homeopathic (আরোগ্য হোমিও হল)

সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

থাইরয়েড রোগে হোমিপ্যাথিক ঔষধ

থাইরয়েড রোগে হোমিপ্যাথিক ঔষধ


থাইরয়েড এর কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা :
বর্তমান পৃথিবীতে থাইরয়েড সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশী। অনেকে এই রোগের নাম শুনলেও বা আশেপাশে আক্রন্ত রোগী দেখলে কিংবা নিজের আক্রান্ত হলেও আমারা এই রোগ সম্পর্কে
অনেকেই খুব একটা বেশী জানিনা। চলুন তা হলে এ সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

থাইরয়েড কি?
থাইরয়েড হল আমাদের একটি গ্রন্থি যা আমাদের গলার সমনের দিকে অবস্থিত। এই গ্রন্থি থেকে কিছু প্রয়াজনীয় হরমোন নি:সৃত হয়। এই হরমোন আমাদের বিপাকসহ আরও বিভিন্ন কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। এই রহমোন তৈরির জন্য এই গ্রন্থিটির প্রয়োজনীয় পরিমাণে আয়োডিনের দরকার হয়। উক্ত হরমোন আমাদের বিপাক ক্রিয়া সহ বিবিন্ন শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা
পালন করে।

থাইরয়েড গ্রন্থি
থাইরয়েড গ্রন্থি সাধারণত ২ ধরণের হরমোন নি:সরণ করে।
ট্রাই-আয়োডোথাইরোনিন (T3)
থাইরক্সিন (T4)
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জন্মের সময় এই গ্রন্থি ঠিকভাবে তৈরি না হলে কিংবা প্রয়াজনমত হরমোন তৈরি করতে না পারলে বাচ্চাদের শারীরিক এবং মানসিক বৃদ্ধি ব্যহত হয়।
আমাদের শরীরে যতটুকু হরমোন প্রয়াজন তার চেয়ে কম বা বেশি পরিমানে  হরমোন তৈরি হলে হাইপোথাইরয়ডিজম হতে পারে। অবার প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণে এই হরমোন উৎপান্ন হলে হাইপারথায়ডিজম হতে পারে। উভয়ই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি কর। এছাড়াও উক্ত গ্রন্থি থেকে আরও বিভিন্ন রোগ হতে পারে।


এই গ্রন্থি থেকে সাধারণত বেশ হয় এমন কিছু রোগ নিয়ে আলোচনা 

ঘাইপোথাইরয়ডিজন  (Hypothyroidism)
হাইপারথাইরয়ডিজন (Hyperthyroidism)
গায়েটার  (Goiter) 
নডিউল (Nodule) 
থাইরয়েড ক্যান্সার Thyroid Cancer) 
গ্রেভস ডিজিজ (Graves disease)
হাইপোথাইরয়ডিজম (Hypothyroidism)



থাইরয়েড গ্রন্থি যদি প্রয়োজনের তুলনায় কম হরমোন উৎপাদন করে তখন  ঘাইপোথাইরয়ডিজম হবার সম্ভবনা থাকে। যদিও আনেক সময় এর চোখে পড়ার মত লক্ষণ দেখা যায় না। ফলে অনেকে বঝতেই পারেনা যে তিনি হাইপোথাইরয়ডিজম এ আক্রান্ত।

হাইপোথাইরয়াজিম হলে যে লক্ষণ দেখা যায় :

ক্লান্তি কিংবা অবসাদ অনুভব করা
কোন কিছুতে মোনযোগ দিতে পারে না।
শরীরের ত্বক শুস্ক হয়ে যায়
কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যায়।
অল্পতেই শীত শীত অনুভব করে।
পেশী বা বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যাথা অনুভুত করে।
বিষন্নতা অনুভব করে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাবের সময় অতিরিক্ত পরিমাণ রক্তক্ষরণ হয়।
শরীরের পালস রেট কম স্বাভাবিক এর তলনায় কম দেখা যায়।

থাইপারথাইরয়জিয়াম:
এ ক্ষেত্রে হাইপারথাইরয়াডিজম এর উল্টো ঘটনা ঘটে। থাইরয়েডে গ্রন্থি প্রয়োজনের তুলানয় বেশি হরমোন উৎপাদন করলে হাপারথাইরয়াডিজম হবার সম্ভবানা থাকে। থাইরয়েড গ্রন্থিকে নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিস্কের পিটুইটারি গ্রন্থি নামক এক গ্রন্থি। মস্তিস্কের এই পিটুইটারি গ্রন্থিকে আবার নিয়ন্ত্রণ 
করে মস্তিস্কেও হাইপাথ্যালাম নামক অংশ এই হাইপাথালামাস থাইরয়েড রিলিজিং হরমোন (TRH)  নামক এক হরমোন নির্গত করে।   এই (TRH)  হরমোন এর কাজ হল পিটুইটারি গ্রন্থিকে থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন (TRH) নামক এক হরমোন নির্গত করার জন্য সংকেত পাঠানো। এই ঞজঐ হরমোন উক্ত গ্রন্থিকে থাইরয়েড হরমোন নির্গত রকার জন্য সংকেত পাঠায়। বোঝা গেল তাহলে এই হরমোন উৎপাদন এর জন্য শুধুমাত্র থাইরয়েড গ্রন্থি দায়ী নয়। হাইপোথ্যালামাস, পিটুইটারি গ্রন্থি এবং থাইরয়েড গ্রন্থি মিলিত প্রচেষ্টায় হরমোন নির্গমণ কাজ সম্পন্ন হয়।
এখন উক্ত তিনটি গ্রন্থির যে কোনো একটি বা একাধিক গ্রন্থি যদি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কাজ করে ফলে যতটুকু হরমোন দরকার তার চেয়ে বিশি পরিমাণ হরমোন উৎপন্ন হয়। আর তখনই বাঁধে সমস্যা। যেটা হাইপারথাইরয়াজিম নামে পরিচিত।

হাইপারথাইরয়াজিমম হলে যে লক্ষণ দেখা যায় :-
অতিরিক্ত ঘাম হয়
গরম সহ্য হয় না
খাবার হজমে সমস্যা
দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ বেড়ে যা।
অস্থিরতা অনুভব করে।
শরীরের ওজন কমে যায়।
পালস রেট বেড়ে যায়।
অনিদ্রা দেখা যায়
চুল পাতলা এবং ভঙ্গুর হয়ে যায়।
ত্বক পাতলা হয়ে যায়।
মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাব অনিয়মিত কিংবা খুব অল্প পরিমাণে হয়।
বয়স্ক রোগীদের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। শরীর খুব খারাপ অবস্থা হলে এবং হাইপারথাইরয়াডিজম এর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না হলে থাইরয়েড স্টর্ম (thyroid storm) হতে পারে। এতে রোগীর রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, জ্বর আসাতে পারে এবং হৃদস্পন্দন বন্ধ হবার সম্ভবনা থাকে।


হোমিওপ্যাথিক ঔষধ :
হোমিওপ্যাথিক ঔষধে থাইরয়েড চিকিৎসায় থাইরয়েডিনাম ছাড়াও আয়োডিন, নেট্রাম মিউর, লাইকোপডিয়া, সাইলেসিয়া, ফিডোরিনাম, থুজা, মেডোরিনামসহ আরও অনেক ঔষধ লক্ষনের উপর আসতে পারে তবে কখনো রেজিষ্টর্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ খাওয়া ঠিক নয়। কারণ চিকিৎসক তার অভিজ্ঞতার ওপর ঔষধ নির্বাচন করে থাকেন যা চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ঔষধে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ক্ষতি সম্ভবানা প্রবল থাকে। 

থাইরয়েড এ সমস্যায় লক্ষণ বিত্তিক বেস্ট তিনটি হোমিওপ্যাথিক ঔষধের বর্ননা নীচে দেওয়া হলো :
Thyroidinum (থাইরয়েডিনাম) 
১. দেহ ও মনের খর্বতা
২. অতিরিক্ত মোটা হতে থাকা বা ফুলতে থাকা কিম্বা অতিরিক্ত রক্তহীনতা ও শীর্ণতা।
৩. চর্মরোগ ও চুল উঠে যায়।
৪. উন্মাদ ভাব এবং অনিদ্রা।

Thyroidinum  (থাইরয়েডিনাম) চরিত্রগত লক্ষণ :
১/ দেহ ও মনের খর্বতা। উন্মাদ ভাব এবং অনিদ্রা। অঘোরে ঘুম ও 
অস্থিরতাসহ বিষাদ পর্যায়ক্রমে উপস্থিত, উত্তেজনা প্রবণ, অল্প প্রতিবাদে উত্তেজিত হয়, সামন্য কারণে চটে উঠে। উত্তেজিত উত্তেজনার পরেই মানসিক অবসাদ। হতবুদ্ধি বাব, রাত্রে বয়ের অভিব্যক্তি। অত্যন্ত ক্রিপন, স্বভাব, অল্পে অসন্তষ্ট, সর্বদাই বিষন্ন, সর্বদাই বিরক্ত, অকারণে কাঁদে, উলঙ্গ হয়, আত্নহত্যার ইচ্ছা ইত্যাদি লক্ষণ থাকে।
২/ অতিরিক্ত মোটা হতে থাকা কিংবা অতিরিক্ত রক্তহীনতা, প্রবল দুর্বলতা ও শীর্ণতা। রোগী সময় সময় সাংঘাতিক রুপে রক্তহীন হয়ে পড়ে ও শরীর কঙ্কালসার হয়।
৩/ চর্ম রোগ এবং মাথার চুল উঠিয়া যায়।
৪/ থাইরয়েড গ্রন্থিও দুর্বলতা থেকে প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি দ্রব্য খাওয়ার প্রবৃত্তি জন্মে।
৫/ অত্যান্ত শীতার্ত।
৬/ মিষ্টি দ্রব্যে খাওয়ার আকাঙ্খা বেশী।
৭/ রক্তস্বল্পতা, র্শীণতা, পেশী দুর্বলতা, ঘাম, মাথা ধরা, মুখ ও অঙ্গ প্রত্যাঙ্গ স্নায়বিক কম্পন, ঝিনঝিন করার অনুভুতি ও পক্ষঘাত সৃষ্টি করে। হৃৎক্রিয়া ঘাড়ে, চক্ষুগোলক বহির্নিগত ও প্রসারিত হ। শ্লৈম্মিক শোথ ও গলগন্ডসহ জড়বুদ্ধি রোগে ভাল কাজ করে।
৮/ স্ত্রীলোকের ঋতু এক বৎসর যাবৎ বন্ধ থাকলে ও এই ঔষধ সেবনে এক সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় ঋতু অবির্ভাব সম্ভব হইয়া থাকে। ঋতু¯্রাব বন্ধ হয়ে স্তনে দুগ্ধ ক্ষরণ বড়ে যায়। ঋতুস্রাব-পরিমানে প্রচুর, দীর্ঘস্থায়ী, অল্প বয়সে রজ:লোপ।
৯/ ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে স্তনে দুগ্ধ ক্ষরণ বেড়ে যায়।
১০/ ঠান্ডা পানির পিপাসা।
১১/ রাত্রে গাড়িতে বমি ভাব, ঠান্ডায় বৃদ্ধি।
১২/ ক্ষীণ, অবিরাম নাড়ী। সামনে ঝুকিলে বুক ধড়ফড়ানি বেড়ে যায়, বুক ধড়ফড়ানি জন্য বিছানায় শুয়ে থাকতে পারে না। দ্রুত নাড়ী (ন্যাজ) বুকে উদ্বেগ বোধ যেন বুক সঙ্কচিত হয়ে পড়েছে। সামান্য পরিশ্রমে বুক ধড়ফড়ানি হৃদৎপিন্ডের ক্রিয়া দুর্বল, সেই সাথে আঙ্গলের অবশতা।

২/আয়োডিনাম :
ক্রিয়াস্থল : গ্লন্ড সমূহের উপর, স্ত্রীলোকদের স্তন, ডিম্বাকোষ, শ্লৈম্মিক ঝিল্লি, অন্ত্রর ক্রিয়া প্রকাশ করে।

আয়োডিনাম এর চরিত্রগত ও ধাতুগত লক্ষণ :
ক/ অত্যান্ত ক্ষুধা এবং প্রচুর আহার সত্বেও শীর্ণতা। খাওয়ার পর রোগী শান্তি পায়। খাইলে শান্তি পায় না খাইলে অশান্তি শুরু হয়।
খ/ দেহের শীর্ণতা, রোগী এত খায় তবুও শুকাইয়া যায়।
গ/ মেয়েদের স্থন দুটি শুকাইয়া ন্যাকড়ার মত হইয়া পড়ে।
ঘ/ থাইরয়েড, স্তন, যকৃত ডিম্বাধার, অন্ডকোষ, গ্রীবা, প্রষ্টেট গ্রন্থি বা গলা ফোলা, মুত্রশায় ফুলিয়া শক্ত হইয়া যায়।
ঙ/ রোগী গম কাতর তবে সব সময় ঠান্ডা চায়। ঠান্ডা বাতাস, ঠান্ডা পানী পান করতে চায়।
চ/ সামান্য কারণে ঠান্ডা বা সর্দি লেগে যায়।
ছ/ অত্যান্ত গরম প্রবণতা ও দুর্বলাতা।
জ/ স্নান করিতে আগ্রহী, অনেক সময় ২/৩ বারও স্নান করে।
ঝ/ রোগী সামন্য পরিশ্রমেই দুর্বল হইয়া পড়ে।
ঞ/ সিঁড়ি দিয়া উপরে উঠিতে গেলে মনে হয় দম বন্ধ হয়ে যাবে।
নেট্রাম মিউর

সারসংক্ষেপ : অলস্য, নম্রতা, ইন্দ্রিয় শক্তির স্নাহরতা, জৈব তরল পদার্থ নষ্ট হয়ে রক্ত শূন্যতা, ও শ্লেম্মাপ্রধান ধাতু ব্যক্তি। গলার মাঝে প্লাগ থাকার অনুভুতি। সকাল ১০টায়, পূর্বাহ্নে, দৈহিক পরিশ্রমে, ময়দা দ্বারা প্রাস্ত নায় বাড়ে। ঠান্ডা পানিতে গোসলে, শুয়ে থাকলে, ঘামের পরে, চাপে, দীর্ঘ শ্বাসে, ডান পাশে শয়নে ও কাজড় এঁটে পরলে কমে। ক্রোধ খিটখিটে, উৎকন্ঠা, প্রেমাতুর, নির্বাক দু:খ, বিষণতা, অত্যানুভুততিযুক্ত, উদাসীনতা, প্রলাপ, অসন্তষ্ট, স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা, কাঁদে, তেতো ও লবণ প্রিয়তা, প্রকাশ্য স্থানে প্রস্রাব করতে লজ্জাবোধ। পরনো আশাভঙ্গ হতে রোগের উৎপত্তি। দীর্ঘ সময় অবনত হয়ে থাকলে কোমর বা পিঠ ব্যথা করে। ঘামাবস্থায় ব্যথা ছাড়া অন্য সকল লক্ষণ উপশ্রম। শীর্ণতা, স্পপ্নসঞ্চরণ, রক্তস্বপ্লতা ও রক্তস্রাব ।

নেট্রাম মিউর এর বিশেষ লক্ষণ :
১/ পুরনো আশাভঙ্গ হতে রোগী উৎপত্তি।
২/ দীর্গ সময় অবনত হয়ে থাকলে কোমর বা পিঠ ব্যথা করে।
অনুভতি : (ক) জিবে চুল থাকার অনুভুতি।
(খ) উত্তাপর ঝলকাবোধ, ঘুমের সময় যেনো গরম পানি ছিটিয়ে দিচ্ছে এ রুপ অনুভতি।
(গ) উত্তাপের অনুভুতি, জাগলে, রক্তবহা নালিগুলোতে টেটে লম্বা করার অনুভুতি।
সঠিক হোমিপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ/নির্দেশনা ছাড়া কোন ঔষধ সেবন করা উচিত নয়। 
খাইরয়েড রোগীরা কি কি খাবেন :
ফ্রেস ফল এবং শাকসজি, সামুদিক মাছ, প্রচুর পরিমাণে পানি, আদা, সবুজ সবজির রস, কাঁচা সবজি
যেমন : চমেটো, কাঁচা মরিচ, গাজর, শশা, খিরা, পেঁঁপে ইত্যাদি খাবার বেশি খাওয়া উচিত।

থাইরয়েড রোগীদের খাবার বাধা-নিষেধে:
বাঁধাকপি, পুঁইশাক, ব্রকোলি, প্রভৃতি খাদ্য বেশি পরিমাণে খেলে থাইরয়েডের মস্যা হতে পারে।



চিকিৎসার্থে যোগাযোগ করুন-
আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত -১৯৬২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com


সোমবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২২

হার্ট রোগে হোমিপ্যাথিক ঔষধ

হার্ট রোগে হোমিপ্যাথিক ঔষধ



হার্টের চিকিৎসায় হোমিপ্যাথিক ঔষধ :
রোগের না রোগীর চিকিৎসা করা হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানকে যিনি রোগের নামের গোলামী থেকে মুক্তি দিয়েছেন তিনি হচ্ছেন স্যামুয়েল হ্যানিম্যান। এই কৃতিত্বের দাবীদার এক মাত্র তিনি। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা রোগের যত কঠিন কঠিন নামই দেন না কেন, তাতে একজন হোমিও ডাক্তারের ভয় পাওয়ার বা দুঃশ্চিন্ত কোনো করণ নেই। যত চিন্তা তাদের কারণ (এ্যালোপ্যাথ হার্টের ঔষধগুলো ইতর প্রাণীর উপর পরিক্ষীত)। রোগের লক্ষণ এবং রোগীর শারীরিক-মানসিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ঔষধ দিতে থাকুন। রোগের নাম যাই হোক না কেন, তা আরোগ্য হবেই। হ্যানিম্যান এটাই শত-সহস্রবার প্রমাণ করে দিয়েছেন। রোগীর মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পযন্ত সমস্ত লক্ষণ সংগ্রহ করুণ। তারপর সেই অনুযায়ী ঔষধ নির্বাচন করে খাওয়াতে থাকুন হৃদরোগ বাপ বাপ ডাকে ছেড়ে পালাবে। রোগের নাম নিয়ে অযথা সময় নষ্ট করার কোন দরকার নাই। হোমিও চিকিৎসায় যদি আপনার হৃদরোগ নির্মূল না হয় (অথবা কোন উন্নতি না হয়), তবে হোমিওপ্যাথির উপর বিশ্বাস হারাবেন না। কোননা এটি সেই হোমিও চিকিৎসকের ব্যর্থতা।



যদিও সমগ্র লক্ষণ অনুসারে নির্বাচিত যে-কোন হোমিও ঔষধেই যে কোন হৃদরোগ নিরাময় হয়ে যায় এমন কিছু হোমিও ঔষধ আছে যারা হোমিওপ্যাথিতে হৃদরোগের চিকিৎসায় বেশী বেশী ব্যবহৃত হয়। তাদের মধ্যে আছে যেমন : Adonis vernalis, Amylenum nitrosum, Arnica Montana, Cactus grandiforus, Convallaria majalis, Crataegus oxyacantha, Digitalis purpurea, Iberis amara, Kalimia Latifollia, Lachesis mutus, Latrodectus mactans, Laurocerasus, Lilium tig, Lycopus virginicus, Naja tripudians, Natrum muriaricum, Aurum metallicum, vanadium, Spigelia anthelimintica ইত্যাদি। কাজেই হৃদরোগ চিকিৎসায়ও আমাদেও সকলেই উচিৎ প্রথমে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা অবলম্বন করা। কেননা অন্যান্য চিকিৎসা বিজ্ঞানের তলনায় কমপক্ষে একশ ভাগ কম খরচে হেমিও চিকিৎসায় হৃদরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। অপরদিকে এ্যালোপ্যাথিক জাতীয় ঔষধ এবং অপারেশন বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই হৃদরোগীর মৃত্যুকে দ্রুত ডেকে আনে। যে যাক, হৃদরোগ চিকিৎসায় ভাল নাম ডাকওয়ালা বিশেষজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হওয়া উচিৎ। কেননা সাধারণ হোমিও ডাক্তাদের দ্বারা হৃদরোগের চিকিৎসা সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম, বরং হোমিওপ্যাথিতে প্রচন্ড দক্ষতা আছে এমন চিকিৎসক প্রয়োজন।


হোমিওপ্যাথিক ঔষধ :
Crataegus oxyacantha  (ক্রেটিগাস) : হোমিওপ্যাথিতে প্রচালিত হৃদরোগের ঔষধ গুলোর মধ্যে ক্রেটিগাস ঔষধটি হলো হার্টের জন্য ভিটামিন-টনিকের মতো যার তেমন কোন সাইড-ইফেক্ট নেই। এটি একাই শতকরা ৯৫% ভাল হৃদরোগ নিরাময়ের ক্ষমতা রাখে। ধরা যাক আজ থেকে একশ বছর পূর্বে আয়ারল্যান্ডের ডা: গ্রীন নাম একজন হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানী এটি আবিস্কার করেন। তিনি শুধু এই একটি হোমিওপ্যথিক ঔষধ দিয়ে হৃদরোগী আরেগ্য করেছিলেন যে, সারা পৃথিবীতে হৃদরোগের শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক হিসেবে তার নাম ছিড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বজুড়ে। বিশ্বে সকল প্রান্ত থেকে হৃদরোগীরা পঙ্গপালের ন্যায় আয়ারল্যান্ডে ছুঁটে যেতো। তিনি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ নিন্মশক্তি পাঁচ ফোটা করে রোগ ৪ বার করে ঔষধ খাইয়ে অধিকাংশ হৃদরোগীকে রোগ মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

Aurum metallicum  (অরাম মেট) : ব্রিটিশ হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা: বানের্ট অগণিত জটিল হৃদরোগীকে আরোগ্য করে প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে স্বর্ণ থেকে প্রস্তুত এই হোমিওপ্যাথিক ঔষধটি হৃদরোগের একটি অতি প্রয়োজনীয় এবং সেরা ঔষধ। অরাম মেটের প্রধান লক্ষণ হলো দুই-তিন সেকেন্ডের জন্য মনে হয় হৃদপিন্ড বন্ধ হয়ে গেছে, তারপর আবার খুব জোরে চলতে শুরু করেছে, বুক ধড়ফড়ানি, নাড়ির গতি দ্রুত ক্ষীন এবং অনিয়মিত, হৃদপিন্ডের আকৃতি বৃদ্ধি পাওয়া(Hypertrophy) হার্টের ভালবের বা পেশীর বিকৃতি (Valvular lesions of arterio-sclerotic nature) রক্তনালীর প্রাচীর মোটা হওয়া (Arterio-sclerosis) চাপ (increased blood pressure)  হৃদরোগের কারণে শরীরে পানি নামা (Ascites) হৃদপিন্ডের বৈদ্যুতিক ভেল্টেজ কমে যাওয়া  (Pacemaker) বিষন্নতা বা দু:খবোধ (depression) হতাশা, আত্নহত্যার ইচ্ছা ইত্যাদি।
সাধারণত রোগীর বা তাহার পিতা-মাতা-স্বামীর অতীতে সিফিলিস রোগ হয়ে থাকলে আনাম মেট দারুণ ফল দেবে। মোটামুটি বলা যায়, আরাম মেটি একাই এ যুগের বহুল প্রচালিত হৃদরোগসমুহের শত করা ৯৫% ভাগ হৃদরোগ নিরাময় করতে সঙ্খম।

Digitalis purpurea (ডিজিটালিস) : জর্জ ভিথলকাসের মতে কোন হৃদরোগীর নাড়ির গতি যদি মিটিটে ৫০ বার অথবা তার চেয়ে কম হয়, তাবে তাকে চিশ্চিত ভাবেই ডিজিটালিস খাওয়াতে হবে। কেননা ইহা ডিজিটালিসের একেবাওে স্প্যাসিফিক লক্ষণ। তার হৃদরোগের নাম যাই কোন না কেন সেটি অবশ্যই সেরে যাবে। অবশ্য হৃদরোগ না হয়ে যদি লিভার, কিডনী, মস্তিস্ক, পাকস্থলী বা চর্মরোগ যাই হোক না কেন, নিরাময় হতে বাধ্য। ডিজিটালিসের অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে আছে নাড়িরগতি দুর্বল অনিয়মিত, বিরতিযুক্ত, খবই ধীরগতি সম্পন্ন, শরীরের বাইরের এবং ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যাঙ্গে পানি নামে/শোথ (dropsy) মায়োকার্ডয়ামের বৃদ্ধি (dilatation of the myocardium),  তরিকুলার ফ্লটার এন্ড ফিব্রিলেশান (auricular flutter and fibrillation), হার্ট ব্লক (heart block), মাইট্রাল ডিজিজ (mitral disease),  অত্যান্ত দুর্বলাত, অল্পতে বেহুঁশ হওয়া, চামড়া ঠান্ডা, শ্বাস-প্রশ্বাস অনিয়মিত, জন্ডিস, মুখমন্ডল নীলচে, সামান্য নড়াচাড়াতেই ভীষণ বুক ধড়ফড়ানি, নড়লেই মনে হয় হৃদপিন্ড বন্ধ হয়ে যাবে। পেরিকার্ডইডিস (pericarditis),  ইত্যাদি।


Lachesis mutus (ল্যাকেসিস) : কোন রোগীর ঘামলে হৃদরোগের বেড়ে যায়, নিদ্রা গেলে হৃদরোগ বৃদ্ধি পায়, তবে তাকে ল্যাকেসিস দেওয়া যেতে পারে। মনে রাখবেন হৃদরোগের নাম যাই কোন না কেন, তার নিশ্চিত রোগ মুক্ত আশা করতে পারেন।


Adonis vernalis ( এডোনিজ): সাধারণত বাতে আক্রমণ, ইনফ্লুয়েঞ্জা, বা ব্রাইটস ডিজিজের পরে হৃদরোগ দেখা দিলে তাতে এডোনিজ প্রয়োজ্য। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো হৃদপেশীর ফ্যাটি ডিজেনারেশন (fatty degeneration), হৃদরোগের কারণে শরীর পানি নামা (Cardiac dropsy), দুর্বল হার্ট এবং দুর্বল নাড়ি, মাইট্রাল এবং এওটিক রিগারজিটেশান (Mitral and aortic regurgitation),  এওরটার পুরাতন প্রদাহ ( Fatty heart pericarditis) ফ্যাটিহার্ট পেরিকার্ডাইটিস  (Rheunatic Emdocarditis), বাত জনিত এন্ডোকার্ডাইটিস (prececordial pan), হৃদপিন্ডে ব্যাথা (palpitation) বুক ধড়ফড়ানি (Palapitation),  শ্বাসকষ্ট (dyspnoea), হৃদরোগজনিত হাঁপানি (Cardiac asthma), মায়োকার্ডাইটিস (Myocarditis)  ইত্যাদি হার্টেও ভাল্বের সমস্যায় ইহা ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

Arnica Montana ( আর্নিকা) : আর্নিকা হৃদপিন্ডের ব্যথার সবচেয়ে ভালো ঔষধ। যাদের ঘন ঘন বুকে ব্যথা উঠে অথবা যাদের একবার হার্ট এটাকের  (স্টাক) হয়েছে, তাদের সব সময় আর্নিকা ঔষধটি পকেটে নিয়ে চলাফেরা করা উচিত। এটি আপনাকে হার্ট এটাকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতলের যাওয়া বা অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।

Latrodectus mactans  (লেট্রোডেক্টাস ম্যাকটেনস) : হৃদপিন্ডের ব্যথার সব চেয়ে ভালো ঔষধ হলো লেট্রোডেক্টাস ম্যাকটেনস (Latrodectus mactans)  বিশেষত ব্যথা যখন বাম হাতের দিকে ছড়াতে থাকে। মনে হয় কেউ যেন শক্ত হাতে গলা চেপে ধরেছে, দম বন্ধ হয়ে এখনই মারা যাবে এ লক্ষণে ব্যবহার করা যায়। 

Amylenum nitrosum (অ্যামিলেনাম নাইট্রোসাম):  এটি হৃদপিন্ডের ব্যথার সবচেয়ে কমন ঔষধ। এটি হৃদপিন্ডের এবং শরীরের ওপরের অংশের রক্তনালীকে প্রসারিত কারার মাধ্যমে বুকে ব্যথা নিরাময় করে।

Glonoine (গ্লোনাইন) : গ্লোনাইন হলো হৃদপিন্ডের ব্যথার এক নাম্বার ঔষধ যা সুনির্দিষ্ট কোন লক্ষণ ছাড়াই রোগীকে দেওয়া য়ায়। পাশাপাশি এটি হাই-ব্লাড প্রেসারের ও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ।

Cactus grandiflorun  : (ক্যাকটাস গ্র্যান্ডিফ্লোরাস) ইহা হৃদপিন্ড রোগের একিট উল্লেখযোগ্য ঔষধ। প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো মনে হবে হৃদপিন্ডকে কেউ তার লোহার হাত দিয়ে এমন ভাবে চেপে ধরছে যে সেটি নড়াচড়া করতে পারছে না।

Convallaria majalis (কনভাল্লারিয়া মাজালিস) : কনভেলেরিয়া রেগুলার অথবা ইরেগুলার হার্ট বিট বিশিষ্ট দুর্বল হৃদপিন্ডের জন্য একটি মুল্যবান ঔষধ, সাথে ভাল্বের সমস্যা থাকুক অথবা নাই থাকুক। ইহার প্রধান লক্ষণ হলো রোগী শুইতে পারে না (অর্থাৎ শুইলে রোগ মাত্রা বেড়ে যায়। ইহাতে ব্যাবহার করা যেতে পারে।

Vanadium (ভ্যানডিয়াম) : সাধারণত বয়স চল্লিশের দিকে আসলে মানুষ নানা রকমের রক্তনালী সংক্রান্ত রোগের বা হৃদরোগে আক্রান্ত হতে শুরু করে।
এ জন্য এই বয়স থেকে প্রত্যেকের (নিন্ম শক্তিতে বছর অন্তর একমাস) ড্যানাডিয়াম খাওয়া উচিত। তাহলে হৃদরোগ ধরেকাছে আসতে পারবে না। লক্ষণ অনুযায়ী হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবন করলে হার্টেও জটিল রোগ নিরাময় হবে ইনসাআল্লাহ


চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ :
আরোগ্য হোমিও হল
প্রতিষ্ঠাতা: মৃত: ডা: আজিজুর রহমান
প্রা: ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)
বি.এস. এস/ ডি.এইচ.এম.এস (ঢাকা)
ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)
ডি.এইচ.এম.এস (ঢাকা)
রেজিষ্টার্ড নং- ১৬৯৪২
স্থাপিত – ১৯৬২ ইং
মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী
মোবাইল ০১৭১৮-১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com








শনিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২২

  পুরুষদের বন্ধ্যাত্বে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিন

পুরুষদের বন্ধ্যাত্বে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিন




 
পুরুষদের বন্ধ্যাত্বে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :

পুরুষের শুক্রাণুর গুনগত মান বাড়াতে কিছু পরামর্শ..
শুক্রাণুর গুণগত মানের হ্রস ও শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়া সারা বিশ্বজুড়েই এখন বিজ্ঞানীদের মহা চিন্তার বিষয় হয়ে দঁড়িয়েছে। শুক্রাণু নিয়ে সমস্যা সমাধানে বিজ্ঞানীরা কিছু উপায় খুজে পেয়েছে। তা নিয়ে নিয়ে আলোচনা করা হলো :

পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা উন্নতি ঘটাতে পারে কোন কোন পুষ্টিকর পদার্থ এবং খাদ্য, যে গুলো খাবারের পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে সে খাদ্য গুলো খাদ্য গুলো খান।
পুরুষত্বহীনতা বা পুরুষদের বন্ধ্যাত্বে চিকিৎসায় আয়ুর্বেদ মতে মধুর ব্যবহার নতুন নয়। মধু মিশিয়ে নিয়মিত এক গøাস করে দুধ খেলে স্পার্ম কাউন্ট শূন্য থেকে বেড়ে ৬ কোটি পর্যন্ত হতে পারে। মানবদেহে শুক্রাণুর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আপনি যদি অপনার জীবনে নতুন অতিথি চান ত হলে এখন থেকেই প্রস্তিুতি নিন। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, দুধের মধ্যে থাকা ভিটামিন এ পুরুষ সেক্স হরমোনের পরিমাণ বাড়ায়। অন্যদিকে মধুতে থাকা ভিটামিন ই ও জিঙ্ক সেক্স স্টিমুল্যান্ট হিসেবে কাজ করে পুরুষদের যৌনশক্তি বাড়ায়। সমীক্ষায় জনা গেলে ১৮ থেকে ৫০ এর মধ্যে বয়স এমন ১০ শতাংশ পুরুষই লো স্পার্ম কউন্টের শিকার। তাই নিয়মিত মধু মিশিয়ে দুধ খেলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে। 

বিশেষজ্ঞরা জানিয়ছেন, ঘরোয়া বেশ কিছু উপায়ে শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ানে যায়। এক গøাস দুধ ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে তাতে মধু মিশিয়ে পান করতে হবে। নিয়মিত কিছুদিন খেলে বীর্যে স্বাস্থ্যকর শুক্রাণু সংখ্যা বাড়বে।


১/ ডার্ক চকোলেট
শক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য প্রথম এবং সম্ভবত সবচেয়ে সেরা খাধ্যটি হল ডার্ক চকোলেট। চকোলেট প্রস্তুতকারী ক্যাকাও বিনগুলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। আবার ডার্ক চকোলেটের মধ্যে থাকে এলু আরজিনিন নামক একটি উৎসেচক যা শুক্রাণুর পরিমাণ বাড়িতে সাহায্য করে। ডিনারের শেষে স্বাদের পরিতৃপ্তির জন্য একটা সুস্বাদু ডেজার্টেও পরিবর্তে আপনি এবং আপনার সঙ্গী এক টুকরো ডার্ক চকোলেট নিয়ে ভাগ করে খেতে পারে।

২/ ডিম
এ ব্যাপারে কোনও গোপনীয়তা নেই যে শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য
ডিম হর একটা মৌলিক সুপার ফুড। ডিম ভিটামিন ই এবং প্রোটিনে সমৃদ্ধ যা শুক্রাণু সক্রিয়তায় সাহায্য করে। ডিম খেলে তা আবার ফ্রী র‌্যাডিক্যাল বা মুক্ত মূলকগুলির থেকেও শুক্রাণুকে রক্ষা করে, এর ফলে নিষেকের সম্ভবনা দ্বিগুণ হয়ে যায়। তাছাড়াও ডিম হল জিঙ্কের একটি সমৃদ্ধ উৎস যা
শুক্রাণূও সক্রিয়তার বিকাশের জন্য পরিচিত । অপনার শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য অসংখ্যভাবে ডিম খান।

৩/ গোজি বেরি
শুক্রাণুর সংখ্যা  বৃদ্ধিকারী একটি ভারতীয় সুপার ফুড, গোজি বেরি হল প্রকৃতির দান। গোজি বেরি মেজাজ এবং স্ক্রোটাম স্যাকের চারপাশে তাপমাত্রার উন্নতি ঘটাতে সহায়তা করে যা শুক্রাণু উৎপাদনকে অনুকুল করে তোলে। যদি এর কোনও চিকিৎসা ভিত্তিক প্রমাণ নেই তবে এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শুক্রাণুর সক্রিয়তা এবং প্রজনন ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়।

৪/ কলা  
শুক্রানুর উৎপাদন বৃদ্ধিও জন্য করা হলে নি:সন্দেহে একটি সেরা পছন্দের  খাবার। ফ্যালিক আকৃতির এই ফলটি ভিটামিন বি ১, সি এবং ম্যাগনেসিয়ামে বমৃদ্ধ যা শুক্রাণুর গতিশীলতা বৃদ্ধি করে এবং শুক্রাণু উৎপাদনে সাহায্য করে। কলার মধ্যে আবার ব্রোমেলাইন নামক একটা বিরল উৎসেচকও থাকে যা শুক্রাণুর সংখ্যা এবং গতি শীলতা বাড়াতে সহায়তা করে। এ গুলি আবার সেক্স হরমোন গুলিকে নিয়ন্ত্রণ এবং আপনার মেজাজকে প্রফুল্ল করে তুলতে পারে। সুতারাং আপনি যদি কলা খেতে ভালোবাসেন তবে তা অব্যাহত রাখান জন্য আপনার যথেষ্ট এবং আরও বিশেষ কিছু কারণ ও আছে।

৫/ রসুন
রসুন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করার পাশাপাশি স্কোটামের মধ্যে শুক্রাণু উৎপাদন বৃদ্ধি করতে ও সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকে অ্যালিসিন যা সঠিক অংশ গুলিতে রক্ত সঞ্চালনকে উদ্দীপিত করার জন্য প্রয়োজনীয় যৌন অঙ্গাণুগুলিতে রক্ত অবাধে প্রবাহিত হয় এবং কোনও রকম ড্যামাজ হাওয়া থেকে সে গুলিকে রক্ষা করে। সিলেনিয়াম, যা অপর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসেচক, রসুনের মধ্যে পাওয়া যায় যা শুক্রাণু গতি শীলতা উন্নত করতে সহায়তা করে থাকে।

৬/ পালংশাক
সজু শাকসবজি খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো কারণ এগুলি আমাদের দেহের মধ্যে অসংখ্য ক্রিয়াকলাপগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। সবুজ শাক-পাতাগুলো বিশেষ করে শুক্রাণু উৎপাদনে সাহায্য করতে পারে। পালংশাক ফোলিক অ্যাডিডে সমৃদ্ধ যা শুক্রাণুর বিকাশের জন্য অপরিহার্য।

৭/ শতমূলী 
শতমূলী বা অ্যাসপারাগাস হল ভিটামিনের একটা ভাল উৎস, যা ফ্রী র‌্যাডিক্যালগুলি থেকে শুক্রাণুকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটা আবার এমনকি শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে এবং ডিম্বাণুর দিকে সাঁতরে যেতে সাহায্য কারার মধ্যে প্রজননের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।

৮/ আখরোট
আখরোটগুলি ব্রেন ফুড হিসেবে সুপরিচিত, তাবে এগুলি শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।  ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাডিডে সমৃদ্ধ হওয়ায়, আখরোট শুক্রাণুর জীবনী শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।

৯/ ঝিনুক বা অয়েস্টার
ঝিনুক হল জিঙ্কের একটা দুর্দান্ত উৎস যা শুক্রাণুর সক্রিয়তার উন্নতি করতে সাহায্য করে। অতএব, ঝিনুক খান এগুলে গøাইকোজেন এবং টরিন সরবরাহ কারার মাধ্যমে আপনার প্রজনন প্রক্রিয়াটিকে উদ্দীপ্ত করতে সাহায্য করে।

১০/ অশ্বগন্ধা (জিন্সং)
প্রাচীন এই মূলটি একটি চমৎসার আমোত্তেজক বস্তু হিসেবে কাজ করে এবং বহুকাল ধরে বিভিন্ন ধরনের রান্নার কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে। বলা হয় যে এটা কেবল টেস্টোস্টেরন বাড়ায় না তার সাথে সাথে আবার ইরেকটাইল ডিসফাংশনের চিকিৎসাতেও সাহায্য করে। এটি তাজা বা শুকনো আকারে পাওয়া যায় এবং চা হিসেবে খাওয়া হয়।


১১/ ডালিম
যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ডালিম পরিচিত। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলির একটি সমৃদ্ধ উৎস হওয়ার কারণে এগুলি শুক্রাণুর মাত্রা এবং শুক্রাণু উৎপাদনের গুণগত মান বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। প্রতিটি অন্য দিনে আপনি ডালিমকে কাঁচা অথবা রস আকারে খেতে পারেন।

১২/ কুমড়ো দানা
এই বীজগুলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোস্টেরল এবং অ্যামাইনো অ্যাসিডে পুর্ণ যা পুরুষেদের মধ্যে প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কুমড়োর দানা আবার শুক্রাণুর সংখ্যা, গতিশীলতা এবং সার্বিক ভাবে পুরুষত্ব বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আপনি এই বীজগুলিকে স্যালাডের উপর টপিং হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কিম্বা ¯œ্যাক্সেও মত সে গুলিকে কঁাঁচাই খেতে পারেন।

১৩/ গাজর
গাজর খাওয়া যেতে পারে একটি ¯œ্যাক্স বা সবজি হিসেবে। গাজর বিটা ক্যারোটিনের একটা সমৃদ্ধ উৎস, যেটি হল এক প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রী র‌্যাডিক্যালগুলির থেকে শুক্রাণুকে রক্ষা করার মাধ্যমে তার স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করে। আর এর ফল রুপে এটি শুক্রাণুর গতিশীলতা বৃদ্ধি করে, আর এ ভাবে সেটিকে ডিম্বাণুতে পোঁছাতে সাহায্য করে।

১৪/ মুসুর
রান্না করা মুসুরগুলি হল ফোলিক অ্যাডিডের এক চমৎকার উৎস, এটি শুক্রাণূ উৎপাদনের একটি গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। ফোলিক অ্যাডিডের অভাব পুরুষদের মধ্যে ক্রোমোজোমীয় অস্বাভাবিকতাগুলি সৃষ্টি করতে পারে, সুতরাং প্রত্যহ মুসুর খাওয়ার দরকার।

১৫/ জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাদ্য
জিঙ্ক সমৃদ্ধ যে কোনও খাদ্য ফ্রী র‌্যাডিক্যাল ড্যামেজ হওয়া থেকে শুক্রানূকে রক্ষা করে। এটি আবার কাম শক্তিকেও দউদ্দীপ্ত করে তোলে। সব ধরনের মাছ জিঙ্কেও একটা দুর্দান্ত উৎস। আপনি আপনার জিঙ্ক গ্রহণের পরিমাণ বড়িয়ে তুলতে পারেন। বাদাম, মটরশুটি, সম্পূর্ণ গমের দানা, ফর্টিফায়েড বা বলবৃদ্ধিকারী সিরিয়াল বা দানাশস্য এবং দুগ্ধজাতীয় খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে।

১৬/ গোমাংস
রেড মিট যেমন গোমাংস হল জিঙ্কের একটি অসাধারণ উৎস। গোমাংস আবার ফোলিক অ্যাসিড এবং সিলেনিয়ামেরও একটা সমৃদ্ধ উৎস, যা শুক্রাণুর স্বাস্থ্যেও উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। আপনি যদি মাংস খেতে পছন্দ করেন, গোমাংস বা বীফ খান এটা শুক্রাণুর উৎপাদন এবং গতিশীলতায় সাহায্য করবে।

১৭/ মেথি
ভারতীয় প্রতিটি পরিবারে ব্যবহার হওয়া ঐতিহ্যবাহী উপকরণ, মেথি বা ফেনুগ্রীক, শুক্রাণূর সংখ্যা এবং কামশক্তি, বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। ডাল অথবা যে কোনও সবজিতেই এটি ফোরণ হিসেবে বা অন্য যে কোন ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

১৯/ অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল
নিয়মিত অলিভ অয়েল গ্রহণ করলে তা শুক্রাণুর সংখ্যা এবং তার গুণমানের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। এটা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কম রাখে, টেস্টিক্যালে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করে। এবং সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর শুক্রাণু গঠনে সাহায্য করে।

২০/ টমেটো
টমেটো হল প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী দুর্দান্ত একটি খাদ্য। এর মধ্যে রয়েছে লাইকোপিন, যেটি হল এক প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা বীর্যের গঠন এবং ক্রিয়াকলাপ উন্নত করার জন্য পরিচিত। টমেটো নিয়মিত সেবন করলে তা পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে।

কয়েকটি টিপস আপনার প্রজনন মাত্রা উন্নত করার জন্য 
এই খাবার গুলি খাওয়ার পাশাপাশি আপনার শুক্রাণুর স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে আপনার জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসা উটিত। সুতরাং আপনি যদি আপনার প্রজনন ক্ষমতার মাত্রাটি উন্নত করতে চান তবে আপনার মেচে চলা উচিত এমন কিছু টিপস এখানে দেওয়া হল।

ক/ আপনার প্রজনন ক্ষমতা উন্নতি করতে আপনাকে অবশ্যই ধুমপান ত্যাগ করতে হবে। ধুমপান পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। সুতরাং আপনার ধুমপান ত্যাগ করাটা গুরুত্বপূর্ণ।

খ/ দীর্ঘ সময় ধরে একটানা বসে থাকা এড়িয়ে চলুন কারণ এটা আপনার স্ক্রটালের তাপমাত্রাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে যা আবার আপনান প্রজনন ক্ষমতাতে ও প্রভাব ফেলতে পারে। 

গ/ আপনি যদি সন্তান চান, বারেবারে সঙ্গম করুন । আপনার স্ত্রীর ওভ্যুলেটিং পর্বে তার সাথে সঙ্গম করলে, তার গর্ভবতী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা অবশ্যই বাড়বে, তবে বারবার সঙ্গম করলে আপনার প্রজননের মাত্রা উন্নত হবে।

ঘ/ আপনি যদি অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী বা স্থলতার শিকার হন, তবে আপনার ওজনকে একটা স্বাস্থ্যকর মাত্রায় নিয়ে আসতে কঠোর পরিশ্রম করুন। অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী বা স্থলতা হরমোন ভারসাম্যকে বিঘি্নত করে, পরিমানে যা আবার শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস করে।

ঙ/ স্বাস্থ্যকর ফ্যাট গ্রহণের পরিমাণটিকে আপনি বাড়ান ওমেগা -৩ এবং ওমেগা-৬ এর মতো পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটগুলি শুক্রাণু ঝিল্লির স্বাস্থ্যকর বিকাশে সহায়তা করে। 

আপনার যায়েটের সাথে পুষ্টিকর খাদ্যগুলি অন্তর্ভুক্ত করুণ। অপনার প্রজনন ক্ষমতার মাত্রায় উন্নতি ঘটতে উল্লেখ্য খাদ্যগুলি গ্রহণ করুণ এবং ধুমপান ত্যাগ করুণ।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে শুক্রাণু এর পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব বলে করছেন বিজ্ঞানীরা। নিন্মে কয়েকটি ঔষধের লক্ষণ অনুযায়ী ঔষধ দেওয়া যেতে পারে।

হোমিওপ্যাথিক ঔষধ :
লাইকোপোডিয়াম, ক্যালেডিয়ম, এগনাস, বিউফো, অনোসেমোডিয়াম, এসিড ফস, ডামিয়ানা, নাক্স ভোম, ক্যানথারিস, ট্রিবিউলাস, কষ্টিকাম, ষ্টেফেসিগ্রিয়া ইত্যাদি।






চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ :-

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বি.এস.এস/ ডি.এইচ. এম.এস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডি.এইচ. এম.এস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত -১৯৬২ ইং

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২২

বাচ্চাদের বিছানায় প্রস্রাবে হোমিওপ্যাথিক ও বায়োকেমিক ঔষধ

বাচ্চাদের বিছানায় প্রস্রাবে হোমিওপ্যাথিক ও বায়োকেমিক ঔষধ



বাচ্চাদের বিছানায় প্রস্রাবে হোমিওপ্যাথিক ও বায়োকেমিক চিকিৎসা:


একটু বড় বাচ্চাদের বিছানায় প্রস্রাব করা একটি রোগ। এই রোগটির নাম ইনুওরেসি'স। সাধারণত ৪-৫ বছরের ভেতর একটি শিশু পূর্ণভাবে টয়লেটে গিয়ে প্রস্রাব করতে শিখে। যদি ৫ বছরের পরেও কেউ বিছানায় প্রস্রাব করতে থাকে তাহলেই আমরা তাকে ‘ইনুওরেসিস বলবো। কেউ কেউ প্রথম থেকেই টয়লেটে গিয়ে প্রস্রাবের অভ্যাসটি রপ্ত করতে পারে না। অন্যরা আবার প্রথমে হয়ত অভ্যাসটি ঠিকই গড়ে তুলেছিল কিন্তু কয়েক বছর পর আবার কাপড়ে প্রস্রাব করা শুরু করে।

প্রথম ক্ষেত্রটিকে আমরা প্রাইমারি এবং দ্বিতীয় ক্ষেত্রটিকে সেকেন্ডারি ইনওরেসিস বলবো। সাধারণত মেয়েদের তুলনায় ছেলেরাই এ রোগে বেশি ভোগে। সম্ভবত এই কারণে যে, কোন কিছু শিক্ষণের (Learning) জন্য যে Conditioning-এর প্রয়োজন তা মেয়েদের ক্ষেত্রে সহজে ঘটে। সংখ্যা তথ্য সাধারণত কত শিশু এই রোগে ভোগে তার কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য বাংলাদেশে নেই।

তবে বৃটেনে ৫ বছর পর্যন্ত ১০%, ৮ বছর পর্যন্ত ৪% এবং ১৪ বছর পর্যন্ত ১% শিশু এই রোগে ভুগে থাকে। বাস্তবে এর চেয়েও বেশিসংখ্যক শিশু এই রোগে ভুগে থাকে। কিন্তু তাদের বাপ-মা তা ডাক্তারের কাছে রিপোর্ট করে না বলে রেকর্ডকৃত হচ্ছে না। এবং এ কারণেই যারা ডাক্তারের কাছে চিকিৎসার জন্য আসে তাদের বয়স প্রায়ই ৮/১০ কিংবা তারও বেশি হয়ে থাকে। যদি এই ন্যূনতম হিসেবেও ধরা হয় তাহলে বাংলাদেশে ৮ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে ১৬-২০ লাখ শিশু এই রোগটিতে ভুগছে।

কারণসমূহ -- বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোন শারীরিক কারণ পাওয়া যায় না। তাই কারণসমূহকে দুইভাবে ভাগ করা যায়।

ক. শারীরিক কারণ

১. মূত্রনালীর সংক্রমণ,

২. প্রস্রাবের থলির ধারণ ক্ষমতা কম হওয়া কিংবা তার কার্যকারিতায় ত্রুটি থাকা

৩. স্নায়ু সিস্টেম-এর পূর্ণতা বা পরিপক্কতা (Maturation)দেরিতে হওয়া

৪. বংশগতির প্রভাব থাকা, কেননা দেখা গেছে এসব রোগীর ৭০% নিকটাত্মীয়েরও এই রোগ ছিল। তাছাড়া ডায়াবেটিস, মৃগীরোগ, স্পাইনা বাইফডা ইত্যাদি রোগের সঙ্গেও এর লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে।

 খ. মানসিক ও পারিপার্শ্বিককারণ সমূহ -- এটার মধ্যে রয়েছে অত্যন্ত কড়াকড়িভাবে টয়লেট ট্রেনিং করানো, শিশুর প্রতি বাপ-মা'র নেতিবাচক কিংবা উদাসীন দৃষ্টিভঙ্গি, সংসারে অশান্তি ইত্যাদি


হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :
রাস-এরোমেটিক (Rhus – Aromatica):শিশুদের বিছানায় প্রস্রাবে রাস-এরোমেটিক(Rhus – Aromatica), দিনে ৩ বার ৫ ফোটা করে অব্যর্থ ফল দেয়।

(Cina) : ক্রিমিতে আক্রান্ত শিশুরা যদি ঘুমের ঘোরে বিছানায় অসারে প্রস্রাব করে এবং সর্বদা ফোটা ফোটা প্রস্রাব করে তাদের জন্য সিনা দেয়া প্রয়োজন।২০০ ও ওয়ান এম শক্তির ঔষধ সকাল বিকাল দুই মাত্র সেব্য। শিশু মাঝে মাঝেই নাক চুলকায় বা বালিশে নাক ঘষে। ঘুমের মধ্য দাঁত কড়কড় করে। অত্যধিক আবদারপরায়ণ। অনবরত এটি ওটি চায়। দিলেও সন্তুষ্ট হয় না। আবার আর কিছু খায়। অত্যধিক ক্ষুধা ও খায়। জিহ্বা পরিষ্কার এমন শিশু বিছানায় প্রস্রাব করলে সিনা (Cina 2০০, 1০০০ প্রয়ােজ্য।

(Causticum) : শিশু প্রথম ঘুমেই বিছানায় প্রস্রাব করে কষ্টিকাম তাদের পরম বন্ধু। শীতকালে বিছানায় প্রস্রাবের প্রবনতা বেশি হলে কষ্টিকাম উত্তম ঔষধ। বিছানায় প্র্রস্রাবের চিকিৎসার কথা মনে হলেই এই ঔষধের নাম স্মরন করা হয়। ৩০ বা ২০০ শক্তির ঔষধ দিনে দুই মাত্রা সেবন করতে হয়। 
ঘুমের মধ্য অসাড়ে প্রস্রাব করে, কিছুই জানতে পারে না। শিশু / বাচ্চা খুব নম্র। তিরঙ্কার করলে কেঁদে ফেলে। হাচি কাশির সময় ২/১ ফোটা প্রস্রাব বের হওয়ার অভ্যাসে কষ্টিকাম (Causticum) 200, 1000.

(Kreosote): যেসব বাচ্চারা মনে করে যে সে বাহিরে প্রস্রাব করছে কিন্তু ঘুম থেকে উঠে দেথে যে নিজের বিছানায়ই প্রস্রাব করেছে, সহজে জাগানো যায় না, বিছানায় প্রস্রাব করার পরেও বাচ্চা ঘুম থেকে জাগ্রত হয় না, প্রস্রাবে ভিজেই ঘুমাতে থাকে। 
দিনই জোর করে হলেও প্রস্রাব করিয়ে শোয়ানো তবুও শয়নের পর পরই প্রস্রাব করে ফেলে। বিছানায় প্রস্রাব করে অপরাধ বোধ করে, শিশু ভয়ানক শীতকাতর এরূপ লক্ষনের রোগীর জন্য ক্রিয়োজোট (Kreosote)প্রয়োজন । (Kreosote) c«‡qvRb | 30/200 শক্তির ঔষধ দিনে দুই মাত্রা সেব্য।

সিপিয়া (Sepia) : যে বাচ্চা প্রথম ঘুমেই বিছানায় প্রস্রাব করে এবং প্রস্রাবে দুর্ঘন্ধ থাকে তার জন্য সিপিয়া পরম বন্ধু। বিশেষ করে মেয়েদের বিছানায় প্রস্রাবের সমস্যায়  সিপিয়া (Sepia) : ভালো কাজ করে। 3০ বা 2০০ শক্তির ঔষধ দিনে দুই মাত্রা সেব্য।

(Sulphur) : সোরার প্রবনতা বা সুপ্ত সোরার বহিঃপ্রকাশ, গোসলে অনিহা, মিস্টি ও মশলা জাতীয় খাবার পছন্দ ,  যে সকল বাচ্চারা অতিরিক্ত দুষ্ট, বদমেজাজি এবং রাতের দ্বিতীয়ার্ধে বিছানায় প্রস্রাব করেন তাদের ক্ষেত্রে সালফার (Sulphur)কার্যকরী।

মেডোরিনাম Medorrhinum): সাইকোসিস ধাতুর রোগী এবং সুনির্বাচিত ঔষধ ব্যর্থ হলে মেডোরিনাম কার্যকরী, মেডোরিনামের শিশুরা দিনের বেলায় ঘুমালেও প্রস্রাব করে দেয়। রাত্রে বিছানায় প্রস্রাব করে। প্রস্রাব খুব দুর্গন্ধযুক্ত। রক্তশুন্য, শুষ্ক, শীর্ণ দূর্বল স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন, খর্বাকৃতি ও স্থূলবুদ্ধি বিশিষ্ট শিশু। সে বাতাস চায় কিন্তু সে ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না।
গনােরিয়া চাপা পড়া পিতামাতার সন্তানদের বিছানায় প্রস্রাব করার মেডোরিনাম Medorrhinum): উৎকৃষ্ট ঔষধ । শিশুর স্মরণশক্তি একবারেই কম। পড়ে মনে রাখতে পারে না। অংক মােটেই বুঝে না। প্রস্রাবে খুব দুর্গন্ধ। ক্ষুধা ও পিপাসা বেশী। দেহ শীর্ণ ও বামন।

সিফিলিনাম (Syphilinum) :সিফিলিটিক মায়াজমের শিশুরা রাত্রে ঘুমানোর সাথে সাথেই প্রস্রাব করে দেয়, এবং রাত্রের মধ্যে কয়েকবার বিছানায় প্রস্রাব করে, মুখে লালা জমার প্রবনতা এবং মুখে দুর্গন্ধ হয়।

স্যানিকিউলা (Sanicula) :  দিনের বেলায় যে সমস্ত শিশু বাচ্চারা কাপড় খুলতে খুলতে বা বিছানা হতে নামতে নামতেই প্রস্রাব করে ফেলে সেই সমস্ত শিশুদের রাত্রে বিছানায় প্রস্রাব করার ক্ষেত্রে ব্যবহার্য্য। প্রস্রাব করা স্থানে লালাভ দাগ পড়ে। তার মলের এক অদ্ভুত লক্ষণ এই যে, মল তার চার কোনা বিশিষ্ট হয়। শিশুর ঘাড়ে অত্যধিক ঘাম হয় এরকম লক্ষন ও বৈশিষ্ট্যে স্যানিকিউলা (Sanicula) : 3০, 2০০, 1০০০

সার্সাপেরিলা (Sarsaparilla):  যে সমস্ত শিশু বাচ্চারা জাগ্রত অবস্থায় না দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে পারে না, বসে প্রস্রাব করতে গেলে ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব নির্গত হয়, তাদের বিছানায় প্রস্রাব করার ইহা ভাল ঔষধ। জাগ্রত অবস্থার না দাঁড়ালে ভালভাবে প্রস্রাব না হওয়া অথচ শয়ন ও নিদ্রাঘােরে অসাড়ে প্রস্রাব হওয়া এর বিশেষত্ব। প্রস্রাব শেষ হওয়ায় প্রাক্কালে ভয়ানক যাতনা ও বিদ্যুৎ প্রবাহের ন্যায় শরীর ঝাকি দেয়াও এর আর এক বিশেষত্ব। এরূপ লক্ষন  বৈশিষ্ট্যে সার্সাপেরিলা (Sarsaparilla): 3০, 2০০, 1০০০

অ্যাসিড ফস (Acid Phos) : স্নায়ুতন্ত্রের কারণে মানসিক ও শারীরিক অক্ষমতা (রাতে বিছানায় মূত্রত্যাগ) নিয়ন্ত্রণ করতে উপযোগী।

ইকুইজেটাম (Equisetum) : কোন ঔষধ কাজ না করলে ইকুইজেটাম (ঊয়ঁরংবঃঁস) ৬ শক্তি দিনে তিন বার সেব্য।

ক্রিমি থাকিলে সিনা (Cina Maritima) ২০০ বা সােমরাজ Q, ৫ ফোটা করিয়া দিনে ৪বার কিছুদিন সেবনীয়। - ডাঃ প্রস্রাদ বন্দ্যোপাধ্যায়

ব্লুমিয়া ওডাে (Blumea Odorata) 2x (ডাঃ কাসিং) দিনে ৩ বার ৩ ফোটা করে। 

খুজা (Thuja Occidentalis) :আচিলযুক্ত বা লাল তিলওয়ালা শিশুদের বিছানায় প্রস্রাব করা ব্যাধিতে খুজা (Thuja Occidentalis) :2০০, 1০০০।

ব্যাসিলিনাম (Bacillinum): শিশু বা বালকদের শয্যামূত্রের ক্ষেত্রে ভালাে ওষুধ ব্যাসিলিনাম (Bacillinum)। - ডাঃ ফুবিস্টার (Foubister)



শিশুর বিছানায় প্রস্রাবের সমস্যায় বায়োকেমিক চিকিৎসা :
নেট্রাম ফস ( Natrum Phos):   ক্রিমিতে আক্রান্ত শিশুরা বিছানায় প্রস্রাব করলে  Natrum Pho– 3X ১/৪  বড়ি দিনে তিন বার বয়স অনুসারে সেব্য 

নেট্রাম সালফ ( Natrum Sulph):  শিশুরা বিছানায় প্রস্রাব করলে  নেট্রাম সালফ – 6x; ১/৪  বড়ি দিনে তিন বার বয়স অনুসারে সেব্য 

ক্যালকেরিয়া ফস (Calcarea phos): রক্ত শুন্য দুর্বল পুষ্টিহীন শিশুর  বিছানায় প্রস্রাব  বন্ধের জন্য (Calcarea phos)- 6x ev 12x,  ১ /৪  বড়ি দিনে তিন বার বয়স অনুসারে সেব্য

কেলি ফস (Kali phos): স্নায়ুবিক দুর্বল শিশুর জন্য কেলি ফস 3xবা 6x , ১ /৪  বড়ি দিনে তিন বার বয়স অনুসারে সেব্য। 

চিকিৎসার্থে যোগাযোগ করুন-

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত -১৯৬২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com


মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২২

সর্দি-কাশি থেকে মুক্তির উপায় জেনেনিন

সর্দি-কাশি থেকে মুক্তির উপায় জেনেনিন

সর্দি-কাশি থেকে মুক্তির উপায়

 

সর্দি-কাশি থেকে মুক্তির উপায় :

শীত মৌসুমে খুশখুশে কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা হতেই পারে। এ জন্য রং চা খেতে পারেন। আদা, লবঙ্গ, দারুচিনি, তুলসী, সামান্য লবণ ও মধু দিয়ে তৈরি লাল চা পান করলেও উপকার পাওয়া যাবে। একটু সচেতন হলেই এসব সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাবেন। ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশিতে ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করে ‘ঠাণ্ডা’কে দূরে রাখুন।


মধু : ত্বকের পাশাপাশি শরীরের জন্যও মধু বেশ উপকারী। গলার খুসখুসে ভাব কমিয়ে দ্রুত আরাম দেয়। মধু গরম বলে ঠাণ্ডা প্রতিরোধ করে। হালকা গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়া আঙ্গুরের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে এমন কি চা-এ চিনির পরিবর্তে মধু দিয়ে খেতে পারেন। বয়স্করা মধুর সঙ্গে এক চামচ দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে খেলেও বেশ উপকার পাবেন।



 

আদা : প্রাচীনকাল থেকেই ঠাণ্ডা, জ্বর, কাশি ও মাথাব্যথার জন্য আদার ব্যবহার হয়ে আসছে। আদা চা গলার কফ পরিষ্কার করে ও খুসখুসে ভাব কমায়। এ ছাড়াও আদা রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে কুসুম গরম করে দিনে তিনবার খান। দ্রুত কাশি নিরাময় হবে।


রসুন : রসুনে রয়েছে আলিসিন ও অন্যান্য অর্গানোসালফার উপাদান যা সংক্রমণকারী ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিনাশ করে। গলা বসে গেলে রসুন থেঁতো করে তাতে গরম পানি দিয়ে শরবত করে নিন। পাঁচ মিনিট পর মিশ্রণটি পান করুন, অতি দ্রুত ভালো ফিল করবেন।


লেবু : লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা ঠাণ্ডার ভালো ওষুধ। লেবু চা খেতে পারেন। কুসুম গরম পানিতে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খেয়েই দেখুন ভালো ফিল করবেন। গলাব্যথা বা গলা বসে গেলে গরম পানিতে লেবুর রস ও সামান্য লবণ দিয়ে গড়গড়া করুন। এভাবে দিনে বেশ কয়েকবার করুন।


গোলমরিচ : গরম পানিতে এক চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ার সঙ্গে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। গোলমরিচের দানা নিচে জমা হলে ধীরে ধীরে পান করুন। অতি দ্রুত ঠাণ্ডা থেকে মুক্তি পাবেন।


পিয়াজের রস : পিয়াজের রস কাশি নিরাময় করে, এটি অনেকেরই অজানা। পিয়াজ রস করে তাতে মধু দিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়াও খাবারের সঙ্গে খেতে পারেন কাঁচা পিয়াজ।


লবঙ্গ : কয়েক টুকরা লবঙ্গ সেদ্ধ পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে কুসুম গরম থাকতে খেয়ে নিন। এটি ভীষণ উপকারী। এ ছাড়াও লবঙ্গ ও আদা পানিতে ১৫ মিনিট সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গড়গড়া করলেও উপকার পাবেন।


হলুদ মিশ্রিত দুধ : হলুদে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান যা বিভিন্ন ভাইরাসজনিত ইনফেকশন সারাতে কার্যকর। গরম দুধের সঙ্গে খানিকটা হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে পান করলে সর্দি ও গলা ব্যথা থেকে অতি দ্রুত মুক্তি পাবেন।


চিকিৎসার্থে যোগাযোগ করুন-

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com