homeopathic (আরোগ্য হোমিও হল): রাজধানী

সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu
রাজধানী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রাজধানী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১

 যৌন রোগের উৎপত্তি ও হোমিওপ্যাথিক ঔষধ

যৌন রোগের উৎপত্তি ও হোমিওপ্যাথিক ঔষধ

 যৌন রোগের উৎপত্তি ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা


দিন যত যাচ্ছে পৃথিবী জুড়েই যৌন রোগের প্রকোপ বৃদ্দি পাচ্ছে। এই যৌন রোগ থেকে ক্যান্সার, অন্ধত, জন্মগত ক্রুটি, এমনিকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পাবে। তাই যৌন রোগ ও এর কারণে সৃষ্ট অন্যান্য রোগ গুলোকে থেকে বাঁচতে হলে শুরুতে এর চিকিৎসা করা জরুরি।

সাধারণত যৌনঙ্গ থেকে তরল নি:সৃত হওয়া মুত্রে জ্বালাভাব, শারীরিক সম্পর্কে সময় ব্যাথা বা রক্তপাত, তলপেটে ব্যাথা, মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত এবং সংক্রমণে সব উপসর্গেও কোনোটি দেখলে অবশ্যই যৌন রোগের পরীক্ষা করানো উচিত।


এছাড়া এ বিষয়ে দ্রুত  চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। করণ বেশির ভাগ যৌন রোগই উপযুক্ত চিকিৎসায় সম্পূর্ণ সেওে ওঠে। কিন্ত চিকিৎসায় অবহেলা করণে তা ভবিস্যতে রোগের শঙ্কা বাড়িয়ে দিতে পারে।

আজ যৌন রোগ নিয়ে বিশষে কলাম লিখেছেন, ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), আরোগ্য হোমিও হল, বিএসএস, ডিএইচএমএস (ঢাকা) সুস্থ শরীর নিয়ে অনন্দময় হয়ে উঠবে, অর্থাৎ আমাদের লাইফ স্টাইল কী হবে? লাইফ স্টাইল হল অভ্যাস, দৃষ্টিভঙ্গি, পছন্দ, সামাজিক এবং রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনা, সংস্কৃতি , সর্বোপরি অর্থনৈতিক অবস্থা, এই সব মিলিয়ে হল লাইফ স্টাইল।

এই আনন্দময় জীবনযাবন থেকেই সৃষ্টি, বর্তমানে যৌন সমম্যা, যা একটি মারাত্নক সম্যাসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যত দিন যাচ্ছে এ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এই সমস্ত রোগীদেও চিকিৎসা নিয়ে আছে অনেক জটিলতা। দেশের আনাচে-গড়ে উছেছে বিভিন্ন চমকপ্রদ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান।

অনেকেই এসব রং বেরঙ্গেও প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসা নিয়ে হচ্ছেন প্রতারিত। আমার কাছে অনেক রোগীরা আসে তাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে অনেকে এ রোগ নিয়ে খুবই উদ্বেগে আছেন। অনেকে এ সম্যাসা নিয়ে বিচলিত। কোথায় গেলে ভালো চিকিৎসা পাবে তা কেই বুঝতে পারছে না।


আসলে যৌন সম্যাসা কোন সমস্যা নয়। একটু বুঝে চললে আর জীবন টাকে নিয়মের ভেতওে আনলে এই রোগ কোন রোগই নয়। তবে জীবন চলার পথে কিছু সমস্যা থাকে, আমারা নিজেরাই কিছু সমস্যা শরীরে সৃষ্টি করি। যার ফলে আমরা হতাশায় ভুগী আর ভাবি এ রোগের কোন চিকিৎসা নেই।

কিন্ত এখনো যদি আমারা জীনটাকে সুন্দও করে সাজাতে পারি আর সমাস্যার কারণে ভালো কোনো অর্গানন অনুসরণকারী হোমিও চিকিৎসকের সরণাপন্ন হই, তাহলে আমারা একটি সুন্দও সুখী নীড় তৈরি করতে পারবো। আজকাল রাস্তাঘাটে চলাফেরা করলে দেখি বাহারি রঙ্গের বাহারি সব চিকিৎসা পোস্টা বা সাইনবোর্ড দেখতে পাই। 

তারা সাতদিনের ভেতর সব ঠিক করে দেবে বলে চ্যালেঞ্জ, গ্যারান্টি, দিয়ে প্রচারপত্র বিলি করে। নিরীহ সাধারণ মানুষকে আকর্ষণ করার লক্ষে পোস্টাররেড় বিফলে মুল্যফেরত, জীবনের শেষ চিকিৎসা এসব কথা উল্লেখ করতেও দ্বিধাবোধ করেনা। আসলে মুল কথা হলো আমাদের দেশের বেশির ভাগ পুরুষ এই সমস্যায় ভুগছেন।

মেয়েদের ভেথরেরও এ সম্যাসা আছে তবে খুব কম। আমার চিকিৎসা করার সময় দেখি মেয়েদের সংখ্যা অনেক কম এ হিসেবে “সেক্স” সমস্যাটা কিছুই না। তবে বিষেষ কিছু কারণে সম্যাসা হয়ে থকে। মুলত যে সব করণে সমস্যা হয়ে থাকে সেগুলো হচ্ছে মানসিক সুশ্চিন্তা, মানসিক হতাসা, মানসিক ভীতি। 




* অতিরিক্ত হস্তমৈথুন।

* সময়মতো বিয়ে না করা।

* যৌনশক্তি বাড়ানোর নামে ‘ওয়ান টাইম মেডিসিন’ সেবন করা।

*  অতিরিক্ত ধূমপান করা।

৬. স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বহুদিন সম্পর্ক ছিন্ন থাকা।

* দীর্ঘদিন যাবৎ কঠিন আমাশয় ও গ্যাস্ট্রিক রোগে ভুগা।

*  সঙ্গদোষ অর্থাৎ খারাপ বন্ধুদের কারণে খারাপ কাজে সম্পৃক্ত হওয়া, পর্নো মুভি দেখা ও এ জাতীয় চিন্তা করা।

* অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হওয়া।

*  ডায়াবেটিস হওয়ার কারণে।

* মোটা হওয়ার কারনে।

* পরিবারে উদাসীনতা, যারা কায়িক পরিশ্রম করে মানে অলস যারা।

* প্রেম করে বিয়ের আগে অবাধ মেলামেশা করা।

* কোনো অনুশাসন না মেনে চলা। মূলত এসব কর্মকাÐে আরও সমস্যা আছে। তবে এই সমস্যাগুলো আমরা চিকিৎসা করার সময় রোগীদের মাঝে দেখি। যতই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হোক না কেন, হোমিওপ্যাথি লক্ষণ দিয়ে চিকিৎসা দিতে পারলে এই রোগী আরোগ্য হওয়া সম্ভব।

হামিওপ্যাথি ঔষধে সমাধান : রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয়। যৌন সমস্যার রোগীদেরকে একজন অভিজ্ঞ অর্গানন অনুসরণকারী  চিকিৎসক নির্বাচন করতে হবে যিনি সঠিক লক্ষণ অথবা ‘মাইজমেটিক’ অনুসরণ করে চিকিৎসাসেবা দেন, তাহলে  হোমিওপ্যাথিতে আরোগ্য হওয়া সম্ভব।

কিন্তু আফসোসের বিষয় অনেক হোমিও চিকিৎসক ও হোমিও কলেজগুলোর শিক্ষক রোগীদেরকে পেটেন্ট, টনিক, মিশ্র প্যাথি দিয়ে চিকিৎসা দেয় আর  নিজেদেরকে ‘ক্ল্যাসিকাল হোমিওপ্যাথ’ বলে থাকেন। এসব ডাক্তারদেরকে ডা. স্যামুয়েল হ্যানিমান বলে থাকেন শঙ্কর জাতের হোমিওপ্যাথ। তাই নিজেদেরকে যদি হ্যানিমেনের উত্তরসূরী দাবি করে থাকি তাহলে সঠিক লক্ষণ দিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে।

অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা যে সব মেডিসিন ব্যবহার করে থাকে, এসিডফস, এগনাস কাস্ট, অসগোন্ধা, ক্যালাডিয়াম স্যাংক, ডামিয়ানা, জিনসিং, নুপারলোটিয়াম, নাক্সবোম, লাইকোফোডিয়াম, সিলিনিয়ামসহ অসংখ্য হোমিও মেডিসিন লক্ষণের ওপর আসতে পারে।

যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১

পা ফাটার সমস্যা দূর করুণ

পা ফাটার সমস্যা দূর করুণ

পা ফাটার সমস্যা দূর করুণ


শীতের আগমন মানে ত্বকের জন্য দুঃসংবাদ। কারণ এসময় আবহাওয়ার প্রভাবে আমাদের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। মুখের যত্নে র প্রতি আমরা সবাই কম-বেশি মনোযোগী হলেও খেয়াল থাকে না পায়ের বেলায়। আপনাকে সারাদিন বহন করে নিয়ে চলে যে পা জোড়া, তার প্রতি যতœশীল তো হতেই হবে। 

শীত এলে পা ফাটার সমস্যা প্রায় সবারই হয়ে ‍থাকে। কোমল পা-ও হয়ে পড়ে খসখসে। পা ফাটার কারণে দেখতে তো অসুন্দর লাগেই, এটি অস্বস্তি ও কখনো কখনো যন্ত্রণারও কারণ হতে পারে। পা যেহেতু ধুলোবালির কাছাকাছি বেশি থাকে তাই পা পরিষ্কার রাখাও বেশি জরুরি। আর নয়তো পা ফাটার সমস্যা দেখা দিতে সময় নেবে না। 

শীতের সময়ে পা ফাটার সমস্যায় যদি আপনিও ভুগে থাকে তবে আজই সেদিকে নজর দিন। প্রতিদিনের ছোট ছোট কিছু কাজই আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্ত রাখবে। নিয়ম মেনে যতœ নিতে পারলেই এই শীতেও আপনার পা থাকবে পরিচ্ছন্ন ও কোমল। সেজন্য খুব বেশি সময়ও লাগবে না। মিনিট দুয়েকের কিছু কাজই যথেষ্ট। 



চলুন জেনে নেওয়া যাক-

কোমল হবে পা

প্রতি সন্ধ্যায় বাড়িতে ফেরার পর একটি কাজ করতে হবে। বিশ্রাম নেওয়ার সময় হালকা গরম পানিতে শ্যাম্পু গুলিয়ে পা দু’খানা ভিজিয়ে রাখতে হবে মিনিট বিশেক। এই সময়ে আপনাকে আলাদা কোনো যতœ করতে হবে না। হয়তো টিভি দেখছেন বা গল্পের বই পড়ছেন, একটি বোলে শ্যাম্পু মেশানো পানি নিয়ে তাতে পা ভিজিয়ে রাখলেই হবে। এতে আলাদা করে সময় নষ্ট হবে না। এরপর পা তুলে ঝামাপাথর দিয়ে রুক্ষ অংশ ঘষে পরিষ্কার করে নিন। এরপর ধুয়ে ক্রিম মেখে মোজা পরে নিন। ঘুমের আগে পায়ে ময়েশ্চারাইজার মাখতে ভুলবেন না।


মৃত কোষ পরিষ্কার

পায়ের মৃত কোষ প্রতিদিন পরিষ্কার না করলে সমস্যা। কারণ এগুলো জমতে থাকলে একটা সময় শক্ত খোলসের মতো হয়ে যাবে। তখন তা বিদায় করা মুুশকিল হয়ে যাবে। সেজন্য ব্যবহার করতে পারেন স্ক্রাব। চালের গুঁড়া, মধু, লেবুর রস, দুধের সর দিয়ে ঘরোয়া স্ক্রাব তৈরি করে সেটি পায়ে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এরপর শুকিয়ে গেলে ঘষে ঘষে তুলে নিন। এরপর ধুয়ে ক্রিম লাগিয়ে নিন।


অ্যালোভেরা জেল ও অলিভ অয়েল ব্যবহার

প্রতিবার পা ধোওয়ার পর অ্যালোভেরা জেল ও অলিভ অয়েলের একটি মিশ্রণ তৈরি করে পুরো পায়ে ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে। এতে পা ফাটার ভয় কমবে। সেইসঙ্গে পা হবে কোমল।


ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার

পা ভালো রাখতে সাহায্যকারী আরেকটি উপাদান হলো ভিটামিন ই ক্যাপসুল। সেজন্য কয়েকটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ফুটো করে তেলটুকু ফুটো করে নিন। এরপর সেই তেল পেট্রোলিয়াম জেলির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ে মেখে মোজা পরে নিন। এতে পা তো ফাটবেই না, সেইসঙ্গে থাকবে নরমও।


বাইরে বের হওয়ার আগে

পা ফাটার সমস্যা খুব বেশি হলে বাইরে বের হওয়ার আগে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন প্রতিবার বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই মোজা ও পা ঢাকা জুতা পরে বের হতে হবে। এতে পা ফাটার ভয় অনেকটা কমবে। 


গোসলের পর পায়ের যত্ন

গোসলের পর পায়ের যতেœর দিকেও মন দিতে হবে। প্রতিদিন গোসলের পর পায়ে অবশ্যই ময়েশ্চরাইজার লাগিয়ে নেবেন। আবার বাইরে বের হওয়ার সময় পা ঢাকা জুতা পরার আগে ভালোভাবে ক্রিম মেখে মোজা পরে নিতে হবে। এতে ভালো থাকবে পা।

যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২১

 যৌন রোগ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সমাধান

যৌন রোগ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সমাধান

যৌন রোগ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সমাধান


যৌন রোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা অন্ধকারে যেন আলোর  দিশারী  । যৌন  সমস্যা বর্তমানে একটি জটিল সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে । এ রোগীর হার দিন দিন বেরেই চলেছে । এই সুযোগে দেশের আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে নানা রংবেরংগের পোস্টার সাজিয়ে বিভিন্ন দাওয়া খানা ও চমকপ্রদ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান । যেখানে চিকিৎসার নামে করা হয় বিভিন্নভাবে প্রতারনা । হতাশা গ্রস্থ যুব সমাজ আরো বেশী হতাশা গ্রস্থ হচ্ছে । এক পর্যায় তারা মনে করে এ রোগের মনে হয় আর চিকিৎসার নেই । অতিরিক্ত হস্তমৈথুন, যৌনবাহিত রোগ( সিফিলিস, গনোরিয়া).রক্তে সেক্স-হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ।


এছাড়াও ডায়াবেটিস, দুশ্চিন্তা,টেনশন, অবসাদ, ও অ-পুষ্টি, যৌনরোগ বা এইডস ভীতি ।  সেক্স-এডুকেশের অভাব, বয়সের পার্থক্য, পার্টনারকে অপছন্দ । নারীর ত্রুটিপূর্ণ যৌনাসন, মানসিক ও শারীরিক সম্যসা। ইত্যাদি কারণে এ রোগ বা সমস্যা  হতে পারে । এ সমস্যা যে কোন বয়সেই হতে পারে, সে ক্ষেএে লজ্জা, অবহেলা, আজ কাল, না করে জটিল হওয়ার পূর্বেই দ্রুত চিকিৎসা নেয়া আবশ্যক। সমস্যার সহজ সমাধান হল সময় নিয়ে  হোমিওচিকিতসা গ্রহন করা । হোমিও ঔষধ পাশাপাশি কাউনসিলিং এর সাহায্যে, পুরুষত্বহীনতা বা যৌনরোগের সহজ এবং স্বল্প খরচে কোন রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন প্রাকৃতিক ভাবে শতভাগ আরোগ্য করে। অন্যদিকে মহিলাদেরও যৌন দুরবলতা, যৌনকর্মে ‍অনীহা ইত্যাদি থাকতে পারে এবং হোমিওপ্যাথিতে তারও চমৎকার চিকিৎসা আছে। হোমিও ঔষধের কোনো বিরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। তাই লজ্জা ও জড়তা  ফেলে খোলা মনে ডাঃ এর সাথে আলাপ করুন। এ সমস্যা খুবই সাধারণ এবং এর সফল চিকিৎসাও পাবেন ।



পুরুষত্বহীনতা কি?

ইহা পুরুষের যৌনকার্যে  অক্ষমতাকে বুঝায়।


শ্রেণীবিভাগঃ

সাধারণত পুরুষত্বহীনতাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।

১। ইরেকশন ফেইলিউরঃ পুরুষের লিঙ্গের উথ্বানে ব্যার্থতা।

২।পোনিট্রেশন ফেলিউরঃ লিঙ্গের যৌনিদ্বার ছেদনে ব্যার্থতা বা অক্ষমতা।

৩।প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশনঃ সহবাসে দ্রুত বীর্যপাত তথা স্বায়ীত্বের অভাব।


যৌন রোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু ঔষধের তালিকা নিম্নে আলোচনা করা হল :


Lycopodium clavatum :

লাইকোপোডিয়াম ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের কারণে ধ্বজভঙ্গ হলে এটি খেতে পারেন। লাইকোপোডিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়।  এদের ব্রেন খুব ভালো কিন্তু স্বাস্থ্য খুব খারাপ, এদের প্রস্রাব অথবা পাকস্থলী সংক্রান্ত কোন না কোন সমস্যা থাকবেই । অকাল বার্ধক্য, সকাল বেলা দুর্বলতা ইত্যাদি ইত্যাদি।


Agnus Castus:

সাধারণত গনোরিয়া রোগের পরে যৌন দুর্বলতা দেখা দিলে এটি ভালো কাজ করে। পুরুষাঙ্গ ছোট এবং নরম হয়ে যায়, পায়খানা এবং প্রস্রাবের আগে-পরে আঠালো পদার্থ নির্গত হয়, ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়।


Caladium seguinum:

যারা যৌনমিলনে কোন আনন্দ পান না বা যৌনমিলনের পর বীর্য নির্গত হয় না বা যাদের বীর্য তাড়াতাড়ি নির্গত হয়ে যায় ।বা যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে দুবর্ল হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য কার্যকরী।


Origanum marjorana:

ওরিগ্যানাম ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। তবে এটি নিম্নশক্তিতে খাওয়া উচিত কেননা উচ্চশক্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।


Selenium:

যৌন শক্তির দুর্বলতা, দ্রুত বীর্য নির্গত হওয়া, স্বপ্নদোষ, মাথার চুল পড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় সেলিনিয়াম একটি প্রথম শ্রেণীর ঔষধ। বিশেষত যাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে।



যারা যৌনমিলনে কোন আনন্দ পান না বা যৌনমিলনের পর বীর্য নির্গত হয় না বা যাদের বীর্য তাড়াতাড়ি নির্গত হয়ে যায় ।বা যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে দুবর্ল হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য কার্যকরী।


Caladium seguinum:

ওরিগ্যানাম ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। তবে এটি নিম্নশক্তিতে খাওয়া উচিত কেননা উচ্চশক্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।


Origanum marjorana:

ডায়াবেটিস রোগীদের ধ্বজভঙ্গে এটি ভালো কাজ করে। এটি ক্ষুদ্রাকৃতি হয়ে যাওয়া পুরুষাঙ্গকে পূর্বের আকৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।


Salix nigra: 

মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ প্রভৃতি কারণে সৃষ্ট পুরুষদের যৌনকর্মে দুর্বলতা বা অক্ষমতার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ হলো স্যালিক্স নাইগ্রা। এসব কারণে যাদের ওজন কমে গেছে, এই ঔষধ একই সাথে তাদের ওজনও বাড়িয়ে দিয়ে থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। পাশাপাশি অবিবাহিত যুবক-যুবতী বা যাদের স্বামী-স্ত্রী বিদেশে আছেন অথবা মারা গেছেন । এই ঔষধ তাদের মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনা কমিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সাহায্য করে।


Sabal serrulata:

 সেবাল সেরুলেটা পুরুষদের যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পাশাপাশি হজমশক্তি, ঘুম, শারীরিক শক্তি, ওজন (কম থাকলে) ইত্যাদিও বৃদ্ধি পায়। এটি মেয়েদেরও যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে থাকে ।  ক্ষুদ্রাকৃতির স্তনবিশিষ্ট মেয়েদের স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি করে থাকে। বয়ষ্ক পুরুষদের প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধিজনিত যে-কোন সমস্যা এবং ব্রঙ্কাইটিস নির্মূল করতে পারে।


Staphisagria:

পুরুষদের যৌন দুর্বলতা দূর করার ক্ষেত্রে স্টেফিসেগ্রিয়া একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। বিশেষত অতিরিক্ত যৌনকর্ম করার কারণে বা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে যাদের ধ্বজভঙ্গ হয়ে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য। বিয়ের প্রথম কিছুদিনে মেয়েদের প্রস্রাব সম্পর্কিত অথবা যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত কোন সমস্যা হলে নিশ্চিন্তে স্টেফিসেগ্রিয়া নামক ঔষধটি খেতে পারেন। কারণ স্টেফিসেগ্রিয়া একই সাথে যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত রোগে এবং আঘাতজনিত রোগে সমান কাযর্কর।




Conium:

স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অধিক কিন্তু অক্ষম।সহবাস কালে সোহাগ আলিঙ্গনের সময় লিঙ্গ শিথিল হইয়া পড়ে।


Calcarea Carb:

ক্যালকেরিয়া কার্ব যৌনশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। বিশেষত মোটা, থলথলে স্বাস্থ্যের অধিকারী লোকদের বেলায় এটি ভালো কাজ করে।


Natrum carbonicum:

যে সব নারীদের পুরুষরা আলিঙ্গন করলেই বীযর্পাত হয়ে যায় (সহবাস ছাড়াই) । অর্থাৎ অল্পতেই তাদের তৃপ্তি ঘটে যায় এবং পরে আর সঙ্গমে আগ্রহ থাকে না, তাদের জন্য উৎকৃষ্ট ঔষধ হলো নেট্রাম কার্ব। এই কারণে যদি তাদের সন্তানাদি না হয় (অর্থাৎ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়)।  তবে নেট্রাম কার্বে সেই বন্ধ্যাত্বও সেরে যাবে।


Nux Vomica:

নাক্স ভমিকা ঔষধটি যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ । বিশেষত যারা শীতকাতর, যাদের পেটের সমস্যা বেশী হয়, সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকে ।  শারীরিক পরিশ্রম কম করে, মানসিক পরিশ্রম বেশী করে ইত্যাদি ইত্যাদি।


যৌন রোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিন এবং সুস্থ থাকুন ।  ডাক্তারের পরার্মশ ছাড়া ঔষধ খাবেন না। 


যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২১

 যৌন রোগে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

যৌন রোগে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

 


যৌন রোগে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা


যৌন সমস্যা বা যৌন অক্ষমতা বলতে এমন সমস্যাকে বোঝায় যা যৌন প্রতিক্রিয়া চক্রের যে কোন ধাপে ঘটবার কারণে পরিপূর্ণ যৌন তৃপ্তি থেকে স্ত্রীকে বঞ্চিত রাখে। যৌন প্রতিক্রিয়া চক্রের ৪টি ধাপ রয়েছে। যেমান- উত্তেজনা, প্লেট, প্রচণ্ড উত্তেজনা (অর্গাজম) এবং রেজোল্যুশন। বিভিন্ন গবেষণার তথ্যমতে ৪৩ শতাংশ নারী ও ৩১ শতাংশ পুরুষ কোন না কোন মাত্রার যৌন অক্ষমতায় বর্তমানে ভুগছেন। এই বিষয়টি এমন একটি বিষয় যা নিয়ে আলোচনা করতে অনেকেই লজ্জা বোধ করেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্যা চিকিৎসায় সমাধান হয়। তাই যারা এমন সমস্যায় ভোগছেন তাদের উচিত খোলামেলাভাবে বিষয়টি নিয়ে সঙ্গিকে নিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করা।

যৌন সমস্যা বর্তমানে বিশ্বেজুড়ে একটি জটিল সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এ রোগীর হার দিন দিন বেরেই চলেছে। এই সুযোগে দেশের আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে নানা রং-বেরংগের পোস্টার সাজিয়ে বিভিন্ন দাওয়া খানা ও চমকপ্রদ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। যেখানে চিকিৎসার নামে করা হয় প্রতারনা। হতাশা গ্রস্থ যুব সমাজ আরো বেশী হতাশা গ্রস্থ হচ্ছে। এক পর্যায় তারা মনে করে এ রোগের মনে হয় আর চিকিৎসার নেই । অতিরিক্ত হস্তমৈথুন, যৌনবাহিত রোগ (সিফিলিস, গনোরিয়া), রক্তে সেক্স-হরমোনের ভার সাম্যহীনতা।এছাড়াও রয়েছে ডায়াবেটিস, দুশ্চিন্তা, টেনশন, অবসাদ, ও অপুষ্টি, যৌনরোগ বা এইডস ভীতি। সেক্স-এডুকেশের অভাব, বয়সের পার্থক্য, পার্টনারকে অপছন্দ ইত্যাদি। নারীর ত্রুটিপূর্ণ যৌনাসন, মানসিক ও শারীরিক সমস্যা ইত্যাদি কারণে এ রোগ বা সমস্যা হতে পারে। এ সমস্যা যে কোন বয়সেই হতে পারে, সে ক্ষেএে লজ্জা, অবহেলা না করে জটিল হওয়ার পূর্বেই দ্রুত চিকিৎসা নেয়া আবশ্যক।
শারীরিক কারণ : অনেক ধরণের শারীরিক কারণে যৌন সমস্যা তৈরি হতে পারে। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, রক্তনালী সংক্রান্ত রোগ, স্নায়ু রোগ, হরমোন ভার সাম্যহীনতা, দুরারোগ্য ব্যাধি যেমন কিডনি বা লিভারের রোগ এবং অতিরিক্ত মদ্যপান, নিয়মিত মাদক সেবন ও ঔষধের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার ইত্যাদি। এছাড়াও, কিছু অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ড্রাগসহ কয়েকটি নির্দিষ্ট ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যৌন ইচ্ছা এবং ক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে।
মানসিক কারণ : কর্মস্থলে চাপ ও অস্থিরতা, যৌন সক্ষমতা নিয়ে অতিমাত্রায় উদ্বিগ্ন বা দুশ্চিন্তায় থাকা, সম্পর্ক নিয়ে জটিলতা, ডিপ্রেশন, অপরাধবোধ এবং অতীতের কোন ঘটনা বা সেক্সুয়াল ট্রমার প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি মানসিক কারণে যৌন সমস্যায় ভুগতে পারেন যে কোনো পুরুষ।
যৌন সমস্যায় নারী-পুরুষ উভয়ই ভুগতে পারেন। প্রাপ্তবয়স্ক যে কারো যেকোন বয়সে যৌন সমস্যা হতে পারে। পুরুষদের সাধারণত যেসব যৌন সমস্যাটি বেশি হয়ে থাকে সেগুলো হলো অনিয়ন্ত্রিত বীর্যপাত, লিঙ্গ উত্থিত না হওয়া এবং যৌন ইচ্ছা না জাগা (আইএসডি)ইত্যাদি ।
বিভিন্ন ধরনের যৌন ব্যাধি :-

সব সময় যে অবাধ সঙ্গমের ফলেই এই ধরনের রোগ হয় তা নয়, কোনও একজন আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে বহুবার শারীরিক সম্পর্কের ফলেও এই রোগ হতে পারে। কিছু যৌন রোগের নাম ও লক্ষণ নিন্মে আলোচনা করা হলো।
১/ ক্ল্যামিডিয়া : যোনি এবং পুরুষাঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক ক্ষরণ এই রোগের প্রধান লক্ষণ। গড়ে ৫০ শতাংশ পুরুষ ও ৭০ শতাংশ মহিলাদের মধ্যে এই রোগ দেখা যায়। দ্রুত চিকিৎসা করলে সেরে ওঠা সম্ভব। ক্ল্যামিডিয়া হলে খুব সহজেই অন্যান্য যৌনরোগ বাসা বাধতে বাঁধে শরীরে।
২/ গনোরিয়া : সচরাচর ক্ল্যামিডিয়া এবং গনোরিয়া একই সঙ্গে হয়। যোনি বা পুরুষাঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক ক্ষরণ, মূত্রত্যাগ করার সময় যন্ত্রণা ইত্যাদি সাধরণত এই রোগের লক্ষণ। চিকিৎসা না করলে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ।
৩/ যৌনাঙ্গে হার্পিস : ৮০ শতাংশ মানুষ যাঁদের যৌনাঙ্গে হার্পিস রয়েছে তাঁরা জানেন না যে তাঁদের শরীর আসলে একটি বিশেষ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত। অজান্তেই তাঁরা সঙ্গী বা সঙ্গিনীর শরীরে সংক্রামিত করেন এই ভাইরাস। যৌনাঙ্গে ছোট ছোট ফোস্কার মতো র‌্যাশ এই রোগের লক্ষণ। ফোস্কা পরার বেশ কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে চুলকানির অনুভূতি হয় যৌনাঙ্গে। একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর বার বার এই র‌্যাশগুলি বের হতে থাকে।
৪/ সিফিলিস : প্রাচীনকাল থেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে মানুষ। ঠিক সময়ে ধরা পড়লে সাম্প্রতিক কালে সহজেই সারানো যায় এই রোগ। কিন্তু রোগ বেড়ে গেলে তা সাঙ্ঘাতিক যন্ত্রণাদায়ক হয়। যৌনাঙ্গ, পায়ু এবং মুখে আলসার হয়, এমনকী চোখ এবং মস্তিষ্কও আক্রান্ত হয়। যৌন রোগ গুলির মধ্যে অন্যতম মারণ রোগ। তবে প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগের লক্ষণ শরীরে চট করে ধরা পড়ে না।
৫/ যৌনাঙ্গে আঁচিল বা ওয়ার্ট : যৌনাঙ্গ এবং পায়ুর আশেপাশে আঁচিলের মতো র‌্যাশ এক ধরনের যৌন রোগ। একত্রে একসঙ্গে অনেক গুলি আঁচিল দেখা যায়। হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস, যা সার্ভিক্যাল ক্যানসারের কারণ এবং যৌন সংসর্গে এক শরীর থেকে অন্য শরীরে ছড়ায়, তাই এই রোগের জন্ম দেয়। অনেক সময় এই আঁচিল গুলি ফোস্কার মতো হয় আবার অনেক সময় এগুলি আলসারেও পরিণত হতে পারে।
৬/ হেপাটাইটিস বি : অনেকেই হয়তো জানেন না, এ রোগটিও যৌন সংসর্গের ফলে ছড়ায়। একই ভাবে ছড়াতে পারে হেপাটাইটিস এ এবং হেপাটাইটিস সি তবে তার সংখ্যা খুবই কম। লিভার সংক্রান্ত জটিলতা, মূত্রের রং পরিবর্তন, গা বমি ভাব ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ হতে পারে।
৭/ এইচআইভি : এইচআইভি ভাইরাস মরণব্যাধি নয় কিন্তু এই রোগের মূল লক্ষণ শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে পড়ে তাই এই ভাইরাস শরীরে থাকলে অন্য যে কোনও কঠিন রোগ হলে তা মারণ আকার ধারণ করে।
৮/ যৌনকেশে উকুন : মাথার চুলের মতো যৌনাঙ্গের কেশেও উকুন বাসা বাঁধতে পারে এবং শারীরিক মিলনের সময়ে তা অন্যের শরীরে সংক্রামিত হয়। যৌনাঙ্গের আশপাশে চুলকানি হলে তা এই কারণে হতে পারে।
৯/ ট্রাইকোমোনিয়াসিস : যৌনাঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক ক্ষরণ, যৌনক্রিয়ার সময় যৌনাঙ্গে যন্ত্রণা এবং মূত্রত্যাগের সময় যন্ত্রণা এই রোগের লক্ষণ যদিও সঠিক চিকিৎসায় দ্রুত সেরে ওঠা সম্ভব।
১০/ ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস : যোনি থেকে নিঃসরণে দুর্গন্ধ এই রোগের লক্ষণ। অন্যান্য রোগের তুলনায় এই রোগ খুব সহজেই সেরে যায়।



বিভিন্ন ধরনের যৌন সমস্যা :-

যৌন সমস্যা কথাটার অর্থ ব্যাপক । যৌন মিলনে সমস্যা, যৌনরোগ, গর্ভধারণে সমস্যা ইত্যাদি সব কিছুই যৌন সমস্যার মধ্যে ফেলা যায়। এই পোস্টে পুরুষদের যৌন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হল যেগুলো সুস্থ যৌনসঙ্গম ও যৌন তৃপ্তির পথে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে।
১/ শীঘ্রপতন : পুরুষদের যৌন সমস্যার সম্মন্ধে কথা বলতে গেলে প্রথমেই যেটা মনে আসে তা হল শীঘ্রপতন। পৃথিবীর প্রায় এক তৃতীয়াংশ পুরুষরা জীবনে কোন না কোন সময়ে যৌন সমস্যায় পড়ে থাকে।তবে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে শীঘ্রপতনের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
২/ বিলম্বিত বীর্যস্খলন : শীঘ্রপতনের বিপরীত একটি যৌন সমস্যা হল বিলম্বিত বীর্যস্খলন। এক্ষেত্রে বীর্যস্খলন হতে অত্যধিক বিলম্ব হয় যা দুজন সঙ্গীর পক্ষেই অসুবিধাজনক। সঙ্গিনীর প্রতি আকর্ষনের অভাব, ধর্মীয় বা অন্য কারণে যৌনসঙ্গমে অপরাগ, স্নায়ুতে আঘাত, কিছু কিছু ঔষধের (medicine) পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার ফলে এই সমস্যা হতে পারে। সঠিক কারণ চিহ্নিত করতে পারলে বিলম্বিত বীর্যস্খলন নামক এই যৌন সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
৩/ রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন : যৌন সমস্যাজনিত অপর একটি গুরুতর ব্যাপার হল রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন। এক্ষেত্রে বীর্যস্খলনের সময় বীর্য মূত্রনালী দিয়ে বের হওয়ার পরিবর্তে মূত্রথলীতে প্রবেশ করে। ফলে হস্তমৈথুন বা যৌনসঙ্গমের সময় অর্গ্যাজম হলেও বীর্য বের হয় না। মূত্রথলীর স্ফিংটার পেশী ঠিকমত কাজ না করলে এই ধরণের যৌন সমস্যা হয়। রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের একটি সম্ভাব্য কারণ। কারণের উপর নির্ভর করে ওষুধ বা অপারেশনের মাধ্যমে এই সমস্যার চিকিৎসা করা হয়।
৪/ ধ্বজভঙ্গ : আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ছেলেদের যৌন সমস্যা হল ধ্বজভঙ্গ বা impotency। এইরোগে লিঙ্গ একেবারেই উত্তেজিত হয় না বা হলেও স্বল্প সময়েই শিথীল হয়ে যায়। প্রায় ৪০ শতাংশ পুরুষ জীবনের কোন না কোন সময় এই যৌন সমস্যায় উপনীত হয়। এই রোগের আধুনিক নাম ইরেকটাইল ডিসফাংশন (ইডি)। নানাবিধ শারীরিক বা মানসিক কারণে এই সমস্যা হতে পারে। শারীরিক কারণসমূহ হল মূলত হৃদরোগ, মধুমেহ, হরমোনের সমস্যা, স্নায়বিক দুর্বলতা, বয়সজনিত অন্যান্য অসুখ, ধুম্রপান, ঔষধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া, যৌনাঙ্গে আঘাত ইত্যাদি। মানসিক কারণসমূহ মধ্যে দুঃশ্চিন্তা, মানসিক রোগ, ভালভবে আদর না করতে পারার চিন্তা ইত্যাদি অন্যতম। তবে সুচিকিৎসায় ইডির নিরাময় সম্ভব। যেমন ভায়াগ্রা গোত্রের ঔষধ কার্যকরী। এছাড়াও নিয়মিত শারীরিক কসরৎ, বিশেষত এরোবিক এক্সারসাইজ বিশেষ উপকারী। তবে যদি মনে হয় যে ইরেকটাইল ডিসফাংশনের সমস্যা হচ্ছে তাহলে সত্বর কোন ভাল ইউরোলজিস্ট বা সেক্সোলজিস্টের পরমর্শ নেওয়া উচিৎ। উনি যথাযথ পরীক্ষা করে দেখা যে ধ্বজভঙ্গের কারণ শারীরিক না মানসিক এবং সেই অনুসারে চিকিৎসা করা।
৫/ যৌনক্ষুধা বা যৌনআকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়া : যৌন সমস্যাজনিত আরেকটি সমস্যা হলো পুরুষদের যৌনক্ষুধা কমে যাওয়া। মূলত শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে গেলে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়। তবে অনেক সময় মানসিক অবসাদ, দুঃশ্চিন্তা, মধুমেহ, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদির ফলেও যৌনইচ্ছা কমে যেতে পারে। তবে দেখা গেছে যে শারিরীক কসরৎ করলে যৌনইচ্ছা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এগুলো বাদ দিলেও পুরুষদের বিভিন্ন যৌনরোগ যেমন এইচ.আই.ভি., গনোরিয়া, সিফিলিস ইত্যাদি যৌনমিলনে জটিলতা সৃষ্টি করে থাকে।
ধাতু দূর্বলতা বা Spermatorrhoea : অনৈচ্ছিক বীর্যপাতের নামই হলো ধাতু দুর্বলতা।এ ধরনের সমস্যায় সপ্নাবেশ বা কোম উদ্দীপনা ছাড়াই বারবার বীর্যস্থলন হয়। সাধারণভাবে বলতে গেলে ইহা নিজে কোন রোগ নয় বরং অন্যান্য রোগের উপসর্গ।
ধাতু দূর্বলতা (Spermatorrhoea) এর কারণসমূহঃ যৌবন কালে অস্বাভাবিক উপায়ে শুক্র ক্ষয় হলে এই সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে, হস্তমৈথুন এবং অতিরিক্ত যৌন মিলন করা ইহার প্রধান কারণ। কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শ্বরোগ ইত্যাদির কারণেও ইহা হতে পারে। আবার অনেক সময় সিফিলিস, গনোরিয়া, ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ স্বরূপ এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্বাভাবিক ভাবে হরমোনের অভাবে অথবা কৃত্রিম অতিরিক্ত মৈথন বা অস্বাভাবিক শুক্রপাত করতে থাকলে স্পারম্যাটোরিয়া সৃষ্টি হতে পারে। আবার অনেক সময় অপুষ্টি বা ভিটামিন প্রভৃতির অভাবে অথবা দীর্ঘদিন রক্তশূন্যতা বা নানা প্রকার রোগে ভোগার ফলে ইহা দেখা দিতে পারে। যারা সাধারণত বেশি পরিমান যৌন মিলন করে,অতিরিক্ত শুক্রক্ষয় করে তাদের শুক্রথলিতে শুক্র বেশি সঞ্চিত থাকে না।ইহার ফলে তাদের শুক্র নির্গত হতে দেখা যায় তাদের শুক্রে ঘনত্ব (viscosity) কম এবং তা দেখতে বেশ তরল। ইহাতে রোগীর ভয়ানক দুর্বলতা সৃষ্টি হয়।
ধাতু দূর্বল্য (Spermatorrhoea) এর লক্ষণসমূহ : স্পারম্যাটোরিয়ার লক্ষণযুক্ত রোগীর শুক্র অত্যন্ত তরল হয়। অনেক সময় পাতলা পানির মত নির্গত হয়, শুক্রে ঘনত্ব (viscosity) খুব কম হয়। রোগী ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দেহগত অপুষ্টির ভাব প্রকাশ পেয়ে থাকে। দেহের সৌন্দর্য নষ্ট হয় এবং জীর্ণ শীর্ণ হয়ে পড়ে,মুখ মলিন এবং চক্ষু কোঠরাগত হয়ে পরে। দেহে প্রয়োজনীয় প্রোটিন এবং ভিটামিনের প্রবল অভাব পরিলক্ষিত হয়। রোগীর জীবনীশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং নানা প্রকার রোগে অতি সহজেই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দেহে যৌন হরমোন বা পিটুইটারি এড্রিনাল প্রভৃতি গ্রন্থির হরমোন কম নিঃসৃত হয়। ইহার ফলে দেহে যৌন ক্ষমতা কমে যায় এবং শুক্র ধীরে ধীরে পাতলা হতে থাকে। আবার এর কারণে সিফিলিস,গনোরিয়ার মত রোগের প্রকাশ লাভ করার সুযোগ হয়। শুক্রপাত বেশি হওয়ার দরুন দৈহিক এবং মানসিক দুর্বলতা বৃদ্ধি পায়,মাথা ঘোরে,বুক ধড় ফড় করে, মাথার যন্ত্রণা দেখা যায়। আক্রান্ত ব্যক্তি সর্বদাই অস্থির বোধ করে। বসা থেকে উঠলেই মাথা ঘোরে এবং চোখে অন্ধকার দেখে, ক্ষুধাহীনতার ভাব দেখা দেয়। ইহাতে পেনিস বা জননেদ্রীয় এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে, তার শুক্রের ধারণ শক্তি একেবারে কমে যায়। রাত্রে স্বপ্ন দেখে শুক্র ক্ষয় হয়, আবার দিনের বেলায়ও নিদ্রাকালীন স্বপ্ন দেখে শুক্রপাত হয়। সমস্যা ধীরে ধীরে কঠিন আকার ধারণ করলে সামান্য উত্তেজনায় শুক্রপাত হয়। স্ত্রীলোক দর্শনে বা স্পর্শে শুক্রপাত ঘটে, এমনকি মনের চাঞ্চল্যেও শুক্রপাত হয়। পায়খানার সময় কুন্থন দিলে শুক্রপাত হয়, স্মরণশক্তি কমে যায়, বুদ্ধিবৃত্তি কমে যায়, পুরুষাঙ্গের ক্ষীনতা ও দুর্বলতা দেখা যায়, চোখের চারদিকে কালিমা পরে, অকাল বার্ধক্য এবং ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। এই বিশ্রী সমস্যার লক্ষণ মানুষের বিশেষ করে তরুনদের উন্নতির পথে প্রধান একটা অন্তরায় হয়ে দাড়ায়।



যৌন সমস্যার বিভিন্ন কারণ :

১/ মানসিক দুশ্চিন্তা, মানসিক হতাশা, মানসিক ভীতি।
২/ অতিরিক্ত হস্ত মৈথুন।
৩./সময়মত বিবাহ না করা।
৪/ যৌন শক্তি বাড়ানোর নামে “ওয়ান টাইম মেডিসিন” সেবন করা।
৫. অতিরিক্ত ধুমপান করা।
৬/ স্বামী স্ত্রীর মাঝে বহুদিন সম্পর্ক ছিন্ন থাকা।
৭/ দীর্ঘদিন যাবৎ কঠিন আমাশয় ও গ্যাষ্টিক রোগে আক্রান্ত থাকা।
৮/ সংগদোষ অর্থাৎ খারাপ বন্ধুদের কারনে খারাপ কাজে সম্পৃক্ত হওয়া, পর্ণ মুভি দেখা ও এ জাতীয় চিন্তা করা।
৯./অতিরিক্ত সপ্নদোষ হওয়া।
১০/ ডায়াবেটিস হওয়ার কারনে।
১১/ স্থুলতার কারনে।
১২. পরিবারে উদাসীনতা, যারা কায়িক পরিশ্রম করে মানে অলস যারা।
১৩/ বিয়ের আগে অবাধ মেলামেশা করা।
১৪/ কোন ধর্মীয় অনুশাসন না মেনে চলা।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা :
===============
হোমিওপ্যাথি ঔষধ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি হয়, যা বহু গবেষণার পর রোগের লক্ষণ গুলি বিবেচনা করে রোগীকে দেওয়া হয়। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা খুব জনপ্রিয়। প্রতিকারে প্রত্যেকের লক্ষণ আলাদা ভাবে বিবেচনা করার পরই কোন সার্বিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। হোমিওপ্যাথিতে সমস্ত লক্ষণ গুলির প্রতিকার করতে দক্ষ এবং এ অবস্থার অবসান ঘটিয়ে পুনরায় ফিরে আসতে দেয় না। দ্রুত বীর্যপাত বা বিভিন্ন যৌনরোগ বা যৌনসমস্যা সমাধানের জন্য সর্বাধুনিক ও উন্নত এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা রয়েছে, যা সমস্যা সমাধানের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এবং একবার আরোগ্য হলে তা আর দেখা দেয় না। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগীর মানসিক লক্ষণ, ধাতুগত লক্ষণ ও রোগ লক্ষণ বিবেচনা করে মেডিসিন প্রয়োগ করা হয়। ফলে অল্প কিছু দিনের সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় আপনিও চিরদিনের জন্য যৌন সংক্রান্ত রোগ সমূহ থেকে মুক্তি পারেন। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই সরকার স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোর্সে পাসকৃত ও অভিজ্ঞ এবং গভ. রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
কিন্তু কখনও নিজে থেকে কোন ঔষধ গ্রহণ করা উচিত নয়। আপনি যদি যৌন সমস্যায় ভোগেন, তাহলে দ্রুত হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন যে আপনার রোগ লক্ষণ অনুযায়ী আপনার সঠিক চিকিৎসা করবে। রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্বীকৃত বিজ্ঞানসম্মত প্রাকৃতিক ও নিরাপদ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গভ. রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের নিকট হতে গ্রহণ করুন এবং সুস্থ থাকুন।
(তথ্যসূত্র : সংবাদপত্র, পুস্তক, ওয়েবসাইড)

যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com