homeopathic (আরোগ্য হোমিও হল)

সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

গলায় খাবার আটকালে কি করবেন

গলায় খাবার আটকালে কি করবেন

গলায় খাবার আটকালে কি করবেন

ডিসফেজিয়া (Dysphagia) বা গলায় খাবার আটকালে কি করার দরকার এবং এর সমধান জেনে রাখা দরকার। ডিসফেজিয়া এর মুল এবং মুখ্য লক্ষণ হল খেতে কিংবা পান করতে গিয়ে সমস্যায় পড়া, গলায় খাবার কিংবা পানি আটকে যাওয়া । তবে এছাড়াও আরও বেশ কিছু লক্ষণ আছে যে গুলো দেখে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার ফিসফ্যাগিয়া আছে কিনা। মুখ গহŸর, গলবিল, খাদ্যনালীও গ্যাস্টোসোফেজিয়া বলে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় কোন ব্যাক্তি খাদ্য বা পানীয় গ্রাস করতে অর্থাৎ খাবার গিলতে যদি সমস্যা হয় তাবে তাকে ডিসফেজিয়া বলে। বিভিন্ন রোগ বা অসুস্থার পরিমাণে ডিসফেজিয়া তৈরি হতে পারে।

ডিসফেজিয়ার লক্ষণ নিন্মে দেওয়া হলো :
১/ খাবার গিলতে না পারা 
২/ কম্পন অনুভব করা
৩/ গলা কর্কশ হয়ে যাওয়া
৪/ অস্বাভাবিক ওজন কমে যাওয়া
৫/ খাবার খুব ছোট টুকরো না হলে না খেতে পারা
৭/ হৃদপিন্ডের জ¦ালাপোরা করা
৮/ খাবার গেলার সময় কফ কিংবা অন্যকিছুতে কন্ঠবোধ হয়ে আসা ইত্যাদি।

ডিসফেজিয়ার কারণ :
যে কোন সমস্যার পেছনেই কোন না কোন কারণ থাকে। ডিসফেজিয়া হবার কিছু কারণ আছে। তবে সে গুলোকে একদম নির্দিষ্ট করে নির্ধারণ করা যায় না। ডিসফেজিয়া নানা রকম হতে পারে। আর এই রহমভেদের উপর নির্ভও করে সেগুলোর বিভিন্ন কারণও থাকতে পারে।
অনেকেই ডিসফেজিয়া এবং অডিনোফাগিয়াকে এক করে ফেলেন। তাদের জন্য দুটোকেই এক মনে হয়। কিন্ত বাস্তবে ইহা দুটো একেবারেই ভিন্ন দুই বিষয়। ডিসফেজিয়া মানে শুধুই খাবার  সময় কিংবা পানি পান করার সময় সমস্যা বোধ করা। অন্যদিকে অডিনোফাগিয়া তৈরি হয় যখন খাবার কিংবা পানি গ্রহণের সময় ব্যথা অনুভব হয়। এই দুটো সমস্যা অনেকের একই সাথে হতে পারে। যার গলায় খাবার আটকে যাওয়ার সমস্যা আছে তার যে ব্যথা থাকতেই হবে এমনটা কিন্ত নয়। তবে বেশিভাগ ক্ষেত্রেই ডিসফেজিয়া এবং অডিনোফাগিয়া একসাথেই হয়ে থাকে। যতি খাবার গলায় আটেকে যায় তবে তারা তারি হাসপালে ব্যবস্থা করবেন।

চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ :

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত -১৯৬২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com



শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

পাইলস ড্রপ NL- 13

পাইলস ড্রপ NL- 13



NL- 13 
Aeseulus Hip

পাইলস ড্রপ
রোগ লক্ষণ : (Piles/Hemorrhoid), রক্ত, অর্শ, মলদ্বারে চুলকানি, ব্যাথা ও রক্ত পড়ে।  মলদ্বারে এ ফাটা, পায়ুরস্থানচ্যুতি। পায়ু পথে একজিমা, রক্তধিক্য জনিত স্ফিতি (Plethora) ব্যাহ্যিক অর্শ (Extemal Prolapse)  এর শ্লেম্মার শুস্কতা এবং জ্বলন। গাঢ় লাল স্থানচ্যুতি অর্শ (Dark red prolapsing hemorrhoies)  ক্রিয়াস্থি (Sacrum) অঞ্চলে নিস্তেজ ব্যথা, শিরাতে রক্তের স্রোত  (venous stasis)।

উপাদান : Aesculus hip), Acidum Nitricum, Collinsonia Canadensis, Hamamelis, Kalium Carbonicum, Lycopdium, Paeonia, Sulphur  এবং অন্যান্য সহায় উপাদান হোমিওপ্যাথিক ঔষধ দিয়ে তৈরি।


সেবন বিধি : ১০ থেকে ফোটা ঔষধ কিছু পরিমান পানিতে মিশিয়ে দিনে ৩ বার বা লক্ষনের তীব্রতা অনুসারে রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের এর পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : এই ঔষধের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ঔষধ সেবন করার পর যে কোন বিরুপ প্রতিক্রিয়ায় চিকিৎসকদেও পরামর্শ নিন।

সাবধানতা : শিশুদেও নাগালের বাইওে রাখন। অতিরিক্ত ডোজ পরিহার করুণ। শুধুমাত্র রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুণ।

চিকিৎসা সার্থে যোগাযোগ করুন-


আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত -১৯৬২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com



বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যাথার হোমিওপ্যাথিক ঔষধ

শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যাথার হোমিওপ্যাথিক ঔষধ



শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যাথায় হোমিওপ্যাথিক ঔষধ :

homeopathy medicine for pain
আমাদের শরীরে যখন তখন বিভিন্ন অঙ্গে ব্যাথা অনুভুত হয়। এই ব্যাথার অনুভুতি বিভিন্ন কারনে হতে পারে। আঘাত লাগা, পড়ে যাওয়া, গ্যাস, স্নায়ুর সমস্যা ইত্যাদি বিভিন্ন কারনে এই ব্যাথার অনুভুতি হয়। এখানে বিভিন্ন প্রকার ব্যাথার উপসর্গ অনুযায়ী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা (homeopathy medicine for pain) আলোচনা করা হল।


Symptomatic homeopathy medicine for pain
  আঘাত লেগে যদি শরীরের কোন স্থান থেঁৎলে বা ছেঁচে যায় তাহলে  - Arnica । আর যদি Arnica  তে সম্পূর্ণ উপকার না হয় তাহলে -Ledum ।  Ledum- এ আঘাতজনিত কালো শিরার দাগ পর্যন্ত বিলুপ্ত হয়।

কিন্তু যদি কোন স্থানে খোঁচা লাগে বা পেরেক,ছুঁচ,পিন ইত্যাদি ফুটে যায় তাহলে- Ledum  ।

আঘাত লেগে কোন স্থান কেটে গেলে সর্বাপেক্ষা উপকারী ওষুধ - Calendula Q

 শরীরে কোন স্থান আঘাত লেগে যদি স্নায়ু আহত হয় তাহলে - Hypericum 

যদি মাংস পেশি আঘাত লেগে কালশিরা পড়ে তাহলে - Arnica  ।

কোন ভারী বস্তু ওঠাতে গিয়ে পিঠে, ঘাড়ে ব্যাথা, তাহলে – Rhus Tox

কেবলমাত্র চোখে আঘাত ও তজ্জনিত উপসর্গ – Artemisia Vul


বহুদিনের পুরনো ও মচকানো ব্যাথায় – Ammon Mur 


পড়ে গিয়ে বা আঘাত লেগে বহুদিন পর্যন্ত ফুলে থাকে, তাতে ছুঁচ ফোটানোর মতো ব্যাথা – Conium ।

আঘাত লেগে হাড় ভেঙ্গে যাওয়া ও ওই হাড় জুড়তে দেরী হওয়া – Symphytum

আঘাত লাগা জায়গা ক্ষত হয়ে পুঁজ জমে ভীষণ ব্যাথা – Silicea

পায়ের আঙ্গুল বা পায়ের তলায় ভীষণ বেদনা, পা ফোলে,পায়ের তলায় ঝিনঝিন ধরা বা পিন ফোটানো বা খেঁচে ধরার মতো ব্যাথা – Apocynum Andro  ।



heel pain

পায়ের তলায় ও গোড়ালিতে ব্যাথা, টিপলে তত ব্যাথা লাগে না কিন্তু চলতে গেলে ভীষণ ব্যাথা – Antim Crud  ।


হাতের কব্জি, পায়ের গোড়ালির গাঁটে প্রদাহ ও ব্যাথা – Abrotenum

ব্যাথা ধীরে ধীরে চরম সীমায় ওঠে আবার হঠাৎ কমে। গলার ভেতর ঘায়ের মতো ব্যাথা, কাশিবার সময় ব্যাথা – Argent Met

পিঠে ব্যাথা, নিশ্বাস নেবার সময় ব্যাথা – Aconite Nap

পেটের ব্যাথা খাবারের পরেই কমে কিন্তু কিছুক্ষণ পরে আবার বাড়ে – Lachesis  ।


pain
ডান কাঁধের ব্যাথা আঙ্গুল পর্যন্ত পরিচালিত হয়। বাম তর্জনী ও আঙ্গুলের বেদনা,প্রদাহ – Acid Hydrofluor  ।

ব্যাথা নড়াচড়া করলে বৃদ্ধি হয় না কিন্তু স্থির হয়ে বসে থাকলে ছুঁচফোটানো ব্যাথা – Kali Carb ।


হাতের কব্জিতে আঘাত বা মচকে গিয়ে ব্যাথা – Cistus

নাভির কাছে নিঃশ্বাস গ্রহনের সময় খোঁচামারা ব্যাথা,তলপেটে কাটাছেঁড়ার মতো ব্যাথা – Hyociamus

শরীরের কোন স্থানের ব্যাথা যখন আড়াআড়িভাবে পরিচালিত হয় – Lac Can 

শরীরের কোন স্থানের বেদনা যখন কোনাকুনি ভাবে চালিত হয় – Agaricus

ব্যাথা হঠাৎ আসে ও হঠাৎ যায়, ব্যাথা স্থান পরিবর্তন করে অর্থাৎ একবার এখানে তো একবার সেখানে – Acic Nit

স্তনের নীচে ব্যাথা, পাছার হাড়ে স্পর্শকাতর বেদনা – Lilium Tig

সর্টরিবের নীচে পেটের বামদিকে ব্যাথা, দ্রুত চললে প্লীহায় ব্যাথা – Rhododendron



back pain
মেরুদণ্ডে ও পিঠে ব্যাথা, শ্বাস গ্রহনেও ব্যাথা বাড়ে, কাশির সময় বুকে ছুঁচফোটার মতো ব্যাথা – Spigelia

পিঠে ও ঘাড়ে ব্যাথা, মাথা নিচু করে রাখতে পারে না – Radium



চিকিৎসা সার্থে যোগাযোগ করুন-


আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত -১৯৬২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

ব্যাথায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

ব্যাথায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা


ব্যাথায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :

শারিরীক বিভিন্ন রোগের উপসর্গের ফল স্বরুপ বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা হতে পারে।একটু সচেতন হলে সাধারন ব্যথায় দৌড়াদৌরি করার প্রয়োজন হবেনা।আজকে ব্যথায় ব্যবহার কারা হয় এমন ১৫ টি ঔষধ নিয়ে আলোচনা করা হবে।

1. Aconitum napellus : একোনাইট ব্যথার একটি সেরা ঔষধ। সাধারণত ভয়ঙ্কর ধরণের ব্যথা, ছুড়ি মারার মতো ব্যথা, হুল ফোটানোর ব্যথা, ব্যথার চোটে দম বন্ধ হয়ে আসে, ব্যথা যদি হঠাৎ দেখা দেয় এবং ব্যথার চোটে যদি ‘এখনই মরে যাব’ এমন ভয় হতে থাকে, তবে একোনাইট খেতে হবে।


2. Arnica montana : যে-কোন ধরনের আঘাত,থেতলানো,মচকানো, মোচড়ানো বা উপর থেকে পতনজনিত ব্যথায় আর্নিকা খেতে হবে।পেশী বা মাংশের ব্যথায় আর্নিকা এক নম্বর ঔষধ। শরীরের কোন একটি অঙ্গের বেশী ব্যবহারের ফলে যদি তাতে ব্যথা শুরু হয়, তবে আর্নিকা খেতে ভুলবেন না। যদি শরীরের কোন অংশে এমন তীব্র ব্যথা থাকে যে, কাউকে তার দিকে আসতে দেখলেই সে ভয় পেয়ে যায় (কারণ ধাক্কা লাগলে ব্যথার চোটে তার প্রাণ বেরিয়ে যাবে); এমন লক্ষণে আর্নিকা প্রযোজ্য। আঘাত পাওয়ার কয়েক বছর পরেও যদি সেখানে কোন সমস্যা দেখা দেয়, তবে আর্নিকা সেটি নিরাময় করবে।

3. Bryonia alba :  মাথা ব্যথা, জয়েণ্টের ব্যথা, হাড়ের ব্যথা, মাংশের ব্যথা, বুকের ব্যথা, বাতের ব্যথা প্রভৃতিতে ব্রায়োনিয়া সেবন করতে পারেন যদি সেই ব্যথা নড়াচড়া করলে বেড়ে যায়। ব্রায়োনিয়ার লক্ষণ হলো আক্রান্ত অঙ্গ যত বেশী নড়াচড়া করবে, ব্যথা তত বেশী বৃদ্ধি পেতে থাকে।

4. Rhus Toxicodendron :  পক্ষান্তরে মাথা ব্যথা, জয়েণ্টের ব্যথা, হাড়ের ব্যথা, মাংশের ব্যথা, বুকের ব্যথা, বাতের ব্যথা প্রভৃতিতে রাস টক্স সেবন করতে পারেন যদি সেই ব্যথা নড়াচড়া করলে কমে যায়। রাস টক্সের লক্ষণ হলো আক্রান্ত অঙ্গ যত বেশী নড়াচড়া করবে, ব্যথা তত বেশী কমতে থাকে।খুব ভারী কিছু উঠাতে গিয়ে কোমরে বা শরীরের অন্য কোন স্থানে ব্যথা পেলে রাস টক্স এক নাম্বার ঔষধ।

5. Chamomilla :  যদি ব্যথার তীব্রতায় কোন রোগী দিগ্বিদিক জ্ঞানশূণ্য হয়ে পড়ে, তার ভদ্রতাজ্ঞানও লোপ পেয়ে যায়, সে ডাক্তার বা নার্সকে পযর্ন্ত গালাগালি দিতে থাকে;তবে তাকে ক্যামোমিলা খাওয়াতে হবে। ক্যামোমিলা হলো অভদ্র রোগীদের ঔষধ।

6. Colchicum autumnale :  কলচিকাম গেটে বাত বা জয়েন্টের ব্যথায় ব্যবহৃত হয়। ছোট ছোট জয়েন্টের বাতে এবং বিশেষত পায়ের বৃদ্ধাঙুলের বাতের ব্যথায় কলচিকাম প্রযোজ্য। কলচিকামের প্রধান লক্ষণ হলো খাবারের গন্ধে বমি আসে এবং আক্রান্ত অঙের জোর/শক্তি কমে যায়।


7. Hypericum perforatum :  যে-সব আঘাতে কোন স্মায়ু ছিড়ে যায়, তাতে খুবই মারাত্মক ব্যথা শুরু হয়, যা নিবারণে হাইপেরিকাম খাওয়া ছাড়া গতি নেই। শরীরের সপর্শকাতর স্থানে আঘাত পেলে বা কিছু বিদ্ধ হলে হাইপেরিকাম খেতে হবে ঘনঘন।যেমন- ব্রেন বা মাথা, মেরুদন্ড, (পাছার নিকটে) কণ্ডার হাড়ে, আঙুলের মাথায়, অণ্ডকোষে ইত্যাদি ইত্যাদি। (তবে যে-সব ক্ষেত্রে পেশী এবং স্নায়ু দুটোই আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে বলে মনে হয়, তাতে আনির্কা এবং হাইপেরিকাম একত্রে মিশিয়ে খেতে পারেন।) আঘাতের স্থান থেকে প্রচণ্ড ব্যথা যদি চারদিকে ছড়াতে থাকে বা খিঁচুনি দেখা দেয় অথবা রসধমবংশরীর ধনুকের ন্যায় বাঁকা হয়ে যায় (ধনুষ্টঙ্কার), তবে হাইপেরিকাম ঘনঘন খাওয়াতে থাকুন।


8. Ledum palustre :  সূচ, আলপিন, তারকাটা, পেরেক, টেটা প্রভৃতি বিদ্ধ হলে ব্যথা কমাতে এবং ধনুষ্টঙ্কার / খিচুনি ঠেকাতে লিডাম ঘনঘন খাওয়ান। অর্থাৎ যে-সব ক্ষেত্রে কোনকিছু শরীরের অনেক ভেতরে ঢুকে যায়, তাতে লিডাম প্রযোজ্য। এই ক্ষেত্রে লিডাম ব্যথাও দূর করবে এবং ধনুষ্টংকার হলে তাও সারিয়ে দেবে।চোখে ঘুষি বা এই জাতীয় কোনো আঘাত লাগলে লিডাম এক ঘণ্টা পরপর খেতে থাকুন। বাতের ব্যথায় উপকারী বিশেষত যাদের পা দুটি সব সময় ঠান্ডা থাকে।

9. Kali bichromicum:ক্যালি বাইক্রোম প্রধান লক্ষণ হলো ব্যথা আঙুলের মাথার মতো খুবই অল্প জায়গায় হয়ে থাকে,ব্যথা ঘন ঘন জায়গা বদল করে ইত্যাদি ইত্যাদি।

10. Plantago Major :  দাঁত, কান এবং মুখের ব্যথায় প্লানটাগো মেজর এমন চমৎকার কাজ করে যে, তাকে এক কথায় যাদু বলাই যুক্তিসঙ্গত।পত্রিকায় দেখলাম, একজন প্রখ্যাত সাংবাদিকের দাঁতব্যথা সারাতে না পেরে ডেন্টিস্টরা শেষ পযর্ন্ত একে একে তাঁর ভালো ভালো চারটি দাঁতই তুলে ফেলেছেন। আহা ! বেচারা ডেন্টিস্টরা যদি প্লানটাগো’র গুণের কথা জানত, তবে প্রবীন এই সাংবাদিকের দাঁতগুলো বেচেঁ যেতো।

11. Pulsatilla pratensis : পালসেটিলা’র ব্যথার প্রধান লক্ষণ হলো ব্যথা ঘনঘন স্থান পরিবর্তন করে। আজ এক জায়গায় তো কাল অন্য জায়গায় কিংবা সকালে এক জায়গায় তো বিকালে অন্য জায়গায়।রসধমবং (১)

12. Lac caninum :  ল্যাক ক্যান-এর ব্যথার প্রধান লক্ষণ হলো ব্যথা ঘনঘন সাইড/ পার্শ্ব পরিবর্তন করে। আজ ডান পাশে তো কাল বাম পাশে কিংবা সকালে সামনের দিকে তো বিকালে পেছনের দিকে।

13. Bellis perennis  প্রচণ্ড গরমের সময় অথবা পরিশ্রম করে ঘর্মাক্ত শরীরে আইসক্রিম বা খুব ঠান্ডা পানি খাওয়ার পরে যদি ব্যথা বা অন্য যে-কোন রোগ দেখা দেয়, তবে বেলিস পিরেনিস খাওয়া ছাড়া আপনার মুক্তির কোন বিকল্প রাস্তা নাই।

14. Magnesia phosphorica : ম্যাগ ফস স্মায়বিক ব্যথার এক নম্বর ঔষধ। ইহার ব্যথা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছুড়ি মারা অথবা চিড়িক মারা ধরণের মারাত্মক ব্যথা।আক্রান্ত অঙ্গকে মনে হবে কেউ যেন লোহার হাত দিয়ে চেপে ধরেছে।

15. Thuja occidentalis : টিকা (বিসিজি, ডিপিটি, এটিএস, পোলিও, হেপাটাইটিস, এটিএস ইত্যাদি) নেওয়ার কারণে ব্যথা হলে থুজা খেতে হবে। টিকা নেওয়ার কারণে শরীরের বিভিন্ন স্থানে চিড়িক মারা ব্যথা (neuralgia, sciatica) অর্থাৎ স্নায়বিক ব্যথা হয় এবং বার্নেটের মতে থুজা হলো সেরা ঔষধ।

চিকিৎসার্থে যোগাযোগ করুন-


আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত -১৯৬২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com



শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

মাইগ্রেন ও মাথাব্যাথা ড্রপ NL-16

মাইগ্রেন ও মাথাব্যাথা ড্রপ NL-16


NL-16 
Sanguinaria Canadensis
মাইগ্রেন ও মাথাব্যাথা ড্রপ

রোগ লক্ষণ : মাইগ্রেন, স্নায়বিক মাথাব্যাথা, মাথার স্নায়ুশূল ও সামান্য ঠান্ডা লাগা জনিত ক্রমাগত মাথা ব্যাথা কারণে অসুস্থ হলে,  তীব্র মাথা ব্যাথার কারণে অস্থায়ী অন্ধত প্রতিরোধ করে। আলো ও শব্দে অসহিষ্ণুতা দুর করে।

বিশেষ রোগ লক্ষণ : স্নায়বিক উত্তেজনা, মথাব্যাথা, পর্যায়ক্রমে গরম ও কাঁপুনি থকবে, শব্দ এবং আলোতে অসহিষ্ণুতা শুয়ে থাকলে আরম বোধ করে। রোগী মনে করে

মাথার পিছনে বিদ্যুতের ঝিলিক এর মতো ব্যাথা। মাথাব্যাথা যেন কেটে যাবে বা চোখ বেরিয়ে আসবে এমন অনুভুতি মনে হয়।

উপাদান : স্যাঙ্গুইনেরিয়া ক্যানাডেনসিস (Sanguinaria Canadensis), Cimicifuga, Gelsemium, Iris Vers,Spigelia  এবং অন্যান্য সহায়ক উপদান দিয়ে হোমিওপ্যাথিক তৈরি।


সেবনবিধি : মাথা ব্যাথার তীব্রতা অনুসারে ১০ থেকে ১৫ ফোঁটা ঔষধ কিছু পরিমান পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিনে ৩ থেকে ৬ বার সেবন করতে হবে। লক্ষণ দূর হলেও ১০ ফোঁটা করে দিনে ৩ বার, আরও ২ থেকে ৩ দিন সেবন করতে হবে।


পার্শ্বতিক্রিয়া : এই ঔষধে কোন পার্শ্বতিক্রিয়া নেই, ঔষধ সেবন করার পর যে কোন বিরুপ প্রতিক্রিয়া হলে রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সাবধানতা : শিশুদের নাগালের বাহিওে রাখুন। অতিরিক্ত ডোজ পরিহার করুণ। শুধুমাত্র রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুণ। গর্ভাবস্থায় রেজিষ্টাডৃ চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুণ। ঔষধ পানিতে মিশিয়ে ঝাঁকি দিয়ে সেবন করুণ।

চিকিৎসার্থে যোগাযোগ করুন-


আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত -১৯৬২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com


বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

টিউমারের ড্রপ NL-12

টিউমারের ড্রপ NL-12




টিউমার ড্রপ NL-12
Calcarea Fluoria

রোগ লক্ষণ সব ধরনে বিনাইন (ক্ষতিকর নয়) টিউমার, বিশেষ করে পাথরের ন্যায় শক্ত নিউমার, এ ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহার হয়।

বিশেষ রোগ লক্ষণ : সব ধরণের বিনাইন নিউমার (গ্যাংলিয়ন বা কজির পিছনে এনসিস্টেড (সিস্টের ন্যায়) নিউমার। পাথরের মতো শক্ত নিউমার। এছাড়ও শরীরে বিভিন্ন গ্রন্থি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে পাথরের ন্যায় শক্ত হলে।

উপাদান : ক্যাক্লেরিয়া ফ্লোরিকা (Calcarea Fluoria), Thuja Occidintalils, Ruta Graveolens, Chacarea Cbrb  এবং অন্যান্য সহায় উপাদন দিয়ে (হোমিওপ্যাথিক ঔষধ) তৈরি।



সেবনবিধি : সাধারনত ১০ থেকে ১৫ ফোটা ঔষধ কিছু পরিমান পানিতে মিশিয়ে দিনে ৩ বার, প্রত্যেক বেলা খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পূর্বে (খালি পেটে) সব্য। কিছুটা উন্নতি হলে, ৮ থেকে ১০ ফোটা ঔষধ ১ থেকে ২ বার সব্য।

দীর্ঘস্থায়ী আরোগ্যর জন্য, উন্নতি পরিলক্ষিত হলে বেশ কয়েক মাস পর্যন্ত ১০ থেকে ১৫ ফোটা ঔষধ দৈনিক ১ বার ঔষধ সেবন চলিয়ে যেতে হবে।



পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : এই ঔষধে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় নাই। ঔষধ সেবন করার পর যে কোন বিরুপ প্রতিক্রিয়া চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


সাবধনাত : শিশুদের নাগালের বাইরে রাখন। অতিরিক্ত ডোজ পরিহার করণ। শুধুমাত্র রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শে সেব্য। গর্ভবস্থায় শুধুমাত্র রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শে সব্য ঔষধ পানিতে মিশিয়ে ঝাকি দিয়ে সবন করতে হবে।

চিকিৎসার্থে যোগাযোগ করুন-


আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত -১৯৬২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com




বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

উচ্চ রক্তচাপ/ হাই ব্লাড প্রেসার হোমিওপ্যাথিক ঔষধ

উচ্চ রক্তচাপ/ হাই ব্লাড প্রেসার হোমিওপ্যাথিক ঔষধ


উচ্চ রক্তচাপ/ হাই ব্লাড প্রেসার হোমিওপ্যাথিক ঔষধ


হাইপাটেনশন ইংরেজি  ( Hypertenoion), , যার আরেক নাম উচ্চ রক্তচাপ, HTN, বা HPN হল একটি রোগ যখন কোন ব্যাক্তি রক্তের চাপ সব সময়েই স্বাভাবিক যেয়ে উর্দ্ধে থাকে তাকে হাইপাটেশন বা গৌণ হাইপাটেশনে শ্রেণীভুক্ত করা হয়। প্রায় ৯০% ভাগ ক্ষেত্রেই প্রথামকি “হাইপটেশন” বলে ধরা হয়।
সারা বিশ্বে  উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাত হিসেবে পরিচিত এবং আরো অনো দেশের মত বাংলাদেশেও বিপুল সংখ্যক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রয়েছে।


উচ্চ রক্তচাপ কি
হৃৎপিন্ডের ধবনীতে রক্ত প্রবাহের চাপ অনেক বেশি থাকলে সেটিকে উচ্চ রক্ত বা হাই ব্লাড প্রেশার হিসেবে ধরা হয়। দুটি মানের মধ্যেমে এই রক্তচাপ রেকর্ড করা হয়। যেটার সংখ্যা বেশি সেটাকে বলা হয় সিস্টেলিক প্রশারর, আর যেটার সংখ্যা কম সেটাকে ডায়াস্টলিক প্রেসার ধরা হয়।
প্রতিচি হৃৎস্পন্দন অর্থাৎ হৃৎপিন্ডে সংকোচন বা সম্প্রসারণের সময় একবার সিস্টেলিক প্রেশার এবং একবার ডায়াস্টালিক প্রেসার হয়। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তচাপ থাকে ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি।
কারো ব্লাড প্রেসার রিডিং যদি ১৪০/৯০ এর যেযেও বেশি হয়, তখন বুঝতে হবে তার উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার হয়েছে। অপরদিকে রক্তচাপ যদি ৯০/৬০ বা এর আশেপাশে থাকে তাহলে তাকে লো ব্লাড প্রেসার হিসেবে ধরা হয়। যদি বয়স নির্বিশেয়ে রক্তচাপ খানিকটা বেশি কম হতে পারে।


উচ্চ রক্তচাপ হলে কি সমস্যা দেখা দিতে পারে তা নিন্ম রুপ :
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্তণে না থাকলে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অঙ্গে জটিলতা তৈরি হওয়ার সম্ভবনা থাকে। অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ থেকৈ হৃৎপিন্ডের পেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং এর ফলে দুর্বল হৃৎপিন্ডে রক্ত পাম্প করতে পারে না। এছাড়া এমন রক্তপাপের করণে কিডনি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থঅকে, মস্তিস্কে স্টোক বা রক্তক্ষরণও হতে পারে। এরকম ক্ষেত্রে রোগী মৃত্যুও সম্ভাবনা থকে। আর বিশেষ ক্ষেত্রে উচ্চ চাপের কারণে রেটিনার রক্তক্ষরণ হয়ে একজন মানুষ অন্ধত্বও বরণ করতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ হলে কি কি খাবেন:
রসুন : রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে রসুনের ভুমিা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন এক টুকরো রসুন কোয়া খেলে আপনার কোলেস্টরণ নিয়ন্ত্রণ থাকে। এর ফলে রক্তচাপও স্বাভাবিক থাকে।
গাজর : হাই ব্লাড প্রেসার কমাতে খাদ্য থালিকায়  গাজর রাখতে হবে। গাজরের রস করে খেতে পারেন। আরও ভালো ফল চাইলে পালং শাকে সঙ্গে গাজরের রস করে খেতে পারেন।
পিয়াজ ও মধু : রুপর্চ্চার পাশাপাশি রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণেরও সমান কার্যকরী পিয়াজ ও মধু। এক চা-চামচ পিয়াজের রসের সঙ্গে ২ চা-চামচ মধু মেশান। নিয়মিত মিশ্রনটি খান উপকার পাবেন। ঘরোয়া উপায়ে এই পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারেন তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুল করবেন না।

হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ :
 
লক্ষণ সাদৃশ্যে উচ্চ রক্তচাপে সাধারণত যে ঔষধগুলো ব্যবহ্যারিত হয় সে গুলো সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হলো :-

১/ বেলেডোনা (Belladona) : বেলেডোনা রোগীর মাথা ব্যথা চোখ মুখ লাল ক্যারোটি ও ধবনীর দপদপানি, হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ফলে অজ্ঞান হয়ে পড়া, অত্যাধিক রোদের তাপ, কাজের টেনশন, হঠাৎ ইত্তেজনায় রক্ত চাপের বৃদ্ধি। ঝিলিক মারা ব্যথা, ব্যথা হঠাৎ আসে হঠাৎ যায়, চোখ মুখ লাল হয়ে যায়, ব্যথার স্থান গরম, লাল জ্বালা ও স্পর্শকাতর (এই চারটি লক্ষণে বেলেডোনা প্রয়োগ সর্বোউত্তম)। সামান্য শব্দে ভয় পায় শুয়ে থাকতে পানে না। বেলেডোনা (Belladona) খাবরের পরে। (বেলেডোনা ও একোনাইট ন্যাপ পর্যায়ক্রমে একটার পর একটা রোগীকে সেবন করাতে হবে।

২/ রাউল ফিয়া (Rauwalfia Serp):  রাউল ফিয়া ফিয়া  রোগীর উচ্চ রক্তপাপ রোগের একটি উৎকৃষ্ট হোমিওপ্যাথিক ঔষধ। মাথা ব্যথা, মথা ঘোরা, অনিদ্রা, শরীর ম্যাচ ম্যাচ করা, মন অস্থির হওয়া লক্ষণে রাউল ফিয়ায় রাউল ফিয়া অতি উৎকৃষ্ট ঔষধ। 

সেবন বিধি : ১০ বা ১৫ ফোঁটা করে পানিতে মিশিয়ে দিনে দুইবার সেবন করতে হবে। অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করন। ঔষধ সেবনে যদি রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকিয়া গভির নিদ্রা হয় তবে রোগী জন্য ভালো

৩/ গ্লোনায়িন (Glonoine)  : গ্লোনায়িনের রোগী উচ্চ রক্তপার জনিত মাথায় ভয়ানক দপদপানি ব্যথা, মাথা ব্যথায় রোগী অস্থির হইয়া পরে, রোগী অত্যান্ত উত্তেজনা পূর্ণ ও রাগে সামান্য কারনেই মাথা ব্যথা করে। রোগী মাথা বড় হয়ে গেছে। এইগুলো লক্ষণে গ্লোনায়িন কার্যকর।
সেবন বিধি : গ্লোনায়িন 1x ১০ বা ১৫ ফোঁটা করে সামান্য এক ঢোক পানি মিশিয়ে ঘন্টা দুয়েক পর পর সেবন করুণ। অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুণ।


৪/ ভিসকাম এলব ((Viskam Alb) : ভিসকাম এলবের  রোগী বুক অত্যান্ত ধরফর করে, শ্বাস নিতে কষ্ট, বামদিকে শুইতে অক্ষমতা, বুক অত্যান্ত ভারিবোধ, কোন এক অবস্থায় অধিক্ষন থাকিতে না পারা, মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা, তন্দ্রা, সব সময় রাগ ভাব, সারা শরীর জ্বালা প্রচন্ড রক্তের উচ্চচাপ ইত্যাদি লক্ষণে ভিসকাম এলব কার্যকর।  

সেবন বিধি : ভিসকাম এলব Q ১০ ফোঁটা করে এক ঢোক পানিসহ দিনে ৩ বার সেবন করতে হবে। অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুণ।

৫/ লাইকোপাস (Lycopus) : রোগী হাই প্রেশার বৃদ্ধি হৃৎপিণ্ডের ব্যথা, নাড়ীর গতি দ্রুত ইত্যাদি লক্ষণে লাইকোপস কার্যকর।
সেবন বিধি : ৩০/২০০ শক্তি ১০ ফোঁটা ঔষধ এক ঢোক পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিনে ৩ বার অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করতে হবে। 

৬/ এম্বা গ্রিসিয়া (Ambra Gresea) : অতিরিক্ত রক্তচাপ জনিত মাথার তালুতে বেদনা, বুক ধরফরানি, কানে কম শোনা, বুকে চাপবোধ, অনিদ্রা ইত্যাদি লক্ষণে এম্বা গ্রিসিয়া কার্যকর।
সেবন বিধি : এম্বা গ্রিসিয়া ৬/৩০ শক্তি ১০ ফোঁটা ঔষধ এক ঢোক পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিনে ৩ বার সেবন করুণ। তথবা রেজিষ্টর্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুণ।

৭/ অরাম মেটালিকাম (Aurum Aetallicum)  : রোগীর রক্ত মস্তিস্কে ধাবিত হয়, সমস্ত রক্ত মাথা থেকে নিচ পর্যন্ত ছুটে আসে বলে মনে হয়, ফলে মাথা ব্যথা রাতে বৃদ্ধি, রোগী মনে হয় কপাল ছিড়ে যাবে, মাথা নীচু করলে বা চললে মাথা ঘরে, দুই ভ্রুরু মধ্যে নাসিকারমূলে দপদপ করে, আধ কপালে মাথা ব্যথা, হৎপিণ্ডের চর্বি জমে, পরিশ্রম করলে বুক ধরফর করে, মনে হয় হৎপিণ্ডের কম্পন ২/৩ মিনিটের জন্য থেমে গেল কিন্ত পরক্ষেণেই প্রবলভাবে লাফিয়ে উঠে, নাড়ী দ্রুত গতিশীল, ক্ষণ অনীয়মিত স্পন্দন চলতে কষ্ট হয়।
সেবন বিধি : অরাম মেটালিকাম ৩০/২০০ শক্তি ১০ ফোঁটা ঔষধ এক ঢোক পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিনে ৩ বার সেবন করুণ। তথবা রেজিষ্টর্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুণ।

৮/ সেফালান্ডা ইন্ডিকা (Cephalandra Indica) : ডায়াবেটিস রোগীদের উচ্চ রক্তচাপ রেগীর জন্য এই ঔষধটি বিশেষ ভাবে ব্যবহৃত হয়। মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, মাথা চক্কর দেওয়া, হাত-পা, চোখ-মুখ আগুনের  পোড়ার ন্যায় জ্বালা, প্রবল পানি পিপাসা, জ্বালা ঠান্ড পানিতে রোগী আরাম বোধ করে। এ লক্ষণ থাকিলে সেফালান্ডা ইন্ডিকা ছ ১০ ফোঁটা করে এক ঢোক পানিসহ দিনে ৩ বার সেবন করতে হবে। অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুণ।

৯/ গ্লোনায়িন (Glonoine) 1x, ১০ ফোঁটা, ক্র্যাটেগাস (Crataegus) Q ১০ ফোঁটা, প্যাসিফ্লোরা (Passiflora) Q ১০ ফোঁটা এই তিনটি ঔষধ পর্যায়ক্রমে ২/৩ ঘন্টা অন্তর প্রয়োগ করবেন অথবা পর্যায় ক্রমে দিনে প্রত্যেকটি ঔষধ ৩ বার সেবন করতে হবে অথাৎ আজ গ্লোনায়িন ৩ বার কাল ক্র্যাটেগাস ৩ বার পরশু প্যাসিফ্লোরা ৩ বার সেবন করলে ফলাফল পরীক্ষা করবেন।


উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপ্রেসারে বাইয়োকেমি চিকিৎসা :
১০/ ক্যালি ফস (Kali Phos)নেট্রাম মিউর (Natrum Mur) বাইয়োকেমিক মতে এই ঔষধ দুটি উচ্চ রক্তচাপে উৎকৃষ্ট ঔষধ। 6x বা 12x ৩/৪টি বড়ি এক ঢোক গরম পানির সহিত মিশিয়ে ১ ঘন্টা বা আধ ঘন্টা পর পর সেবন করলে উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়।


চিকিৎসার জন্য যোগযোগ :

আরোগ্য হোমিও হল
প্রতিষ্ঠাতা : মৃত: ডা: আজিজুর রহমান
প্রা: ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)
বি.এস.এস, ডি.এইচ.এম. এস (ঢাকা)
মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)
ডি.এইচ.এম. এস (ঢাকা)
স্থাপিত Ñ ১৯৬২ ইং
মেবাবাইল : ০১৭১৮-১৬৮৯৫৪
arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com