homeopathic (আরোগ্য হোমিও হল)

সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২২

বাচ্চাদের বিছানায় প্রস্রাবে হোমিওপ্যাথিক ও বায়োকেমিক ঔষধ

বাচ্চাদের বিছানায় প্রস্রাবে হোমিওপ্যাথিক ও বায়োকেমিক ঔষধ



বাচ্চাদের বিছানায় প্রস্রাবে হোমিওপ্যাথিক ও বায়োকেমিক চিকিৎসা:


একটু বড় বাচ্চাদের বিছানায় প্রস্রাব করা একটি রোগ। এই রোগটির নাম ইনুওরেসি'স। সাধারণত ৪-৫ বছরের ভেতর একটি শিশু পূর্ণভাবে টয়লেটে গিয়ে প্রস্রাব করতে শিখে। যদি ৫ বছরের পরেও কেউ বিছানায় প্রস্রাব করতে থাকে তাহলেই আমরা তাকে ‘ইনুওরেসিস বলবো। কেউ কেউ প্রথম থেকেই টয়লেটে গিয়ে প্রস্রাবের অভ্যাসটি রপ্ত করতে পারে না। অন্যরা আবার প্রথমে হয়ত অভ্যাসটি ঠিকই গড়ে তুলেছিল কিন্তু কয়েক বছর পর আবার কাপড়ে প্রস্রাব করা শুরু করে।

প্রথম ক্ষেত্রটিকে আমরা প্রাইমারি এবং দ্বিতীয় ক্ষেত্রটিকে সেকেন্ডারি ইনওরেসিস বলবো। সাধারণত মেয়েদের তুলনায় ছেলেরাই এ রোগে বেশি ভোগে। সম্ভবত এই কারণে যে, কোন কিছু শিক্ষণের (Learning) জন্য যে Conditioning-এর প্রয়োজন তা মেয়েদের ক্ষেত্রে সহজে ঘটে। সংখ্যা তথ্য সাধারণত কত শিশু এই রোগে ভোগে তার কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য বাংলাদেশে নেই।

তবে বৃটেনে ৫ বছর পর্যন্ত ১০%, ৮ বছর পর্যন্ত ৪% এবং ১৪ বছর পর্যন্ত ১% শিশু এই রোগে ভুগে থাকে। বাস্তবে এর চেয়েও বেশিসংখ্যক শিশু এই রোগে ভুগে থাকে। কিন্তু তাদের বাপ-মা তা ডাক্তারের কাছে রিপোর্ট করে না বলে রেকর্ডকৃত হচ্ছে না। এবং এ কারণেই যারা ডাক্তারের কাছে চিকিৎসার জন্য আসে তাদের বয়স প্রায়ই ৮/১০ কিংবা তারও বেশি হয়ে থাকে। যদি এই ন্যূনতম হিসেবেও ধরা হয় তাহলে বাংলাদেশে ৮ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে ১৬-২০ লাখ শিশু এই রোগটিতে ভুগছে।

কারণসমূহ -- বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোন শারীরিক কারণ পাওয়া যায় না। তাই কারণসমূহকে দুইভাবে ভাগ করা যায়।

ক. শারীরিক কারণ

১. মূত্রনালীর সংক্রমণ,

২. প্রস্রাবের থলির ধারণ ক্ষমতা কম হওয়া কিংবা তার কার্যকারিতায় ত্রুটি থাকা

৩. স্নায়ু সিস্টেম-এর পূর্ণতা বা পরিপক্কতা (Maturation)দেরিতে হওয়া

৪. বংশগতির প্রভাব থাকা, কেননা দেখা গেছে এসব রোগীর ৭০% নিকটাত্মীয়েরও এই রোগ ছিল। তাছাড়া ডায়াবেটিস, মৃগীরোগ, স্পাইনা বাইফডা ইত্যাদি রোগের সঙ্গেও এর লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে।

 খ. মানসিক ও পারিপার্শ্বিককারণ সমূহ -- এটার মধ্যে রয়েছে অত্যন্ত কড়াকড়িভাবে টয়লেট ট্রেনিং করানো, শিশুর প্রতি বাপ-মা'র নেতিবাচক কিংবা উদাসীন দৃষ্টিভঙ্গি, সংসারে অশান্তি ইত্যাদি


হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :
রাস-এরোমেটিক (Rhus – Aromatica):শিশুদের বিছানায় প্রস্রাবে রাস-এরোমেটিক(Rhus – Aromatica), দিনে ৩ বার ৫ ফোটা করে অব্যর্থ ফল দেয়।

(Cina) : ক্রিমিতে আক্রান্ত শিশুরা যদি ঘুমের ঘোরে বিছানায় অসারে প্রস্রাব করে এবং সর্বদা ফোটা ফোটা প্রস্রাব করে তাদের জন্য সিনা দেয়া প্রয়োজন।২০০ ও ওয়ান এম শক্তির ঔষধ সকাল বিকাল দুই মাত্র সেব্য। শিশু মাঝে মাঝেই নাক চুলকায় বা বালিশে নাক ঘষে। ঘুমের মধ্য দাঁত কড়কড় করে। অত্যধিক আবদারপরায়ণ। অনবরত এটি ওটি চায়। দিলেও সন্তুষ্ট হয় না। আবার আর কিছু খায়। অত্যধিক ক্ষুধা ও খায়। জিহ্বা পরিষ্কার এমন শিশু বিছানায় প্রস্রাব করলে সিনা (Cina 2০০, 1০০০ প্রয়ােজ্য।

(Causticum) : শিশু প্রথম ঘুমেই বিছানায় প্রস্রাব করে কষ্টিকাম তাদের পরম বন্ধু। শীতকালে বিছানায় প্রস্রাবের প্রবনতা বেশি হলে কষ্টিকাম উত্তম ঔষধ। বিছানায় প্র্রস্রাবের চিকিৎসার কথা মনে হলেই এই ঔষধের নাম স্মরন করা হয়। ৩০ বা ২০০ শক্তির ঔষধ দিনে দুই মাত্রা সেবন করতে হয়। 
ঘুমের মধ্য অসাড়ে প্রস্রাব করে, কিছুই জানতে পারে না। শিশু / বাচ্চা খুব নম্র। তিরঙ্কার করলে কেঁদে ফেলে। হাচি কাশির সময় ২/১ ফোটা প্রস্রাব বের হওয়ার অভ্যাসে কষ্টিকাম (Causticum) 200, 1000.

(Kreosote): যেসব বাচ্চারা মনে করে যে সে বাহিরে প্রস্রাব করছে কিন্তু ঘুম থেকে উঠে দেথে যে নিজের বিছানায়ই প্রস্রাব করেছে, সহজে জাগানো যায় না, বিছানায় প্রস্রাব করার পরেও বাচ্চা ঘুম থেকে জাগ্রত হয় না, প্রস্রাবে ভিজেই ঘুমাতে থাকে। 
দিনই জোর করে হলেও প্রস্রাব করিয়ে শোয়ানো তবুও শয়নের পর পরই প্রস্রাব করে ফেলে। বিছানায় প্রস্রাব করে অপরাধ বোধ করে, শিশু ভয়ানক শীতকাতর এরূপ লক্ষনের রোগীর জন্য ক্রিয়োজোট (Kreosote)প্রয়োজন । (Kreosote) c«‡qvRb | 30/200 শক্তির ঔষধ দিনে দুই মাত্রা সেব্য।

সিপিয়া (Sepia) : যে বাচ্চা প্রথম ঘুমেই বিছানায় প্রস্রাব করে এবং প্রস্রাবে দুর্ঘন্ধ থাকে তার জন্য সিপিয়া পরম বন্ধু। বিশেষ করে মেয়েদের বিছানায় প্রস্রাবের সমস্যায়  সিপিয়া (Sepia) : ভালো কাজ করে। 3০ বা 2০০ শক্তির ঔষধ দিনে দুই মাত্রা সেব্য।

(Sulphur) : সোরার প্রবনতা বা সুপ্ত সোরার বহিঃপ্রকাশ, গোসলে অনিহা, মিস্টি ও মশলা জাতীয় খাবার পছন্দ ,  যে সকল বাচ্চারা অতিরিক্ত দুষ্ট, বদমেজাজি এবং রাতের দ্বিতীয়ার্ধে বিছানায় প্রস্রাব করেন তাদের ক্ষেত্রে সালফার (Sulphur)কার্যকরী।

মেডোরিনাম Medorrhinum): সাইকোসিস ধাতুর রোগী এবং সুনির্বাচিত ঔষধ ব্যর্থ হলে মেডোরিনাম কার্যকরী, মেডোরিনামের শিশুরা দিনের বেলায় ঘুমালেও প্রস্রাব করে দেয়। রাত্রে বিছানায় প্রস্রাব করে। প্রস্রাব খুব দুর্গন্ধযুক্ত। রক্তশুন্য, শুষ্ক, শীর্ণ দূর্বল স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন, খর্বাকৃতি ও স্থূলবুদ্ধি বিশিষ্ট শিশু। সে বাতাস চায় কিন্তু সে ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না।
গনােরিয়া চাপা পড়া পিতামাতার সন্তানদের বিছানায় প্রস্রাব করার মেডোরিনাম Medorrhinum): উৎকৃষ্ট ঔষধ । শিশুর স্মরণশক্তি একবারেই কম। পড়ে মনে রাখতে পারে না। অংক মােটেই বুঝে না। প্রস্রাবে খুব দুর্গন্ধ। ক্ষুধা ও পিপাসা বেশী। দেহ শীর্ণ ও বামন।

সিফিলিনাম (Syphilinum) :সিফিলিটিক মায়াজমের শিশুরা রাত্রে ঘুমানোর সাথে সাথেই প্রস্রাব করে দেয়, এবং রাত্রের মধ্যে কয়েকবার বিছানায় প্রস্রাব করে, মুখে লালা জমার প্রবনতা এবং মুখে দুর্গন্ধ হয়।

স্যানিকিউলা (Sanicula) :  দিনের বেলায় যে সমস্ত শিশু বাচ্চারা কাপড় খুলতে খুলতে বা বিছানা হতে নামতে নামতেই প্রস্রাব করে ফেলে সেই সমস্ত শিশুদের রাত্রে বিছানায় প্রস্রাব করার ক্ষেত্রে ব্যবহার্য্য। প্রস্রাব করা স্থানে লালাভ দাগ পড়ে। তার মলের এক অদ্ভুত লক্ষণ এই যে, মল তার চার কোনা বিশিষ্ট হয়। শিশুর ঘাড়ে অত্যধিক ঘাম হয় এরকম লক্ষন ও বৈশিষ্ট্যে স্যানিকিউলা (Sanicula) : 3০, 2০০, 1০০০

সার্সাপেরিলা (Sarsaparilla):  যে সমস্ত শিশু বাচ্চারা জাগ্রত অবস্থায় না দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে পারে না, বসে প্রস্রাব করতে গেলে ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব নির্গত হয়, তাদের বিছানায় প্রস্রাব করার ইহা ভাল ঔষধ। জাগ্রত অবস্থার না দাঁড়ালে ভালভাবে প্রস্রাব না হওয়া অথচ শয়ন ও নিদ্রাঘােরে অসাড়ে প্রস্রাব হওয়া এর বিশেষত্ব। প্রস্রাব শেষ হওয়ায় প্রাক্কালে ভয়ানক যাতনা ও বিদ্যুৎ প্রবাহের ন্যায় শরীর ঝাকি দেয়াও এর আর এক বিশেষত্ব। এরূপ লক্ষন  বৈশিষ্ট্যে সার্সাপেরিলা (Sarsaparilla): 3০, 2০০, 1০০০

অ্যাসিড ফস (Acid Phos) : স্নায়ুতন্ত্রের কারণে মানসিক ও শারীরিক অক্ষমতা (রাতে বিছানায় মূত্রত্যাগ) নিয়ন্ত্রণ করতে উপযোগী।

ইকুইজেটাম (Equisetum) : কোন ঔষধ কাজ না করলে ইকুইজেটাম (ঊয়ঁরংবঃঁস) ৬ শক্তি দিনে তিন বার সেব্য।

ক্রিমি থাকিলে সিনা (Cina Maritima) ২০০ বা সােমরাজ Q, ৫ ফোটা করিয়া দিনে ৪বার কিছুদিন সেবনীয়। - ডাঃ প্রস্রাদ বন্দ্যোপাধ্যায়

ব্লুমিয়া ওডাে (Blumea Odorata) 2x (ডাঃ কাসিং) দিনে ৩ বার ৩ ফোটা করে। 

খুজা (Thuja Occidentalis) :আচিলযুক্ত বা লাল তিলওয়ালা শিশুদের বিছানায় প্রস্রাব করা ব্যাধিতে খুজা (Thuja Occidentalis) :2০০, 1০০০।

ব্যাসিলিনাম (Bacillinum): শিশু বা বালকদের শয্যামূত্রের ক্ষেত্রে ভালাে ওষুধ ব্যাসিলিনাম (Bacillinum)। - ডাঃ ফুবিস্টার (Foubister)



শিশুর বিছানায় প্রস্রাবের সমস্যায় বায়োকেমিক চিকিৎসা :
নেট্রাম ফস ( Natrum Phos):   ক্রিমিতে আক্রান্ত শিশুরা বিছানায় প্রস্রাব করলে  Natrum Pho– 3X ১/৪  বড়ি দিনে তিন বার বয়স অনুসারে সেব্য 

নেট্রাম সালফ ( Natrum Sulph):  শিশুরা বিছানায় প্রস্রাব করলে  নেট্রাম সালফ – 6x; ১/৪  বড়ি দিনে তিন বার বয়স অনুসারে সেব্য 

ক্যালকেরিয়া ফস (Calcarea phos): রক্ত শুন্য দুর্বল পুষ্টিহীন শিশুর  বিছানায় প্রস্রাব  বন্ধের জন্য (Calcarea phos)- 6x ev 12x,  ১ /৪  বড়ি দিনে তিন বার বয়স অনুসারে সেব্য

কেলি ফস (Kali phos): স্নায়ুবিক দুর্বল শিশুর জন্য কেলি ফস 3xবা 6x , ১ /৪  বড়ি দিনে তিন বার বয়স অনুসারে সেব্য। 

চিকিৎসার্থে যোগাযোগ করুন-

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত -১৯৬২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com


মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২২

সর্দি-কাশি থেকে মুক্তির উপায় জেনেনিন

সর্দি-কাশি থেকে মুক্তির উপায় জেনেনিন

সর্দি-কাশি থেকে মুক্তির উপায়

 

সর্দি-কাশি থেকে মুক্তির উপায় :

শীত মৌসুমে খুশখুশে কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা হতেই পারে। এ জন্য রং চা খেতে পারেন। আদা, লবঙ্গ, দারুচিনি, তুলসী, সামান্য লবণ ও মধু দিয়ে তৈরি লাল চা পান করলেও উপকার পাওয়া যাবে। একটু সচেতন হলেই এসব সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাবেন। ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশিতে ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করে ‘ঠাণ্ডা’কে দূরে রাখুন।


মধু : ত্বকের পাশাপাশি শরীরের জন্যও মধু বেশ উপকারী। গলার খুসখুসে ভাব কমিয়ে দ্রুত আরাম দেয়। মধু গরম বলে ঠাণ্ডা প্রতিরোধ করে। হালকা গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়া আঙ্গুরের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে এমন কি চা-এ চিনির পরিবর্তে মধু দিয়ে খেতে পারেন। বয়স্করা মধুর সঙ্গে এক চামচ দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে খেলেও বেশ উপকার পাবেন।



 

আদা : প্রাচীনকাল থেকেই ঠাণ্ডা, জ্বর, কাশি ও মাথাব্যথার জন্য আদার ব্যবহার হয়ে আসছে। আদা চা গলার কফ পরিষ্কার করে ও খুসখুসে ভাব কমায়। এ ছাড়াও আদা রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে কুসুম গরম করে দিনে তিনবার খান। দ্রুত কাশি নিরাময় হবে।


রসুন : রসুনে রয়েছে আলিসিন ও অন্যান্য অর্গানোসালফার উপাদান যা সংক্রমণকারী ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিনাশ করে। গলা বসে গেলে রসুন থেঁতো করে তাতে গরম পানি দিয়ে শরবত করে নিন। পাঁচ মিনিট পর মিশ্রণটি পান করুন, অতি দ্রুত ভালো ফিল করবেন।


লেবু : লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা ঠাণ্ডার ভালো ওষুধ। লেবু চা খেতে পারেন। কুসুম গরম পানিতে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খেয়েই দেখুন ভালো ফিল করবেন। গলাব্যথা বা গলা বসে গেলে গরম পানিতে লেবুর রস ও সামান্য লবণ দিয়ে গড়গড়া করুন। এভাবে দিনে বেশ কয়েকবার করুন।


গোলমরিচ : গরম পানিতে এক চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ার সঙ্গে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। গোলমরিচের দানা নিচে জমা হলে ধীরে ধীরে পান করুন। অতি দ্রুত ঠাণ্ডা থেকে মুক্তি পাবেন।


পিয়াজের রস : পিয়াজের রস কাশি নিরাময় করে, এটি অনেকেরই অজানা। পিয়াজ রস করে তাতে মধু দিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়াও খাবারের সঙ্গে খেতে পারেন কাঁচা পিয়াজ।


লবঙ্গ : কয়েক টুকরা লবঙ্গ সেদ্ধ পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে কুসুম গরম থাকতে খেয়ে নিন। এটি ভীষণ উপকারী। এ ছাড়াও লবঙ্গ ও আদা পানিতে ১৫ মিনিট সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গড়গড়া করলেও উপকার পাবেন।


হলুদ মিশ্রিত দুধ : হলুদে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান যা বিভিন্ন ভাইরাসজনিত ইনফেকশন সারাতে কার্যকর। গরম দুধের সঙ্গে খানিকটা হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে পান করলে সর্দি ও গলা ব্যথা থেকে অতি দ্রুত মুক্তি পাবেন।


চিকিৎসার্থে যোগাযোগ করুন-

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

চর্মরোগে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

চর্মরোগে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা


চর্মরোগে  হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

  

আমাদের ত্বক বা চামড়া হল আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় ইন্দ্রিয়। ত্বক আমাদের বিভিন্ন রকম কেমিক্যাল, ক্ষতিকারক তরঙ্গ, রোগ জীবাণু থেকে আমাদের রক্ষা করে। আমাদের শরীরের আভ্যন্তরীণ তাপের সমতা বজায় রাখে। আবার ত্বক আমাদের শরীরের সবথেকে সংবেদনশীল অংশ।তাই আমাদের শরীরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারনে বিভিন্ন চর্মরোগ- চুলকানি,একজিমা,দাদ দেখা দেয়। সমীক্ষায় জানা গেছে যে , জনসংখ্যার প্রায় ২০% থেকে ৩০% লোক কোন না কোন চর্মরোগে আক্রান্ত। একমাত্র হোমিওপ্যাথি ওষুধই এই চর্মরোগের স্থায়ী প্রতিকার করতে পারে। এখানে বিভিন্ন প্রকার উপসর্গ অনুযায়ী চুলকানি,একজিমা,দাদের হোমিও চিকিৎসা-এর (Homeopathic medicine for skin disease বিবরণ দেওয়া হল।

চর্মরোগ – চুলকানি,একজিমা,দাদের হোমিও চিকিৎসা

চর্ম রোগের হোমিও ঔষধ (চুলকানি,একজিমা)

খোস, প্যাঁচড়ায় অত্যন্ত চুলকানি, ঠোঁট ও অন্য স্থানে ফাটা ক্ষত, পুরাতন দাদ – Anthrakokali 200 |

চামড়ায় টোপতলা ফোস্কার মতো উদ্ভেদ। পায়ে কড়া, ক্ষত, পায়ের তলা ফাটা   Antim Crud 30 |

চামড়ায় আঁচিলের মতো বা ফোস্কার মতো উদ্ভেদ। ঘারে,মুখে,পিঠে, হাতে, বুকে উদ্ভেদ বেরোয় ও চুলকায়  Antim Crud 30 |

খোস, প্যাঁচড়া প্রতি বছর শীতকালে দেখা যায়  – Aloe Soc 30 |

  

হাতের চেটোয়, হাতে ও আঙ্গুলে চুলকানি – Anagallis 30 |

কপালে ও মাথায় বেশি উদ্ভেদ, খোস প্যাঁচড়ায় অত্যন্ত দুর্গন্ধ –  Arsenic Alb 6 |

গরমকালে শরীরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্ভেদ, রোগী বেশ দুর্বল ও শীর্ণকায়, হাত পা ফাটা, গায়ের চামড়া কোঁচকান, নখ কুঁচকে ছোটো হয়ে যায়,নখে ক্ষত ও জ্বালা, অণ্ডকোষ ও লিঙ্গে চুলকানি – Sarsaparilla 30 |

হাতের চেটোর উল্টো পৃষ্টে একজিমা, চামড়া মোটা হয়,ফাটে, আঙ্গুলের চামড়া মোটা হয়, মুখে, কানের পেছনে, চোখের পাতায়, জননেন্দ্রিয়ে ফুস্কুড়ি কিংবা ঘায়ের মতো উদ্ভেদ,তা থেকে মধুর মতো চটচটে রস নিঃসরণ। উদ্ভেদ্গুলি মাছের আঁশের পদার্থ দিয়ে ঢাকা  – Graphites 200 । ওপরের এৎধঢ়যরঃবং এর মতো লক্ষণ তবে উদ্ভেদ গুলি শীতকালে বৃদ্ধি পায় ও গরমকালে আপনাতেই কমে যায়  – Petroleum 30|

  

চর্মরোগে অত্যন্ত চুলকানি,রক্ত পড়ে, জ্বালা করে ও তার জন্যে অনিদ্রা  – Coffea Crud 200 |

উদ্ভেদ প্রথমে ফোস্কার মতো,পরে পাকে, চুলকানি জলে ও ঠাণ্ডায় বাড়ে  – Croton Tig 200 |

আরও পড়ুনঃ শারীরিক দুর্বলতা ও যৌন সমস্যার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

চামড়ায় কোন প্রকার উদ্ভেদ নেই অথচ ভয়ানক চুলকানি  – Dolichos 30 |

চামড়া লালবর্ণ বা চামড়ায় লাল ডোরাডোরা দাগ । ঘামাচির মতো লালবর্ণের ফুস্কুড়ি ও তাতে অধিক চুলকানি  – Comocladia 30 |

সন্ধিস্থলে ও চামড়ার ভাঁজে রসপূর্ণ উদ্ভেদ ও তাতে অত্যন্ত দুর্গন্ধ ও চুলকানি। গায়ে সামান্য আঁচড় লাগলেই পাকে ও পুঁজ হয়  – Hepar Sulph 200 |

একজিমায় সর্বদা রস ও পুঁজ ঝরে,মামড়ি পড়ে,তাতে চুল জড়ে যায়। দাঁড়িতে একজিমা, কনুইয়ের নীচে, হাঁটুর নীচে ও অণ্ডকোষের একজিমায় এটা খুব উপকারী, জল লাগলে চুলকানি বাড়ে – Nat Mur 200 |মাথায় একজিমা,মামড়ি পড়ে,দুর্গন্ধ, উদ্ভেদ ক্রমশ মাথা হতে নিচের দিকে নামে  – Calcarea Carb 30 |

ঘাড়ে ও মাথার পেছনের অংশে ইরাপ্সান,খুব চুলকায়, রস পড়ে,ক্ষত হয়। হাতে একজিমা, শুক্লপক্ষে বাড়ে ও কৃষ্ণপক্ষে কমে  – Clematis Erecta 30 |

আরও পড়ুনঃ চুল সম্বন্ধীয় রোগের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

  

মাথায় ও কানের পেছনে উদ্ভেদ তাতে রস ঝরে ও খুব চুলকায়,রক্ত পড়ে, পোকা জন্মায়  – Oleander 30 |

গায়ের চামড়া দেখতে খুব কদাকার , গায়ে এতো দুর্গন্ধ যে স্নান করলেও গন্ধ যায় না। শরীর একটু গরম হলেই চুলকায়, রক্ত বেরোয় ও নানা রকমের উদ্ভেদ – Psorinum 200 |

চর্মরোগে অত্যন্ত চুলকানি, চুলকানোর সময় মহাসুখ, পরে ভীষণ জ্বালা। গায়ের চামড়া দেখতে খুব কদাকার,অপরিস্কার। চুলকানি রাতে, গরমে ও স্নানে বাড়ে  Sulpher 6|

আরও পড়ুনঃ অর্শের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

কাপড় খুললেই চুলকানি,আঁশের মতো শল্ক ওঠে, পুরাতন একজিমা – গরমে,চললে, কাপড় খুললে বাড়ে, সোরাসিস  – Kali Ars 30 |

স্ত্রী জননেন্দ্রিয়ে ছোটো ছোটো ফুস্কুড়ি ও তাতে অসহনীয় চুলকানি  – Sepia 200 |

যোনিতে ভীষণ চুলকানি, স্ত্রীলোকের প্রুরাইটিস, নাকের মধ্যে দানাদানা উদ্ভেদ নির্গমন ও চুলকানি – Fagopyrum 200 |

পুরুষ জননেন্দ্রিয়ে প্রুরাইটিস , অত্যন্ত চুলকানি, লিঙ্গমনি লালবর্ণ হয়ে ওঠে,অণ্ডকোষের চামড়া শক্ত, পুরু ও মোটা হয় – Caladium Segu 30 |

খোস , প্যাঁচড়া, চুলকানি এবং পারদ ও উপদংশজনিত চর্মরোগের উৎকৃষ্ট ওষুধ  – Echinacea Q |

আমবাতে ভয়ানক চুলকানি, জ্বালা ও কাঁটাবেঁধার মতো বেদনা থাকে,রোগি ক্রমাগত হাত বোলায়। হাতের, মুখের, বুকের চামড়া ফোলে, গরম হয়, ফুস্কুড়ি বেরোয়। ঘুমালে ফুস্কুড়ি মিলিয়ে যায় কিন্তু বিছানা থেকে উঠলে আবার বেরোয় – Urtica Urens 200|

হাতে ও পায়ের তালুতে ফোস্ক্,া সামান্য আঘাতে ক্ষত হয়,পাকে,মুখে ও গলায় ক্ষত হয়ে ছিদ্র হয়ে যায়, স্তনে কান্সারের মতো ক্ষত – Bufo Rana 200 |

খোস,প্যাঁচড়া,দাদ, সোরাসিস ও নিম্নাঙ্গের একজিমা   Acid Chryso 30 |

দাদের হোমিও চিকিৎসা

দাদ, তাতে খুব চুলকানি ও জ্বালা,একজিমায় পুরু হলদে-সাদা মামড়ি, তার ভেতরে ঘন হলদে পুঁজ। কোনও চর্মরোগে খুব চুলকানি, রাতে ও বিছানায় শুলে চুলকানি বাড়ে , চুলকানির পর খুব জ্বালা  – – Mezereum 30।

দাদ, মুখে দাদ, শরীরের নিম্নাঙ্গে দাদ, এছাড়াও শরীরের সমস্ত স্থানে দাদ হলে  – Tellurium 30  ।

শীতকালে গায়ে দাদের মতো উদ্ভেদ, চর্মরোগ সহ কোষ্টকাঠিন্য, চামড়া শুকনো,খসখসে,অত্যন্ত চুলকানি,রক্ত না বেরানো পর্যন্ত চুলকায়  –– Alumina 200 |

ছত্রাক ঘটিত রোগ যেমন দাদ , খেলোয়াড়দের পায়ের আঙুলের মধ্যে সংক্রমণ , গলার রোগ , কানে ব্যাথা, কানে চুলকানি , মহিলাদের যোনিতে ছত্রাক ঘটিত সংক্রমণ ইত্যাদিতে জার্মানির উৎ.জবপশববিম কোম্পানির জ৮২ খুব ভালো ফল দেয়।



চিকিৎসার্থে যোগাযোগ করুন-

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

রবিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২২

হস্তমৈথুনের কুফলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিন

হস্তমৈথুনের কুফলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিন


হস্তমৈথুনের কুফল থেকে বাঁচার উপায়, হোমিওপ্যাথিক ঔষধ :


 হস্তমৈথুন কী এ বিষয়ে প্রাপ্ত বয়স্করা সবাই কমবেশি জানে এ অংশে আমি হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায় এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করব।

হস্থমৈথুন বা হাত দিয়ে বির্যপাত করা যে কতটা ক্ষতি তা আমাদের অজানা নয়।তারপরও আমরা এই ভুলটি করে থাকি।ফলে ভবিষ্যতে পরতে হয় নানাবিধ সমস্যায়।


 হস্তমৈথুন এর প্রধান সমস্যা হলোঃ-

* দ্রুত বীর্যপাত খুব অল্প সময়ে বীর্যপাত ঘটে। ফলে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে অক্ষম হয়।

* অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষের যৌনাঙ্গকে দুর্বল করে দেয়।

*চোখের ক্ষতি হয় স্মরণ শক্তি কমে যায়।

* আরেকটি সমস্যা হল খবধশধমব ড়ভ ংবসবহ।অর্থাৎ সামান্য উত্তেজনায় যৌনাঙ্গ থেকে তরল পদার্থ বের হওয়া।

* শারীরিক ব্যথা কোমর এবং মাথা ঘোরা।

* যৌন ক্রিয়ার সাথে জড়িত স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল হওয়া অথবা ঠিক মত কাজ না করার পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া।

* শরীরের অন্যান্য অঙ্গ যেমন: হজম প্রক্রিয়া এবং প্রসাব প্রক্রিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি করে। দ্রুত বীর্যস্থলনের প্রধান কারণ অতিরিক্ত হস্তমৈথুন

*হস্তমৈথুনের ফলে অনেকেই কানে কম শুনতে পারেন এবং চোখে ঘোলা দেখতে পারেন।


হস্তমৈথুন অভ্যাস দূর করতে এবং হস্তমৈথুন সংক্রান্ত কুফল সমূহ দূর করতে একমাত্র হোমিওপ্যাথি ছাড়া আর কোনো চিকিৎসা বিজ্ঞান আজও ততটা সাফল্য দেখাতে পারে নি। তাই ভালো কোনো হোমিওপ্যাথের কাছ থেকে প্রপার ট্রিটমেন্ট নিন। আশা করি আবার আপনার জীবন স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।


Staphisagria: স্টেফিসেগ্রিয়া পুরুষদের যৌন দুর্বলতা দূর করার ক্ষেত্রে একটি শ্রেষ্ট ও অব্যর্থ ঔষধ। বিশেষভাবে অতিরিক্ত যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়ার কারণে বা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকার কারণে যাদের ধ্বজভঙ্গ হয়ে গিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই ঔষধটি বেশী প্রযোজ্য। এটি ছ, ৩, ৬, ৩০, ২০০ ইত্যাদি যে-কোন শক্তিতে খাওয়া যেতে পারে; কিন্তু যত নিম্নশক্তি থেকে খাওয়া শুরু করা যায় ততই উত্তম। প্রতিদিন পাঁচ ফোটা করে সকালে এবং সন্ধ্যাবেলা দু’বার। বিয়ের প্রথম দিকে কিছুদিন মেয়েদের প্রস্রাব বা যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত কোন সমস্যা হলে নিশ্চিন্তে স্টেফিসেগ্রিয়া নামক ঔষধটি সেবন করা যেতে পারে। কারণ স্টেফিসেগ্রিয়া একই সাথে যৌনাঙ্গ এবং আঘাতজনিত রোগে সমান কাযর্করী ভূমিকা পালন করে।


Moschus Moschiferus : যে সকল ধ্বজভঙ্গ রোগীর ডায়াবেটিস আছে এটি তাদের জন্য ভালো কাজ করে। ক্ষুদ্রাকৃতি পুরুষাঙ্গকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এই ঔষধটি সহায়তা করে।


Salix nigra: স্যালিক্স নাইগ্রা হোমিওপ্যাথিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধের কাতারে আসে। যাদের মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন করার অভ্যাস ছাড়াও স্বপ্নদোষ নিয়মিত ভাবে হয় তারা এই ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন। উক্ত কারণসমূহে সৃষ্ট পুরুষদের যৌনকর্মে দুর্বলতা বা অক্ষমতা তৈরি হয়েছে এবং এসব কারণে যাদের ওজন কমে গিয়েছে, এই ঔষধ যৌনদূর্বলতা সারানোর পাশাপাশি তদের ওজনও বাড়াতেও সহায়তা করবে। আবার অবিবাহিত যুবক-যুবতী বা যাদের স্বামী-স্ত্রী দেশের বাইরে থাকেন অথবা ইহকাল ত্যাগ করেছেন, এই ঔষধ তাদের মাত্রাতিরিক্ত যৌন উত্তেজনা কমিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় জীবনযাপনে সাহায্য করবে।


Lycopodium clavatum : লাইকোপোডিয়াম পুরুষাঙ্গ ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। যাদের মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের অভ্যাসের কারণে ধ্বজভঙ্গ হয়েছে তারা এটি খেতে পারেন। লাইকোপোডিয়ামের প্রধান লক্ষণ হলো এদের পেটে প্রচুর গ্যাস তৈরি হয়, এদের মাথার ব্রেন খুব ভালো কিন্তু স্বাস্থ্য খুব জীর্ণ শীর্ণ, এদের প্রস্রাব অথবা পাকস্থলী সংক্রান্ত কিছু না কিছু সমস্যা থাকবেই, অকালে বার্ধক্য, সকাল বেলা বেশি দুর্বলতা ইত্যাদি।


Natrum carbonicum: পুরুষরা যে-সব নারীদেরকে আলিঙ্গন করলেই বীযর্পাত হয়ে যায় (সহবাস ছাড়াই) অর্থাৎ অল্পতেই তাদের আত্মতৃপ্তি হয়ে যায় এবং পরে আর কোন সঙ্গমে আগ্রহ থাকে না, তাদের জন্য নেট্রাম কার্ব একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। এবং এই কারণে যদি তাদের কোন সন্তানাদি না হয় (অর্থাৎ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়), তবে নেট্রাম কার্বে সেই বন্ধ্যাত্বও সেরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


Caladium seguinum : যে সকল ব্যক্তিগণ যৌনমিলনে কোন ধরণের আনন্দ পান না বা যৌনমিলনের পরও বীরয নির্গত হয় না এবং যাদের বীরয অতি দ্রুত নির্গত হয়ে যায় বা যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করার কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য এই ঔষধটি অনেক কার্যকরী।


Agnus Castus: কিছু কিছু মানুষের গনোরিয়া রোগের পরে এই ধরনের যৌন দুর্বলতা দেখা দিলে এই ঔষধটি ভালো কাজ করে। পুরুষাঙ্গ আকারে ছোট এবং খুবই নরম হয়ে যায়, পায়খানা এবং প্রস্রাবের আগে-পরে নিয়মিতভাবে আঠালো পদার্থ নির্গত হয়, এবং ঘনঘন স্বপ্নদোষ হওয়ার অভ্যাস আছে তাদের জন্য এই ঐষধটি কার্যকর।


Nux Vomica: যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে নাক্স ভমিকা ঔষধটি একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ বিশেষত যারা শীতকালে কাতর, যাদের পেটের যে কোন সমস্যা বেশী হয়, সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকতে ইচ্ছা করে, কায়িক পরিশ্রম কম করে এবং মানসিক পরিশ্রম বেশী করার অভ্যাস আছে ইত্যাদি। নিম্নশক্তিতে এই ঔষধটি ঘনঘন খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।


Phosphoricum Acidum: সাধারণত টাইফয়েড জাতীয় মারাত্মক কোন রোগে ভোগার কারণে, স্বপ্নদোষ, মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম ও হস্তমৈথুন ইত্যাদি কারণে যৌন ক্ষমতা কমে গিয়েছে অথবা যৌনক্ষমতা একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে (এবং সাথে অন্য যে-কোন ধরণের সমস্যা হউক না কেন) এসিড ফস উত্তম।


একজন রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের পরার্মশ নিয়ে মেডিসিন খাবেন, নিজে নিজের ডাক্তারি করবেন না,কারন রোগীর রোগের লক্ষন মিলতে হবে। রোগীর লক্ষন,রোগের লক্ষন ব্যাতীত ঔষুধ প্রয়োগ করা অনুচিত।


চিকিৎসার্থে যোগাযোগ করুন-

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত - ১৯৬২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com





শনিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২২

 ধাতুক্ষয় রোগে হোমিওপ্যথিক ঔষধ

ধাতুক্ষয় রোগে হোমিওপ্যথিক ঔষধ

 

 ধাতুক্ষয় রোগে হোমিওপ্যথিক চিকিৎসা :

শুক্রমেহ, ধাতুমেহ বা ধাতুক্ষয় রোগের সেরা হোমিও ওষুধ - সেলেনিয়াম (Selenium)

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে সাফল্যজনকভাবে শুক্রমেহ বা ধাতুমেহ বা ধাতুক্ষয় রোগের চিকিৎসা করা যায়। অবাঞ্ছিত শুক্রক্ষরণ বা শুক্রমেহ চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি ঔষধের ব্যবহার নিরাপদ ও পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াহীন।

সঠিক নিয়মে ধাতুমেহ বা শুক্রমেহ চিকিৎসা হলে এই জটিল ও কঠিন রোগটি যেমন স্থায়ীভাবে নিরাময় হয়, একই সাথে রোগীর অসুস্থতার কারণে হারানো স্বাস্থ্য পুনঃগঠনেও সহায়তা করে।

হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেলেনিয়াম প্রয়োগে শুক্রমেহ বা ধাতুক্ষয় রোগের চিকিৎসা

রোগী বিবরণীঃ

সাম্প্রতিক সময়ে আমার নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে একটি রোগীর অবাঞ্ছিত শুক্রক্ষরণ বা শুক্রমেহ রোগের চিকিৎসা বিবরণী আজ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। চিকিৎসার রোগীলিপি বিবরণীটি নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ।

প্রথমত উক্ত রোগীর চিকিৎসাতে হোমিওপ্যাথিক ঔষধের মাধ্যমে কিভাবে শুক্রমেহ বা ধাতুমেহ রোগ চিকিৎসা করা যায় তা যেমন জানা যাবে।

পাশাপাশি জটিল ও পুরাতন রোগ চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কিভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং চিকিৎসা পদ্ধতিই বা কেমন হলে একজন রোগী প্রকৃত অর্থে সুস্থতা লাভ করতে পারবেন সে সম্পর্কেও কিছু প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেবে।

বলা বাহুল্য, উক্ত রোগীর চিকিৎসাকালে আমি নিজেও আমাদের হোমিওপ্যাথিক ঔষধের বৈচিত্রময় প্রয়োগ কৌশল সম্বন্ধে কিছুটা জানতে পেরেছি।



প্রাসঙ্গিক লেখাটি পড়ে দেখতে পারেন-

যৌন দূর্বলতা চিকিৎসায় ব্যবহৃত প্রধান ৫টি হোমিওপ্যাথি ওষুধ

ধাতু দুর্বলতার সেরা হোমিওপ্যাথিক ওষুধ এগনাস কাস্ট

যাই হোক আসুন চিকিৎসা বিবরণী শুরু করা যাক। এখানে উল্লেখ্য যে, এখানে উল্লেখিত লক্ষণগুলো উক্ত রোগীর নিজের মুখে বলা কথাগুলোকে একটু মার্জিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

কেস স্টাডি -১।

তারিখঃ ০৬-০৫-২০১৭ইং।

নামঃ ক—।

বয়সঃ আনুমানিক ৪০ হবে।

পেশা ও অবস্থানঃ

একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরিরত মাঠকর্মী।

প্রধাণত তাকে বিভিন্ন জায়গায় চাকুরীর কাজে ঘুরে বেড়াতে হয়। প্রতিদিনের খাবার হোটেল বা রেস্তোরাতে খেয়ে থাকেন। ধার্মিক মুসলমান। কোন প্রকার মাদক, পান বা সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস নেই। তবে প্রচুর চা খান।

অসুস্থতার বিবরণঃ

আনুমানিক ১০ বৎসর যাবৎ অবাঞ্ছিত শুক্রক্ষরণ সমস্যায় ভুগছেন। অনেক চিকিৎসা করিয়েছেন। কোন কাজ হয়নি। সমস্যা অতটাই গুরুতর যে, এর কারণে সময়মত নামাজটাও পড়তে পারেন না। ঘুমের মধ্যে, চলাফেরার সময়, কোন মহিলার সঙ্গে কথা বলার সময়, স্বাভাবিক কারণে বা মানসিক দুঃশ্চিন্তায় একটু উত্তেজিত হলে, প্রস্রাব বা পায়খানার সময় প্রস্ট্রেটিক রস বিন্দু বিন্দু করে বের হয়।

রোগীর ভাষায়-

আমার অনবরত ধাতু বের হয়। একটু পরিশ্রমের কাজ করলে, রোদ্রে যাতায়াত করলে, যানবাহনে নারীদের শরীরের ঘর্ষণে এমনিতেই ধাতু বের হতে থাকে। আমি প্রায়ই অনুভব করি শুক্রস্রাব বা ধাতু বের হয়ে আমার পায়জামা ভিজে আছে।

শরীরটা দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে। অর্শ আছে। পায়খানা কষাভাব হলেই পায়খানার সাথে প্রচুর রক্ত বের হয়। প্রস্রাব বা পায়খানার পর অনেকক্ষণ যাবত ফোঁটায় ফোঁটায় অসাড়ে প্রস্রাব নির্গমন হতে থাকে। এতে কাপড় নষ্ট হয়।

আমি এ নিয়ে খুব দুঃচিন্তায় আছি। বউয়ের সাথে স্বাভাবিকভাবে যৌন মিলনে কোন আনন্দ পাইনা। ইচ্ছা আছে কিন্তু শক্তি পাইনা। লিঙ্গ দাঁড়ায় না বা দাঁড়ালেও বেশিক্ষণ সবল থাকেনা। অনেক তাড়াতাড়ি ধাতু বের হয়ে যায়। শেষে বউয়ের সাথে এনিয়ে খালি ঝগড়া হয়।


রোগী পর্যবেক্ষণঃ

আমি লক্ষ্য করলাম রোগী তোঁতলিয়ে কথা বলে। জিজ্ঞাসায় জানতে পারলাম ২০ বৎসর যাবৎ সে তোঁতলামি সমস্যায় আক্রান্ত। পাশাপাশি কোষ্ঠবদ্ধতায় ভুগছেন অনেকদিন যাবৎ। যদিও তাতে তার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। কেননা বাইরের খাবার খান বলে কোষ্ঠবদ্ধতা হতেই পারে -এই হলো তার পর্যবেক্ষণ।

সামান্য শারিরীক বা মানসিক পরিশ্রম তাকে অসুস্থ করে তোলে। রোর্দ্র সহ্য হয় না। অত্যাধিক চা পান করেন। এতে যে তার সমস্যা হতে পারে বা চা তার রোগলক্ষণ বৃদ্ধি করতে পারে, তা নিয়ে কখনও ভাবেননি। জীবনিশক্তি খুব দুর্বল।

১ম ঔষধ-

Agnus Cast Q – ১০ ফোঁটা করে সকালে ও রাতে, সামান্য পানিসহ খালিপেটে।

পর্যবেক্ষণঃ ৩০-০৫-২০১৭ইং

কোন পরিবর্তন নেই। বরং আরো বেশী সমস্যা হচ্ছে।

২য় ঔষধ-

Nat. Mur 12x – ৪টি করে বড়ি দিনে ২ বার।

২২-০৬-২০১৭ইং

কোন পরিবর্তন নেই। কোষ্ঠবদ্ধতায় খুব কষ্ট পাচ্ছেন।

৩য় ঔষধ-

Ginseng Q –– ১০ ফোঁটা করে সকালে ও রাতে, সামান্য পানিসহ খালিপেটে।

২৬-০৮-২০১৭ইং

কোন পরিবর্তন নেই। উল্টো প্রথম ৩ দিন প্রচুর মাথাব্যথা করেছে। শেষে প্যারাসিটামল যাতীয় ঔষধ খেতে হয়েছে।

৪র্থ ঔষধ -

Bio-Combination – BC ২৭

জার্মানির ১ আউন্স দিলাম। ৪টি করে দিনে ২ বার, চুষে খাবেন।

০৫-০১-২০১৮ইং

রোগীকে কিছুটা বিরক্ত ও হতাশ মনে হলো। তার কোন রোগলক্ষণেরই কোন প্রকার উন্নতি হচ্ছেনা বলে ঝাঁঝালো জবাব দিচ্ছিল। বলা বাহুল্য, চিকিৎসা কাজে আসছেনা বলে আমিও কিছুটা লজ্জ্বিত ও চিন্তিত ছিলাম। পরিশেষে তাকে কিছুটা অভয় দিয়ে বললাম, আপনাকে আমি এই মূহুর্তে আর কোন ঔষধ দিবনা। ১ মাস পরে দেখা করুন।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সফল হতে হলে দ্বিতীয়বার রোগীলিপি পড়ে দেখার গুরুত্ব

আমি তার কাছ থেকে ১ মাস সময় নিলাম। সময়টা নেয়া জরুরী ছিল। কারণ ইতিমধ্যে সে অনেক ঔষধ খেয়েছে। ফলশ্রুতিতে তার শরীরে রোগসৃষ্ট সমস্যার চাইতেও ঔষধসৃষ্ট লক্ষণ বেশী প্রকাশ পেয়েছিল।

তাছাড়া আমাকে তার রোগীলিপি আরও একবার ভালো করে পড়ে সামগ্রীক লক্ষণসমূহের পূণরায় পর্যালোচনা করে সঠিক ঔষধটি বাছাই করার জন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন ছিল।

০৮-০৩-২০১৮ইং

রোগী আসতেই আমি তাকে বললাম- আমি আজও আপনাকে কোন ঔষধ দিচ্ছিনা তবে ১ ফোঁটা ঔষধ মুখে খাওয়াবো। ব্যস এইটুকুই। আমি আপনাকে ঠিক ১৫ দিন পর পর একই নিয়মে এই ঔষধটি খাওয়াব। আপনি শুধু খালিপেটে আমার চেম্বারে ঔষধ খেতে আসবেন।


শুক্রমেহ, ধাতুমেহ বা ধাতুক্ষয় রোগে সেলেনিয়াম এর ব্যবহার

ঔষধটি ছিল সেলেনিয়াম ৩০ শক্তির ঔষধ। ১ ফোঁটা মাত্র মুখের মধ্যে দিয়ে বিদায় করে দিলাম। সেদিন থেকে রোগীটি ঠিক ১৫ দিন পর পর আমার চেম্বারে এসে সেলেনিয়াম ৩০ শক্তির ১ ফোঁটা ঔষধ খেয়েছেন। সর্বমােট ৩ বার খাওয়ানোর পর বুঝতে পারি ঔষধটি তার আরোগ্যকারী ফলাফল প্রকাশ করা শুরু করেছে।

রোগীর রোগলক্ষণ ধীরে ধীরে কমে আসছে। আমি ঔষধ খাওয়ানো বন্ধ করে অপেক্ষা করার নীতি গ্রহণ করি। পরবর্তীতে ৩ মাস অপেক্ষা করেছিলাম। ৩ মাস পর আরও ২ বার ৩০ শক্তির সেলেনিয়াম শক্তি পরিবর্তন রীতি অনুসারে প্রয়োগ করেছি। রোগী প্রায় সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছে। বর্তমানে আমি তার অর্শের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি মতে কিভাবে রোগী আরোগ্য করা যায়

রোগীটি যে শিক্ষা আমাকে দিয়েছে তা ভুলবার নয়। তা হচ্ছে- হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় তখনই সফলতা পাওয়া যায় যখন ঔষধটি নির্বাচন করা হয় সামগ্রীক লক্ষণসমষ্টির ওপর ভিত্তি করে।

শুধু তাই নয়। চিকিৎসার নিয়ম রক্ষা করাটা তার চাইতেও বেশী জরুরী। কেননা, একটি নির্দিষ্ট ঔষধ প্রয়োগ করে তার কার্যকারিতা কতটুকু তা যাচাই করার জন্য ঔষধকে যথেষ্ট সময় নিয়ে শরীরে কাজ করার স্বাধীনতা দিতে হবে। তা না দিয়ে যদি বার বার ঔষধ প্রয়োগ করে শরীরকে আরও বেশী অসুস্থ করার দিকে মনোযোগী হই তবে ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই পাওয়া সম্ভব নয়।

চিকিৎসার্থে যোগাযোগ করুন-

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত - ১৯৬২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com