homeopathic (আরোগ্য হোমিও হল)

সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

রবিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২২

হস্তমৈথুনের কুফলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিন

হস্তমৈথুনের কুফলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিন


হস্তমৈথুনের কুফল থেকে বাঁচার উপায়, হোমিওপ্যাথিক ঔষধ :


 হস্তমৈথুন কী এ বিষয়ে প্রাপ্ত বয়স্করা সবাই কমবেশি জানে এ অংশে আমি হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায় এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করব।

হস্থমৈথুন বা হাত দিয়ে বির্যপাত করা যে কতটা ক্ষতি তা আমাদের অজানা নয়।তারপরও আমরা এই ভুলটি করে থাকি।ফলে ভবিষ্যতে পরতে হয় নানাবিধ সমস্যায়।


 হস্তমৈথুন এর প্রধান সমস্যা হলোঃ-

* দ্রুত বীর্যপাত খুব অল্প সময়ে বীর্যপাত ঘটে। ফলে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে অক্ষম হয়।

* অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষের যৌনাঙ্গকে দুর্বল করে দেয়।

*চোখের ক্ষতি হয় স্মরণ শক্তি কমে যায়।

* আরেকটি সমস্যা হল খবধশধমব ড়ভ ংবসবহ।অর্থাৎ সামান্য উত্তেজনায় যৌনাঙ্গ থেকে তরল পদার্থ বের হওয়া।

* শারীরিক ব্যথা কোমর এবং মাথা ঘোরা।

* যৌন ক্রিয়ার সাথে জড়িত স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল হওয়া অথবা ঠিক মত কাজ না করার পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া।

* শরীরের অন্যান্য অঙ্গ যেমন: হজম প্রক্রিয়া এবং প্রসাব প্রক্রিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি করে। দ্রুত বীর্যস্থলনের প্রধান কারণ অতিরিক্ত হস্তমৈথুন

*হস্তমৈথুনের ফলে অনেকেই কানে কম শুনতে পারেন এবং চোখে ঘোলা দেখতে পারেন।


হস্তমৈথুন অভ্যাস দূর করতে এবং হস্তমৈথুন সংক্রান্ত কুফল সমূহ দূর করতে একমাত্র হোমিওপ্যাথি ছাড়া আর কোনো চিকিৎসা বিজ্ঞান আজও ততটা সাফল্য দেখাতে পারে নি। তাই ভালো কোনো হোমিওপ্যাথের কাছ থেকে প্রপার ট্রিটমেন্ট নিন। আশা করি আবার আপনার জীবন স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।


Staphisagria: স্টেফিসেগ্রিয়া পুরুষদের যৌন দুর্বলতা দূর করার ক্ষেত্রে একটি শ্রেষ্ট ও অব্যর্থ ঔষধ। বিশেষভাবে অতিরিক্ত যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়ার কারণে বা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকার কারণে যাদের ধ্বজভঙ্গ হয়ে গিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই ঔষধটি বেশী প্রযোজ্য। এটি ছ, ৩, ৬, ৩০, ২০০ ইত্যাদি যে-কোন শক্তিতে খাওয়া যেতে পারে; কিন্তু যত নিম্নশক্তি থেকে খাওয়া শুরু করা যায় ততই উত্তম। প্রতিদিন পাঁচ ফোটা করে সকালে এবং সন্ধ্যাবেলা দু’বার। বিয়ের প্রথম দিকে কিছুদিন মেয়েদের প্রস্রাব বা যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত কোন সমস্যা হলে নিশ্চিন্তে স্টেফিসেগ্রিয়া নামক ঔষধটি সেবন করা যেতে পারে। কারণ স্টেফিসেগ্রিয়া একই সাথে যৌনাঙ্গ এবং আঘাতজনিত রোগে সমান কাযর্করী ভূমিকা পালন করে।


Moschus Moschiferus : যে সকল ধ্বজভঙ্গ রোগীর ডায়াবেটিস আছে এটি তাদের জন্য ভালো কাজ করে। ক্ষুদ্রাকৃতি পুরুষাঙ্গকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এই ঔষধটি সহায়তা করে।


Salix nigra: স্যালিক্স নাইগ্রা হোমিওপ্যাথিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধের কাতারে আসে। যাদের মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন করার অভ্যাস ছাড়াও স্বপ্নদোষ নিয়মিত ভাবে হয় তারা এই ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন। উক্ত কারণসমূহে সৃষ্ট পুরুষদের যৌনকর্মে দুর্বলতা বা অক্ষমতা তৈরি হয়েছে এবং এসব কারণে যাদের ওজন কমে গিয়েছে, এই ঔষধ যৌনদূর্বলতা সারানোর পাশাপাশি তদের ওজনও বাড়াতেও সহায়তা করবে। আবার অবিবাহিত যুবক-যুবতী বা যাদের স্বামী-স্ত্রী দেশের বাইরে থাকেন অথবা ইহকাল ত্যাগ করেছেন, এই ঔষধ তাদের মাত্রাতিরিক্ত যৌন উত্তেজনা কমিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় জীবনযাপনে সাহায্য করবে।


Lycopodium clavatum : লাইকোপোডিয়াম পুরুষাঙ্গ ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। যাদের মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের অভ্যাসের কারণে ধ্বজভঙ্গ হয়েছে তারা এটি খেতে পারেন। লাইকোপোডিয়ামের প্রধান লক্ষণ হলো এদের পেটে প্রচুর গ্যাস তৈরি হয়, এদের মাথার ব্রেন খুব ভালো কিন্তু স্বাস্থ্য খুব জীর্ণ শীর্ণ, এদের প্রস্রাব অথবা পাকস্থলী সংক্রান্ত কিছু না কিছু সমস্যা থাকবেই, অকালে বার্ধক্য, সকাল বেলা বেশি দুর্বলতা ইত্যাদি।


Natrum carbonicum: পুরুষরা যে-সব নারীদেরকে আলিঙ্গন করলেই বীযর্পাত হয়ে যায় (সহবাস ছাড়াই) অর্থাৎ অল্পতেই তাদের আত্মতৃপ্তি হয়ে যায় এবং পরে আর কোন সঙ্গমে আগ্রহ থাকে না, তাদের জন্য নেট্রাম কার্ব একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। এবং এই কারণে যদি তাদের কোন সন্তানাদি না হয় (অর্থাৎ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়), তবে নেট্রাম কার্বে সেই বন্ধ্যাত্বও সেরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


Caladium seguinum : যে সকল ব্যক্তিগণ যৌনমিলনে কোন ধরণের আনন্দ পান না বা যৌনমিলনের পরও বীরয নির্গত হয় না এবং যাদের বীরয অতি দ্রুত নির্গত হয়ে যায় বা যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করার কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য এই ঔষধটি অনেক কার্যকরী।


Agnus Castus: কিছু কিছু মানুষের গনোরিয়া রোগের পরে এই ধরনের যৌন দুর্বলতা দেখা দিলে এই ঔষধটি ভালো কাজ করে। পুরুষাঙ্গ আকারে ছোট এবং খুবই নরম হয়ে যায়, পায়খানা এবং প্রস্রাবের আগে-পরে নিয়মিতভাবে আঠালো পদার্থ নির্গত হয়, এবং ঘনঘন স্বপ্নদোষ হওয়ার অভ্যাস আছে তাদের জন্য এই ঐষধটি কার্যকর।


Nux Vomica: যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে নাক্স ভমিকা ঔষধটি একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ বিশেষত যারা শীতকালে কাতর, যাদের পেটের যে কোন সমস্যা বেশী হয়, সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকতে ইচ্ছা করে, কায়িক পরিশ্রম কম করে এবং মানসিক পরিশ্রম বেশী করার অভ্যাস আছে ইত্যাদি। নিম্নশক্তিতে এই ঔষধটি ঘনঘন খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।


Phosphoricum Acidum: সাধারণত টাইফয়েড জাতীয় মারাত্মক কোন রোগে ভোগার কারণে, স্বপ্নদোষ, মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম ও হস্তমৈথুন ইত্যাদি কারণে যৌন ক্ষমতা কমে গিয়েছে অথবা যৌনক্ষমতা একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে (এবং সাথে অন্য যে-কোন ধরণের সমস্যা হউক না কেন) এসিড ফস উত্তম।


একজন রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের পরার্মশ নিয়ে মেডিসিন খাবেন, নিজে নিজের ডাক্তারি করবেন না,কারন রোগীর রোগের লক্ষন মিলতে হবে। রোগীর লক্ষন,রোগের লক্ষন ব্যাতীত ঔষুধ প্রয়োগ করা অনুচিত।


চিকিৎসার্থে যোগাযোগ করুন-

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত - ১৯৬২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com





শনিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২২

 ধাতুক্ষয় রোগে হোমিওপ্যথিক ঔষধ

ধাতুক্ষয় রোগে হোমিওপ্যথিক ঔষধ

 

 ধাতুক্ষয় রোগে হোমিওপ্যথিক চিকিৎসা :

শুক্রমেহ, ধাতুমেহ বা ধাতুক্ষয় রোগের সেরা হোমিও ওষুধ - সেলেনিয়াম (Selenium)

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে সাফল্যজনকভাবে শুক্রমেহ বা ধাতুমেহ বা ধাতুক্ষয় রোগের চিকিৎসা করা যায়। অবাঞ্ছিত শুক্রক্ষরণ বা শুক্রমেহ চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি ঔষধের ব্যবহার নিরাপদ ও পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াহীন।

সঠিক নিয়মে ধাতুমেহ বা শুক্রমেহ চিকিৎসা হলে এই জটিল ও কঠিন রোগটি যেমন স্থায়ীভাবে নিরাময় হয়, একই সাথে রোগীর অসুস্থতার কারণে হারানো স্বাস্থ্য পুনঃগঠনেও সহায়তা করে।

হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেলেনিয়াম প্রয়োগে শুক্রমেহ বা ধাতুক্ষয় রোগের চিকিৎসা

রোগী বিবরণীঃ

সাম্প্রতিক সময়ে আমার নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে একটি রোগীর অবাঞ্ছিত শুক্রক্ষরণ বা শুক্রমেহ রোগের চিকিৎসা বিবরণী আজ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। চিকিৎসার রোগীলিপি বিবরণীটি নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ।

প্রথমত উক্ত রোগীর চিকিৎসাতে হোমিওপ্যাথিক ঔষধের মাধ্যমে কিভাবে শুক্রমেহ বা ধাতুমেহ রোগ চিকিৎসা করা যায় তা যেমন জানা যাবে।

পাশাপাশি জটিল ও পুরাতন রোগ চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কিভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং চিকিৎসা পদ্ধতিই বা কেমন হলে একজন রোগী প্রকৃত অর্থে সুস্থতা লাভ করতে পারবেন সে সম্পর্কেও কিছু প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেবে।

বলা বাহুল্য, উক্ত রোগীর চিকিৎসাকালে আমি নিজেও আমাদের হোমিওপ্যাথিক ঔষধের বৈচিত্রময় প্রয়োগ কৌশল সম্বন্ধে কিছুটা জানতে পেরেছি।



প্রাসঙ্গিক লেখাটি পড়ে দেখতে পারেন-

যৌন দূর্বলতা চিকিৎসায় ব্যবহৃত প্রধান ৫টি হোমিওপ্যাথি ওষুধ

ধাতু দুর্বলতার সেরা হোমিওপ্যাথিক ওষুধ এগনাস কাস্ট

যাই হোক আসুন চিকিৎসা বিবরণী শুরু করা যাক। এখানে উল্লেখ্য যে, এখানে উল্লেখিত লক্ষণগুলো উক্ত রোগীর নিজের মুখে বলা কথাগুলোকে একটু মার্জিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

কেস স্টাডি -১।

তারিখঃ ০৬-০৫-২০১৭ইং।

নামঃ ক—।

বয়সঃ আনুমানিক ৪০ হবে।

পেশা ও অবস্থানঃ

একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরিরত মাঠকর্মী।

প্রধাণত তাকে বিভিন্ন জায়গায় চাকুরীর কাজে ঘুরে বেড়াতে হয়। প্রতিদিনের খাবার হোটেল বা রেস্তোরাতে খেয়ে থাকেন। ধার্মিক মুসলমান। কোন প্রকার মাদক, পান বা সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস নেই। তবে প্রচুর চা খান।

অসুস্থতার বিবরণঃ

আনুমানিক ১০ বৎসর যাবৎ অবাঞ্ছিত শুক্রক্ষরণ সমস্যায় ভুগছেন। অনেক চিকিৎসা করিয়েছেন। কোন কাজ হয়নি। সমস্যা অতটাই গুরুতর যে, এর কারণে সময়মত নামাজটাও পড়তে পারেন না। ঘুমের মধ্যে, চলাফেরার সময়, কোন মহিলার সঙ্গে কথা বলার সময়, স্বাভাবিক কারণে বা মানসিক দুঃশ্চিন্তায় একটু উত্তেজিত হলে, প্রস্রাব বা পায়খানার সময় প্রস্ট্রেটিক রস বিন্দু বিন্দু করে বের হয়।

রোগীর ভাষায়-

আমার অনবরত ধাতু বের হয়। একটু পরিশ্রমের কাজ করলে, রোদ্রে যাতায়াত করলে, যানবাহনে নারীদের শরীরের ঘর্ষণে এমনিতেই ধাতু বের হতে থাকে। আমি প্রায়ই অনুভব করি শুক্রস্রাব বা ধাতু বের হয়ে আমার পায়জামা ভিজে আছে।

শরীরটা দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে। অর্শ আছে। পায়খানা কষাভাব হলেই পায়খানার সাথে প্রচুর রক্ত বের হয়। প্রস্রাব বা পায়খানার পর অনেকক্ষণ যাবত ফোঁটায় ফোঁটায় অসাড়ে প্রস্রাব নির্গমন হতে থাকে। এতে কাপড় নষ্ট হয়।

আমি এ নিয়ে খুব দুঃচিন্তায় আছি। বউয়ের সাথে স্বাভাবিকভাবে যৌন মিলনে কোন আনন্দ পাইনা। ইচ্ছা আছে কিন্তু শক্তি পাইনা। লিঙ্গ দাঁড়ায় না বা দাঁড়ালেও বেশিক্ষণ সবল থাকেনা। অনেক তাড়াতাড়ি ধাতু বের হয়ে যায়। শেষে বউয়ের সাথে এনিয়ে খালি ঝগড়া হয়।


রোগী পর্যবেক্ষণঃ

আমি লক্ষ্য করলাম রোগী তোঁতলিয়ে কথা বলে। জিজ্ঞাসায় জানতে পারলাম ২০ বৎসর যাবৎ সে তোঁতলামি সমস্যায় আক্রান্ত। পাশাপাশি কোষ্ঠবদ্ধতায় ভুগছেন অনেকদিন যাবৎ। যদিও তাতে তার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। কেননা বাইরের খাবার খান বলে কোষ্ঠবদ্ধতা হতেই পারে -এই হলো তার পর্যবেক্ষণ।

সামান্য শারিরীক বা মানসিক পরিশ্রম তাকে অসুস্থ করে তোলে। রোর্দ্র সহ্য হয় না। অত্যাধিক চা পান করেন। এতে যে তার সমস্যা হতে পারে বা চা তার রোগলক্ষণ বৃদ্ধি করতে পারে, তা নিয়ে কখনও ভাবেননি। জীবনিশক্তি খুব দুর্বল।

১ম ঔষধ-

Agnus Cast Q – ১০ ফোঁটা করে সকালে ও রাতে, সামান্য পানিসহ খালিপেটে।

পর্যবেক্ষণঃ ৩০-০৫-২০১৭ইং

কোন পরিবর্তন নেই। বরং আরো বেশী সমস্যা হচ্ছে।

২য় ঔষধ-

Nat. Mur 12x – ৪টি করে বড়ি দিনে ২ বার।

২২-০৬-২০১৭ইং

কোন পরিবর্তন নেই। কোষ্ঠবদ্ধতায় খুব কষ্ট পাচ্ছেন।

৩য় ঔষধ-

Ginseng Q –– ১০ ফোঁটা করে সকালে ও রাতে, সামান্য পানিসহ খালিপেটে।

২৬-০৮-২০১৭ইং

কোন পরিবর্তন নেই। উল্টো প্রথম ৩ দিন প্রচুর মাথাব্যথা করেছে। শেষে প্যারাসিটামল যাতীয় ঔষধ খেতে হয়েছে।

৪র্থ ঔষধ -

Bio-Combination – BC ২৭

জার্মানির ১ আউন্স দিলাম। ৪টি করে দিনে ২ বার, চুষে খাবেন।

০৫-০১-২০১৮ইং

রোগীকে কিছুটা বিরক্ত ও হতাশ মনে হলো। তার কোন রোগলক্ষণেরই কোন প্রকার উন্নতি হচ্ছেনা বলে ঝাঁঝালো জবাব দিচ্ছিল। বলা বাহুল্য, চিকিৎসা কাজে আসছেনা বলে আমিও কিছুটা লজ্জ্বিত ও চিন্তিত ছিলাম। পরিশেষে তাকে কিছুটা অভয় দিয়ে বললাম, আপনাকে আমি এই মূহুর্তে আর কোন ঔষধ দিবনা। ১ মাস পরে দেখা করুন।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সফল হতে হলে দ্বিতীয়বার রোগীলিপি পড়ে দেখার গুরুত্ব

আমি তার কাছ থেকে ১ মাস সময় নিলাম। সময়টা নেয়া জরুরী ছিল। কারণ ইতিমধ্যে সে অনেক ঔষধ খেয়েছে। ফলশ্রুতিতে তার শরীরে রোগসৃষ্ট সমস্যার চাইতেও ঔষধসৃষ্ট লক্ষণ বেশী প্রকাশ পেয়েছিল।

তাছাড়া আমাকে তার রোগীলিপি আরও একবার ভালো করে পড়ে সামগ্রীক লক্ষণসমূহের পূণরায় পর্যালোচনা করে সঠিক ঔষধটি বাছাই করার জন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন ছিল।

০৮-০৩-২০১৮ইং

রোগী আসতেই আমি তাকে বললাম- আমি আজও আপনাকে কোন ঔষধ দিচ্ছিনা তবে ১ ফোঁটা ঔষধ মুখে খাওয়াবো। ব্যস এইটুকুই। আমি আপনাকে ঠিক ১৫ দিন পর পর একই নিয়মে এই ঔষধটি খাওয়াব। আপনি শুধু খালিপেটে আমার চেম্বারে ঔষধ খেতে আসবেন।


শুক্রমেহ, ধাতুমেহ বা ধাতুক্ষয় রোগে সেলেনিয়াম এর ব্যবহার

ঔষধটি ছিল সেলেনিয়াম ৩০ শক্তির ঔষধ। ১ ফোঁটা মাত্র মুখের মধ্যে দিয়ে বিদায় করে দিলাম। সেদিন থেকে রোগীটি ঠিক ১৫ দিন পর পর আমার চেম্বারে এসে সেলেনিয়াম ৩০ শক্তির ১ ফোঁটা ঔষধ খেয়েছেন। সর্বমােট ৩ বার খাওয়ানোর পর বুঝতে পারি ঔষধটি তার আরোগ্যকারী ফলাফল প্রকাশ করা শুরু করেছে।

রোগীর রোগলক্ষণ ধীরে ধীরে কমে আসছে। আমি ঔষধ খাওয়ানো বন্ধ করে অপেক্ষা করার নীতি গ্রহণ করি। পরবর্তীতে ৩ মাস অপেক্ষা করেছিলাম। ৩ মাস পর আরও ২ বার ৩০ শক্তির সেলেনিয়াম শক্তি পরিবর্তন রীতি অনুসারে প্রয়োগ করেছি। রোগী প্রায় সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছে। বর্তমানে আমি তার অর্শের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি মতে কিভাবে রোগী আরোগ্য করা যায়

রোগীটি যে শিক্ষা আমাকে দিয়েছে তা ভুলবার নয়। তা হচ্ছে- হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় তখনই সফলতা পাওয়া যায় যখন ঔষধটি নির্বাচন করা হয় সামগ্রীক লক্ষণসমষ্টির ওপর ভিত্তি করে।

শুধু তাই নয়। চিকিৎসার নিয়ম রক্ষা করাটা তার চাইতেও বেশী জরুরী। কেননা, একটি নির্দিষ্ট ঔষধ প্রয়োগ করে তার কার্যকারিতা কতটুকু তা যাচাই করার জন্য ঔষধকে যথেষ্ট সময় নিয়ে শরীরে কাজ করার স্বাধীনতা দিতে হবে। তা না দিয়ে যদি বার বার ঔষধ প্রয়োগ করে শরীরকে আরও বেশী অসুস্থ করার দিকে মনোযোগী হই তবে ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই পাওয়া সম্ভব নয়।

চিকিৎসার্থে যোগাযোগ করুন-

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত - ১৯৬২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com




স্তন টিউমারে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিন

স্তন টিউমারে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিন




স্তন টিউমারে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :

স্তন বা ব্রেস্ট টিউমার যেকোনো বয়েসের বা যেকোনো শারীরিক বা মানসিক অবস্থার মহিলাদের জন্যই এক অজানা আতঙ্ক বা আশঙ্কার
কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হবেই বা না কেন? কারণ স্তন বা ব্রেস্ট টিউমার সঠিকভাবে চিকিৎসা না করা হলে পরবর্তীতে তা ক্যান্সার এর মতো জীবন ধ্বংসকারী অসুস্থতা সৃষ্টি করে।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকর ও স্থায়ীভাবে স্তন বা ব্রেস্ট টিউমার নিরাময় করতে সক্ষম। নিচে হোমিওপ্যাথি মতে ব্রেস্ট টিউমার চিকিৎসা (breast tumor treatment in homeopathy)  করার জন্য ব্যবহৃত প্রধান কিছু হোমিওপ্যাথিক ওষুধের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করা হলো।


কোনিয়াম

স্তনের (এস্টিরিয়াসে), জরায়ুর ও পাকস্থলীর ক্যানসার জনিত রোগে, বিশেষ করে যদি ঐ স্থানগুলোতে আঘাত বা উপঘাতের ফলে রোগ উৎপন্ন হয় তবে কোনিয়ামে উপকার হয় ও রোগ আরোগ্য হয়।

সকল প্রকার টিউমারে, বিশেষ করে টিউমার সিরাস (Cirrhous)কঠিন বা অন্য কোন রকমের হোক না কেন যদি পাথরের মতো শক্ত হয় এবং ভার বোধ হয় এবং যদি আঘাতের ফলে উৎপন্ন হয়ে থাকে তাহলে কোনিয়াম অব্যর্থ।

ব্রেস্ট টিউমার চিকিৎসা(breast tumor treatment in Homeopathy) ক্ষেত্রে ব্যবহৃত প্রধান ৩টি হোমিও ওষুধ

কোনিয়াম ও সাইলিসিয়া উভয় ওষুধেই স্তনের কঠিনতা আছে। কোনিয়াম ডান দিকের এবং সাইলিসিয়া বাঁদিকের স্তনের গুটিকায় উপযোগী।

কার্বো এনিমেলিস এর মধ্যেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাম পাশে ব্রেস্ট টিউমার হতে দেখা যায়। এতে স্তনে শক্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গুটি বিশিষ্ট স্তনার্বুদ (mammary tumours) হয়ে থাকে।

এছাড়া তরুণ অবস্থায় যদি স্তনে অস্ত্রাঘাত করার মতো বেদনা থাকে, আবার প্রতি ঋতুকালে স্তনদ্বয় বড় হয়ে উঠে, বেদনা করে, স্পর্শকাতর বিশিষ্ট হয় এবং সামান্য ঠোকাঠুকি লাগলে বা হাঁটলেও বেদনা বাড়লে কোনিয়ামই বিশেষ ভাবে উপযোগী হয়।

স্তন, জরায়ু অথবা অন্য কোন স্থানের কঠিন তন্তুযুক্ত টিউমারে বা সিরাস (Cirrhous) টিউমারে কোনিয়ামের বেদনায় জ্বালা, হূলবিদ্ধকর বেদনা বা চিড়িকমারা লক্ষণ থাকে।

ব্রেস্ট টিউমার এর সেরা হোমিও ওষুধ সমূহ (Best Homeopathy medicine for breast tumor)

ফাইটোলাক্কা

ফাইটোলাক্কা স্তনের সন্দেহজনক ঢেলা (Suspicious Lumps) বা অর্বুদ (Tumours in the Breast) চিকিৎসায় ব্যবহৃত একটি শ্রেষ্ঠ হোমিও ওষুধ। বিশেষ করে যদি ঐ প্রকার টিউমারের সাথে ব্রেস্ট বা স্তনে প্রচুর ব্যথা বিদ্যমান থাকে। এতে স্তন অত্যন্ত শক্ত, স্ফীত, গরম ও ব্যথাযুক্ত থাকে। ফাইটোলাক্কাতে স্তন টিউমারের সাথে বগলের গ্রন্থিগুলোতেও স্ফীতি ও বেদনা থাকে।

গ্রাফাইটিস

স্তনের মধ্যে পুরাতন শুকিয়ে যাওয়া ক্ষত চিহ্নের নীচে টিউমারের উৎপত্তি হলে সেই টিউমারের চিকিৎসায় গ্রাফাইটিস খুবই কার্যকরী একটি হোমিও ওষুধ। সাধারণত ক্ষতচিহ্ন গুলো কোন জীবাণু সংক্রমণ বা ফোঁড়া শুকিয়ে গিয়ে তৈরি হয়। এইরূপ অবস্থায় গ্রাফাইটিস ব্যবহারে টিউমার আরোগ্য হবার পাশাপাশি ক্ষতচিহ্ন মুছে যায়।

পালসেটিলা

যে সমস্ত মহিলাদের প্রায়ই মাসিকের সমস্যায় ভুগতে হয় তাদের স্তন বা ব্রেস্ট টিউমার চিকিৎসায় (breast tumor treatment in homeopathyপালসেটিলা চমৎকার কার্যকরী। বিশেষ করে মাসিক দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ হয়ে থাকলে তার ফলশ্রুতিতে অনেকের স্তনে টিউমার বা টিউমার সদৃশ ঢেলা বা মাংসপিণ্ড দেখতে পাওয়া যায়। এধরনের মহিলাদের মাসিক প্রায়ই দুর্গন্ধ যুক্ত হয়ে থাকে।

পালসেটিলা সাফল্যের সাথে এদের অনিয়মিত মাসিকের সমস্যার সমাধান করে স্তন টিউমার নিরাময় করে থাকে।

ক্যালকেরিয়া ফ্লোর

শক্ত পাথরের মতো স্তন টিউমার চিকিৎসায় ক্যালকেরিয়া ফ্লোরকে প্রথম সারির ওষুধ হিসেবে গণ্য করা হয়।

চিকিৎসার্থে যোগাযোগ করুন-

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com

বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২২

 ওমিক্রন প্রতিরোধে ৭টি নিয়ম মেনে চলুন

ওমিক্রন প্রতিরোধে ৭টি নিয়ম মেনে চলুন

  ওমিক্রন প্রতিরোধে ৭টি নিয়ম মানা খুব জরুরি


 ওমিক্রন প্রতিরোধে ৭টি নিয়ম মানা খুব জরুরি :

বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে প্রায় সব দেশেই ওমিক্রনের উপস্থিতি থাকতে পারে বলে ধারণা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

করোনাভাইরাসের মধ্যে ঘটেছে অনেকগুলো মিউটেশন। অর্থাৎ ভাইরাস নিজেকে প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে। আর এই বদল হয়েছে ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনে।

আর এই বদলে যাওয়া ভাইরাসের নতুন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আরও বেশি সংক্রামক বলেই ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। তাহলে ওমিক্রন থেকে বাঁচতে কী করণীয়?



বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাথমিকভাবে ৭টি অভ্যাস মেনে চলা খুবই জরুরি। তাহলে হয়তো ওমিক্রন থেকে রেহাই মিলবে-

১/ সবারই জানা আছে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ভিটামিন সি’যুক্ত খাবার কতটা জরুরি। কারণ এই ধরনের খাবার আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রাখুন পাতে। লেবু, কমলা, আমলকিসহ টকজাতীয় ফলে থাকে ভালো পরিমাণে ভিটামিন সি।

২/ শরীর সুস্থ রাখতে যেমন শরীরচর্চার প্রয়োজন ঠিক তেমনই বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পেতেও তা চালিয়ে যেতে হবে। শরীরচর্চার মাধ্যমে ইমিউনিটি বাড়ে। জিমে, মাঠে যেখানে খুশি ব্যায়াম করুন। প্রয়োজনে পায়ে হেঁটে চলাফেরা করুন। ব্যায়াম করতে সমস্যা হলে জগিং করুন বা হাঁটুন ৩০ মিনিট।

৩/ শীতের এ সময় সবাই কমবেশি সর্দি-কাশিতে ভোগেন। কে সাধারণ সর্দি-কাশি আর এক ওমিক্রনে আক্রান্ত তা নিশ্চয়ই আপনি টের পাবেন না! তাই সুরক্ষিত থাকতে অন্তত মাস্ক পরুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা থেকে বাঁচতে হলে মাস্কই হলো প্রধান অস্ত্র। তাই সব সময় মাস্ক পরুন। বিশেষ করে ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই পনরতে হবে।

৪/ করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমতেই অনেকেই ব্যক্তিগত সুরক্ষার বিষয়টি ভুলতে চলেছেন! যা ওমিক্রন সংক্রমণের কারণ হতে পারে। তাই নিয়মিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। সবচেয়ে ভালো হয় অন্তত ৩০ সেকেন্ড সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুলে। তবে যেহেতু এখন শীতের সময় তাই ঘন ঘন স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।

৫/ ওমিক্রন সংক্রমণ থেকে বাঁচতে অবশ্যই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন। ঠিক যেমনটি করোনার শুরুর সময় থেকেই শারীরিক দূরত্ব রাখার কথা বলা হয়েছে। তাই বাজার, বাস, ট্রেনে কিংবা ভিড় এলাকায় চলাফেরার ক্ষেত্রে সাবধান থাকুন। যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলুন।

৬/  করোনার টিকা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিতে হবে। টিকা রোগ আটকাতে না পারলেও রোগের ঘাতক রূপ থেকে বাঁচাতে পারে। তাই টিকা আবশ্যক।

৭/  যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারা বিশেষ সতর্ক থাকুন। যেমন- ডায়াবেটিস, ক্যানসার, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খান ও নিয়মমাফিক চলুন।

বাইরে করোনার ভয়! কিন্তু উপায় কি, অফিস বা টুকিটাকি কাজে পা রাখতেই হচ্ছে ঘরের বাইরে। এই সময় করোনা সংক্রমণ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। অর্থাৎ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে নিজের শরীরকে শক্তিশালী করে তোলাটা এখন আমাদের প্রথম কাজ। খোঁজ রইল এমন কিছু খাবারের যা খাদ্যতালিকায় থাকলে আপনার ইমিউনিটি বাড়বেই বাড়বে।

কমলালেবু, বাতাবি, মৌসাম্বি, জাতীয় ফল রোজ একটা করে খান। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। গরম জলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়েও খেতে পারেন। ভিটামিন সি শ্বেত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে, যা লড়াই করে শরীরে তৈরি হওয়া কোনও  ইনফেকশনের সঙ্গে।



আমন্ড ও আখরোট

আমন্ড, আখরোট, কাঠবাদামে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিল ই। ভিটামিন ই-ও আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি এই ধরণের বাদামে থাকা প্রোটিন আর আয়রন শরীরকে দীর্ঘক্ষণ ধরে কর্মক্ষম রাখে।

রসুন

কাঁচা রসুন অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিসেপটিকের গুণে সমৃদ্ধ। এটি ঠান্ডা লাগা, কাশি, সর্দি, ভাইরাল ফিভারের থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। রসুনে রয়েছে ভিটামিন সি, বি ১, বি ৬ এবং ফসফরাস ও আয়রন। তাই স্যুপ হোক বা তরকারি, খাবারে রসুন অবশ্যই রাখুন।

রাঙা আলু

রাঙাআলুতে থাকা ভিটামিন এ আর ফাইবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। রাঙা আলু হজম হতে দেরি হয়, দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। তাই এর থেকে এনার্জিও বেশি পাওয়া যায়। তরকারিতে বা রোস্ট করে খেতে পারেন রাঙা আলু বা মিষ্টি আলু।

কাঁচা হলুদ

আয়ুর্বেদিকের দুনিয়ায় হলুদ ‘ওয়ান্ডার ড্রাগ’ হিসেবে পরিচিত। এটি নানা ধরনের রোগের সঙ্গে লড়াই করার জন্য শরীরকে তৈরি করে। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে মধু সহযোগে কাঁচা হলুদ  খেতে পারেন। গরম দুধের সঙ্গে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন ঘুমোতে যাওয়ার আগে।


আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত - ১৯৬২ ইং

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

সোমবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২২

 মেয়েদের মুখে  গোঁফ-দাড়ি গজানোর কারণ

মেয়েদের মুখে গোঁফ-দাড়ি গজানোর কারণ

 

 মেয়েদের মুখে  গোঁফ-দাড়ি গজানোর কারণ কি?

হরমোন মানব শরীরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  হরমোনের নানাবিধ সমস্যার কারণে শরীরে সৃষ্টি হতে পারে অনেক রোগ।  পুরুষ ও নারী হওয়া হরমোনের মাধ্যমেই সণাক্ত হয়। সঠিক সময়ে হরমোনের চিকিৎসা করানো গেলে সুস্থ হওয়া সম্ভব।  


পুরুষের মতো অনেক মেয়ের মুখেও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি লোম দেখা যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ অবস্থাকে হিরসুটিজম বলা হয়। যেকোনো বয়সের মহিলাদের বেলায়ই ব্যাপারটি অত্যন্ত বিরক্তিকর। বিশেষ করে তরুণী বা কম বয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে তা হয় মহা বিরক্তিকর।


সাধারণভাবে নারীদের মুখে অতিরিক্ত গোঁফ-দাড়ি হওয়াকে কোনো-না-কোনো রোগের লক্ষণ বলে ধরে নেয়া হয়। তবে অনেক সময় কোনো রোগ ছাড়াও মহিলাদের মুখে সামান্য লোম থাকতে পারে। বংশগত কারণেই এমনটি বেশি হয়ে থাকে। লোমের পরিমাণ অথবা প্রকৃতি বিভিন্নজনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের হতে পারে। 


ধরে নেয়া হয়, মহিলাদের শরীরে অ্যান্ড্রোজেন নামক হরমোনের আধিক্যই এ রোগের কারণ। এই এন্ড্রোজেন মূলত পুরুষ দেহে বিদ্যমান একটি হরমোন। তবে মহিলাদের শরীরেও এ হরমোন অল্পমাত্রায় বিদ্যমান থাকে।

কোনো কারণে যদি এ হরমোনের মাত্রা মহিলাদের শরীরে বেড়ে যায় তাহলে মহিলাদের শরীরে এ রকম অতিরিক্ত মাত্রায় গোঁফ-দাড়ি গজাতে থাকে। তা ছাড়া শরীরে এন্ড্রোজেন জাতীয় হরমোনের কার্যক্ষমতাকে কমিয়ে দিতে পারে বা বিরত রাখতে পারে এমন প্রোটিনজাতীয় একটি পদার্থের স্বল্পতার কারণেও এ রকম অবস্থায় সৃষ্টি হতে পারে।

এ ব্যাপারে হরমোন, ডায়াবেটিস ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. সুলতানা মারুফা শেফিন বলেন, মেয়েদের মুখে দাড়ি হওয়া হরমোনজনিত সমস্যা। ছেলেদের মুখে সময়মতো দাড়ি না ওঠাও আরেকটি হরমোনগত সমস্যা।


এই প্রোটিনের সঠিক মাত্রা আমাদের দেশে খুব সহজেই এখন ল্যাবরেটরিতে নির্ণয় করা যায়। মানুষের শরীরে অনেক গ্রন্থি থাকলেও এর জন্য মূলত দু’টি গ্রন্থিকেই দায়ী করা হয়। তার একটি হলো এডরিনাল নামক গ্রন্থি, যা কিনা কিডনির উপরিভাগে অবস্থিত থাকে।

আরেকটি হলো নারীর দেহের ডিম্বাশয় বা ওভারি। এই দু’টি গ্রন্থির কোনো রোগের কারণেই সাধারণত এ রকম অতিরিক্ত লোম গজিয়ে থাকে।

টঝএ করালে সাধারণত মেয়েদের অনেকের ক্ষেত্রে ওভারিয়ান সিস্ট থাকতে দেখা যায়। এটি তেমন জটিল কিছু নয় এবং সঠিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সহজেই এটি আরোগ্য হয়।

তবে সমস্যা হয় যখন এটি পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ এ রুপান্তরিত হয়ে যায়। তখন গর্ভধারণ এ সমস্যা হয়।



পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রমে যে সিম্পটমস গুলো দেখা যায়ঃ

১) সাধারণত অনিয়মিত মাসিক দেখা যায়।

২) মাসিকের সময় প্রচন্ড পেটে ব্যথা হয়। 

৩) মুখে অবাঞ্ছিত দাড়ি গোঁফ গজাতে দেখা যায়।

এর ভেতরে অন্তত দুটি সিমটম্স ও যদি কারো ক্ষেত্রে পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে চঈঙউ এর সম্ভাবনা অধিক। আল্ট্রাসনোগ্রাম করে অবশ্যই এটি নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।

হোমিওপ্যাথিক  চিকিৎসা আছে। তবে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ক্লাসিক্যাল হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা করালে ভালো হয়।


যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত - ১৯৬২ ইং

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com




রবিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২২

  পর্ণোগ্রাফি থেকে দুরে থাকুন, পর্ণোগ্রাফি দেখলে মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তিকে দূর্বল করে

পর্ণোগ্রাফি থেকে দুরে থাকুন, পর্ণোগ্রাফি দেখলে মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তিকে দূর্বল করে


 পর্ণোগ্রাফি দেখলে মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তিকে দূর্বল করে :

স্নায়ুবিজ্ঞান (Neuroscience) এখন স্বীকার করে যে, মানুষের মস্তিষ্ক অভিযোজন ক্ষমতা সম্পন্ন। অর্থাৎ, অভিজ্ঞতা লাভের মধ্যদিয়ে মস্তিষ্কে পরিবর্তন ঘটে এবং আমরা যা দেখি, শুনি বা জানি, তার সবকিছুর সাথেই মস্তিষ্কের সংযোগ গড়ে ওঠে। দর্শন ক্লাসের আলোচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে নতুন কোনো শহরের পথঘাট চেনা, এমনকি আপাতদৃষ্টিতে নিষ্ক্রিয়ভাবে বসে থেকে কোনো গান শোনা কিংবা টিভি দেখা — আমাদের প্রতিটি কাজের সাথেই মস্তিষ্কের তাৎক্ষনিক সংযোগ গড়ে ওঠে এবং মানুষ হিসেবে আমরা কে, কেমন, এই সংযোগগুলোই সেটা নির্ধারণ করে দেয়। পর্নোগ্রাফী দেখা একটি নীরব অথচ ভয়ঙ্কর সমস্যা যা মহামারীর আকার ধারণ করেছে। এর মাধ্যমে নারীদের চাইতে পুরুষরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।


এই বিষয়টির ক্ষতিকারক দিক সংক্রান্ত অধিকাংশ নিবন্ধগুলোতে বিষয়টি সম্পর্কে সাধারণত মনস্তাত্ত্বিক এবং/অথবা সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করা হয়। তবে বক্ষ্যমাণ নিবন্ধে স্নায়ুবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে পর্নোগ্রাফী দেখার ক্ষতিকর প্রভাবগুলো সম্পর্কে আলোপাত করা হবে।


প্রচলিত যে মডেলটির (model) মাধ্যমে মানুষের শেখা এবং মনে রাখার প্রক্রিয়াটিকে ব্যাখ্যা করা হয়, সেই মডেলটির ভিত্তি হলো সিন্যাপটিক প্লাসটিসিটি (synaptic plasticity)। সিন্যাপটিক প্লাসটিসিটি হলো মস্তিষ্কের সেই ক্ষমতা যার মাধ্যমে অভিজ্ঞতায় সাড়া দিতে মস্তিষ্ক তার নিউরনসমূহের (মস্তিষ্ক কোষ) মধ্যকার সংযোগগুলোর শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কি পরিমাণ এবং কোন ধরণের স্নায়বিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে এবং সেইসাথে কি পরিমাণ নিউরোট্রান্সমিটারের (neurotransmitter – আনবিক গঠন সম্পন্ন স্নায়বিক সংবাহক) নির্গমন ঘটবে, তা নিয়ন্ত্রণ করাও এই ক্ষমতার অন্তর্ভুক্ত। অধিকাংশ মানুষ ডোপামিন সম্পর্কে যা কিছু জানে তা বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তি যেমন, মুহাম্মাদ আলি বা মাইকেল জে. ফক্সের পারকিন্সন্ (Parkinson) রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা থেকে। শরীরে ডোপামিনের কার্যকারিতায় ত্রুটি দেখা দিলে মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়।


মস্তিষ্কের একটি অত্যাবশ্যক নিউরোট্রান্সমিটার হলো ডোপামিন (dopamine)। এর ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি সচেতন অঙ্গসঞ্চালন, অনুপ্রেরণা দান, প্রতিদান দেওয়া, শাস্তি দেওয়া এবং শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। শিশুদের এডিএইচডি (ADHD – Attention Deficit-Hyperactivity Disorder), বার্ধক্যজনিত স্মৃতিশক্তি হ্রাস (cognitive decline) এবং বিষণ্ণতার (depression) ক্ষেত্রেও ডোপামিনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।


আনন্দ অনুভব, প্রতিদান, শিক্ষণ প্রক্রিয়া ইত্যাদিতে ডোপামিনের ভূমিকা অবিচ্ছেদ্য। কোকেইনের মতো ড্রাগগুলোর কার্যকারিতা ডোপামিনারজিক সিস্টেম (Dopaminergic System)  কেন্দ্রিক। এই ড্রাগগুলোর কার্যকারিতার ফলে প্রচুর পরিমাণে ডোপামিনের নিঃসরণ ঘটে। ফলে শরীরে “উচ্চমাত্রার শক্তি বা আনন্দ অনুভূতি” সৃষ্টি হয় যা ক্রমেই আসক্তিতে পরিণত হয়। একাধিক গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, ডোপামিন আনন্দের আবহ তৈরি করে, নয়তো প্রত্যক্ষ আনন্দ দানে ভূমিকা রাখে। মস্তিষ্কের বিভিন্ন অঞ্চলের উপর ভিত্তি করে, চরম আনন্দ লাভের মুহূর্তে, নয়তো আনন্দ লাভের পরে, ডোপামিনের নিঃসরণ ঘটে। এই নিঃসরণের সময়, ডোপামিন শারীরিক ক্রিয়ার সাথে মস্তিষ্কের নতুন সংযোগগুলোকে আরও বেশি শক্তিশালী (strengthen)  এবং দৃঢ় (reinforce)  করে যা ব্যক্তিকে পুরনায় ওই আনন্দ লাভের জন্য একই কাজ করতে উৎসাহ যোগাতে থাকে।


পর্নোগ্রাফীর সাথে এর সম্পর্কটা কোথায়? পর্দায় যৌন ক্রিয়াকলাপের দৃশ্য দেখলে যৌন উত্তেজনা তৈরি হয়, যা ডোপামিনারজিক সিস্টেমকে সক্রিয় করে তোলে। কোকেইনের মতো ড্রাগগুলো ঠিক এই কাজটিই করে থাকে। পর্দায় যৌন ক্রিয়াকলাপের দৃশ্য দেখার ফলে মস্তিকে নতুনভাবে তৈরি হওয়া সংযোগগুলো প্রচুর পরিমাণে নিঃসৃত ডোপামিনের দ্বারা আরও বেশি শক্তিশালী হয়। ফলে পর্দায় দেখা দৃশ্যগুলো ক্ষণস্থায়ী স্মৃতিপটে না-গিয়ে — যেক্ষেত্রে দৃশ্যগুলো পর্দা বন্ধ হওয়ার পর মন থেকে মুছে যেতো — ডোপামিনের দৃঢ়ীকরণ (reinforcement) প্রক্রিয়ার কারণে স্থায়ী স্মৃতিপটে প্রবেশ করে। এখানে দৃশ্যগুলো দর্শকের মনে রিপ্লেই মোডে (replay mode – বারবার চোখে ভাসতে থাকে) দৃঢ়ভাবে গেঁথে যায়। এক্ষেত্রে সমস্যার কথা হলো, কোনো কিছুকে যতবেশি স্মরণ করা হবে, মস্তিষ্কে তা ততবেশি স্থায়ী রূপ লাভ করতে থাকবে। স্কুলের ওই দিনগুলোর কথা মনে করে দেখুন — পরীক্ষার পড়া মুখস্ত করতে গিয়ে একটা বিষয় বারবার পুনরাবৃত্তির পর তা মাথায় গেঁথে যেতো!


পর্নোগ্রাফী হলো অলীক কল্পনা (fantasy)  প্রতিটি নতুন দৃশ্যে একজন নতুন নারীকে দেখে দর্শকের ভ্রম জাগে যেন প্রতিবার সে নতুন একজন নারীর সাথে সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে। পর্নোগ্রাফীর “তারকা” অভিনেত্রীরা ছবিতে পুরুষদের কাছে নিজেদেরকে মর্যাদাহীন এবং অবমাননাকর যৌনকর্মের শিকারে পরিণত করে। এসব যৌন আচরণ মানসিকভাবে সুস্থ অধিকাংশ মানুষের কাছে সম্পূর্ণরূপে অশ্লীল, জঘন্য। পর্নোগ্রাফীর চিত্রনাট্যের কাজই হলো দুএকটা পরিচিত এবং স্বাভাবিকভাবে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী আচরণের মাঝে এমন কিছু যৌন আচরণকে ঢুকিয়ে দেওয়া যেগুলো যৌনভাবে সুখকর নয়। আর এভাবেই দর্শক নতুন নতুন যৌন আচরণের সাথে পরিচিত হয়ে থাকে। পর্দা থেকে অবাস্তব কল্পনার পাশাপাশি এক ধরনের তড়িৎচৌম্বক তরঙ্গ (electromagnetic wave)  বিচ্ছুরিত হয় যা মস্তিষ্কে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়। ফলে ডোপামিনের নিঃসরণ ঘটে। পরিণতিতে, এক ধরনের বাস্তব অনুভূতির তৈরি হয় ঠিকই, তবে যে আনন্দ এবং তৃপ্তিবোধ তৈরি হয়, তা নিজেকে ধোকা দেওয়া ছাড়া কিছু নয়। ডোপামিন নতুন করে পাওয়া যৌনতৃপ্তি সাথে সাথে মস্তিষ্কের সংযোগসমূহকে শক্তিশালী করে। ফলে যা ঘটে তা হলো, ব্যক্তি তখন তার স্ত্রীকে নিজের অবচেতন মনে জমে থাকা কল্পিত যৌন আচরণে লিপ্ত হওয়ার আহ্বান করে।


মস্তিষ্কে সংঘটিত ঘটনা প্রবাহ খুবই যৌগিক আবার সরলও। পর্নোগ্রাফী দেখার ফলে সিন্যাপটিক প্লাসটিসিটি মস্তিষ্কে নতুন সংযোগ তৈরি করে। ফলে নতুন করে লাভ করা স্মৃতিগুলো সংরক্ষিত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা যেহেতু যৌন উত্তেজনার সাথে সম্পৃক্ত, তাই ডোপামিন নিঃসরণের মাধ্যমে নতুন সৃষ্ট সংযোগগুলো বহুগুণ বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে এবং পর্দায় দেখা দৃশ্যগুলো স্থায়ী স্মৃতিপটে সংরক্ষিত হওয়ার ফলে দুই ধরণের ঘটনা ঘটে :



১) কোকেইন মস্তিষ্কের যে গঠনতন্ত্রকে উদ্দীপ্ত করে, পর্নোগ্রাফীও ঠিক সেই গঠনতন্ত্রকেই উদ্দীপ্ত করে। ফলে আসক্তির জন্ম হয়।


২) পুরুষ প্রায়ই তার স্ত্রীর সাথে এসব দৃশ্যের পুনর্মঞ্চায়ন করতে চায় যার অনিবার্য পরিণাম হতাশা। এই পুনর্মঞ্চায়নের প্রত্যাশা পূরণ হবার নয়। কারণ একাধিক নতুন নতুন নারীর পরিবর্তে স্ত্রী শুধু একজন। আরও ভয়ানক বিষয় হলো, এই একজন নারীর যৌন বাচনভঙ্গি, আচরণ, শারীরিক আবেদন ইত্যাদি পুরুষের মনে জমে থাকা ওইসব নতুন নতুন নারীর সাথে কখনোই মিলবে না। হয়তো প্রথম প্রথম দুএকবার পুনর্মঞ্চায়ন বেশ উত্তেজনাকর এবং আনন্দঘন হতে পারে। তবে শীঘ্রই বাস্তবতা এসে হানা দেবে এবং যখন আনন্দ পাওয়া যাবে না, ডোপামিনের নিঃসরণও তখন বন্ধ হয়ে যাবে।



দুঃখজনক হলো, ঘটনার এখানেই শেষ নয়। অবাস্তব এবং কাল্পনা নির্ভর প্রত্যাশার কারণে বাস্তবে যখন হতাশার সৃষ্টি হবে, মস্তিষ্ক তখন ডোপামিনের নিঃসরণ শুধু বন্ধই করবে না; বাস্তবিক অর্থে, এই নিঃসরণ স্তর তখন সর্বনিম্ন স্তরেরও নীচে নেমে গিয়ে বিষণ্ণতার স্তরে গিয়ে পৌঁছবে। ফলে দাম্পত্য জীবনে হতাশা, অতৃপ্তি এবং অশান্তির জন্ম হবে। কারণ স্ত্রীকে সে “যেভাবে প্রত্যাশা করে, সেভাবে পায় না।” অনেক নারী নিজেদেরকে আরও বেশি আবেদনময়ী করার চেষ্টা করা সত্ত্বেও, এমনকি স্বামীদের মনের মতো করে আত্মমর্যাদাহীন, বিকৃতরুচির যৌনকর্মের জন্য নিজেদেরকে স্বামীদের হাতে তুলে দিলেও, পর্নোগ্রাফীতে আসক্ত স্বামীরা খুব সামান্য সময়ের জন্যই আনন্দ লাভ করবে এবং অল্প সময়েই আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। ফলে সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও স্ত্রী নিজেকে অনাকর্ষণীয় এবং আবেগিক দিক থেকে পরিত্যক্তা মনে করবে। অথচ সে জানবেও না যে, পর্নোগ্রাফীর ডোপামিনের সাথে সে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না।


এই সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, মস্তিষ্ক একটি সামগ্রিক সত্ত্বার মতো কাজ করে; এর কার্যকারিতার পরিধি হলো সর্বব্যাপী। ফলে মস্তিষ্কের কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের পরিবর্তন হলে অন্যান্য অংশও প্রভাবিত হয়। পর্নোগ্রাফী দেখার মাধ্যমে আক্ষরিক অর্থেই পুরো মস্তিষ্কের সকল স্নায়বিক সংযোগগুলোর পুনর্বিন্যাস ঘটে। ফলে মস্তিষ্কের অন্যান্য অংশ এবং তাদের কর্মদক্ষতার উপর কেমন প্রভাব পড়ে, তা গবেষণার ভিন্ন একটি ক্ষেত্র যা গভীর মনোযোগের দাবি রাখে।


স্নায়ুবিজ্ঞান পর্নোগ্রাফীতে আসক্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে বেশ পীড়াদায়ক চিত্র তুলে ধরলেও, এটি পুরোপুরি দুঃসংবাদ নয়। যদিও পর্নোগ্রাফী এবং কোকেইন মস্তিষ্কের একই গঠনতন্ত্রকে আক্রমণ করে, তথাপি দুটির পরিণতি পুরোপুরি এক নয়। মস্তিষ্কের সংশ্লিষ্ট গঠনতন্ত্রকে বিষমুক্ত করার জন্য, কোকেইনে আসক্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই একটি সুশৃঙ্খল এবং ধারাবাহিক আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। অন্যথায়, তার জীবনই ঝুঁকিগ্রস্থ হয়ে পড়ে। পক্ষান্তরে, অনেক মানুষ যারা পর্নোগ্রাফী দেখার বাস্তব এবং সুস্পষ্ট ক্ষতির দিক সম্পর্কে জেনে গেছে, তারা কোনো রকম নেতিবাচক মনস্তাত্ত্বিক বিপর্যয়ের শিকার না হয়েই, তাৎক্ষনিকভাবে পর্নোগ্রাফী দেখা বাদ দিতে পারে। এজন্য প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে এবং নিজেকে নানা রকম কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখতে হবে। প্রথম প্রথম অতীতের দেখা পর্নোগ্রাফীর মনোযোগ বিনষ্টকারী দৃশ্যগুলো চোখের সামনে ভাসতে থাকবে যা পর্নোগ্রাফী পরিত্যাগের ক্ষেত্রে ব্যক্তির ইচ্ছা এবং উদ্যমের জন্য একটি কঠিন পরীক্ষা। তবে সুখের কথা হলো, পর্নোগ্রাফী দেখার কারণে মস্তিস্কের স্নায়বিক সংযোগগুলোর যেভাবে পুনর্বিন্যাস ঘটেছিল, সেই পুনর্বিন্যাস ঘটানো আবারও সম্ভব। মস্তিষ্ক খুবই কর্মদক্ষ একটি অঙ্গ যা অব্যবহৃত সংযোগগুলো থেকে মুক্ত হতে পারে। ব্যক্তি যতই পর্নোগ্রাফীর সংযোগগুলোকে পুনরুদ্দীপ্ত না-করে থাকবে, মস্তিষ্কের পক্ষে ওইসব সংযোগগুলো পরিত্যাগ করার সম্ভাবনাও তত বেশি। আবার পূর্বের অভিজ্ঞতায় জড়ালে এবং মস্তিষ্ককে যৌন আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিষয়ে ব্যস্ত রাখলে, অনিবার্যভাবেই তা অন্যান্য সংযোগগুলোকে পুনরুদ্দীপ্ত করবে। কর্ম সম্পাদনের জন্য মস্তিষ্কের শুধু সময় এবং পছন্দ প্রয়োজন। ব্যক্তি তার মস্তিষ্কে যে বিষয়টি বারবার সক্রিয় করবে, মস্তিষ্ক সেটিকেই তার পছন্দ হিসেবে গ্রহণ করবে।


যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত - ১৯৬২ ইং

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com


শনিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২২

 সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? করোনা না সাধারণ ঠান্ডা লাগা বুঝার উপয় কী?

সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? করোনা না সাধারণ ঠান্ডা লাগা বুঝার উপয় কী?

  সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? করোনা না সাধারণ ঠান্ডা লাগা বুঝবেন কী ভাবে


 সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? করোনা না সাধারণ ঠান্ডা লাগা বুঝবেন কী ভাবে:

আবারও শুরু হয়েছে করোনার সংক্রমণ। নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে। আক্রান্তের সংখ্যাও দ্রুত হারে বাড়ছে। এদিকে শীতকালের এই সময়ে অনেকেরই জ্বর, সর্দি-কাশি কিংবা ফ্লু-এর মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে।। সব মিলিয়ে কোনটা সাধারণ ঠান্ডা লাগা, কোনটা ফ্লু, আর কোনটাই বা কোভিড বোঝা মুশ্কিল হযে পড়েছে ।


কোভিড এবং ফ্লুয়ের উপসর্গগুলো অনেকটা একইরকম হওয়ায়, অনেকেই ফ্লু এবং কোভিডের মধ্যে গুলিয়ে ফেলছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, নির্দিষ্ট কয়েকটি উপসর্গের দিকে নজর দিতে। তাহলেই নিজের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হতে পারে। তবে কোভিড এবং ফ্লু-এর লক্ষণগুলোর তীব্রতা ব্যক্তি বিশেষে পরিবর্তিত হয় হতে পারে।


সর্দি, কাশি, জ্বর, ক্লান্তি- এগুলো কোভিড-১৯ এবং ফ্লুর সাধারণ লক্ষণ। এছাড়াও, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হওয়া, ডায়রিয়া, গলা ব্যথা, পেশির ব্যথা এবং ঠান্ডা লাগা উভয় অবস্থারই লক্ষণ, কিন্তু সবার ক্ষেত্রে নাও হতে পারে। তবে করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট এবং স্বাদ ও গন্ধ হারানো এই দু’টি লক্ষণ মোটামুটি সাধারণ, কিন্তু ফ্লু-র ক্ষেত্রে এই লক্ষণগুলো দেখা যায় না।


ফ্লুয়ের ক্ষেত্রে সাধারণত যেসব উপসর্গ দেখা দেয়-


১. জ্বরের পাশাপাশি খুব ঠান্ডা লাগা


২. সর্দি, কাশি, এবং গলায় ব্যথা হওয়া


৩. নাক থেকে অনবরত পানি পড়া


৪. সারা শরীরে ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা হওয়া


৫. আলসেমি এবং ক্লান্তির অনুভূতি হওয়া


৬. অনেকের ক্ষেত্রে ডায়রিয়ার সমস্যাও দেখা দেয়


অন্যদিকে কোভিড হলে যেসব উপসর্গগুলো দেখা দেয়-


ক. করোনার প্রথম লক্ষণ হল জ্বর হওয়া


খ. জ্বরের সাথে সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, ক্লান্তিভাব


গ. স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়া


ঘ. মাথা যন্ত্রণা এবং সারা শরীরে ব্যথা


ঙ. কারও কারও ক্ষেত্রে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা দিতে পারে


চ. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কোভিডে আক্রান্ত হলে ত্বকে সংক্রমণ, চুলকানি হওয়া, ত্বক লালচে হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়


ছ. বুকে ব্যথা অনুভব হতে পারে।


কোভিড-১৯ এবং ফ্লু প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল টিকাকরণ। কিন্তু ভাইরাস যেহেতু পরিবর্তিত হতে থাকে, তাই শুধুমাত্র টিকা নেওয়াই ফ্লু বা কোভিডের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেয় না। নিরাপদ থাকার জন্য কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাও নিতে হবে । যেমন-


১. ঘন ঘন হাত ধোওয়া


২. চোখ, নাক, মুখ স্পর্শ না করা


৩. অন্যদের থেকে অন্তত ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা


৪. হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা


৫. অসুস্থ বোধ করলে বাড়িতে থাকা


৬. ভিড় জায়গা এড়িয়ে চলা


৭. সব সময় মাস্ক ব্যবহার করা

সূত্র: বোল্ড স্কাই


    যোগাযোগ -

আরোগ্য হোমিও হল

প্রতিষ্ঠাতা : মৃত : ডা: আজিজুর রহমান 

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না)

বিএসএস, ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

ডা: মোসা: অজিফা রহমান (ঝর্না)

 ডিএইচ এমএস (ঢাকা)

রেজি নং- ১৬৯৪২

স্থাপিত - ১৯৬২ ইং

মথুর ডাঙ্গা, সপুরা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মোবাইল - ০১৭১৮১৬৮৯৫৪

arh091083@gmail.com 

hafizurrahman2061980@gmail.com