ -
আরোগ্য হোমিও হল
প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান
ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)
বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)
ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)
ডিএইচ এমএস (ঢাকা)
রেজি নং- ১৬৯৪২
মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।
মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪
arh091083@gmail.com
hafizurrahman2061980@gmail.com
0 coment rios: